ঢাকা ১৭ কার্তিক ১৪৩১, শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪

যবিপ্রবি ছাত্রলীগের বিতর্কিত কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:১১ এএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:২৪ এএম
যবিপ্রবি ছাত্রলীগের বিতর্কিত কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগের বিতর্কিত কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ। এ বিষয়ে গত রবিবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এ ব্যাপারে যবিপ্রবি শাখার সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি ও সম্পাদককে একাধিকবার ফোন দিলেও তারা ধরেননি। খুদে বার্তা পাঠালেও তারা উত্তর দেননি। 

ওই কমিটির সভাপতি-সম্পাদক বারবার বিশৃঙ্খল কর্মকাণ্ডের জন্য বিভিন্ন সময় নীতিবাচক সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন। ২০২৩ সালে যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তখন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটি স্থগিত করে। গত ১১ নভেম্বর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে কেন্দ্রীয় কমিটি। 

চলতি বছরের ৪ জুন রাতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসের ভেতর যবিপ্রবির শিক্ষার্থী শাহরীন রহমান প্রলয়কে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। ছাত্রাবাসে সভাপতির উপস্থিতিতে তার কক্ষে রাতভর নির্যাতনের পর ওই শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। তদন্তে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে গত ২৫ জুন ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের সভাপতিসহ ৯ জনকে আজীবন বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ছাড়া চারজনের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো। একই সঙ্গে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে ছাত্রসমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ করতে শাখার সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে নতুন কমিটি গঠন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ছাত্রলীগ। কমিটিতে পদপ্রত্যাশীদের আগামী ৭ জুলাইয়ের মধ্যে (প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা) ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জীবনবৃত্তান্ত জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

২০২২ সালের ৩১ জুলাই তৎকালীন কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) সোহেল রানাকে সভাপতি ও তানভীর ফয়সালকে সাধারণ সম্পাদক করে এক বছরের জন্য ছাত্রলীগের ১১ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করে। তবে গত ২৩ মাসেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেননি তারা। এ ছাড়া বিলুপ্ত এ কমিটির বিরুদ্ধে রয়েছে শিক্ষক লাঞ্ছিত, সাধারণ শিক্ষার্থী ও চাকরির জন্য পরীক্ষা দিতে আসা অনেককে নির্যাতনের অভিযোগ। প্রতিবেদন করতে গিয়ে সাংবাদিকরাও তাদের টার্গেটে পরিণত হয়েছেন।

৭ নভেম্বরের চেতনায় ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে: মজনু

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৯ পিএম
আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫১ পিএম
৭ নভেম্বরের চেতনায় ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে: মজনু
ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের চেতনায় আবার সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু।

তিনি বলেন,’ ৭৫ এবং ’২৪ এর পরাজিত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ এবং তার দোসরদের প্রতিহত করতে না পারলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকালে নয়াপল্টনস্থ ভাসানী মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির এক প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্য তিনি এ আহ্বান জানান। 

দক্ষিণের সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। মজনু বলেন, আওয়ামী লীগ লুটপাট করে অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। শিল্প-কারখানা ব্যবসা-বাণিজ্য দেউলিয়া হয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। দেশ আমাদের দায়িত্ব আমাদের। এই দেশকে গড়তে, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তানভীর আহমেদ রবিন বলেন, গণতন্ত্র সংহত করতে নির্বাচন এবং নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নাই। তাই অবিলম্বে সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করে একটি সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, পতিত স্বৈরাচার এবং তার দোষরদের আশ্ফা লন মোকাবিলায় অভ্যুত্থানের পক্ষের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের সম্মিলিত প্রতিরোধে স্বৈরাচার পালিয়েছে এবার তার দোসরদেরকেও সমূলে উৎখাত করতে হবে।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

রাজনীতি খেলাধুলাকে ধ্বংস করেছে: মেজর হাফিজ

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১২ পিএম
রাজনীতি খেলাধুলাকে ধ্বংস করেছে: মেজর হাফিজ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম)

রাজনীতিই বাংলাদেশের খেলাধুলাকে ধ্বংস করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম)। তিনি বলেন, বিগত সরকারের আমলে রাজনীতিতে যেমন দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে, তেমনি ক্রীড়াঙ্গনেও দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে। সে জন্যই ফুটবলের এই দুর্দশা। ফুটবলসহ সব খেলাধুলাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে হলে আরও বিনিয়োগ করতে হবে এবং একে রাজনীতিমুক্ত করতে হবে। 

শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর আরামবাগে সোনালী অতীত ক্লাবের মাঠে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সাবেক ফুটবলার গোলাম সারোয়ার টিপু, শেখ মোহাম্মদ আসলামসহ সাবেক কয়েকজন ফুটবলার উপস্থিত ছিলেন। 

মেজর হাফিজ বলেন, ‘অতীতে খেলার মাঠে কোনো রাজনীতি ছিল না। আগের মতো ক্রীড়া সংগঠকও দেখা যায় না। এখন যারা ক্রীড়া সংগঠক হন, তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পান্ডা বা ধান্দাবাজ। তারা নিজেদের লাভের জন্য ক্রীড়াঙ্গনে এসেছেন। বিগত সরকারের আমলে মোহামেডানসহ বিভিন্ন ক্লাব ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছিল। নতুন বাংলাদেশে ক্রীড়াঙ্গনেও স্বাধীনতা চাই।’

সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে অভিনন্দিত করে মেজর হাফিজ বলেন, ‘নারী ফুটবল দল অনেক ভালো খেলেছে। প্রথম দিকে নারী ফুটবলে অনেক বাধা এসেছিল। এসব বাধা অতিক্রম করে তারা খেলে গেছেন এবং বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এনে দিয়েছেন। তাদের অর্জনে আমরা খুবই আনন্দিত।’

 

আ.লীগ বিদায় নিলেও জুলুম শেষ হয়নি: জামায়াতের আমির

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫২ পিএম
আ.লীগ বিদায় নিলেও জুলুম শেষ হয়নি: জামায়াতের আমির
ছবি: সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘‘গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ বিদায় নিলেও সাড়ে ১৫ বছরের ‘জুলুম’ শেষ হয়ে যায়নি। এখনো তার অনেক রেশ রয়ে গেছে। আবার নতুন অনেক সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। আমাদের দেশের আকাশে সাড়ে ১৫ বছর কালো মেঘের ছায়া ছিল। মেঘ কেটে যায়নি। আমরা সবাই সচেতন নাগরিক হিসেবে এটা টের পাচ্ছি।’’ তাই এমন সময়ে জাতীয় স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের নবনির্বাচিত আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় জামায়াতের আমির আরও বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের ঐক্যবদ্ধ জাতিকে বিভক্ত করার কঠিন ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় রাজনৈতিক দলের নেতাদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। এই জাতি স্বাধীনতার ৫৩ বছরে অনেক উত্থান-পতন দেখেছে। বিভক্ত জাতি কখনো রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর নয়। আগামীর বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

শফিকুর রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতেই পিলখানায় ৫৭ জন দেশপ্রেমিক সেনাসদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ তাদের ফ্যাসিবাদের মুখোশ উন্মোচন করেছে। গণমাধ্যম সত্যিকার অর্থে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভের ভূমিকা পালন করলে কেউ জালিম হতে পারবে না। সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলতে হবে। জনগণের আমানত রক্ষায় সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। কোনো ব্যক্তি বা দলের হয়ে কাজ করা যাবে না।’

২০২৫-২৬ সালের জন্য সদস্যদের (রুকন) প্রত্যক্ষ ভোটে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নির্বাচিত হওয়া নুরুল ইসলাম বুলবুলকে শপথ পাঠ করান জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরোয়ার। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নবনির্বাচিত আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে ও দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ প্রমুখ।

অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা সহায়তা তারেক রহমানের

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১২ পিএম
অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা সহায়তা তারেক রহমানের
ছবি: সংগৃহীত

চব্বিশের অভ্যুত্থানে রাজধানী ঢাকার মিরপুর, সাভার ও উত্তরায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে আহত ৫ জনকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করেছে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’- একটি প্রতিনিধি দল।

আহতরা হলেন- মুরাদ ইসলাম, হারুন মিয়া, বছির উদ্দিন, ওহিদুল ইসলাম অন্তর এবং মো. শহীদুল্লাহ্।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানী ঢাকার নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন চলাকালে আহত মুরাদ ইসলাম, সাভারে হারুন মিয়ার বাসা, বছির উদ্দিনের মিরপুরের বাসায় গিয়ে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তাদেরকে ও পরিবারবে সহমর্মিতা বার্তা পৌঁছে দেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ময়মনসিংহ বিভাগীয় সহ-সভাপতি ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সিনিয়র সদস্য মাসুদ রানা লিটন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ মো. একরামুল হক একরাম, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, সদস্য শাকিল আহমেদ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি তাপস কবির, সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাহিয়ান হোসেন নিনাদ, ছাত্রদল নেতা শাহিনুর ইসলাম রনি প্রমুখ।

অন্যদিকে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে উত্তরায় গুলিবিদ্ধ নবম শ্রেণির ছাত্র ওহিদুল ইসলাম অন্তর ও মো. শহিদুল্লাহ্কেও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর অন্যতম সদস্য মুস্তাকিম বিল্লাহর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।

অভ্যুত্থানে আহতদের পাশে থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট পরিবারের সদস্যবৃন্দ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

অন্যায়, অযৌক্তিক অপবাদ মেনে নেব না : জি এম কাদের

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৬ পিএম
আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৪ পিএম
অন্যায়, অযৌক্তিক অপবাদ মেনে নেব না : জি এম কাদের
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। ছবি : সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সমর্থন জোগানোর পরও অন্তর্বর্তী সরকারের একটি অংশ ও কিছু রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টিকে (জাপা) আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের। 

তিনি বলেন, দলের নেতা-কর্মীরা আওয়ামী লীগের নানা হুমকি, পুলিশের গ্রেপ্তারের ভয় সত্ত্বেও রাজপথে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে সমর্থন জুগিয়েছে৷ তার পরও কিছু রাজনৈতিক দল, সরকারের কয়েকজন ব্যক্তি আমাদের আওয়ামী লীগের দোসর বলে অভিহিত করেছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এ অন্যায়, অপবাদ আমরা কোনোভাবে মেনে নেব না। আমরা এর প্রতিবাদ করব। সারা দেশে আমাদেরও লোক আছে। আমাদের হয়তো শেষ করে দেওয়া হবে। তবুও আমরা প্রতিবাদ করব। 

শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জি এম কাদের। 

গতকাল বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাতে জাতীয় পার্টির কাকরাইলের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের দোষারোপ করেছেন জাপা চেয়ারম্যান।

জি এম কাদের বলেন, ‘আমরা আগামীকাল (২ নভেম্বর) একটি সমাবেশের আয়োজন করেছিলাম, সেই আয়োজনকে ঘিরে গতকাল রাতে ছাত্র-জনতার ব্যানারে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা বেনিয়ামিন মোল্লার নেতৃত্বে একটি দল জাতীয় পার্টি অফিসে ভাঙচুর করেছে, আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা জানতে পারি, পরে নাগরিক কমিটির ব্যানারে মনির, ইসমাইল, আনোয়ারের নেতৃত্বে আরেকটি দল আমাদের পার্টি অফিসে হামলা করে।’

বিগত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করা এবং সেই সরকারের অংশীদার হওয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে চলমান রাষ্ট্র সংস্কার সংলাপে জাতীয় পার্টিকে ডাকছে না অন্তর্বর্তী সরকার। এ নিয়ে রংপুরে সমন্বয়কদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতারা।

এমন পরিস্থিতিতে ঢাকায় সমাবেশের ডাক দেয় জাতীয় পার্টি। এর প্রতিবাদে গতকাল সন্ধ্যার দিকে জাতীয় পার্টির দলীয় কার্যালয় অভিমুখে যাত্রা করে বিক্ষুব্ধরা। তারা সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে টিএসসি থেকে মশাল মিছিল নিয়ে জাতীয় পার্টির অফিসের সামনে আসেন। জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে ব্রিফিংয়ের পরিকল্পনা ছিল তাদের, যেন ২ নভেম্বর জাতীয় পার্টি মহাসমাবেশ করতে না পারে। মিছিলটি পার্টি অফিসের সামনে এলে দলটির নেতা-কর্মীদের বাধার মুখে পড়ে। এ সময় সংঘর্ষে ১০-১৫ জন আহত হন। এরপর সমন্বয়করা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জাপার কার্যালয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা জাতীয় পার্টির অফিসে আগুন লাগিয়ে দেয়, ভাঙচুর করে এবং জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের খোদাই করা ছবি ও দলের লোগো শাবল দিয়ে ভেঙে ফেলেন।

আজকের সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা দেশের একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। আমরা মহাসমাবেশ করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাছ থেকে বৈধভাবে অনুমতি নিয়ে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। একটি কুচক্রী মহল আগামীকালের যে মহাসমাবেশ নির্ধারিত ছিল, সেটাকে নস্যাৎ করতে পরিকল্পিতভাবে এই হামলা করেছে। জাতীয় পার্টি জীবন দিয়ে হলেও সেই সমাবেশ করবে।’

জি এম কাদের বলেন, ‘সংবিধানের ৩৭ এবং ৩৮ এ দুটি ধারায় রাজনৈতিক দল হিসেবে এবং এ দেশের নাগরিক হিসেবে সব ধরনের সভা-সমাবেশ করার পূর্ণ অধিকার রয়েছে জাতীয় পার্টির। সংবিধান আমাদের সেই অধিকার দিয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, অতিরিক্ত মহাসচিব (রংপুর বিভাগ) ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদের।

জয়ন্ত/সালমান/