ঢাকা ১৭ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

রক্ত দিয়ে হলেও রেলপথ করিডোরের চুক্তি প্রতিহত করা হবে: ১২ দলের নেতারা

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৪, ০৭:৫৯ পিএম
রক্ত দিয়ে হলেও রেলপথ করিডোরের চুক্তি প্রতিহত করা হবে: ১২ দলের নেতারা
ছবি: সংগৃহীত

১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ এবং জাতীয় স্বার্থ বিরোধী কোন চুক্তি এদেশের জনগণ মেনে নেবে না। তারা মনে করেন, ভারতের সঙ্গে করা সমঝোতা-চুক্তি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়ে দেশকে আজীবনের জন্য গোলামে পরিণত করবে। 

নেতারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ভারত সহযোগিতা করেছে সেটা ঠিক, কিন্তু একই সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতা জরুরি ছিল ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর এমন গোলামী চুক্তি মেনে নেওয়া যায় না। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ রাখতে আরেকটি যুদ্ধের মাধ্যমে রক্ত দিয়ে হলেও রেলপথ করিডোরের চুক্তি প্রতিহত করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সিলেট মহানগরের কোর্ট পয়েন্টে মধুবন মার্কেটের সামনে থেকে ১২ দলীয় মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমের নেতৃত্বে লিফলেট বিতরণে উপস্থিত ছিলেন, জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রাকিব, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম মেম্বার  আব্বাস আলী খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেমসহ জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।

জোট নেতারা অভিযোগ করে বলেন, অবৈধ ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য ৫২ বছর পর শেখ হাসিনা গত ২২ জুন ভারতের সঙ্গে সমঝোতার আড়ালে যেসব চুক্তি করেছে তা বাংলাদেশকে আজীবনের জন্য করদ রাজ্যে পরিণত করবে। ভারতীয় মাস্টারপ্ল্যান এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে সিকিম বানানোর চক্রান্ত রুখে দিতে হবে। 

ভারতীয় সরকারের সীমাহীন আগ্রাসন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা, রাজনীতিতে অবৈধ হস্তক্ষেপ, শোষণ, সীমান্তে হত্যা, ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করার প্রতিবাদে জনগণকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান জানান জোট নেতারা। তারা বলেন, এই সামাজিক আন্দোলন ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। 

১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা আরও বলেন, আমরা ভারতের জনগণের বিরুদ্ধে নই, আমরা ভারতের বন্ধু হতে চাই। কিন্তু যে বন্ধু আমাদের শোষণ করবে, যে বন্ধু আমাদের ফারাক্কা, তিস্তা, টিপাইয়ের ন্যায্য হিস্যা দেয় না, সে কি বন্ধু হতে পারে? তাই আমরা ভারতীয় পণ্য বর্জন করে বলতে চাই, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করো, আগ্রাসন নীতি পরিহার করো, বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ বন্ধ করো। কারণ আপনার দেশে গণতন্ত্র থাকবে, আর আমার দেশে গণতন্ত্র যাতে না থাকে সেই ব্যবস্থা করবেন, বাংলার মানুষ তা কোনোদিন গ্রহণ করবে না।

সবুজ/এমএ/

সাভারে আ.লীগের ঝটিকা মিছিল, গ্রেপ্তার ৬

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫০ এএম
আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫১ এএম
সাভারে আ.লীগের ঝটিকা মিছিল, গ্রেপ্তার ৬
ছবি: খবরের কাগজ

ঢাকার সাভারে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের দুই দিন পর ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ও মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তাররা হলেন- সিরাজগঞ্জের কাজিপুর থানার চিলগাছি গ্রামের মো. ইয়াছিনের ছেলে ইব্রাহিম (১৮), এনায়েতপুর থানার এনায়েতপুর
গ্রামের সেলিম খানের ছেলে নাজমুল খান (১৮), আশুলিয়া ভাদাইল পূর্বপাড়া এলাকার মোহাম্মদ আলী হোসেনের ছেলে মো. ইব্রাহিম (১৮), আশুলিয়ার ভাদাইলের পবনারটেক এলাকার মানে হুসাইনের ছেলে আব্দুল্লাহ নয়ন (১৮), পবনারটেক উত্তপাড়া এলাকার মানিক হোসাইনের ছেলে আব্দুল্লাহ নয়ন (১৮), ময়মনসিংহের গৌরীপুর থানার পুলর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে ইসমাইল হোসেন রনি (১৮) ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানার ধর্মপুর গ্রামের সোহরাব মিয়ার ছেলে তুষার মিয়া (১৮)।

জানা গেছে, গত ২৬ এপ্রিল নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের শ্রীপুর এলাকায় ১০জন ব্যক্তি আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল বের করেন। পরদিন মিছিলের ৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা গেছে, দুই ব্যক্তি ঝটিকা মিছিলের সামনে মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিও করছেন এবং আওয়ামী লীগের ব্যানার চারজন ধরে স্লোগান দিচ্ছিলেন, তাদের পিছনে আরও চারজনকে দেখতে পাওয়া যায়। 

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনুর কবীর বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে সড়কে মিছিল করে কয়েকজন ব্যক্তি। পরে তাদের চিহ্নিত করে আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে। বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে আসামিদের ঢাকার মুখ্য বিচারিক আদালতে পাঠানো হবে। 

ইমতিয়াজ/মেহেদী/

নাটোরে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপি নেতাসহ আটক ৩

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪১ এএম
আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৭ এএম
নাটোরে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপি নেতাসহ আটক ৩
ছবি: খবরের কাগজ

নাটোরের সিংড়া উপজেলায়,নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের শেরকোল বাজার এলাকায় ট্রাকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে বিএনপি নেতাসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন- শেরকোল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, তার অনুসারী পলাশ ও মিলন।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও সিংড়া পুলিশ জানায়, তারা ওই বাজারে মোটরসাইকেলে এসে ট্রাক থামিয়ে চাঁদা আদায় করছিলেন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর টহল দল তিনটি মোটরসাইকেলসহ তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

স্থানীয়দের দাবি,দীর্ঘদিন থেকেই, শেরকোল বাজার এলাকায় চাঁদাবাজি চলছিল। 

সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসমাউল হক জানান, চাঁদা আদায়ের অভিযোগে সেনাবাহিনী তাদের আটক করে। তবে তাদের দাবি,তারা হাটের ইজারাদার হিসেবে খাজনা তুলছিলেন। বিষয়টি তদন্ত করা হবে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ সাপেক্ষে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

কামাল/মেহেদী/

মানবিক করিডর দেশের সার্বভৌমত্বকে সংকটে ফেলবে: আশঙ্কা রাজনীতিবিদদের

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৯ এএম
আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০১ এএম
মানবিক করিডর দেশের সার্বভৌমত্বকে সংকটে ফেলবে: আশঙ্কা রাজনীতিবিদদের
সিপিবি-গণসংহতি আন্দোলন

গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে জাতিসংঘের অনুরোধে ‘মানবিক করিডর’ দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।

তারা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে সংকটে ফেলবে। 

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) গণমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে তারা মানবিক করিডর নিয়ে নিজেদের উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

যৌথ বিবৃতিতে সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম এবং সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বলেন, ‘এ ধরনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দেশের বিদ্যমান সংবিধান লঙ্ঘন করে এই ভয়ংকর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে সংকটে ফেলবে।’

মায়ানমারের মানবিক করিডরের বিষয়টি ‘সাম্রাজ্যবাদের ভূ-রাজনৈতিক চক্রান্ত’ উল্লেখ করে তারা বলেন, ‘এই করিডর দেওয়া হলে বাংলাদেশের সীমান্ত অরক্ষিত হয়ে পড়বে। এমনিতেই মায়ানমারের নাসাকা বাহিনীর সঙ্গে বাংলাদেশের বিজিবির নিয়মিত সংঘর্ষ চলছে। এই করিডর দেওয়া হলে মায়ানমার জান্তা বাংলাদেশের নিরাপত্তাকেও নানা অজুহাতে বিপন্ন করে তুলবে।’

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা না করে সরকার ‘একতরফা’ মানবিক করিডরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ।

তিনি বলেন, ‘কোন শর্তে করিডর? রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে কী মনোভাব? আরাকান আর্মির সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো যোগাযোগ হয়েছে কি? মায়ানমার সরকার বিষয়টি কীভাবে দেখবে? তাদের সঙ্গে সরকারি পর্যায়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা আমরা জানি না। চীন এটাকে কিভাবে নেবে- এসব বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করা উচিত।’

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে জামিয়া ইসলামিয়া মাখজানুল উলুম মাদ্রাসায় সংবাদ সম্মেলনে আসেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক। 

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে ব্যবহার করে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে, দেশপ্রেমিক শক্তি হিসেবে হেফাজতে ইসলাম কোনোভাবেই এটি সমর্থন করে না। আমরা এর প্রতিবাদ জানাব।’

‘রোহিঙ্গা সমস্যা, মায়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি ও মানবিক সহায়তা করিডর’ বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এবং নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি জটিল আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে। এই সংকটের সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে। রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এ বিষয়ে বিশদ আলোচনা ও ঐকমত্য প্রয়োজন। কারণ, এর সঙ্গে সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তার গুরুতর বিষয় জড়িত।’

জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সভাপতি বদরুদ্দীন উমর ও সম্পাদক ফয়জুল হাকিম এক বিবৃতিতে বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়াকে ঘিরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ভারত সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রগুলোর ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের সংঘাতে বাংলাদেশ জড়িয়ে পড়ার যেকোনো সম্ভাবনা এড়িয়ে যেতে হলে মানবিক করিডর প্রদানের বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের কর্তব্য। এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত গ্রহণ করতে হবে।’

সাঈদ আল নোমান পাট শ্রমিক দলের সভাপতি নির্বাচিত

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০২ এএম
সাঈদ আল নোমান পাট শ্রমিক দলের সভাপতি নির্বাচিত
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পাট শ্রমিক দল কেন্দ্রীয় কমিটির এক জরুরি সভা মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল তিনটায় নয়াপল্টনের ভাষানী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫টি পাটকলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, শ্রমিক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি, সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয়তাবাদী পাট শ্রমিক দলের সভাপতি জনাব আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে সভাপতির শূন্য পদে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবক সাঈদ আল নোমানকে সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণে উপস্থিত সবাইকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানালে তিনি তা গ্রহণে সম্মতি প্রকাশ করেন। পরে সর্বসম্মতিক্রমে সাঈদ আল নোমানকে পাট শ্রমিক দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। 

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে সাঈদ আল নোমান বলেন, ‘তারেক রহমানের ৩১ দফার বাস্তবায়নে তার নেতৃত্বকে আগামী দিনে আরও দৃঢ় ও শক্তিশালী করার প্রচেষ্টায় আমরা দল, শ্রমিক ও দেশকে একসূত্রে গেঁথে এগিয়ে যাব এবং প্রতিটি পদক্ষেপে ন্যায়, সমতা ও উন্নতির আলোকবর্তিকা জ্বালিয়ে রাখব।’

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের খাজা (প্রধান বক্তা), জাতীয়তাবাদী ট্যানারি শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আওরঙ্গজেব চৌধুরী সাজু (বিশেষ অতিথি), সহ-সভাপতি ফারাজি মতিয়ার রহমান, শ. ম. জামাল উদ্দিন, আবুল কালাম জিয়া ও যুগ্ম সম্পাদক এস. এম. জাকির হোসেনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

সুমন/

চাঁদপুরে ব্রিটিশ নাগরিককে কলেজ সভাপতি করায় সভা বয়কট

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪২ পিএম
আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০৯ এএম
চাঁদপুরে ব্রিটিশ নাগরিককে কলেজ সভাপতি করায় সভা বয়কট
বৃটিশ নাগরিক নবাগত সভাপতি ও বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকন। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার মেহের ডিগ্রি কলেজের নবাগত সভাপতির নেতৃত্বে প্রথম সভা বয়কট করেছে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কলেজ মিলনায়তনে বৃটিশ নাগরিক নবাগত সভাপতি ও বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকন অপেক্ষা করেন। কিন্তু কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষক প্রতিনিধি ছাড়া পরিচালনা পর্ষদের অন্যান্যরা উপস্থিত হয়নি।

বিষয়টি জানতে চাইলে মেহের ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান মোবাইল ফোনে বলেন, নবাগত কমিটির প্রথম সভা ছিল। কিন্তু সভাটি আর হয়নি। পরিচালনা পর্ষদের ১৩ জনের মধ্যে ৮ জনই অনুপস্থিত ছিলেন। শুধুমাত্র সভাপতিসহ শিক্ষক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, প্রথম সভার আগে সম্প্রতি ব্রিটিশ নাগরিককে আনোয়ার হোসেন খোকনকে মনোনীত করায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর কাছে তার মনোনয়ন প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন কলেজটির গভর্নিং বডির ৮ সদস্য।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর কাছে কলেজের গভর্নিং বডির সদস্যের দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে আনোয়ার হোসেন খোকনকে মনোনীত করেছেন, যা অধ্যক্ষের মাধ্যমে জানাতে পারি। আমাদের জানা মতে, তিনি একজন ব্রিটিশ নাগরিক এবং বর্তমানেও তিনি দেশ ও লন্ডন মিলিয়ে অবস্থান করছেন। গত ২০ বছরে তিনি বাংলাদেশে মাত্র হাতেগোনা কয়েকবার এসেছেন। তাও আবার বৃটিশ পাসপোর্টে। এরকম একজন ব্যক্তিকে সভাপতি মনোনীত করায় আমরা চরমভাবে হতাশ এবং কলেজ পরিচালনা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছি। প্রাচীনতম এই বিদ্যাপিঠটির সুনাম ও কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনার স্বার্থে মেহের ডিগ্রি কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতির মনোনয়ন প্রত্যাহার করে, কলেজ কর্তৃক দাখিলকৃত প্রস্তাবনা অনুসারে সভাপতি মনোনয়ন প্রদান করার আহ্বান জানানো হয় চিঠিতে।’

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২৪ মার্চ মেহের ডিগ্রি কলেজ গভর্নিং বডির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। ওই হিসেবে গভর্নিং বডির সদস্যরা গত বছরের ৫ নভেম্বর গভর্নিং বডির সবাই এক সভায় মিলিত হন। ওই সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক গঠিত নির্বাচন কমিশনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নতুন গভর্নিং বডি গঠনকল্পে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রতিনিধি নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী সম্পন্ন করত। গভর্নিং বডির সভাপতি ও বিদ্যোৎসাহী সদস্য মনোনয়ন প্রদানের নিমিত্তে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে চলতি বছরের ১৫ মার্চ সাবেক সভাপতি মাঈনুদ্দীন আহমেদ ও কলেজ অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান প্রতিস্বাক্ষর করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট কলেজ পরিদর্শক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর প্রেরণ করেন। ওই সময় প্রেরিত কাগজে সভাপতি পদে ৩ জনের নাম প্রস্তাবনা করা হয়। তারা হলেন- যথাক্রমে মো. আবু ইউসুফ, মোহাম্মদ কামরুল আহসান মজুমদার এবং মো. আবদুল সাত্তার।

চিঠিতে আবেদনকারী সদস্যরা হলেন, মো. আয়েত আলী ভূঁইয়া, যদু চন্দ্র শীল, মো. আবু ইউসুফ, গাজী মো. কবির হোসেন, মো. আবুল কাশেম, মো. ইকবাল হোসেন, সুফিয়া আক্তার ও মো. জাকির হোসেন।

জানতে চাইলে কলেজ পরিচালনা পরিষদের দাতা সদস্য মো. আয়াত আলী ভূঁইয়া বলেন, কলেজের স্বার্থে স্থানীয় নাগরিককে সভাপতি হিসেবে দেখতে চাই। যাকে দেওয়া হয়েছে, তিনি বৃটেন থাকেন। কলেজ কমিটির জন্য আমরা সব প্রস্তুতি নিয়ে তিন জনের নাম পাঠিয়েছি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু হঠাৎ করে গোপন কারসাজিতে ওই তিনজনের বাহিরে আনোয়ার হোসেন খোকনের নাম যুক্ত হয়। তা আমরা মেনে নিতে পারি না।

জানতে চাইলে আনোয়ার হোসেন খোকনের হোয়াটস্যাপ নম্বরে কল ও ম্যাসেজ করেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/