ঢাকা ২১ বৈশাখ ১৪৩২, রোববার, ০৪ মে ২০২৫

ঋণনির্ভর বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব নয়: জামায়াত

প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৪, ০৮:৩৬ পিএম
ঋণনির্ভর বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব নয়: জামায়াত
ছবি : সংগৃহীত

বিশাল ঋণ নির্ভর বাজেট বাস্তবায়ন করা সরকারের পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। বাজেটে মূল্যস্ফীতি, কর-জিডিপির অনুপাত এবং জিডিপির অনুপাতে বাজেট ঘাটতির যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, সেটি অর্জন করা কঠিন হবে। 

সোমবার (১০ জুন) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে প্রস্তাবিত বাজেটের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এসব কথা বলেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। 

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, বাজেটে সাধারণ মানুষের ওপর করের বোঝা বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিদিনের জীবন-যাপনে অপরিহার্য নানা পণ্যের সেবার ওপর বাড়তি কর চাপানো হয়েছে। মুঠোফোনে কথা বলার ওপর অতিরিক্ত কর বসানো হয়েছে। পানিশোধন যন্ত্র, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র বা এসি, ফ্রিজসহ বিভিন্ন গৃহস্থালি দ্রব্যের ওপর শুল্ক কর বাড়ানো হয়েছে, যা সাধারণ মানুষের কষ্ট ও দুর্ভোগ বাড়াবে। 

তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো দিকনির্দেশনা নেই। আছে কিছু বাস্তবতা বর্জিত উচ্চাকাঙ্খী লক্ষ্যমাত্রা। বাজেটে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত নৈতিক ও অর্থনৈতিক কোনো দিক থেকেই গ্রহণযোগ্য নয়। অর্থমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ সামাজিক ন্যায্যতার দিক থেকে বৈষম্যমূলক। বাজেটে সর্বোচ্চ কর হার নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ শতাংশ। কিন্তু ১৫ শতাংশ কর দিয়েই কালো টাকা বৈধ করা যাবে, এ পদক্ষেপের মাধ্যমে কর ফাঁকিবাজদের প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। পক্ষান্তরে নিয়মিত ও সৎ করদাতাদের তিরষ্কৃত করা হয়েছে। সরকারের রাজস্ব নীতি ব্যক্তি ও গোষ্ঠীনির্ভর হয়ে পড়েছে। বাজেটে খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণের কোনো কৌশল রাখা হয়নি। প্রস্তাবিত বাজেটে ঋণ খেলাপি ও হুন্ডির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার কোনো কথা বলা হয়নি।

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষাখাতে মোট বরাদ্দ বেশি দেখিয়ে অনেকটা শুভঙ্করের ফাঁকির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। কৃষির উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও কৃষকদের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে উল্লেখযোগ্য কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি। নতুন নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনে কোনো দিকনির্দেশনা রাখা হয়নি। প্রস্তাবিত বাজেটে বস্ত্র ও পোশাক শিল্পের বিকাশে কোনো সহায়তার কথা উল্লেখ নেই। বরং পুরুষ ও বাচ্চাদের আমদানি করা পোশাকের শুল্ক কমানো হয়েছে। এতে দেশীয় শিল্পখাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ২০০টিরও বেশি চিকিৎসা যন্ত্র ও সরঞ্জাম আমদানির ক্ষেত্রে ১ শতাংশের শুল্ক বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করায় চিকিৎসা সেবার মূল্য অনেক বেড়ে যেতে পারে। জনগণ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হবে। এবারের বাজেটে বেকারদের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেই। 

তিনি বলেন, মেগা প্রকল্পের ঋণ ও সুদ পরিশোধের দায়-এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ আরও বাড়বে। ডলারের সরবরাহ আরও কমে যেতে পারে। প্রয়োজনীয় ডলারের অভাবে বৈদেশিক ঋণের কিস্তি পরিশোধ যেমন বাধাগ্রস্ত হবে, তেমনি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের সংকট আরও তীব্র হবে। মূলত দেশকে ঋণমুক্ত করার বিষয়ে বাজেটে কোনো কার্যকর পদক্ষেপের কথা উল্লেখ নেই। প্রকৃতপক্ষে অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবিত বাজেট জনগণের ওপর বাড়তি কর আরোপের একটি বাজেট মাত্র। এই বাজেট দেশ ও দেশের জনগণের জন্য কোনো কল্যাণ বয়ে আনবে না। 

জামায়াতের শীর্ষ নেতা বলেন,সরকার ও সরকারের মদদপুষ্টদের আখের গোছানোর জন্যই এই বাজেট পেশ করা হয়েছে। এই সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেশকে একটি ঋণনির্ভর দেশে পরিণত করবে। 
সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ-এর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জনাব নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মো. সেলিম উদ্দিন প্রমুখ। 

সবুজ/এমএ/

খালেদা জিয়াকে পতাকা হাতে অভ্যর্থনা জানানোর আহ্বান ফখরুলের

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৫, ১১:১৮ পিএম
আপডেট: ০৩ মে ২০২৫, ১১:২৩ পিএম
খালেদা জিয়াকে পতাকা হাতে অভ্যর্থনা জানানোর আহ্বান ফখরুলের
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

এক হাতে জাতীয় পতাকা, আরেক হাতে দলীয় পতাকা নিয়ে সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে নেতা-কর্মী ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া লন্ডন থেকে দেশে ফিরবেন সোমবার ৫ মে। স্বাভাবিকভাবে নেতা-কর্মীদের মধ্যে আবেগ আছে। তাকে অভ্যর্থনা জানানো নৈতিক দায়িত্ব। সারা দেশের মানুষ অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত আছে। যানজট সৃষ্টি না করে অত্যন্ত শৃঙ্খলাসহকারে রাস্তার দুই পাশে দলের নেতা-কর্মীরা খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাবেন।

শনিবার (৩ মে) রাতে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান। আগামী সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে খালেদা জিয়া ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন। তার সঙ্গে দুই পুত্রবধু ডা. জোবাইদা রহমান ও শর্মিলা রহমানও আসবেন।

বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘যে বিমানে তিনি (খালেদা জিয়া) লন্ডন গেছেন, কাতারের রয়েল অ্যাম্বুলেন্স, সেই অ্যাম্বুলেন্সের ফ্লাইটেই তিনি ফিরে আসবেন। সময়টা আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। সময়টা নির্ভর করবে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর। বিষয়টি যখনই নিশ্চিত হবো, গণমাধ্যমের মাধ্যমে তা জনগণকে জানিয়ে দেব।’

সংবাদ সম্মেলনে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে জনগণ যেন তাকে (খালেদা জিয়া) অভ্যর্থনা জানাতে পারেন, সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শুধু বিএনপি নয়, সারা দেশের মানুষ তাকে অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত হয়ে আছে।’

এ সময় বিমানবন্দর থেকে কাকলী পর্যন্ত রাস্তা এড়িয়ে সাধারণ মানুষকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করার অনুরোধ করেন মির্জা ফখরুল।

এর আগে খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা নিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে প্রস্তুতিমূলক বিষয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এবং দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের নিয়ে যৌথসভা করেন মির্জা ফখরুল।

সভায় উপস্থিতি ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আহ্বায়ক আমিনুল হক, দক্ষিণের সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিন, চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার, নিরাপত্তা সমন্বয়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম সামছুল রহমান, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, শ্রমিক দলের প্রচার সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের সদস্যসচিব বদরুল আলম সবুজসহ অন্যরা।

গত ৮ জানুয়ারি বেগম খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন যান। সেখানে তিনি দ্য লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হন। টানা ১৬ দিন তিনি ওই ক্লিনিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসা নেন। এরপর ২৫ জানুয়ারি তিনি ক্লিনিক ছেড়ে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় ওঠেন। সেখানে ওই দুই চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

ঐক্য বিনষ্ট হলে গণঅভ্যুত্থানের স্বপ্ন চূর্ণ হবে: মাহমুদ স্বপন

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৫, ০৯:৫০ পিএম
ঐক্য বিনষ্ট হলে গণঅভ্যুত্থানের স্বপ্ন চূর্ণ হবে: মাহমুদ স্বপন
জেএসডি'র প্রতিনিধি সভায় দলটির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রীয় রাজনীতির মৌলিক সংস্কারই গণঅভ্যুত্থানের অঙ্গীকার, যা ফ্যাসিবাদী শক্তিকে মোকাবিলা করবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি’র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।

শনিবার (৩ মে) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও পার্বত্য জেলাসমূহের জেএসডি'র প্রতিনিধি সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। 

তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা-কাঠামোর পরিবর্তন বা সংস্কার বাংলাদেশের রাজনীতিতে গভীরভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। বড় ধরনের সংস্কার ছাড়া রাষ্ট্র বা সমাজ পরিবর্তনের সংগ্রাম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ 

গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে জনগণের অভিপ্রায় অনুযায়ী ‘সংস্কার’-এর গুরুত্ব অপরিসীম। স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদ মোকাবিলায় সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্যেরভিত্তিতে ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়নের তাৎপর্য সুদূরপ্রসারী বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির ঐক্য বিনষ্ট হলে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র বিনির্মাণের স্বপ্ন চূর্ণ হয়ে যাবে। সুতরাং, সব রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থেকে পুরাতন রাষ্ট্রব্যবস্থা ও রাজনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। ঔপনিবেশিক শাসনব্যবস্থার বিপরীতে ‘অংশীদারিত্বের গণতন্ত্র’ বাস্তবায়নের সম্ভাবনা অনেক উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে।’

চট্টগ্রাম মহানগরের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মুজতবা কামালের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ডাক্তার জবিউল হোসেন, মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া, সহ-সভাপতি সারোয়ার হোসেন ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ প্রমুখ।

ফারহান হাবীব/সুমন/

চট্টগ্রামে একদিন দেশের সবচেয়ে বড় ক্যানসার হাসপাতাল হবে: আমীর খসরু

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৫, ০৯:১০ পিএম
আপডেট: ০৩ মে ২০২৫, ০৯:২১ পিএম
চট্টগ্রামে একদিন দেশের সবচেয়ে বড় ক্যানসার হাসপাতাল হবে: আমীর খসরু
চট্টগ্রামে ক্যানসার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের মালেকা খাতুন অনকোলজি ওয়ার্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামে একদিন দেশের সবচেয়ে বড় ক্যানসার হাসপাতাল হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, কারও যদি ক্যানসার হয় তাহলে তা একটা পরিবারকে আর্থিকভাবে ধ্বংস করে দেয়। সেই পরিবারে সুখ বলতে আর কিছু থাকে না। 

শনিবার (৩ মে) দৈনিক আজাদীর সহযোগিতায় নগরীর আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ক্যানসার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের মালেকা খাতুন অনকোলজি ওয়ার্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

আমীর খসরু বলেন, ক্যানসার রোগী এবং তার পরিবারকে স্বস্তি দেওয়ার একমাত্র পথ হচ্ছে তাদের আশ্বস্ত করা যে, চিন্তার কিছু নেই। এখন ক্যানসারের চিকিৎসা আছে। চট্টগ্রামে আজকে যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, এটা অনেক বড় উদ্যোগ। এ উদ্যোগে একসময় বাংলাদেশের মধ্যে চট্টগ্রামে সবচেয়ে বড় ক্যানসার হাসপাতাল হতে পারে। 

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সম্পাদক জাহিদুল হাসানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক, দৈনিক পূর্বকোণ সম্পাদক ডা. রমিজ উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি আমীর হুমায়ূন মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক লায়ন গভর্নর কামরুন মালেক, লায়ন রুপম কিশোর বড়ুয়া, দৈনিক আজাদীর নির্বাহী সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মা ও শিশু হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম আজাদ, ক্যানসার ইনস্টিটিউশন সম্পর্কে জানান ডা. শেফাতুজ্জাহান।

সংবাদ সম্মেলন থেকে নারী সাংবাদিককে বের করে দিল ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৫, ০৯:০২ পিএম
আপডেট: ০৩ মে ২০২৫, ০৯:২২ পিএম
সংবাদ সম্মেলন থেকে নারী সাংবাদিককে বের করে দিল ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা
বরিশালে সংবাদ সম্মেলন থেকে এই নারী সাংবাদিককে বের করে দেওয়া হয়। ছবি: খবরের কাগজ

বরিশালে সংবাদ সম্মেলন থেকে এক নারী সাংবাদিককে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে।

শনিবার (৩ মে) বেলা ১১টার দিকে বরিশাল প্রেস ক্লাবেন তৃতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে।  

ঘটনার শিকার হওয়া যুগান্তরের নারী সাংবাদিক মনিকা চৌধুরি এ অভিযোগ করেন। পাশাপাশি এ ঘটনার বিচারও দাবি করেন তিনি।

শনিবার নিজেকে মেয়র ঘোষণার দাবি জানিয়ে নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে করা মামলা গ্রহণের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। এখানে মূলত এই ঘটনাটি ঘটে। 

এ বিষয়ে ভু্ক্তভোগী সাংবাদিক মনিকা চৌধুরি জানান, তিনি সংবাদ সম্মেলনের ছবি তুলছিলেন। ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা তখন তাকে সেখান থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। তাকে রাখার অনুরোধ জানালেও বলা হয়, নারী সাংবাদিক রাখা যাবে না। 

প্রেস ক্লাবের হলরুম ভাড়া নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করার কারণে এটি তাদের নিজস্ব। এখানে কে থাকবে আর থাকবে না সেই সিদ্ধান্তও ইসলামী আন্দোলন কর্তৃপক্ষের বলে দাবি করেন দলটির নেতাকর্মীরা।

বিষয়টি সমকালের সাংবাদিক খান মনিরুজ্জামান মুফতি ফয়জুল করিমের নজরে আনলে তিনি বলেন, ‘আমি একজন মুসলমান। আমি আমার ধর্ম পুরোপুরি পালন করব। আমার ধর্মমতে সব পালন করার স্বাধীনতা আছে। তবে রাষ্ট্রীয় বিষয়ে আমার সবকিছু করার ক্ষমতা নেই। সেখানে যে আইন আছে তা মেনে চলতে হবে।’

ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের নারী সাংবাদিকের সঙ্গে এমন আচরণের বিষয়টি জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান মুরাদ আহমেদ ফয়জুল করিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কথা না বলার জন্য বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে মুফতি ফয়জুল করিম বলেন, ‘আগামী ৫ মে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতে আবেদনের শুনানি রয়েছে। সেখানে আদালতকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে।’

আদালতে ন্যায় বিচারের আশা প্রকাশ করে তিনি জানান, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় মামলার পর মেয়র ঘোষণা করা হয়েছে। তা দেখেই মূলত তিনি আবেদন করেছেন। আবেদন করতে দেরি হলেও তামাদি মামলা গ্রহণের এখতিয়ার আদালতের আছে।

২০২৩ সালের ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহকে মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম।

মঈনুল ইসলাম/সুমন

এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৫, ০৮:১৬ পিএম
আপডেট: ০৩ মে ২০২৫, ০৮:৩৪ পিএম
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

চার মাস পর আগামী সোমবার (৫ মে) লন্ডন থেকে দেশে ফিরবেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি কাতারের আমিরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (৩ মে) সন্ধ্যায় গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, তবে সময় এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সময় চূড়ান্ত হওয়ার পর জানানো হবে।

এর আগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে তিনি দেশে ফিরবেন বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

শনিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) কাতারের আমিরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সোমবার (৫ মে) দেশে আসছেন। তবে সময় এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

এর আগে খালেদা জিয়া কিভাবে দেশে ফিরছেন সে বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, ‘ম্যাডামের দেশে ফেরার ব্যাপারে কাতারের আমিরের কাছ থেকে যে অ্যাম্বুলেন্সটা উনাকে লন্ডনে নেওয়ার জন্য পেয়েছিলাম সেটা এখন একটু বিলম্বিত হচ্ছে টেকনিক্যাল রিজিয়নস, সেজন্য ম্যাডাম ঠিক করেছেন যে, ওইটা (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) যদি শেষ মুহুর্তে না পাওয়া যায় উনি বাংলাদেশ বিমানেই আসবেন। বাংলাদেশ বিমানে সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৪ এপ্রিল উনি রওনা হলে ইনশাআল্লাহ ৫ তারিখ সকাল ১১টা দিকে দেশে এসে পৌঁছাবেন।’

গত ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। লন্ডনে পৌঁছেই লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। টানা ১৭ দিন লন্ডন ক্লিনিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে ২৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে তারেক রহমানের বাসায় তাদের অধীনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাখা হয়।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/