ঢাকা ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫
English
শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সরকারের পতন ঘটাতে প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম: সোলায়মান চৌধুরী

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৪, ০৩:৫৬ পিএম
আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৪, ০৪:২৩ পিএম
সরকারের পতন ঘটাতে প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম: সোলায়মান চৌধুরী
ছবি : খবরের কাগজ

আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন-সংগ্রাম প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী। 

শুক্রবার (১২ জুলাই) বেলা ১১টায় কুষ্টিয়ায় এবি পার্টির জেলা কার্যালয়ে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

এবি পার্টির আসন্ন কাউন্সিল উপলক্ষে প্রস্তুতি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা শুক্রবার সকালে কুষ্টিয়ার কার্যালয়ে পৌঁছালে তাদের স্বাগত জানান জেলার স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।

সোলায়মান চৌধুরী বলেন, ‘দুর্নীতি, দুঃশাসন ও দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতির কারণে দেশের জনগণের দুঃখ-দুর্দশা চরমে পৌঁছেছে। জনগণের সমর্থনহীন এই সরকারের পতন না ঘটালে জাতির মুক্তির কোনো পথ নেই। ডামি সরকারের হাত থেকে দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে প্রয়োজন দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণিপেশার মানুষের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘জনগণের কল্যাণে নিবেদিত কাজই হলো রাজনীতির মূল উপজীব্য বিষয়। অতএব তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের জনকল্যাণে আত্মনিয়োগ করে সমাজের গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে হবে।’

এবি পার্টির সংগঠকদের দেশ বিনির্মাণের সব চ্যালেঞ্জ সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করে জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। 

এবি পার্টির কুষ্টিয়া জেলা আহ্বায়ক ও খোকসা উপজেলার সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান ডা. আবু বকর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমদ ভূঁইয়া ও কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/সাদিয়া নাহার/

শফিকুল ইসলাম/সাদিয়া নাহার/

দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন তারেক রহমান

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ০৮:৩৩ পিএম
দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।  

বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে শুভেচ্ছা জানান তিনি।

ফেসবুক পোস্টে তারেক রহমান লিখেছেন, ‘পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলমানদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ। তাদের অব্যাহত সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্য কামনা করি। ঈদ মোবারক।’

তিনি লেখেন, “ঈদুল আজহা অর্থ ত্যাগের উৎসব। এই উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো, ত্যাগ করা। পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআনে বলা হয়েছে, মাংস বা রক্ত কোনোটাই আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না, ‘পৌঁছায় তোমার মনের পবিত্র ইচ্ছা’। বিশ্বাসী মানুষের পবিত্র ইচ্ছা হচ্ছে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা। মানুষ আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য পশু কোরবানি দেয়। আত্মশুদ্ধি, আত্মতৃপ্তি আর আত্মত্যাগের সুমহান বার্তা নিয়ে প্রতিবছরই ঘুরে আসে পবিত্র ঈদুল আজহা। দ্রব্যমূল্য, সামাজিক অনাচার ও নানামুখী সংকটের অভিঘাত সত্ত্বেও দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর মন ঈদের অমলিন আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে পরিপূর্ণ। দেশের জনগণ দেড় দশক ধরে ফ্যাসিবাদের এক কঠিন সময় পার করেছে। গত বছর ৫ আগস্টে ফ্যাসিবাদী চক্রের পতনের পর দেশে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশে এবার মানুষ ঈদুল আজহা উদযাপন করবে। ফ্যাসিবাদী আমলে তাঁবেদার অপশক্তির অবৈধ ক্ষমতা লোভের কারণে রাষ্ট্র ও সমাজে নীতি, নৈতিকতা, ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের চূড়ান্ত অবক্ষয় ঘটে। এখন সকলে মিলে বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শান্তি, সম্প্রীতি, উন্নত নৈতিকতা ও পাহাড়সম বৈষম্য দূরীভূত করতে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে হবে সর্বত্র। যেন বেপরোয়া লুটপাট, দুর্নীতি ও টাকা পাচারের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি না হয়।”

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত এ চেয়ারম্যান লেখেন, ‘ত্যাগের উৎসব হলো ঈদুল আজহা। ঈদুল আজহার উৎসবের একটি অঙ্গ হচ্ছে কোরবানী। পশু কোরবানী হলো চিত্তশুদ্ধি ও পবিত্রতার একটি মাধ্যম। ধৈর্য ও বিশ্বাসের পরীক্ষার ঐতিহ্যের ধারা বেয়েই কোরবানি মুসলমানদের জন্য অপরিহার্য করা হয়েছে। ঈদুল আজহার ত্যাগের চেতনা সমাজে ঐক্য, সংহতি ও সম্প্রীতির মেলবন্ধন সৃষ্টি করে। কোরবানির যে মূল শিক্ষা তা আমরা যদি নিজ জীবনে প্রতিফলিত করে মানব কল্যাণে ব্রতী হই তাহলে নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভ করতে পারবো। বিশ্বাসীদের সে চেষ্টায় আত্মনিবেদিত থাকতে হবে।

কোরবানী ঈদ বিশ্ববাসী মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের দ্বিতীয়টি। উৎসব হলো সর্বজনীন, এর প্রাঙ্গণে সমবেত হয় সব মানুষ। উৎসব মানুষকে পরস্পরের সাথে শুভেচ্ছাবোধে উদ্বুদ্ধ করে।

বিদ্যমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সকলের পক্ষে ঈদের আনন্দ যথাযথভাবে উপভোগ করা কঠিন হবে। মূল্যস্ফীতির তীব্রতা, খাদ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, গৃহস্থালীতে পানি, গ্যাস ও বিদ্যূতের তীব্র সংকটে জনজীবন সীমাহীন দুর্দশায় নিপতিত। স্বল্প আয়ের মানুষরা শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় দিনযাপন করছে। ঈদের আনন্দের দিনে কেউ যাতে অভুক্ত না থাকে-সেদিকে আমাদের সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। ঈদের আনন্দের উৎসব ভাগ করে নিতে হবে এক কাতারে সবাইকে ।

ঈদুল আযহা সবার জীবনে বয়ে আনুক সুখ-শান্তি, সমৃদ্ধি, সমাজে সৃষ্টি হোক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যরে মেলবন্ধন, মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে এই প্রার্থনা জানাই। আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।’

পপি/

খালেদা জিয়ার হাতে বাড়ির কাগজ তুলে দিলেন গণপূর্ত উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ০৮:১০ এএম
আপডেট: ০৫ জুন ২০২৫, ০৮:১১ এএম
খালেদা জিয়ার হাতে বাড়ির কাগজ তুলে দিলেন গণপূর্ত উপদেষ্টা
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের বাড়ির নামজারির কাগজ পৌঁছে দিয়েছে সরকার। 

বুধবার (৪ জুন) রাত ৯টার দিকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান খালেদা জিয়ার হাতে নামজারির কাগজ তুলে দেন। 

এ সময় গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার বলেন, উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এসেছিলেন। আধা ঘণ্টার মতো তারা ছিলেন। এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল।

বাড়ির নামজারির কাগজ হস্তান্তরের বিষয়ে তিনি বলেন, উপদেষ্টা কিছু কাগজ নিয়ে এসেছিলেন। সেগুলো দিয়েছেন। তবে এটা কীসের কাগজ, তা তিনি জানেন না।

সূত্র জানায়, গুলশানের বাড়িটি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিয়ন্ত্রণেই আছে। তবে তার নামে নামজারি করা ছিল না। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর খালেদা জিয়ার নামে বাড়িটি নামজারি করা হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে নামজারির কাগজটি খালেদা জিয়ার হাতে তুলে দিতে চেয়েছে সরকার। কিন্তু খালেদা জিয়ার শারিরীক অবস্থার কারণে এই আনুষ্ঠানিকতা দেরি হয়।

১৯৮১ সালের ৩১ মে রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী খালেদা জিয়াকে রাজধানীর গুলশান এলাকায় দেড় বিঘা জমির ওপর অবস্থিত ওই বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হয়। বাড়িটি খালেদা জিয়া গুলশানে ‘ফিরোজা’ নামের যে বাড়িতে থাকেন, সেটির কাছেই। এর বাইরে ঢাকা সেনানিবাসের ভেতরও আরেকটি বাড়ি খালেদা জিয়াকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। তবে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার সেনানিবাসের বাড়িটির বরাদ্দ বাতিল করে।

শফিকুল ইসলাম/অমিয়/

এনসিপির আর্থিক নীতিমালা চূড়ান্ত, ‘ক্রাউড ফান্ডিং’ শুরু

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৯:৫১ পিএম
এনসিপির আর্থিক নীতিমালা চূড়ান্ত, ‘ক্রাউড ফান্ডিং’ শুরু
বাংলামোটরে দলের কার্যালয়ে ‘এনসিপির আর্থিক নীতিমালা ঘোষণা ও ক্রাউড ফান্ডিং কার্যক্রম’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত দলের নেতারা। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আর্থিক ও তহবিল পরিচালনার নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে। একই সঙ্গে দলের তহবিল সংগ্রহে অনলাইন গণচাঁদার (ক্রাউড ফান্ডিং) কার্যক্রম শুরু করেছে। বুধবার (৪ জুন) রাজধানীর বাংলামোটরে ‘এনসিপির আর্থিক নীতিমালা ঘোষণা ও ক্রাউড ফান্ডিং কার্যক্রম’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘জুলাই বিপ্লবের পর থেকে দেশের আপামর জনতা এনসিপিকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করতে চেয়েছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই অনুদান গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা অনলাইন ও অফলাইনে একটা ক্রাউড ফান্ডিংয়ের দিকে যাচ্ছি যে ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে আমরা দলের কার্যালয় স্থাপনসহ নির্বাচনি তহবিল সংগ্রহ করব।’

চলতি মাসে নিবন্ধনের জন্য কমিশনে যাবেন উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ‘স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক আর্থিক পলিসি করতে চায় এনসিপি। এর মধ্য দিয়ে সংগঠনের আয়, ব্যয়, বরাদ্দ, আয়ের উৎস, ব্যয়ের খাত প্রতিটি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পলিসি গ্রহণ করা হয়েছে। এ মাসে নির্বাচন কমিশনে আমরা নিবন্ধনের জন্য যাব। তখন আমরা দলের সব হিসাব জমা দেব। কারণ আমাদের মূল উদ্দেশ্য জনগণের সমর্থন নিয়ে এগিয়ে যাওয়া।’ এনসিপির নামে চাঁদাবাজির চেষ্টা হলে প্রতিহত করার আহ্বান জানান তিনি।

দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন জানান, donate.ncpbd.org এই ওয়েবসাইটটির মধ্য দিয়ে ব্যাংকিং এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মধ্য দিয়ে নাগরিক পার্টির সদস্য এবং সমর্থকরা আর্থিক অনুদান দিতে পারবেন।

নিরপেক্ষ নির্বাচন যাতে না হয়, সেজন্য ষড়যন্ত্র চলছে: জামায়াতের আমির

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৮:৫৪ পিএম
নিরপেক্ষ নির্বাচন যাতে না হয়, সেজন্য ষড়যন্ত্র চলছে: জামায়াতের আমির
জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

দেশে যাতে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হতে পারে, সে জন্য নানাভাবে বিতর্ক এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে পতিত ফ্যাসিবাদীরা। এ মন্তব্য করেছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান।

বুধবার (৪ জুন) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে এই বিবৃতি দেয় জামায়াতে ইসলামী।  

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদীরা পালিয়ে গেলেও দেশ এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি। তারা বিদেশে বসে ও দেশের ভেতর ঘাপটি মেরে থেকে নানাভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে যাচ্ছে। এ অবস্থার অবসান ঘটিয়ে সরকারকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। 
 
দেশবিরোধী সব অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবিক বাংলাদেশ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত দেশবাসীকে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।

জামায়াত নেতারা কে কোথায় ঈদ করবেন
জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান মৌলভীবাজারে, নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে, নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে, মাওলানা শামসুল ইসলাম চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায়, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরীতে, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এ টি এম আজহারুল ইসলাম ঢাকায়, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মা’ছুম কুমিল্লার লাকসাম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়, হামিদুর রহমান আযাদ ঢাকার বসুন্ধরায়, মাওলানা আবদুল হালিম কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে, অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বরিশালে, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের সিলেটে, মাওলানা মো. শাহজাহান চট্টগ্রাম মহানগরে, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন ঢাকায়, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য আবদুর রব ঢাকায়, অধ্যক্ষ মো. শাহাবুদ্দিন বগুড়ায়, অধ্যক্ষ মো. ইজ্জত উল্লাহ সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরীতে, মোবারক হোসাইন ঢাকার মোহাম্মদপুর, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মো. সেলিম উদ্দিন সিলেট জেলায় নিজ গ্রামে ঈদের নামাজ আদায় করবেন।

বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আ. লীগের জন্য: রাশেদ প্রধান

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৭:৫৬ পিএম
বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আ. লীগের জন্য: রাশেদ প্রধান
ছবি: খবরের কাগজ

বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আওয়ামী লীগের জন্য দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান।

বুধবার (৪ জুন) বেলা ৩ টার দিকে রাজধানীর পল্টনে শফিউল আলম প্রধান মিলনায়তনে যুব জাগপা’র সাংঠনিক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগকে আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। এ সুযোগ কাদের জন্য? দেশকে লুটপাট করে খাওয়া আওয়ামী লীগ ব্যতীত কার কাছে কালো টাকা আছে?’

রাশেদ প্রধান বলেন, ‘বৈষম্য দূরীকরণের আন্দোলন থেকেই গণঅভ্যুত্থান রচিত হয়। আমরা আশা করেছিলাম গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সরকার কর্মসংস্থান নিয়ে বিশদ পরিকল্পনা প্রকাশ করবে। কিন্তু সেই হাজারও চাকরি প্রত্যাশী ও ২৭ লাখ শিক্ষিত বেকার যুব সমাজের জন্য আলাদা কোনো ঘোষণা নাই।’ 

তিনি বলেন, ‘মানুষের আয় ও ব্যয়ের তারতম্য কমানো, বেকারত্ব-দারিদ্র্য দূরীকরণ নিয়ে বাজেটে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। এবারের বাজেটে বেশকিছু ভালো উদ্যোগ বা প্রত্যাশার কথা বলা হলেও যে কাঠামোতে বাজেট দেওয়া হয়েছে, সেটি গতানুগতিক এবং পুরাতন। এই সরকারের সামনে ভিন্নধর্মী একটা বাজেট উপস্থাপনের সুযোগ ছিল, যা তারা কাজে লাগায় নাই। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়ানোর বিপরীতে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি ও সামাজিক বৈষম্য দূর করা এবারের বাজেটের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। বরাবরের মতো এবারও ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি বাজেট। যা ব্যাংক ঋণ ও বৈদেশিক অনুদান থেকে পূরণ করা হবে। অর্থাৎ এবারের বাজেটেও বিদেশ নির্ভরতা কমানো হয়নি।’ 

রাশেদ প্রধান বলেন, ‘নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে ১০০ কোটি টাকার তহবিল এবং কিছু নিত্যপণ্যের দাম কমানো ইতিবাচক। জুলাই বিপ্লবে শহিদ ও আহতদের জন্য ৪০৫ কোটি টাকা বরাদ্দকে স্বাগত জানাই। তবে তা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। বিগত ১০ মাসে যোদ্ধাদের সুচিকিৎসা আমরা দেখি নাই।’ 

যুব জাগপা সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. সিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর জাগপা আহ্বায়ক শ্যামল চন্দ্র সরকার, শ্রমিক জাগপা সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন, যুব জাগপা সাংগঠনিক সম্পাদক ওলিউল আনোয়ার, যুব নেতা আশিক মোল্লা, আসাদুজ্জামান নূর ও জনি নন্দী প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/সুমন/