রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বাগেরহাট-৪ আসনের মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা এলাকায় দখল ও চাঁদাবাজির জন্য নিজস্ব বলয় গড়ে তুলেছেন বাগেরহাট জেলা বিএনপির সদস্য খায়রুজ্জামান শিপন ওরফে শিপন কাজী। এই আসনে তার কথাই যেন শেষ কথা। ক্ষমতার পালাবদলের পর মোড়েলগঞ্জ-শরণখোলার শত শত বিঘা মাছের ঘের দখলের অভিযোগ উঠেছে শিপন কাজী ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে।
সূত্রের দাবি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, প্রশাসন, সরকারি অফিস- সবই এখন শিপনের নিয়ন্ত্রণে। তার রোষানলে পড়ে বিএনপির ত্যাগী অনেক নেতা-কর্মীও এলাকাছাড়া। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গত বছরের ১২ আগস্ট দেশে ফিরেই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদেরও দলে টেনেছেন তিনি। ইতোমধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়েও শিপন কাজী ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন একাধিক ভুক্তভোগী। সম্প্রতি চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগে শিপন কাজীকে দ্বিতীয় দফায় শোকজ করেছে বিএনপি।
বাগেরহাট-৪ আসন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাকে লিজ দিয়েছেন এবং স্বয়ং খালেদা জিয়া বললেও কাজ হবে না- শিপন কাজীর এমন একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। তা ছাড়া শিপন কাজীর বিরুদ্ধে ঢাকার মতিঝিলের ওয়ান ব্যাংকের ঋণখেলাপিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এলাকায় আলোচনা আছে, এই আসনে কোথায় কী হবে, সবই ঠিক করে দেন শিপন কাজী। তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে গেলেই প্রতিপক্ষকে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ ট্যাগ দিয়ে মোবাইল ফোনে প্রাণনাশের হুমকি এবং হামলা-মামলার ভয়ভীতি দেখানো হয়।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ প্রসঙ্গে খবরের কাগজকে বলেন, ‘তাদের অভিযোগপত্র আমি হাইকমান্ডে পাঠিয়েছি। তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই চলছে। ইতোমধ্যে শিপন কাজীকে শোকজ করা হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘দলীয় নির্দেশ অমান্য করে চাঁদাবাজি ও দখল-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
অভিযোগ উঠেছে, শেখ হাসিনার পতনের পর মোড়েলগঞ্জের ১২ নম্বর জিউধরা ইউনিয়নের শনিরঝোর-ডেওয়াতলা এলাকায় তানিয়া ইসলামের নামে থাকা ৬০ বিঘা এবং ১৫ বিঘার দুটি মাছের ঘের দখল করে নিয়েছেন শিপন কাজী ও তার সহযোগীরা। অভিযোগ করে খবরের কাগজকে তানিয়া ইসলাম বলেন, ‘শিপন কাজীর নেতৃত্বে বাগেরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম সোহাগ সরদার, ইউনিয়নের সাবেক সহসভাপতি মহিউদ্দিন খান রিপন, রাখি, ইব্রাহিম, মন্টু তালুকদার, আসাদুল, ওসিকুল, সাদ্দাম গং অস্ত্রের মুখে আমার কাছ থেকে জমির লিজ চুক্তিনামায় সই করিয়ে নিয়েছেন। পরিবারের সদস্যদের বাঁচাতে ইতোমধ্যে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও ৩০ হাজার টাকা ব্যাংক থেকে বিকাশের মাধ্যমে দিয়েছি। তিনটি ঘেরে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
তানিয়া ইসলাম জানান, ১৯৮৮ সাল থেকে নিজস্ব জমিতে ঘের করে আসছে তার পরিবার। ঘের দখলের ঘটনায় শিপন কাজী ও তাদের সহযোগীদের নামে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়, বাগেরহাট জেলা বিএনপি ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো ঢাকার তিনটি থানায় তার নানা ও দুই মামার নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন শিপন কাজীর সহযোগীরা।
এদিকে জিউধরা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলামের বাড়িঘর ভাঙচুর ও ১৭ বিঘা মাছের ঘের লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে শিপন কাজী ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমলে এলাকায় থাকতে পারলেও বর্তমানে আমি পরিবার নিয়ে ঘরছাড়া। অথচ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে শিপন কাজীর সঙ্গেই রাজপথে আন্দোলন করেছি। শেখ হাসিনার পতনের পর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দলে ভিড়িয়ে এখন বিএনপির লোকজনের ওপর হামলা চালাচ্ছেন তারা। ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না।’
সূত্রের দাবি, জিউধরা ইউনিয়নের শুধু এই দুই ঘের নয়, মৌলভীবাজার টু ঘরামী বাজারের মাঝে পারভেজ মৃধার ৭০ ও ৫০ বিঘার দুটি ঘের, ইমরান খানের ১৯০ বিঘা, মাহবুব খানের ৭৫ বিঘা এবং সাইদুল মেম্বারের ২০ বিঘার ঘেরের মাছ লুটসহ দখল করে নিয়েছেন শিপন কাজীর অনুসারীরা। এসব ঘেরে তিন থেকে চার কোটি টাকার মূল্যের মাছ ছিল। শিপন কাজীর এপিএস বদর শিকদার, ইউনিয়নের সভাপতি কামাল খান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হাওলাদার, দাউদ মৃধা, লোকমান তালুকদার, গিয়াস মৃধা, সোহেল তালুকদার, আলতাফ খান, বাচ্চু মৃধা, জুলহাস, কামাল ঘরামী, রুবেল হাওলাদার, মুকুল খান, কামাল খান গং এসব ঘের দখল করেছেন। এদের মধ্যে দাউদ, গিয়াস ও সোহেল আওয়ামী লীগ থেকে রাতারাতি বিএনপি নেতা বনে গেছেন। আর এদের আশ্রয়দাতা শিপন কাজী। জমির প্রকৃত মালিকদের লিজের টাকাও দেননি। হামলার ভয়ে তারা প্রকাশ্যে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বহরবুনিয়া ইউনিয়নের রিপন তালুকদার চেয়ারম্যানের ৮০ বিঘা, মিলন তালুকদারের ১০০ বিঘা, আলী ফরাজীর ৬০ বিঘা, রফিকুল ফরাজীর ৫০ বিঘা, মামুন শেখের ৪০ বিঘা, মাসুদের ৮০ বিঘা, তরিকুল ইসলাম গোলাপের ১০০ বিঘা, বয়াসিংগার মোস্তফার ২২ বিঘা এবং রুম্মানের ৬৫ বিঘা মাছের ঘের লুটপাটসহ দখল করে নিয়েছেন শিপন কাজীর অনুসারীরা। বহরবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি নজরুল ইসলাম, কৃষক দলের আহ্বায়ক মাসুম হাওলাদার, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাজমুল ইসলাম রাকির নেতৃত্বেই এসব ঘের দখল হয়েছে। এ ছাড়া বারইখালী ইউনিয়নে সুমনের ৩০ বিঘার ঘের জোর করে দখল নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শিপনের অনুসারী রিপন খান ও কামাল খানের বিরুদ্ধে। তবে হামলার ভয়ে এসব ঘেরমালিকরা মুখ খুলতে বা থানায় অভিযোগও করতে ভয় পাচ্ছেন। আবার অনেকে তাদের টাকা দিয়েও নিজেদের রক্ষা করতে পারেননি। তারা এখন এলাকাছাড়া।
এদিকে মোবাইল ফোনে শিপন কাজী ২০ লাখ টাকা চাঁদা ও মাসোহারা দাবি করেছেন গ্রিসের বাঙালি কমিউনিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ ইসলামের কাছে। জাহিদ গ্রিসের ‘বয়েজ ফর গ্লোবাল’ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এবং ‘জাহিদ ইসলাম’ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতাও। চাঁদা দাবির এই কল রেকর্ড খবরের কাগজের হাতে রয়েছে। জাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমি দুই দশক ধরে গ্রিসে থাকি। কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নই। গ্রিসের একটি বাঙালি কমিউনিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থাকায় নানা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে তোলা ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন শিপনের অনুসারীরা। অথচ বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গেই আমার বেশি ছবি রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গেও বৈঠকের ছবি রয়েছে। তা ছাড়া আমার ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট, বাগেরহাট, মোড়েলগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।’
জাহিদ ইসলাম বলেন, ‘শিপন কাজীর ভয়ে দেশে এসেও অসুস্থ বাবা-মায়ের সঙ্গেও দেখা করতে পারিনি। সর্বশেষ আব্বা-আম্মার দোয়া মাহফিলের খাবারও ফেলে দিয়েছেন। আমাকে মোবাইল ফোনেও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি বাগেরহাটের এসপিকে জানিয়েও প্রতিকার পাইনি। পরে এসব অভিযোগ লিখিতভাবে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।’
মোড়েলগঞ্জ উত্তর সুতালড়ী শফিজউদ্দিন দাখিল মাদ্রাসায় ১৪ লাখ চাঁদাবাজির অভিযোগ ও হামলার ঘটনায় শিপন কাজীসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মাদ্রাসার সুপার এম জহিরুল আলম। ২০২৪ সালের ২০ অক্টোবর বাগেরহাট জেলা জজ আদালতে এই মামলা করা হয়েছে। জহিরুল আলমের কাছে চাঁদা দাবি ও মারার হুমকি দেওয়ার কল রেকর্ডও খবরের কাগজের হাতে রয়েছে।
শরণখোলার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাজনৈতিক ক্ষমতার পালাবদলের পর সুন্দরবন এলাকায় শিপন কাজীর সহযোগী শরণখোলা উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আনোয়ার হোসেন পঞ্চায়েত ও তার গ্রুপের নেতৃত্বে বিভিন্ন চর দখলে নিয়েছে। এর মধ্যে ইলিশাচর, ছাপরাখালী, খেলারচর, কটকা, কচিখালী- এসব অভয়ারণ্যে চর ও জেলেরা তাদের নিয়ন্ত্রণে।
স্থানীয় বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, জিউধারা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর বাদশা ও শিপন কাজী সম্পর্কে বেয়াই। তার চাচাতো ভাই যুবলীগ নেতা কাজী সাইফুজ্জামান রাসেল। এদের হাত ধরেই আওয়ামী লীগের মতিউর রহমান বাচ্চুসহ অনেকেই এখন বিএনপিতে যোগদান করেছেন। নব্য বিএনপির দাপটে অনেক সিনিয়র নেতা চুপ হয়ে গেছেন। অথচ ওয়ান-ইলেভেনের সময় থেকেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলেছেন শিপন। খালেদা জিয়াসহ বিএনপির নেতারা জেলে থাকলেও শিপন ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার চড়ে বাড়িতে আসতেন। তার সামনে-পেছনে থাকত পুলিশ ও র্যাবের গাড়ি।
এলাকার অনেকে জানান, মূলত একশ্রেণির নারীকে ব্যবহার করে এবং তাদের মাধ্যমে টোপ দিয়েই প্রথমদিকে রাজনীতিতে শিপন কাজীর প্রবেশ। এভাবে সমাজের প্রভাবশালীদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে সারা দেশে চাঁদাবাজি ও দখলের সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। কিন্তু এখন তিনি এতটাই শক্তিশালী যে তার বিরুদ্ধে হাইকমান্ডের নির্দেশনা সত্ত্বেও অভিযোগ থাকলে অদৃশ্য শক্তির কারণে ব্যবস্থা গ্রহণ আটকে যায়।
মোড়েলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মতলুবুর রহমান খবরের কাগজকে বলেন, ‘এই এলাকায় দখল-বেদখল চলে। কিছু অভিযোগ শুনেছি। কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শিপন কাজীর দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকরাম হোসেন তালিম খবরের কাগজকে বলেন, ‘দপ্তর থেকে তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আমরা শিপন কাজীকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছিলাম। কিন্তু কী কারণে হাইকামান্ড ব্যবস্থা নেয়নি তা জানি না।’ এদিকে জেলা বিএনপির সমন্বয়ক এম এ সালাম খবরের কাগজকে বলেন, ‘মোড়েলগঞ্জে দু-একটা অভিযোগ আসছিল। আমি বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি।’
বিএনপির গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম বলেন, ‘যারা চাঁদাবাজি ও দখলবাজি করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ও দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অভিযোগের বিষয়ে বাগেরহাট জেলা বিএনপির সদস্য খায়রুজ্জামান শিপন কাজী খবরের কাগজকে বলেন, ‘কোথাও আমার একটাও মাছের ঘের নেই। আওয়ামী লীগের আমলে বিএনপির লোকজনের ঘের দখল হয়েছিল, সেগুলো বিএনপি ও সাধারণ মানুষ উদ্ধার করেছেন। এখানে আমার বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নেই। একটা কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে রাজনীতিতে অবস্থান নিতে না পেরে এগুলো প্রচার করছে।’
তিনি বলেন, ‘সামনে আমি নমিনেশন চাইব। বিএনপির আরেকটা গ্রুপ আছে যারা এলাকায় যায় না, জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় তারা বিএনপিকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে নীলনকশায় নামছে। তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে, ষড়যন্ত্র করছে।’
মাদ্রাসার সুপারকে চাঁদা দাবি ও হুমকি দেওয়ার বিষয়ে শিপন বলেন, ‘এই মাদ্রাসায় আমার বাপ-দাদারা ২০ বিঘা সম্পত্তি দিয়েছেন। আমার দাদার নামের এই মাদ্রাসার প্রধান আওয়ামী লীগের ওলামা লীগের সদস্য। প্রভাব খাটিয়ে টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে আওয়ামী লীগের লোকজনকে নিয়োগ দিয়েছেন। মাদ্রাসা শেষ করে দিয়েছেন, এখন কোনো ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হয় না।’
প্রবাসী জাহিদ ইসলামের বাড়িতে হামলার প্রসঙ্গে শিপন কাজী বলেন, ‘তারা নিজেরা বাড়িতে হামলা করে বিভিন্ন মিডিয়ায় নিউজ করিয়েছে। এর সঙ্গে আমি কোনোভাবে সম্পৃক্ত নই।’