ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

যুগপতের বড় কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে নামছে বিএনপি

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৪, ১২:২০ এএম
যুগপতের বড় কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে নামছে বিএনপি
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

বিএনপির হাইকমান্ড দলটির যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক এবং অঙ্গসংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে দুই ঘণ্টাব্যাপী রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছে। শনিবার (১৩ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, জুলাই মাসেই যুগপৎ আন্দোলনের বড় কর্মসূচি নিয়ে আবারও রাজপথে নামতে চায় বিএনপি। কর্মসূচি চূড়ান্ত করতে শরিক দল ও জোটের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে বৈঠক করছে দলটি। এই বৈঠক শেষে দলের স্থায়ী কমিটির সভায় কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে। 

শনিবার বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রথম দফায় বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অংশ নেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেন। এর বাইরে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। 

দলীয় সূত্রমতে, বৈঠকে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, দুর্নীতিবিরোধী প্রচার, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, ভারতের সঙ্গে করা চুক্তি ও সমঝোতা ইস্যু, সীমান্ত হত্যা, গ্যাস এবং পানির দাম বাড়ানোর প্রতিবাদসহ জনসম্পৃক্ত ইস্যুতে কর্মসূচি দেওয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এসব ইস্যুতে কর্মসূচি পালনের বিষয়ে শরিক দল ও জোটের সঙ্গে হওয়া বৈঠকগুলোতে আলোচনা করেছে বিএনপির হাইকমান্ড। তবে পরে দলের স্থায়ী কমিটির সভায় কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে।

নয়াপল্টনে প্রথম দফার বৈঠকের পর দ্বিতীয় দফায় যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক এবং দলটির অঙ্গসংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা নিজেরা সম্ভাব্য কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করেন। 

এদিকে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি নির্ধারণে শনিবার বিকেলে গণ অধিকার পরিষদের (নূর) সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। এর আগে গত ১১ জুলাই গণফোরাম ও পিপলস পার্টি, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, এনডিএম এবং ১২ জুলাই এলডিপি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও বাংলাদেশ লেবার পার্টির সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন বিএনপি নেতারা। এরই ধারাবাহিকতায় আজ রবিবার বিকেল ৫টায় ১২-দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

শফিক/এমএ/

জিয়াউর রহমানের পথ ধরে দেশকে এগিয়ে নেবেন তারেক রহমান: নজরুল ইসলাম আজাদ

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ১০:৫৪ পিএম
আপডেট: ০২ জুন ২০২৫, ১০:৫৪ পিএম
জিয়াউর রহমানের পথ ধরে দেশকে এগিয়ে নেবেন তারেক রহমান: নজরুল ইসলাম আজাদ
ছবি: সংগৃহীত

শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পথ অনুসরণ করে আগামী দিনে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান- বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ঢাকা বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। 

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণের জন্য সবচেয়ে বড় উপকার করে দিয়ে গেছেন তিনি এবং আমাদের গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়ার সুযোগ্য সন্তান তারেক রহমানকে আমাদের জন্য উপহার দিয়েছেন। প্রশাসন লাগবে কেন? আমরা যারা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের দল করি তারাই নিরাপত্তা দিব। আমাদের নেতা তারেক রহমান এবং আমরা জনগণের সুদিন-দুর্দিনে পাশে ছিলাম। আগামীতেও থাকব, ইনশাআল্লাহ। তবে কারও দ্বারা দলের সুনাম ক্ষুণ্ন হলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

সোমবার (২ জুন) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার পৌরসভা বিএনপির উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

নজরুল ইসলাম আজাদ বলেন, জিয়াউর রহমান সততার প্রতীক। এক্ষেত্রে তার বিকল্প নেই। তারই উত্তরসূরী হিসেবে সততার পথ ধরে দেশ সেবায় এগিয়ে এসেছেন বেগম খালেদা জিয়া। আজকে সেই সততা ধরে রেখেছেন তারেক রহমান। তিনি সৎ মানুষ এবং সততার উদাহরণ। তারেক রহমান বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মূল নায়ক। বিগত ১৭ বছরে তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান দেশের স্বাধীনতার ঘোষক। তার ঘোষণা শুনে দেশের মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার হলেন জিয়াউর রহমান। আজকে আমরা মাছে-ভাতে বাঙালি, কৃষির অগগ্রতির জন্য খাল খনন কর্মসূচি, তৈরি পোশাক শিল্প বা গার্মেন্টস খাতের সূচনা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। আজকে গার্মেন্টস হলো দেশের অন্যতম প্রধান আয়ের উৎস। তার অবদান বলে শেষ হবে না।

আড়াইহাজার পৌরসভা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল্লাহ লিটনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ডালিমের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসিকুল ইসলাম রাজীব, জেলা বিএনপির সদস্য লুৎফর রহমান আব্দুর, আড়াইহাজার থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবু প্রমুখ। এসময় ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব মোবারক হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সাকিব আলমগীর, কৃষক দলের আহ্বায়ক আলমগীর, বিএনপি নেতা কালাম, পপি, মাসুম শিকারী, আড়াইহাজার পৌরসভা ছাত্রদলের সভাপতি সুমন, যুবদলের মাসুদসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।


শফিকুল ইসলাম/

ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন যাওয়ার একটি কারণও নেই: সালাহউদ্দিন আহমদ

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৮:১৫ পিএম
ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন যাওয়ার একটি কারণও নেই: সালাহউদ্দিন আহমদ
সর্বদলীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। ছবি: খবরের কাগজ

জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার একটি কারণও নেই-বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই মনে করি ডিসেম্বরে নির্বাচন সম্ভব। এর আগেই জরুরি ভিত্তিতে নির্বাচনমুখী যে সংশোধনীগুলো, তা চিহ্নিত করে ঐক্যমতের ভিত্তিতে আমরা যদি বাস্তবায়ন করি। তবে এমন কোনো সংস্কার নেই যা একমাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। শুধুমাত্র সংবিধান ব্যতীত অন্যান্য যে সংস্কার প্রস্তাব আছে তা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এক মাসের ভেতরে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। যেটা আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি। সুতরাং নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার একটি কারণও নেই।’

সোমবার (২ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর বেইলী রোডে অবস্থিত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সর্বদলীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন। ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে সভাপতিত্ব করে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। বৈঠকে ২৬টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিগণ অংশ নিয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা সংস্কার কমিশনের মতামতের ভিত্তিতে বিস্তারিত মতামত দিয়েছি। সংস্কার বিষয়ে আমরা তিন দিন সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছি। সংস্কার কমিশন অন্যান্য দলের সঙ্গেও বৈঠক করেছে। আমরা আমাদের মতামত লিখিতভাবেও দিয়েছি। আমরা আলোচনা মধ্য দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে কাছাকাছি আসতে পেরেছি- এমন মন্তব্য করে তিনি।

তিনি বলেন, যেটা জাতির জন্য বৃহত্তর স্বার্থ সংরক্ষণ করবে আমরা সেটাই গ্রহণ করব। এটা জাতীয় নীতিতে গৃহীত হলে এ জাতির মধ্যে একটা ঐক্য তৈরি হবে। আমরা সেটাই গ্রহণ করব যে প্রস্তাবগুলো সংবিধান ও শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হবে। রাষ্ট্রের সবকিছুর মধ্যে একটা ভারসাম্য সৃষ্টি হবে। এর মধ্যে দিয়ে বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর যে আকাঙ্ক্ষা তা বাস্তবায়ন করতে পারব। 

বৈঠকে অধিকাংশ দলগুলোই ডিসেম্বরের আগে নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, আমরা আশা করি প্রধান উপদেষ্টা সেটি বিবেচনা করবেন। প্রধান উপদেষ্টা নিরপেক্ষভাবে তার দায়িত্ব পালন করবেন। কারও প্রতি রাগ-বিরাগ, অভিমান প্রদর্শন করবেন না। তবে জাতি তার কাছে নিরপেক্ষতা আশা করে।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সংবিধান সংশোধনী যেসব প্রস্তাব বিভিন্ন দল দিয়েছে, আমাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। উনারা যেভাবে আন্তরিকতা দেখেছেন তাতে আগামী এক মাসের মধ্যে একটা ঐক্যমতে আসা সম্ভব বলে মনে করি। কিছু কিছু বিষয়ে অবশ্যই দ্বিমত থাকবে, সব বিষয়ে সবাই একমত হবে, এমনটা আমরা আশাও করি না। যেসব বিষয়ে আমরা একমতে আসতে পারব, সেটা অবশ্যই পরবর্তী সংসদে সংশোধনী হবে। এসব বিষয়ে এখন ঐকমতের ভিত্তিতে একটি সনদ স্বাক্ষরিত হলেই হবে। এটা আমাদের ইলেকশন মেনুফ্যাকচারেও আসবে। এটা অঙ্গীকার হিসেবে থাকবে। 

তিনি আরও বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে ওনারা যথেষ্ট আন্তরিক, তবে ইতোমধ্যে অনেক সময় ক্ষেপণ হয়েছে। আশা করি আর বেশি সময় নেবেন না। এই মাসের মধ্যে একটা কম্পাইল করা সম্ভব হবে। 

 

শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ

প্রস্তাবিত বাজেট অর্থহীন: মঈন খান

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৮:০২ পিএম
প্রস্তাবিত বাজেট অর্থহীন: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট একটি অর্থহীন বাজেট বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

তিনি বলেন, 'একটি বাক্যে বলতে হয়, এটি একটি অর্থহীন বাজেট। প্রথমত স্বভাবতই বাজেটের আকার সরকার কমিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছে, কেন না, এই অন্তর্বর্তী সরকারের রাজস্ব সংগ্রহের আসলে কোনো নৈতিক শক্তি নেই।'

সোমবার (২ জুন) তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমকে তিনি এসব কথা বলেন। 

মঈন খান বলেন, 'বাজেটে আরও মজার বিষয় হলো বাজেটের আকার সরকার ‘নমিনালী’ কমিয়ে আনলেও রাজস্ব বাজেট কিন্তু বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনার একটি দুর্বলতা প্রকাশ করে। কাজেই এটা স্পষ্ট যে, এ বাজেটে সরকার গুণগত কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি।' 

তিনি বলেন, 'তদুপরি এ দেশের নিম্ন আয়ের মানুষ তথা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্যেও সরকার এ বাজেটে কোন রকম উল্লেখযোগ্য দিকনির্দেশনা দিতে সক্ষম হয়নি। সার্বিকভাবে এক কথায় বলতে গেলে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অনুপস্থিতিতে এই রুটিন বাজেটের কতদূর বাস্তবায়ন হবে তাও সম্পূর্ণ অনিশ্চিত ।'

শফিকুল/মেহেদী/

বাজেটের আকার কমলেও পুরোনো কাঠামো অক্ষুণ্ন: বাংলাদেশ ন্যাপ

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৭:৪৬ পিএম
বাজেটের আকার কমলেও পুরোনো কাঠামো অক্ষুণ্ন: বাংলাদেশ ন্যাপ
ছবি: সংগৃহীত

বাজেটের আকার কমলেও গুণগত খুব বেশি পরিবর্তন নাই। উচ্চ আকাঙ্ক্ষা বা লুটপাটের উন্নয়নে বরাদ্দ হ্রাস করায় জনগণের উপর চাপ কিছুটা হলেও হালকা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া। 

তারা বলেন, ‘বরাবরের মতো এবারের বাজেটও বিগত সরকারগুলোর ধারাবাহিকতাকে পাশ কাটাতে পারেনি। বাজেটের আকার আরও ছোট হলে বাস্তবায়ন করা সহজ হত। প্রকৃতপক্ষে বাজেটের আকার কমলেও পুরোনো কাঠামো অক্ষুণ্ন রয়েছে।’

সোমবার (২ জুন) অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ বাজেটের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তারা এসব কথা বলেন। 

নেতৃদ্বয় বলেন, ‘গত ১৬ বছরে প্রতি অর্থবছরে বাজেটের আকার বৃদ্ধি পেলেও দেশের অর্থনীতি কয়েক বছর ধরেই মন্দা সময় পার করেছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে দিশেহারা সাধারণ জনগণ। ডলার সংকট, রিজার্ভের বড় ক্ষয়সহ বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও কঠিন সঙ্কটে ছিল বাংলাদেশ। ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত সব বাজেটই ছিল কল্পনার ফানুস মাত্র।’ 

তারা বাজেটে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি না করা, 'চিনি-সয়াবিন তেলের দাম কমানোর প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘এর ফলে মধ্যবিত্ত ও সাধারণ জনগণের ওপর চাপ অনেকটা হ্রাস পাবে। তবে, ফ্রিজ, এসির ওপর ভ্যাট বৃদ্ধি করায় অনেকটাই সমস্যা সৃষ্টি করবে। বাজেটে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের পরিবার এবং আহতদের পুনর্বাসন ও কল্যাণে বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব ও বয়স্ক, বিধবা ভাতা বৃদ্ধি করার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য। তবে দেশীয় টেক্সটাইল মিলে উৎপাদিত সুতার ভ্যাট বৃদ্ধি হলে মধ্যবিত্তসহ সাধারণ মানুষের গামছা, লুঙ্গিসহ পোশাকের দাম বৃদ্ধি পাবে যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।’

তারা বলেন, ‘ঋণনির্ভর এ বিশাল ঘাটতি বাজেটে জনগণের অর্থনৈতিক বৈষম্য খুববেশি কমছে না। প্রায় ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত এ বাজেটে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকার বিশাল অঙ্কের ঘাটতি রয়েছে যা জিডিপির ৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। এই ঘাটতি পূরণে দেশি-বিদেশিি ঋণ ও সুদের বোঝা আরও বৃদ্ধি পাবে। পরিচালনা ব্যয় ও সুদ পরিশোধের মত অনুন্নয়ন খাতেই ব্যয় হবে বাজেটের অধিকাংশ অর্থ। তবে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৫.৫০ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতির গড় হার ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ রাখতে পারলে তা হবে বাজেটের বড় চমক।’

তারা আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশের অর্থনীতি কয়েক বছর ধরে নানামুখী সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গত ফ্যাসীবাদী শাসনামলে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়া, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব, মুদ্রার বিনিময় ও সুদের হার ক্রমাগত বৃদ্ধি, সর্বক্ষেত্রে সুশাসন ও ন্যায়নীতির নির্বাসন এবং সর্বগ্রাসী লুটপাটের কারণে দেশের আর্থিক খাত ধ্বংস হয়ে গেছে। বাজেটে এ বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে টেনে তোলার আরও ব্যবস্থা থাকার দরকার ছিল। বিপর্যস্থ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে দেশী বিদেশি বিনিয়োগ, দুর্নীতির সকল পথ বন্ধ করে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও রেমিটেন্স বৃদ্ধিতে জোর দিতে হবে। পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।’

মেহেদী/

প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থনৈতিক বৈষম্য কমছে না: খেলাফত মজলিস

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৬:৫৬ পিএম
আপডেট: ০২ জুন ২০২৫, ০৬:৫৭ পিএম
প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থনৈতিক বৈষম্য কমছে না: খেলাফত মজলিস
ছবি: সংগৃহীত

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে গতানুগতিক ও গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করা হয়নি বলে আখ্যায়িত করেছে খেলাফত মজলিস।

দলটি বলছে, ঋণনির্ভর এ বিশাল ঘাটতি বাজেটে জনগণের অর্থনৈতিক বৈষম্য তেমন কমছে না। 

সোমবার (২ জুন) এক যৌথ বিবৃতিতে দলটির আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের এসব কথা বলেন। 

তারা বলেন, 'প্রায় ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত এ বাজেটে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকার বিশাল অঙ্কের ঘাটতি রয়েছে, যা জিডিপির ৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। এ ঘাটতি পূরণে দেশি-বিদেশি ঋণ ও সুদের বোঝা আরও বাড়াবে। সরকারি ব্যয় নিয়ন্ত্রণ ও বাজেট ঘাটতি কমানোর ওপর জোর দেওয়া হলেও রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা গত বছরের চেয়ে বাড়িয়ে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। এতে জনগণের উপর করের বোঝা আরও বাড়াবে।' 

তারা আরও বলেন, 'বিগত ফ্যাসিবাদীসরকার ঘুষ, দুর্নীতি, অর্থ পাচার, অপচয় ও অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে রেখে গেছে। বিশাল ঋণের বোঝার মধ্যে দেশকে ডুবিয়ে তারা পালিয়ে গেছে। বাজেটে এ বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে টেনে তোলার আরও ব্যবস্থা থাকার দরকার ছিল। বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ, দুর্নীতির সব পথ বন্ধ করে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও রেমিটেন্স বৃদ্ধিতে জোর দিতে হবে। পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

শফিকুল/মেহেদী/