
১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ এবং জাতীয় স্বার্থ বিরোধী কোন চুক্তি এদেশের জনগণ মেনে নেবে না। তারা মনে করেন, ভারতের সঙ্গে করা সমঝোতা-চুক্তি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়ে দেশকে আজীবনের জন্য গোলামে পরিণত করবে।
নেতারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ভারত সহযোগিতা করেছে সেটা ঠিক, কিন্তু একই সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতা জরুরি ছিল ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর এমন গোলামী চুক্তি মেনে নেওয়া যায় না। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ রাখতে আরেকটি যুদ্ধের মাধ্যমে রক্ত দিয়ে হলেও রেলপথ করিডোরের চুক্তি প্রতিহত করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সিলেট মহানগরের কোর্ট পয়েন্টে মধুবন মার্কেটের সামনে থেকে ১২ দলীয় মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমের নেতৃত্বে লিফলেট বিতরণে উপস্থিত ছিলেন, জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রাকিব, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম মেম্বার আব্বাস আলী খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেমসহ জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
জোট নেতারা অভিযোগ করে বলেন, অবৈধ ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য ৫২ বছর পর শেখ হাসিনা গত ২২ জুন ভারতের সঙ্গে সমঝোতার আড়ালে যেসব চুক্তি করেছে তা বাংলাদেশকে আজীবনের জন্য করদ রাজ্যে পরিণত করবে। ভারতীয় মাস্টারপ্ল্যান এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে সিকিম বানানোর চক্রান্ত রুখে দিতে হবে।
ভারতীয় সরকারের সীমাহীন আগ্রাসন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা, রাজনীতিতে অবৈধ হস্তক্ষেপ, শোষণ, সীমান্তে হত্যা, ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করার প্রতিবাদে জনগণকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান জানান জোট নেতারা। তারা বলেন, এই সামাজিক আন্দোলন ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।
১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা আরও বলেন, আমরা ভারতের জনগণের বিরুদ্ধে নই, আমরা ভারতের বন্ধু হতে চাই। কিন্তু যে বন্ধু আমাদের শোষণ করবে, যে বন্ধু আমাদের ফারাক্কা, তিস্তা, টিপাইয়ের ন্যায্য হিস্যা দেয় না, সে কি বন্ধু হতে পারে? তাই আমরা ভারতীয় পণ্য বর্জন করে বলতে চাই, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করো, আগ্রাসন নীতি পরিহার করো, বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ বন্ধ করো। কারণ আপনার দেশে গণতন্ত্র থাকবে, আর আমার দেশে গণতন্ত্র যাতে না থাকে সেই ব্যবস্থা করবেন, বাংলার মানুষ তা কোনোদিন গ্রহণ করবে না।
সবুজ/এমএ/