
কোটাব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে সারা দেশে গড়ে ওঠা ছাত্র আন্দোলন দমাতে রাষ্ট্র সর্বোচ্চ শক্তি ব্যবহার করেছে বলে মন্তব্য করেছেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা।
তারা অভিযোগ করেন, ছাত্র-জনতা হত্যা, গণগ্রেপ্তার, দমন-পীড়নের নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার। কোটা পদ্ধতি সংস্কার করে সরকারের প্রজ্ঞাপন ইতোমধ্যেই ছাত্রসমাজ প্রত্যাখ্যান করেছে বলেও দাবি করেন তারা।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ, সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজা, সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন শুভর যৌথ বিবৃতিতে ৫ দফা দাবি জানানো হয়েছে। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া, ক্যাম্পাস থেকে পুলিশ-বিজিবি-র্যাব প্রত্যাহার, ছাত্র সংসদ কার্যকর করে গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস নিশ্চিতকরণ, গণগ্রেপ্তার-হয়রানি বন্ধ করা, কারফিউ প্রত্যাহার করা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের গোয়েন্দা দপ্তরে নিয়ে ‘নিপীড়ন, ভীতি প্রদর্শন, জোরপূর্বক আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার’ অভিযোগ আনা হয়েছে বিবৃতিতে। পাশাপাশি স্বাধীন কমিশন গঠন করে অংশীজনের মতামত গ্রহণ সাপেক্ষে নারী কোটার অন্তর্ভুক্তিসহ কোটাব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কার ও সংসদে আইন পাস করে তা কার্যকরের দাবি জানান বামপন্থি দুই ছাত্র সংগঠনের নেতারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চলমান অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার ও তাদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে।