ঢাকা ১১ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

প্রকৌশলী উজ্জ্বলকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০:২৭ পিএম
প্রকৌশলী উজ্জ্বলকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ
বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ

অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (অ্যাব) সহসভাপতি প্রকৌশলী কামরুল হাসান উজ্জ্বলকে তার বনশ্রীর বাসা থেকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করেন সংগঠনের আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ও সদস্যসচিব সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরী। 

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, ‘পরিবারের সদস্যরা জানান, গতকাল বুধবার রাত ১টার দিকে ২০-২২ জন যুবক অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে বাসায় ঢুকে ইঞ্জিনিয়ার উজ্জ্বলকে তুলে নিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা তুলে নেওয়ার কারণ এবং কোথায় নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তারা তাদের সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেন। এখন পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। অবিলম্বে তাকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’

তারা বলেন, ‘কামরুল হাসান উজ্জ্বল একজন মেধাবী ও দক্ষ প্রকৌশলী। জাতির কৃতি সন্তান ও সমাজের সম্মানীয় ব্যক্তি। শুধুমাত্র ভিন্নমত পোষণের কারণে তাকে রাতের আঁধারে তুলে নেওয়া হয়েছে। এভাবে গ্রেপ্তারের কারণে পেশাজীবীদের মধ্যে ভীতির পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।’ 

বিএসপিপির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শুধু প্রকৌশলী কামরুল হাসান উজ্জ্বলই  নয়, বৃহস্পতিবার দুপুরে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এম-ট্যাব)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব মো. দবির উদ্দিন তুষারকে তার মিরপুরের বাসা থেকে ডিবি পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে। এর আগের দিন বুধবার পঙ্গু হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট রফিকুল ইসলাম, মঙ্গলবার গভীর রাতে এম-ট্যাবের সহ-সভাপতি মো. রওশন আলী রাজুকে আদাবরের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডি-অ্যাব)-এর মহাসচিব প্রকৌশলী কাজী সাখাওয়াত হোসেন, বিশিষ্ট দন্ত চিকিৎসক ও টকশো ব্যক্তিত্ব ডা. সায়ন্থ সাখাওয়াত, বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমদ অসীমকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

বিবৃতিতে পেশাজীবীরা বলেন, ‘এভাবে একের পর এক পেশাজীবীদের বিনা অভিযোগে এবং বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দেওয়ার মাধ্যমে এক ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। পেশাজীবীরা এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। বিনা বিচারে মানুষ হত্যা, নির্বিচারে গণহত্যা, গুম, খুন, নির্যাতন, নিপীড়ন ও দুঃশাসনের কারণে দিন দিন দেশ বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে।’

শফিকুল ইসলাম/সালমান/

বিএনপি ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে চায়: তারেক রহমান

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০৫ পিএম
বিএনপি ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে চায়: তারেক রহমান
ফাইল ছবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আমরা সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের দাবি নিয়ে সংস্কার কার্যক্রম চালাতে চাই। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে চাই।’

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ে জয়নাল আবেদীন মিলনায়তনে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তিবিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, ‘আমাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে মতপার্থক্য থাকতেই পারে, এটা স্বাভাবিক। গণতন্ত্রে মতপার্থক্য থাকবেই। আমরা বসব, আলোচনা করব, আমরা সামনে এগিয়ে যাব। মনে রাখতে হবে, কোনোভাবেই যাতে গণতন্ত্র কিংবা মানুষের ভোটের অধিকার বাধাগ্রস্ত না হয়। কারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং রাজনৈতিক অধিকার যদি বাধাগ্রস্ত হয়, তাহলে সবকিছুই বাধাগ্রস্ত হবে।’ 

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভোট যদি আপনার পক্ষে আনতে হয়, তাহলে আপনাকে জনগণের কাছে যেতে হবে। সংস্কার যদি চলমান রাখতে হয়, সেটিকে বাস্তবায়ন করতে হয়, তাহলে আপনাকে জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণ ছাড়া আপনাদের কোনো বিকল্প নেই। বিএনপি আজ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, বাংলাদেশে যেকোনো মূল্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে হবে, যেকোনো মূল্যে মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’

বিগত সরকারের বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, ‘ফ্যাসিসদের আমলে দেশের বিচারব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে, অর্থনীতি, স্বাস্থ্যব্যবস্থা, শিক্ষাব্যবস্থা সব ধ্বংস হয়েছে।’

ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর আগে সকালে কর্মশালার উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী। কর্মশালায় জেলা ও উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

নবীন হাসান/এমএ/

একটি শক্তি গণতন্ত্রের বিপক্ষে কাজ করছে: খসরু

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫২ পিএম
একটি শক্তি গণতন্ত্রের বিপক্ষে কাজ করছে: খসরু
ফাইল ছবি।

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের জন্য দেশবাসী উদগ্রীব হয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাবে, এটাই তো গণতন্ত্র। এটাই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। কিন্তু দেশে গণতন্ত্রের বিপক্ষে একটি শক্তি কাজ করছে। বাংলাদেশের মানুষ সবকিছু খেয়াল করতেছে।’

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানে দলটির চেয়ারপারসন কার্যালয়ে দল ও জোটের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। বিকেল সাড়ে ৪টায় বাংলাদেশ জন অধিকার পার্টির সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাটের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা করেন আমীর খসরু। এরপর সোয়া ৫টার দিকে বাম গণতান্ত্রিক ঐক্যর সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

দুই দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংস্কার প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, ‘নির্বাচন হচ্ছে মানুষের ভোটাধিকারের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা। এবং গণতান্ত্রিক সরকারের মাধ্যমে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনা। এটা পরিষ্কার কথা। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। নির্বাচনের পরও সংস্কার চলতে থাকবে।’ 

ঐকমত্যের সুপারিশ জাতির সামনে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সংস্কারের যেসব বিষয়ে রাজনৈতিকদলগুলো ঐকমত্য হয়েছে তার জাতির সামনে প্রকাশ করতে হবে। প্রকাশের মাধ্যমে ভোটের দিনক্ষণ প্রকাশ করলে অসুবিধা কোথায়। প্রধান উপদেষ্টাও বলেছেন ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার হবে। তাহলে রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার কমিশনে যে সুপারিশ জমা দিয়েছে তা প্রকাশ করছে না কেন? দলগুলো কোথায় কোথায় ঐকমত্য হয়েছে তার জাতির সামনে জানিয়ে সনদে সই করে নির্বাচনের দিকে যাওয়া যায়।’ 

বাম গণতান্ত্রিক ঐক্যর সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সংস্কারের নামে গণতন্ত্রের গলা টিপে ধরতে পারি না। আর বড় সমস্যা ২০০৮ সাল থেকে দেশের মানুষের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত। কিন্তু এখন ফ্যাসিস্ট মুক্ত বাংলাদেশে কেন ভোট দেওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্য নির্বাচন দেওয়া সম্ভব। আমরা চাই ডিসেম্বরের আগেই জাতীয় নির্বাচন হয়ে যাক।’

শফিক/সিফাত/

জামায়াতকে নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা বেড়েছে: সেলিম

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩২ পিএম
জামায়াতকে নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা বেড়েছে: সেলিম
ছবি: খবরের কাগজ

জামায়াতকে নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, জামায়াতের নেতৃত্বেই দেশকে একটি ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার স্বপ্ন দেখছেন আত্মসচেতন জনতা। জনগণ মনে করছে এ সংগঠনের মাধ্যমেই তাদের অধিকার বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। তাই আমাদের উচিত সাধারণ মানুষের আবেগ, অনুভূতি ও প্রত্যাশাকে সম্মান প্রদর্শন করে তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে দেশে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছানোর সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো। 

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর উত্তরায় পলওয়েল কমিউনিটি সেন্টারে এক দায়িত্বশীল সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনেক ত্যাগ ও কোরবানীর পর দেশে সুন্দর একটি পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে সুযোগ কাজে লাগিয়ে শোষণ মুক্ত কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে সকলকে ময়দানে আপোষহীন ভূমিকা পালনের আহবান জানান মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, দেশে ইসলামী আন্দোলনের জন্য ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি হলেও তা এখনো পুরোপুরি স্বস্তিদায়ক হয়নি। দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ততা লক্ষ্য করা গেলেও ষড়যন্ত্রকারী ও আধিপত্যবাদী শক্তির ষড়যন্ত্র থেমে নেই বরং তাদের ঘুম ইতোমধ্যেই হারাম হয়ে গেছে। তারা ইসলামের অগ্রযাত্রা থামানোর জন্য নানাবিধ চক্রান্ত ও অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। 

সেলিম উদ্দিন বলেন, আমাদেরকে আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোন সুযোগ নেই বা প্রতিপক্ষকে কোনভাবেই দুর্বল মনে করা যাবে না। তাই দেশ, জাতি ও ইসলাম বিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। অন্যথায় ফ্যাসীবাদ নতুন করে মাথাচাড়া দেবে।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, ইয়াছিন আরাফাত ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য হেমায়েত হোসেন, জিয়াউল হাসান প্রমূখ।

শফিকুল/সিফাত/

অন্তর্বর্তী সরকারকে অকার্যকর প্রমাণে চক্রান্ত চলছে: রিজভী

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২৩ পিএম
অন্তর্বর্তী সরকারকে অকার্যকর প্রমাণে চক্রান্ত চলছে: রিজভী
ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ রক্ত ঝরা আন্দোলনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে অকার্যকর প্রমাণ করতে একটি চক্র গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, শেখ হাসিনার দোসররা আদালতে দাঁড়িয়ে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। প্রকাশ্যে ফ্যাসিস্ট হয়ে ফিরে আসার হুমকি দিচ্ছে। এই সাহস পায় কীভাবে?

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসররা পাচার করা টাকা দিয়ে বিভিন্ন খুনি বাহিনী তৈরি করে ক্রিমিনাল কাজ করছে। দেশে এক ধরনের মাফিয়া অর্থনীতি গড়ে উঠেছে, যা শেখ হাসিনার পাচার করা টাকাকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হচ্ছে। টাকার জোরে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ফায়দা লুটতে চায় তারা।

ভয়াবহ অপরাধী আওয়ামী নেতাদের জামাই আদরে আদালতে হাজির করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শাজাহান খান গংরা আদালতে এসে সরকারকে দেখে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে্। আদালতকে ভেংচি কাটছে, পুলিশকে থোড়াই কেয়ার করছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ প্রশাসনের নীরবতায় তারা এমন আচরণ করছে। পুলিশ প্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হাসিনার অলিগার্করা ‘সর্ষের ভেতর ভূত’ হয়ে থাকায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

রিজভী বলেন, গণতন্ত্র রক্ষার যে প্রত্যাশা নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছিল, বাস্তবে তার প্রতিফলন আমরা পাচ্ছি না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অগ্রগতি থাকলেও গণতান্ত্রিক কাঠামোকে শক্তিশালী করতে কোনো সুদূরপ্রসারী প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে না।

২৮ লাখ কোটি টাকা পাচারের সঙ্গে যারা জড়িত, তারা এখনো বহাল তবিয়তে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বরং মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে প্রশাসনের কিছু ব্যক্তিকে ম্যানেজ করে এখনো তারা স্বপদে বহাল আছেন।

রিজভী অভিযোগ করেন, বাজারে চাল-ডাল, তেল-ডিমে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পেছনে আছে আওয়ামী সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটই দেশে মুদ্রাস্ফীতি ও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়ে তুলছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম প্রমুখ।

সিফাত/

প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা ছিল বলেই ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল: আলী রীয়াজ

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০২:২২ পিএম
প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা ছিল বলেই ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল: আলী রীয়াজ
ছবি: খবরের কাগজ

গত ৫৩ বছরের বাংলাদেশের শাসন কাঠামোতে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে ঘাটতি এবং প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা ছিল বলেই একটি ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকায় সংসদ ভবনস্থ এল. ডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আমজনতার দলের আলোচনার শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

আলোচনার শুরুতে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে সবার সঙ্গে আলোচনা করে একটি সর্বজন গ্রহণযোগ্য জাতীয় সনদ তৈরি করা, যা ভবিষ্যত বাংলাদেশের পথরেখা তৈরি করবে। 

তিনি আরও বলেন, ‘গত ১৬ বছর ধরে দেশের সর্বস্তরের মানুষ যে ফ্যাসিবাদের নিপীড়ন সহ্য করেছে, তা যেন আর ফিরে না আসে। এখন নতুন বাংলাদেশ গড়ার সময় এসেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের অব্যাহত আলোচনা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে। 

আমজনতার দলের সভাপতি মিয়া মশিউজ্জামানের নেতৃত্বে আলোচনায় আরও অংশগ্রহণ করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক মো. তারেক রহমান, সাংগঠনিক  সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ, কার্যকরী সদস্য সাধনা মহল এবং তামান্না শিখাসহ ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল৷ 

প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। 

ইতোমধ্যে সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ৩৫টি দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে। আমজনতার দলসহ এ পর্যন্ত ১৬টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রথম পর্যায়ের আলোচনা শেষ করেছে। সূত্র: ইউএনবি

মেহেদী/