
বিদ্রোহের আগুনে দগ্ধ আগস্ট মাসকে ‘দ্রোহের মাস’ হিসেবে পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব। তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে, আন্দোলনে অতুলনীয় সংগ্রামী বীরদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য পুরো আগস্ট মাসকে দ্রোহের মাস হিসেবে পালন করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। এখন থেকে আগস্ট মাস হবে ‘দ্রোহের মাস’। দ্রোহের মাসের প্রতীক হবে লাল রঙ। মাথায়, হাতে এবং বুকে লাল রঙ ধারণ করে সন্তানদের আত্মত্যাগের মহিমাকে সমুন্নত করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতি তিনি এ আহ্বান জানান। আগস্টকে ‘দ্রোহের মাস’ হিসেবে উল্লেখ করার কারণ হিসেবে ৩ দাবি ও ৪টি করণীয় তুলে ধরেন জেএসডি সভাপতি।
আ স ম রব বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে জুলাই মাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। রক্তাক্ত জুলাইয়ে সরকারের নিষ্পেষণ আর স্টিমরোলারের অত্যাচারে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে দেশ। মরণপণ লড়াইয়ে নেমেছে ছাত্র-জনতা।
তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অভূতপূর্ব ও অকল্পনীয় গণজাগরণ স্তব্ধ করতে সরকার অসংখ্য নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করেছে। এই মাসটি ‘রক্তাক্ত জুলাই’, ‘গণহত্যার জুলাই’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এবারের আন্দোলনে ছাত্র-তরুণদের সঙ্গে নারীদের যে তেজর্স্বিতা প্রকাশ পেয়েছে, তাতে বিজয় অনিবার্য হয়ে পড়েছে। সংগ্রামের উর্বর ভূমিতে গণঅভ্যুত্থান আসন্ন। এই লড়াইয়ে সবাইকে শামিল হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
তিন দাবি হল- ভয়ংকর রক্তাক্ত জুলাই বা জুলাই ম্যাসাকারে সংঘটিত প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। হত্যার শিকার বীর ভাই-বোনদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও স্মৃতিস্তম্ভ করতে হবে। বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ অর্থাৎ সর্বাত্মক গণতান্ত্রিক ও মানবিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ করতে হবে।
দ্রোহের মাসে ৪ করণীয় হল- রক্তাক্ত জুলাইয়ের গণহত্যার শিকার এই প্রজন্মের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানার্থে নতুন করে ‘শহিদ মিনার’ নির্মাণ করতে হবে। যেখানে যে-বীর ও সূর্য সন্তান হত্যার শিকার হয়েছেন, সেখানেই রাস্তা, অ্যাভিনিউ, স্থাপনা-তাদের নামে চিহ্নিত করতে হবে। সকল বীরের নাম ভূমিকাসহ পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। প্রতিটি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চিত্র প্রদর্শনীসহ শহিদদের পোর্ট্রেট করতে হবে।
শফিক/এমএ/