সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ ও পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদের মতো আরও রুই-কাতলা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিএনপির একজন নেতাকর্মী কোথায় থাকে, তা খুঁজে বের করতে পারেন। বেনজীর কোথায় থাকলো, তা বের করতে পারলেন না। কীভাবে পরিবার নিয়ে বিমানবন্দর ত্যাগ করল। ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা কীভাবে তুলে নিয়ে গেল?
শনিবার (১ জুন) রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি-কদমতলী আয়োজিত ‘সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে’ খাবার ও কাপড় বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ১৩টি জায়গায় দোয়া মাহফিল, দুস্থদের মধ্যে খাবার ও কাপড় বিতরণ করেন কেন্দ্রীয় নেতারা। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম মজনুর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ।
মির্জা আব্বাস বলেন, সরকারের মদদপুষ্ট এই সমস্ত দুষ্কৃতকারীরা। বাংলাদেশের সমস্ত সম্পদ লুট করে বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে তাদেরকে মদদ দিচ্ছে সরকার। একে একে সবার নাম প্রকাশ হয়ে যাবে, ইনশাল্লাহ। লুটেরা-খুনি-চোরদের বিচার করবে জনগণ।
তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান বাকশাল করেছিলেন, সেখান থেকে জিয়াউর রহমান উদারতা দেখিয়ে তাদের রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন। এখন সত্যিকারে বাকশাল কায়েম হয়ে গেছে। কেউ রাজনীতি করতে পারবে না, কেউ কথা বলতে পারবে না, কেউ মিছিল করতে পারবে না। চলছে লুটপাটের রাজত্ব চলছে।
খালেদা জিয়াকে গাত্রদাহ থেকে বন্দি করে রাখা হয়েছে: গয়েশ্বর
এদিকে, রাজধানীর দোলাইপাড়ে দোয়া মাহফিলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। তাই তার নাম শুনলে প্রধানমন্ত্রীর পেসার বেড়ে যায়। এই গাত্রদাহ থেকে খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আর তারেক রহমান নেতৃত্বে জনগণ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের জন্য জিয়া পরিবারের অবদান অপরিসীম। আজ অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করার চেষ্টা হচ্ছে। দেশ ও জনগণের প্রয়োজনে বিএনপি জন্ম হয়েছে, সেই বিএনপিকে নিঃশেষ করা যাবে না।
শফিক/এমএ/