
ধানমন্ডির ৩ নম্বর রোডের কার্যালয়ে ‘প্রটোকল বাহিনী’র দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এ বাহিনীর কারণে দলের দুর্দিনের সাবেক ছাত্রনেতাদের আসা কমে গেছে এই কার্যালয়ে। তাদের হাতে সারা দেশ থেকে আসা জেলা আওয়ামী লীগের নেতারাও হেনস্তার শিকার হয়েছেন। অভিযোগ আছে, দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে তোলা ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়ে চাঁদাবাজি, পদ-বাণিজ্যসহ নানা অপকর্ম করছেন এদের অনেকে।
কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন সুবিধাবাদী ও হাইব্রিডরা আওয়ামী লীগে ভিড়তে থাকেন। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই কার্যালয়ে হাইব্রিড ও অনুপ্রবেশকারীদের আনাগোনা বেড়ে যায়। তাদের ১০-১২ জন মিলে তৈরি হয় একটি চক্র। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ও মন্ত্রী-এমপিরা গাড়ি থেকে নেমে দলীয় সভাপতির কার্যালয়ের ভেতর যাওয়ার সময় এই চক্রের সদস্যরা চারপাশ ঘিরে নেতাদের কার্যালয়ের ভেতর নিয়ে যান। শুধু কার্যালয়ে নয়, দলের বিভিন্ন সভা-সমাবেশে যাওয়ার জন্য গাড়ি থেকে নামলে মঞ্চ পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যান এই চক্রের সদস্যরা। এ কাজের জন্য কার্যালয়ের কর্মচারী ও সাবেক ছাত্রলীগের নেতারা এই চক্রের সদস্যদের নাম দিয়েছেন ‘প্রটোকল বাহিনী’। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এদের কেউই ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না বলে।
আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পাঁচজন নেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, একসময় আওয়ামী লীগের উচ্চপর্যায়ের নেতা ও মন্ত্রীদের চারপাশে ছাত্রলীগের তুখোড় নেতারা থাকতেন। কিন্তু ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর এই প্রটোকল বাহিনীর তৎপরতা বেড়ে যায়। যাদের হাত থেকে রেহাই পাননি আওয়ামী লীগের দুর্দিনের ত্যাগী ও সাবেক ছাত্রনেতারা। এই কারণে অভিমানে ছাত্রলীগের সাবেক অনেক নেতাই এই কার্যালয়ে যাতায়াত তুলনামূলক কমিয়ে দিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের সাবেক এক সাধারণ সম্পাদক খবরের কাগজকে বলেন, ‘এসব বাহিনী নিয়ে কিছু বলতে চাই না। দলীয় নেতাদের কাছে নতুনরা আপন হয়েছেন আর পুরাতন ছাত্রনেতারা হয়ে গেছেন পর।’
কার্যালয়ের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের দিকে এই কার্যালয়ে প্রটোকল বাহিনীর প্রধান মাহমুদুল আসাদ রাসেলকে মাঝেমধ্যে দেখা যেত। বিএনপির ছাত্রসংগঠন ছাত্রদলের সঙ্গে যুক্ত থাকায় সে সময় সাবেক ছাত্রলীগের নেতারা তাকে বহিরাগত বলেও ডাকতেন। ২০১৮ সালের দিকে রাসেলের সঙ্গে প্রটোকল বাহিনীতে যোগ দেন নাহিদ কামাল পলাশ, ওয়ালিউর রহমান বুলেট, নাজমুল মুন্সিসহ আরও কয়েকজন। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে এই বাহিনীতে যোগ দেন পরশ খান শাকিব। কার্যালয়ে শাকিব নতুন করে একক বলয় তৈরি করতে চাইলে বাহিনীর অন্য সদস্যদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, এই বাহিনীর সদস্যরা মূলত নেতাদের প্রটোকল দেওয়ার ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। নেতাদের সঙ্গে প্রতিদিনের তোলা ছবি প্রটোকল বাহিনীর মূল পুঁজি। অভিযোগ আছে, নেতাদের সঙ্গে ছবি দেখিয়ে তৃণমূল থেকে আসা দলীয় নেতা-কর্মীদের পদ ও মনোনয়ন দেওয়ার কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নেয় ওই বাহিনী। সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা বলে তারা বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ আছে। সচিবালয়ে একাধিক মন্ত্রীর দপ্তরে এই বাহিনীর সদস্যদের নিয়মিত যাতায়াত করতেও দেখা যায়। তবে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার পরও চাকরি দিতে না পারায় আওয়ামী লীগের দপ্তরে এসব সদস্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগও দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগের একাধিক কপি খবরের কাগজের হাতে এসেছে।
বিতর্কিত রাসেলকে শুধু শোকজ নয়, বহিষ্কারের দাবি
নিজেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের প্রটোকল অফিসার পরিচয় দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেন মাহমুদুল আসাদ রাসেল। এক সাংবাদিককে মারধর করে আবার আলোচনায় আসেন প্রটোকল বাহিনীর শীর্ষে থাকা মাহমুদুল আসাদ রাসেল। গত সোমবার দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দৈনিক যুগান্তরের নিজস্ব প্রতিবেদক রফিকুল ইসলামের ওপর অতর্কিত হামলা করেন রাসেল ও তার সঙ্গে থাকা প্রটোকল বাহিনীর সদস্যরা। তারা তাকে উপর্যুপরি কিল-ঘুষি দিতে থাকেন। পরে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এগিয়ে আসার পর রাসেল তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে সরে পড়েন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাহমুদুল আসাদ রাসেল সবার কাছে মাস্তান রাসেল ওরফে কিসলু ওরফে সেলফিবাজ রাসেল ওরফে তদবিরবাজ রাসেল নামে পরিচিত। রাজবাড়ী জেলার নেতা হলেও বসবাস করেন ঢাকায়। আওয়ামী লীগের শীর্ষ এক নেতার বদান্যতায় পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের মতো পদ। এখন সার্বক্ষণিক অবস্থান করছেন ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ অফিসে। দলের এক সিনিয়র নেতাকে (শীর্ষ) দেন বিশেষ ‘প্রটোকল’। রাসেলের নিজের ফেসবুকের টাইমলাইনে নেতাদের প্রটোকল দেওয়ার ছবিও নিয়মিত শেয়ার করেন। পরে বিভিন্ন সময় নেতাদের কাছ থেকে নেন বিশেষ সুবিধা। রাসেলের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা ও প্লট দখলের অভিযোগ। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বরাবর একাধিক অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
চলতি বছরের মে মাসে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বরাবর রাসেলের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া নিয়োগ দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ করেছেন ওয়া ওয়েনসে মারমা নামের এক নারী। অভিযুক্ত রাসেল ওবায়দুল কাদেরের ব্যক্তিগত প্রটোকল অফিসার বলে নিজেকে পরিচয় দিয়ে টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন ওই নারী। এই পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেন রাসেল। এই পরিচয়ে দলের উপকমিটিতে পদ দেওয়ার কথা বলে তিন নেতার কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তারা। এ ক্ষেত্রে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে তোলা ছবিগুলো রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করেন রাসেল।
রাজবাড়ী জেলার এক কৃষকের ছেলে রাসেলের ঢাকার আজিমপুর ইরাকি মাঠের পাশে দুটি ফ্ল্যাট ও কামরাঙ্গীরচরে জমির খোঁজ পাওয়া গেছে। ফ্ল্যাট দুটির মধ্যে একটি তিনি কিনেছেন, অন্যটি দখল করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কোনো আয় না থাকলেও চলেন ব্যক্তিগত গাড়িতে। রাজবাড়ী জেলায় নিজেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ব্যক্তিগত অফিসার বলেও পরিচয় দেন রাসেল। রাজবাড়ী আওয়ামী লীগের তিনজন নেতা তাকে শুধু শোকজ নয়, দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান।
প্রটোকল অফিসার পরিচয় দিয়ে মহিলা আওয়ামী লীগের পদ দেওয়ার কথা বলে রিমা নামের এক নারীর কাছে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন রাসেল। কিছু টাকা রাসেলকে দেন রিমা। কিন্তু সময়মতো পুরো টাকা রাসেলকে দিতে না পারায় দলীয় পদ পাননি রিমা। জানতে চাইলে রিমা খবরের কাগজকে বলেন, ‘রাসেলকে কিছু টাকা দিয়েছিলাম পদের জন্য। কিন্তু পুরো টাকা দিতে না পারায় দলীয় পদ পাইনি, তবে টাকা ফেরত নিয়েছি। চা খাওয়ার জন্য কিছু টাকা রাসেল আমার কাছ থেকে চেয়ে নিয়েছেন।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা বলেন, ‘সে (রাসেল) নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে দাবি করত। তবে সে কখনোই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল না। ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে মুহসিন হলে থাকত। সে সময় তাকে ‘কিসলু রাসেল’ বলে ডাকা হতো। ২০১০ সালে মোটরসাইকেল ছিনতাই চক্রের মূল হোতা হিসেবে রাসেলকে মেরে ছাত্ররা পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেয়। সে সময় শাহবাগ থানা-পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে এ বিষয়ে অবগত করলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানায়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় যখন রাসেলকে বহিষ্কারের জন্য তদন্তে নামে, তখন দেখা যায় রাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রই না। একইভাবে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কারের জন্য তদন্ত করে দেখা যায় সে ছাত্রলীগের কোনো পদে ছিল না।’
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মাহমুদুল আসাদ রাসেল নিজেকে ‘সেফ’ করার অনুরোধ জানিয়ে খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমি না হয় একটা ভুল (সাংবাদিককে মারধর) করেছি। তাই বলে সবাই এভাবে আমাকে ধরবেন?’ তদবির-বাণিজ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এসব আমি কিছুই করিনি।’
রাসেলের মতো তার সঙ্গীরাও ছাত্রলীগের পরিচয় ব্যবহার করলেও তাদের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে নাহিদ খান পলাশ আওয়ামী লীগের ধানমন্ডির কার্যালয়ে আনাগোনা শুরু করেন। তিনি এই প্রটোকল বাহিনীর সদস্য। দৃশ্যমান কোনো ব্যবসা না থাকলেও ঢাকা শহরে ফ্ল্যাট নিয়ে বসবাস করেন তিনি। রাসেলের অন্যতম সহযোগী এই পলাশ। দলের শীর্ষ পর্যায়ে এক নেতাকে প্রটোকল দিয়ে ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের সদস্য হয়েছেন পলাশ।
নেতাদের সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে শেয়ার করেন প্রটোকল বাহিনীর সদস্য নাজমুল মুন্সি ও ওয়ালিউর রহমান বুলেট। তাদের নামেও অভিযোগের কমতি নেই। অর্থের বিনিময়ে উপকমিটি পদ ও তদবির-বাণিজ্য করে থাকেন তারা। চাকরি দেওয়ার কথা বলে রাসেলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন নাজমুল ও বুলেট। সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনের এই প্রটোকল বাহিনীতে যোগ দেন পরশ খান শাকিব। অষ্টম শ্রেণি পাস পরশ বছরখানেক আগে মেট্রোরেল প্রজেক্টে চতুর্থ শ্রেণির চাকরি করেছেন। চাকরি চলে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে নিয়মিত যাতায়াত শুরু করেন শাকিব। নোয়াখালীর শাকিব এক বছরের মধ্যে নিজের চালচলন পরিবর্তন করে নিজেকে আওয়ামী লীগের শীর্ষ এক নেতার ঘনিষ্ঠ লোক বলেও পরিচয় দিতে শুরু করেন। আওয়ামী লীগের ওই নেতার চেম্বারের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকেন শাকিব। কাউকে পছন্দ না হলে ওই নেতার চেম্বারে ঢুকতে দেন না তিনি। তার বিরুদ্ধেও তদবির-বাণিজ্য, টাকার বিনিময়ে চেম্বারে ঢুকতে দেওয়া, পদ-বাণিজ্য ও দলীয় নেতাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে।
ওই কার্যালয়ে দীর্ঘদিন চাকরি করেন এমন একজন এই প্রটোকল বাহিনীর বিষয়ে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দুর্নাম করছে এই প্রটোকল বাহিনী। একজনকেও ২০১৪-১৫ সালে দেখিনি। কোথা থেকে এসে নিজেদের আওয়ামী লীগ বলে পরিচয় দিতে থাকেন। কারও ভালো কোনো ব্যাকগ্রাউন্ড নেই। নেতাদের প্রটোকল দিয়ে নিজেরাও নেতা হয়ে গেছেন।’
শাকিবের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ছেলেটাকে এক বছর ধরে কার্যালয়ে দেখছি। সে নতুন করে বেশি উৎপাত করছে। কাউকে পাত্তা দিচ্ছে না। নেতাদের নাম ভাঙিয়ে চলে। এক বছরের মধ্যে ছেলেটা কী থেকে কী হয়ে গেল। কোথা থেকে এত টাকা পায় এরা। আমরা তো ছাত্ররাজনীতি করেছি। আমাদের তো এত টাকা নেই।’
জানা গেছে, রাসেল বাহিনীর এমন বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে বিব্রত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গত মঙ্গলবার দলীয় এক যৌথ সভা শেষে ক্ষোভ প্রকাশ করে বাহিনীর প্রধান মাহমুদুল আসাদ রাসেলকে শোকজের নির্দেশ দিয়েছেন।
সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় ওবায়দুল কাদের দুঃখ প্রকাশ করেন এবং দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াকে অভিযুক্ত মাহমুদুল আসাদকে শোকজ করার নির্দেশ দেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতোপূর্বেও তার (রাসেল) বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। সে আমার নাম ব্যবহার করেও নাকি অপকর্ম করেছে।
এ সময় ওবায়দুল কাদের মাহমুদুল আসাদ রাসেলসহ তার সঙ্গীদের ২৩ নম্বর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ আওয়ামী লীগের কার্যালয় এবং দলের সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রবেশ না করতে নির্দেশ দেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বিব্রত হন। খবরের কাগজকে তিনি বলেন, ‘এরা কারা এবং কাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এসব অপকর্ম করে সেগুলো খুঁজে বের করুন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্রয়দাতাদের কাছে জানুন।’