ঢাকা ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
English
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ‘কার্যকর’ কমিটি চান বিএনপির নেতা-কর্মীরা

প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৪, ১০:৪৮ এএম
আপডেট: ২৭ জুন ২০২৪, ১০:৫৪ এএম
ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ‘কার্যকর’ কমিটি চান বিএনপির নেতা-কর্মীরা

শিগগিরই ঘোষণা করা হতে পারে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির নতুন কমিটি। কমিটিতে কারা আসছেন, তা নিয়ে আলোচনা-গুঞ্জন চলছে। ঢাকা মহানগরের কাণ্ডারি হতে ইচ্ছুক, এমন অনেক নেতা ইতোমধ্যে বিএনপির হাইকমান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন।

তবে মহানগরের নেতা-কর্মীরা জানান, এবার তারা কার্যকর ও গ্রহণযোগ্য কমিটি চান। আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে দলকে এগিয়ে নিতে পারেন, সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, নিজস্ব সাহসী কর্মী বাহিনী রয়েছে- এমন স্থানীয় নেতাদের ঢাকা মহানগর বিএনপির কাণ্ডারির দায়িত্ব দেওয়া উচিত। না হলে আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু ঢাকাতে আবারও ব্যর্থ হতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় খবরের কাগজকে বলেন, ‘বিগত দিনে যারা দলের জন্য কাজ করেছেন, কমিটিতে তারা মূল্যায়িত হবেন। তবে সংগঠনকে এগিয়ে নিতে পদ-পদবি ভুলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’ 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী খবরের কাগজকে বলেন, ‘মহানগর কমিটি নিয়ে হাইকমান্ড এখনো কিছু জানাননি। হাইকমান্ড যখনই কমিটি অনুমোদন করবেন, তখনই প্রেসে পাঠানো হবে।’ 

মহানগরের একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, মহানগরের নেতৃত্বে সিনিয়র-জুনিয়র সমন্বয় থাকা প্রয়োজন। বিশেষ করে সাবেক এমপি, এমন কাউকে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হলে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলা ও মিটিংয়ের সময়ে পরিবেশ কিছুটা অনুকূলে থাকবে। প্রশাসন সাবেক এমপিদের মূল্যায়ন করলেও বর্তমান নেতাদের সেভাবে মূল্যায়ন করতে চায় না। তবে স্থানীয় সাবেক এমপি যারা আছেন, তারাও দলের বড় দায়িত্ব পালন করছেন। 

তারা আরও বলেন, ‘পদ বাণিজ্য’ এবং ‘মাইম্যান’ দিয়ে কমিটি গঠন করলে দলই আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। টাকা দিয়ে কেউ পদে এলে আন্দোলনের সময় রাজপথে থাকেন না। আন্দোলনে যারা দলকে এগিয়ে নিতে পারবেন, এমন ৫০০ নেতা বাছাই করতে হবে। নতুন কমিটিতে পরীক্ষিত সিনিয়র-জুনিয়র নেতাদের সমন্বয় থাকতে হবে। না হলে মহানগরে যারা ৪০-৫০ বছর ধরে রাজনীতি করছেন, তারা বেকায়দায় পড়বেন। জুনিয়র নেতাদের সঙ্গে তাদের সমন্বয়ে সমস্যা হবে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন, এমন নেতাও এই তালিকায় রয়েছেন। তারা ঠিকানাবিহীন হয়ে পড়বেন এবং রাজনীতি থেকে হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হবে।

প্রায় ৪০ ধরে ঢাকার রাজনীতির সঙ্গে জড়িত দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক তিনবারের কমিশনার ও গেন্ডারিয়া থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মকবুল ইসলাম খান টিপু। তিনি বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশের বাইরে থেকেও দলকে পুনর্গঠনের চেষ্টা করছেন। আমি মনে করি, সাবেক এমপি কাউকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত। আরও যাচাই-বাছাই করে সাহসী নেতাদের দায়িত্বে আনতে হবে। স্থানীয় ব্যক্তিত্ববান নেতাদের সমন্বয়ে কার্যকর কমিটি গঠন করতে হবে। না হলে কাজের কাজ কিছুই হবে না।’

দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মির হোসেন মিরু খবরের কাগজকে বলেন, ‘কার্যকরী কমিটি দিতে পারলে রাজপথে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বিএনপি। আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিতে পারেন, তাদেরই কমিটিতে আনতে হবে। দলের একজন কর্মী হিসেবে বিএনপির রাজনীতি করে যাচ্ছি। কমিটি রাখলেও আছি, না রাখলেও থাকব।’ 

সূত্রমতে, আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু ঢাকা মহানগর। কিন্তু ঢাকায় আন্দোলন জমিয়ে তুলতে পারছে না বিএনপি। বর্তমান প্রতিকূল পরিবেশের পাশাপাশি মহানগর নেতৃত্ব কি পর্যাপ্ত সময় পাচ্ছে? থানা এবং ওয়ার্ড কমিটি গোছানোর সঙ্গে সঙ্গেই মহানগর কমিটি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। নতুন কমিটি এসে আবার থানা-ওয়ার্ড কমিটি ভেঙে দিচ্ছে। এতে নেতা-কর্মীরাও বিভক্ত হয়ে পড়েন। ২০১৪ সালে ঢাকা মহানগরের আহ্বায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ান প্রয়াত সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা। ওই বছরের ১৮ জুলাই মির্জা আব্বাসকে আহ্বায়ক ও হাবীব-উন-নবী খান সোহেলকে সদস্যসচিব করে কমিটি গঠিত হয়। তখন কেউ কাউকে সহযোগিতা করেননি বলেও অভিযোগ ওঠে। প্রায় তিন বছর পর মহানগর দক্ষিণে নবী খান সোহেল এবং উত্তরে এম এ কাইয়ুমকে সভাপতি করে কমিটি দেওয়া হয় ২০১৭ সালের ১৮ এপ্রিল। ২০২১ সালের ২ আগস্ট প্রায় সাড়ে চার বছর পর আব্দুস সালামকে দক্ষিণের আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম মজনু এবং আমানউল্লাহ আমানকে আহ্বায়ক ও আমিনুল হককে সদস্যসচিব করে কমিটি গঠিত হয়। কিন্তু আড়াই বছরের মাথায় গত ১৩ জুলাই এই কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়।

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের বিলুপ্ত আহ্বায়ক কমিটির নেতা-কর্মীরা বলছেন, সংগঠনে সাহসী নেতা-কর্মীদের সঠিক স্থানে বসাতেও সময় লাগে। এখন আবার নতুন কমিটি এলে তারা থানা ও ওয়ার্ড কমিটিতে তাদের নিজস্ব বলয়ের নেতা-কর্মীদের স্থান দেবে। এতে দলের সাহসী-ডেডিকেটেড নেতা-কর্মী অনেকেই বাদ পড়েন। ফলে আন্দোলন-সংগ্রামে এক গ্রুপ ঝুঁকি নিলেও আরেক অংশ নিষ্ক্রিয় থাকে। তাদের মতে, দলে সাহসী ও নিবেদিত নেতা-কর্মীর অভাব রয়েছে। 

তারা বলেন, ‘তিন বছরে আন্দোলন-সংগ্রাম বেগবান করেছি, নির্যাতন-নিপীড়ন ও হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন অসংখ্য নেতা-কর্মী। এখন পুলিশ নেতা-কর্মীদের না পেয়ে বাবা-মা ও সন্তানকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এর পরও রাজপথে থাকার চেষ্টা করেছে সবাই। বর্তমান বাস্তবতার প্রকৃত তথ্য পাচ্ছেন না ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তাকে একটি গ্রুপ প্রতিনিয়ত ভুল তথ্য দিয়ে আসছে। শেষ মুহূর্তে এসে ঢাকার আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পেছনে সঠিক পরিকল্পনার অভাব রয়েছে।

দক্ষিণের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী খবরের কাগজকে বলেন, ‘অস্থায়ী লোক দিয়ে কমিটি করলে আন্দোলনের সময় তাদের রাজপথে পাওয়া যায় না। সিনিয়র-জুনিয়র সংমিশ্রণে হলে কমিটি কার্যকরী হবে। আন্দোলন-সংগ্রামে দলকে এগিয়ে নিতে পারেন, এমন নেতাদের নেতৃত্বে প্রয়োজন। অর্থবিত্ত ও গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, নিজস্ব কর্মী-সমর্থক রয়েছে, ২ ঘণ্টার মধ্যে পাঁচ-সাত হাজার নেতা-কর্মী জড়ো করতে পারেন-তাদের কমিটিতে জায়গা দিতে হবে।’

সাবেক সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম মজনু খবরের কাগজকে বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আগামী দিনে দলের প্রয়োজনে যে সিদ্ধান্ত নেবেন, তার সঙ্গে আমরা একমত।’

ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক সদস্যসচিব আমিনুল হক বলেন, ‘কমিটি ভেঙে দেওয়া সাংগঠনিক কার্যক্রমের প্রক্রিয়া। প্রায় সব থানা-ওয়ার্ড কমিটি পুনর্গঠন করেছি। যারা দলের জন্য সাহসী ভূমিকা পালন করতে পারবেন, যারা দলের জন্য নিবেদিত, তাদের সঠিকভাবে মূল্যায়ন করার চেষ্টা করেছি।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির কমিটির সুপার ফাইভে যাদের নিয়ে আলোচনা রয়েছে তারা হলেন সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী, সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম মজনু, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিন, বিএনপি নেতা আ ন ফ সাইফুল ইসলাম, ইশরাক হোসেন।

অন্যদিকে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সুপার ফাইভে আলোচনায় রয়েছেন যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাবেক সদস্যসচিব আমিনুল হক, বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়াল, যুবদল নেতা এস এম জাহাঙ্গীর, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, দপ্তর সম্পাদক এ বি এম রাজ্জাক। 

উত্তরের একাধিক নেতা জানান, বিদায়ী কমিটিতে আমান উল্লাহ আমানকে আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হলেও তিনি স্থানীয় নেতা নন। আমান উত্তরের রাজনীতির সঙ্গেও কখনোই সম্পৃক্ত ছিলেন না। তাই স্থানীয় নেতাদের দায়িত্বে চান তারা। 

মহানগর উত্তরের দুবারের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এ বি এম রাজ্জাক খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমরা আশা করি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ার‌ম্যান কমিটিতে যোগ্য ও পরীক্ষিত নেতাদের মূল্যায়ন করবেন। প্রায় ৩৫ বছর ধরে মহানগর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত আছি। তদবির-লবিংয়ে নেতা নির্বাচন নয়, রাজপথের পরীক্ষিত নেতাদের মূল্যায়িত করতে হবে। যোগ্য নেতাদের মূল্যায়ন না হলে দলই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে: নজরুল ইসলাম খান

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১৬ পিএম
নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে: নজরুল ইসলাম খান
কৃষক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। ছবি: খবরের কাগজ

একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। 

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

কৃষক দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কৃষকদল।

তিনি বলেন, ‘আমরা ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছি কিন্তু গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। তার কিছু প্রস্তুতি আছে, তা চলছে। আমরা আশা করি, এই পরিবর্তন শীঘ্রই সম্পন্ন হবে। প্রস্তুতি শেষে জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের দিকে ইঙ্গিত করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘এখন যারা ক্ষমতায় আছে তারা জোর করে ক্ষমতা গ্রহণ করে নাই। দেশের জনগণ তাদের ক্ষমতা দিয়েছি। তারা দেশটাকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করবেন। আগের মত বিনাভোটে, রাতের ভোটে বা ডামি ভোট না, জনগণের ভোটে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করবেন। তারা জনগণের জন্য কাজ করবেন। দেশ থেকে দুর্নীতি, অনাচার উচ্ছেদ করবেন। গরীব মানুষদের সাহায্য করবেন, সহযোগীতা করবেন যেনো নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। কারো কাছ থেকে হাত পাততে না হয়। সে জন্য পরিবর্তন দরকার।’

আল্লাহর মেহেরবানি, সেই পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই দেশটাকে তো নিঃস্ব করে দিয়েছিল পতিত ফ্যাসিস্ট সরকার। বিগত সরকার বছরে ১৬ হাজার কোটি ডলার বিদেশে পাচার করেছে। আমার দেশের গরিব শ্রমিক, মধ্যপ্রাচ্যের মরুভূমি বা মালয়েশিয়ার জঙ্গলে কাজ করে যে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠায় সেটা জনগণের কল্যানে না লাগিয়ে সেটা বাহিরে পাচার করে দিয়েছে।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কৃষকদের আহ্বায়ক মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষকদলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান বাবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কৃষকদলের সদস্য সচিব মীর হাসান কামাল তাপস প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/সাদিয়া নাহার/

নির্বাচনের প্রস্তুতির বার্তা দিয়েছেন তারেক রহমান: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০৬ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১৮ পিএম
নির্বাচনের প্রস্তুতির বার্তা দিয়েছেন তারেক রহমান: মির্জা ফখরুল
হয়রত শাহজালাল বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: খবরের কাগজ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচনের জন্য সবাইকে প্রস্তুতি নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে হয়রত শাহজালাল বিমানবন্দরে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। 

ফখরুল বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নেতা-কর্মীসহ সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন। ছাত্র- জনতার আন্দোলনে জনগণের একটা বিশাল বিজয় এসেছে। এই বিজয়কে রক্ষা করতে অবশ্যই সবাইকে ধৈর্য ধরে, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। গণতন্ত্রের প্রথম পদক্ষেপ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া লন্ডনে থাকা নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা সভা ও মতবিনিময় সভা করেছি। আমার লন্ডন সফর ভালো ও ফলফসূ হয়েছে।’ 

রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করার চেষ্টা করছে- তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কোন প্রেক্ষিতে বলেছেন, তা আমি জানি না। তবে উনার (নাহিদ ইসলাম) এ ধরনের বক্তব্য রাজনীতি বিরোধী। আমি আশা করি, ভবিষ্যতে তারা এ ধরনের বক্তব্য থেকে বিরত থাকবেন। রাজনৈতিক দলগুলো সব সময়ই এই অন্তবর্তী সরকারকে সমর্থন করেছে। এর মূল উদ্দেশ্য একটাই গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। গত ১৫ বছর ধরে আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি। তবে উনি কি উদ্দেশ্যে এই কথা বলেছে তা আমি জানি না।’

ভারত বাংলাদেশের চলমান সংকটের সমাধান কিভাবে হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আলোচনার মধ্যে দিয়ে ভারত বাংলাদেশের সংকট সমাধান করতে হবে।’ 

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কবে নাগাদ ফিরতে পারেন জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা জানেন, উনার বিরুদ্ধে অনেক মিথ্যা প্রতিহিংসামূলক মামলা রয়েছে। সেগুলো প্রত্যাহার হলে বা আদালতের মাধ্যমে শেষ হলে তিনি ফিরবেন।’

সংস্কার না নির্বাচনকে প্রাধান্য দিচ্ছে বিএনপি- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই ধরণের ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। বিএনপি দুবছর আগেই ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে। তারও আগে ২০১৬ সালে আমরা ভিশন-৩০ দিয়েছিলাম। আমরা প্রত্যাশা করি, নূন্যতম যেসব সংস্কার জরুরি তা শেষ করে নির্বাচন দিতে হবে। কারন বাংলাদেশে যে সমস্যাগুলো সৃষ্টি হয়েছে তা নির্বাচিত সরকার ছাড়া মোকাবিলা করা চ্যালেঞ্জিং।’ 

বিমানবন্দরে বিএনপি মহাসচিবকে অভ্যর্থনা জানান বিএনপি নেতা ফরহাদ হোসেন আজাদ, আবু মোহাম্মদ আহসান ফিরোজ, সাদী আহমেদ, মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। 

গত ৩০ নভেম্বর স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে নিয়ে বিএনপি মহাসচিব লন্ডন যান। লন্ডনে থাকার সময় তিনি তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং কয়েকটি স্থানীয় দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেন। 

শফিকুল/পপি/

মোমেন খানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৪ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪১ পিএম
মোমেন খানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার
মরহুম আব্দুল মোমেন খান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রীসভার সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও কেবিনেট সচিব মরহুম আব্দুল মোমেন খানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর)। 

১৯৮৪ সালের ১২ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নরসিংদীর পলাশ ও ঘোড়াশাল উপজেলা এবং পৌর বিএনপির উদ্যোগে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। 

এ উপলক্ষে পলাশ উপজেলার মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মরহুমের ছেলে ও সাবেক মন্ত্রী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

মরহুম আব্দুল মোমেন খানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বাণী দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

বাণীতে তিনি মরহুমের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, 'জনগণের নাগরিক অধিকার তথা বাক, ব্যক্তি, চিন্তার স্বাধীনতা নিশ্চিত করার সংগ্রামে আব্দুল মোমেন খানের ভূমিকা ছিল ঐতিহাসিক। তিনি এদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একজন মার্জিত ও প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদ হিসেবে সমাদৃত ছিলেন। বিএনপি ও পূর্বসূরি জাগদলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে আব্দুল মোমেন খান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে নিবেদিত প্রাণ ছিলেন।

মন্ত্রী হিসেবেও তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তথা দেশ ও এলাকাবাসীর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জাতীয়তাবাদী দর্শনকে প্রতিষ্ঠিত করতে তার অবদান দল ও দেশবাসী চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। আমি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং তার শুভানুধ্যায়ী ও পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।'

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময় আবদুল মোমেন খান ফজলুল হক হল প্রতিষ্ঠার পর ছাত্র সংসদের প্রথম ‘স্পিকার’ (বর্তমান ভিপি) নির্বাচিত হন। তিনি উপস্থিত বক্তৃতা, বিতর্ক ও অন্যান্য সহশিক্ষা কার্যক্রমে খুবই পারদর্শী ছিলেন, যা তার পরবর্তী পেশা জীবনকেও সমৃদ্ধ করে। একজন সরকারী চাকরিজীবী হিসেবে আবদুল মোমেন খান যথাযোগ্য সুনাম অর্জন করেন এবং লাহোরে সিনিয়র সিভিল সার্ভিস একাডেমিতে প্রশিক্ষণ কোর্সে প্রথম স্থান অধিকার করে তৎকালীন রেক্টর ডি কে পাওয়ার (আই.সি.এস) প্রদত্ত প্রশংসাসূচক ভ্যালেডিকটরিয়ান সম্মান অর্জন করেন।

তিনি বলেন, যোগ্যতার নিরিখে আবদুল মোমেন খান বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ চাকুরীর পদ কেবিনেট সচিবের আসনে আসীন হন। তার বুদ্ধিদীপ্ত চাকুরী জীবনে তিনি খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার, প্রাদেশিক সরকারের গণপূর্ত, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং সেচ বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সচিবের দায়িত্বও অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে পালন করেন ।

উল্লেখ্য, মোমেন খান ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোটে নরসিংদী-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৪১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করেন এবং ১৯৪২ সালে কলিকাতা গভর্নমেন্ট কমার্শিয়াল কলেজে অনুষদের সদস্য হিসাবে যোগদান করেন। ১৯৫৪ সালে তিনি পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। মোমেন খান লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং পরে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৭৮-৭৯ সালে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

শফিকুল ইসলাম/মেহেদী/এমএ/

দেশকে অশান্ত করতে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে: জামায়াত আমির

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৬ পিএম
দেশকে অশান্ত করতে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে: জামায়াত আমির
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান

বাংলাদেশকে অশান্ত করার জন্য দেশ ও দেশের বাইরে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে একটি মহল বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। 

তিনি বলেন, ‘দেশ যখন ইতিবাচক ধারায় ফিরতে শুরু করেছে, তখন ফ্যাসিস্টরা দেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। বিদেশে বসে যারা অন্যের সহায়তায় দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তাদের মনে রাখা উচিত, দেশের মানুষ কারো চোখ রাঙানিকে পরোয়া করে না। জাতীয় স্বার্থের দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর মগবাজার আল ফালাহ মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন।

শফিকুর রহমান বলেন, ‘গত ১৫ বছরে জাতির সব মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছিল। অনেক প্রতিভাবান কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ওএসডি করা হয়েছিল। গুম, খুনের ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামী লীগের কাছে বিরোধী মতসহ কারও জীবনের কোনো নিরাপত্তা ছিল না।’ 

জামায়াতের আমির বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি জুলুম ও ফ্যাসিজমের শিকার হয়েছে জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতের নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ২০১৩ সালে শাহবাগে আসর বসিয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা করেছে পতিত আওয়ামী সরকার। সংসদের সরকারের চেয়ে শাহবাগের সরকারের কথায় পতাকা উঠেছে।’

নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, ‘বিগত সরকার আসন পুনর্বিন্যাসের নামে জুলুম করেছে। সেগুলো আবার নতুন করে করতে হবে। গত ১৫ বছরে দেশের অনেক নাগরিকই ভোট দিতে পারেননি। অনেকেই আবার ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। তাদের ভোটার তালিকায় সংযুক্ত করতে হবে।’ যৌক্তিক সময়ের মধ্যে ভোটার তালিকা করে প্রবাসীদেরও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবিও জানান তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সিনিয়র নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার প্রমুখ। 

ফেনীতে ক্যান্টনমেন্ট স্থাপনের দাবি গণঅধিকার পরিষদের

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৯ পিএম
ফেনীতে ক্যান্টনমেন্ট স্থাপনের দাবি গণঅধিকার পরিষদের
ছবি: খবরের কাগজ

ভারতকে দেওয়া অবৈধ ইকোনমিক জোনের বরাদ্দ বাতিল এবং ফেনীতে সামরিক ক্যান্টনমেন্ট স্থাপন করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। 

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণবিক্ষোভ কর্মসূচিতে দলের নেতারা এসব কথা বলেন।  

সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, 'ভারত শেখ হাসিনাকে অবৈধভাবে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে। শেখ হাসিনাকে দিল্লিতে বসিয়ে রেখে অপকর্ম করার সুযোগ করে দিয়ে যাচ্ছে। এটা কোনভাবেই বাংলাদেশের মানুষ মানবে না।'  

দলের সদস্যসচিব ফারুক হাসান বলেন, 'খুনি শেখ হাসিনা ভারতকে ইকোনমিক জোন বরাদ্দ দিয়ে দেশের সার্বভোমত্ব ভূলুণ্ঠিত করেছেন। অবৈধভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ভারতের হাতে তুলে দিয়েছেন। অবিলম্বে অবৈধ ইকোনমিক জোন বরাদ্দ বাতিল করতে হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা টিকিয়ে রাখতে ফেনীতে সামরিক ক্যান্টনমেন্ট স্থাপন করতে হবে। দেশকে সুরক্ষিত রাখতে হবে।'   

এ সময়গণঅধিকার পরিষদের দপ্তর সহ-সমন্বয়ক আরিফ বিল্লাহর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সদস্য সচিব তারেক রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার এস ফাহিম, মেজর (অব.) আব্দুর রব, ইঞ্জিনিয়ার থোয়াই চিং মং চাক, ইমামউদ্দিন, এনামুল হক সবু, ফায়সাল আহমেদ, শফিকুল ইসলাম রতন প্রমূখ। 

শফিকুল ইসলাম/মেহেদী

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });