
অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (অ্যাব) সহসভাপতি প্রকৌশলী কামরুল হাসান উজ্জ্বলকে তার বনশ্রীর বাসা থেকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করেন সংগঠনের আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ও সদস্যসচিব সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরী।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, ‘পরিবারের সদস্যরা জানান, গতকাল বুধবার রাত ১টার দিকে ২০-২২ জন যুবক অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে বাসায় ঢুকে ইঞ্জিনিয়ার উজ্জ্বলকে তুলে নিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা তুলে নেওয়ার কারণ এবং কোথায় নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তারা তাদের সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেন। এখন পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। অবিলম্বে তাকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
তারা বলেন, ‘কামরুল হাসান উজ্জ্বল একজন মেধাবী ও দক্ষ প্রকৌশলী। জাতির কৃতি সন্তান ও সমাজের সম্মানীয় ব্যক্তি। শুধুমাত্র ভিন্নমত পোষণের কারণে তাকে রাতের আঁধারে তুলে নেওয়া হয়েছে। এভাবে গ্রেপ্তারের কারণে পেশাজীবীদের মধ্যে ভীতির পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।’
বিএসপিপির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শুধু প্রকৌশলী কামরুল হাসান উজ্জ্বলই নয়, বৃহস্পতিবার দুপুরে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এম-ট্যাব)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব মো. দবির উদ্দিন তুষারকে তার মিরপুরের বাসা থেকে ডিবি পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে। এর আগের দিন বুধবার পঙ্গু হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট রফিকুল ইসলাম, মঙ্গলবার গভীর রাতে এম-ট্যাবের সহ-সভাপতি মো. রওশন আলী রাজুকে আদাবরের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডি-অ্যাব)-এর মহাসচিব প্রকৌশলী কাজী সাখাওয়াত হোসেন, বিশিষ্ট দন্ত চিকিৎসক ও টকশো ব্যক্তিত্ব ডা. সায়ন্থ সাখাওয়াত, বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমদ অসীমকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
বিবৃতিতে পেশাজীবীরা বলেন, ‘এভাবে একের পর এক পেশাজীবীদের বিনা অভিযোগে এবং বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দেওয়ার মাধ্যমে এক ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। পেশাজীবীরা এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। বিনা বিচারে মানুষ হত্যা, নির্বিচারে গণহত্যা, গুম, খুন, নির্যাতন, নিপীড়ন ও দুঃশাসনের কারণে দিন দিন দেশ বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে।’
শফিকুল ইসলাম/সালমান/