ঢাকা ২৬ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২

সিলেট ১৪ দলের সভা ‘বিএনপি-জামায়াতের জঙ্গিবাদী আন্দোলন প্রতিহত করা হবে’

প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৩২ এএম
আপডেট: ০৪ আগস্ট ২০২৪, ১০:১০ এএম
‘বিএনপি-জামায়াতের জঙ্গিবাদী আন্দোলন প্রতিহত করা হবে’
ছবি : খবরের কাগজ

সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনে ভর করে বাংলাদেশে যে ঘটনাগুলো ঘটছে, আসলে এটা কোনো রাজনৈতিক ঘটনা নয়। এটা সম্পূর্ণ জঙ্গিবাদী কাজ। দেশের স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধকে টার্গেট করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াতের জঙ্গিবাদী আন্দোলন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াতের এই জঙ্গিবাদী আন্দোলন ১৪ দল যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করবে।’

শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ১৪ দলের সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় সভার শুরুতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে সভায় সূচনা বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন খান। বক্তৃতায় তিনি বিএনপি-জামায়াতের চলমান নৈরাজ্য ও অগ্নি-সন্ত্রাস এবং সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান জানান। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রদের সকল দাবি এরই মধ্যে মেনে নিয়েছেন। কিন্তু তারপরও কেন এই আন্দোলন? এই প্রশ্নের উত্তরের মধ্যে আছে ষড়যন্ত্রের নীলনকশা।’

সভায় ১৪ দলের উপস্থিত নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য দেন, জেলা জাসদ সভাপতি লোকমান আহমদ, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড সিকান্দর আলী, জেলা গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি মো. আরিফ মিয়া, জেলা জাতীয় পার্টি (জেবি) এর সভাপতি ইফতেখার আহমদ লিমন, জেলা ন্যাপ সভাপতি মো. আব্দুল ওদুদ, মহানগর জাসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফারুক আহমদ, জেলা জাসদ সাধারণ সম্পাদক কিবরিয়া চৌধুরী, ন্যাপ মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আপ্তাব মিয়া, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস আহমদ, জেলা গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. জুনেদুর রহমান, মহানগর গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কাপালী, সাধারণ সম্পাদক ব্রজ গোপাল চৌধুরী, জেলা গণতন্ত্রী পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গুলজার হোসেন, জেলা সাম্যবাদী দলের সদস্য নিবাস চক্রবর্তী ও সজল রায় প্রমুখ।

সভায় ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিগুলো আজ বিভক্ত। আর এই বিভক্তির সুযোগ নিয়ে একাত্তরের পরাজিত শক্তি সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের উপর ভর করে দেশকে জঙ্গিবাদী রাষ্ট্র বানাতে চায়। এমনকি তারা একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের সেই হীন চক্রান্ত ঐক্যের মাধ্যমে ১৪ দলের নেতৃবৃন্দের প্রতিহত করা সক্ষমতা রয়েছে।

শাপলা প্রতীক হতে না পারলে ধানের শীষও পারবে না: সারজিস

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫৯ এএম
আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৫, ১০:০৫ এএম
শাপলা প্রতীক হতে না পারলে ধানের শীষও পারবে না: সারজিস
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম

শাপলা যদি রাজনৈতিক দলের প্রতীক হতে না পারে, তাহলে ধানের শীষও রাজনৈতিক দলের প্রতীক হতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। 

বুধবার (৯ জুলাই) রাতে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে এই কথা বলেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে সারজিস লেখেন, ‘শাপলা জাতীয় প্রতীক নয়। জাতীয় প্রতীকের একটি অংশ। একইভাবে ধানের শীষ, পাট পাতা এবং তারকাও জাতীয় প্রতীকের অংশ।

শাপলা যদি রাজনৈতিক দলের প্রতীক না হতে পারে তাহলে ধানের শীষও প্রতীক হতে পারবে না। আর যদি জাতীয় প্রতীকের যেকোনো একটি অংশ রাজনৈতিক দলের প্রতীক হতে পারে তাহলে শাপলাও হতে পারবে।

জাতীয় ফুল হিসেবে শাপলার প্রতীক হতে আইনগত বাধা নেই। কারণ জাতীয় ফল কাঁঠাল অলরেডি মার্কা হিসেবে আছে।
আর যদি মার্কা দেখেই ভয় পান তাহলে সেটা আগে থেকেই বলেন!’

এরআগে, বুধবার প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’কে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার তফসিলভুক্ত না করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসি সচিব আখতার আহমেদ একথা জানান। 

এরপরই এই স্ট্যাটাস দিলেন সারজিস আলম।

এদিকে, রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে গত ২২ জুন ইসিতে আবেদন করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আবেদনে শাপলা, মোবাইল ও কলমের মধ্যে একটিকে প্রতীক হিসেবে চেয়েছিল দলটি।

অমিয়/

চাঁদাবাজিতে বাধা, এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১০:২২ পিএম
চাঁদাবাজিতে বাধা, এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ
ছবি:খবরের কাগজ

চাঁদাবাজিতে বাধা দেওয়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের শহিদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (৯ জুলাই) রাতে এনসিপির দপ্তর সমন্বয়কারী এম এম শোয়াইব এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। 

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার রাজধানীর উত্তর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-৫ কার্যালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- মোস্তাকিম, কবীর সুজন, জাবেদ, শাওন, সানী-সহ আরও কয়েকজন। হামলার সময় আহতদের কাছে থাকা মোবাইল, মানিব্যাগ ও নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে এম এম শোয়াইব জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের যোগসাজোশে স্থানীয় একটি চক্র মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট থেকে চাঁদা তুলে আসছিলেন। বৈধ দোকানদারদের দোকান ফিরিয়ে দেওয়া এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানাতে এনসিপির মোহাম্মদপুর থানার প্রতিনিধি মোহাম্মদ মোস্তাকিম, অ্যাডভোকেট লুৎফুল কবির সুজন, জাবেদ, শাওনসহ একটি প্রতিনিধিদল উত্তর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল- ৫ কার্যালয়ে যান। সেখানে আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা আওয়ামী লীগের অবৈধ মেয়র আতিকের ঘনিষ্ঠ কুখ্যাত চাঁদাবাজ মাহবুব আলমের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালায়। একটি রুমে আটকে রেখে তাদের হত্যা চেষ্টা করে। পরে আহতদের উদ্ধার করে শহিদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাহবুব আওয়ামী লীগের আমল থেকেই সিটি করপোরেশনে আতিকের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন তদবির ও টেন্ডার বাণিজ্যে তাকে সবসময় দেখা যায়। মোহাম্মদপুর অঞ্চলের ময়লার চাঁদা, ফুটপাতসহ চাঁদাবাজির এক স্বর্গ রাজ্য গড়ে তুলেছে মাহবুব। পাঁচ আগস্ট পরবর্তী সময়ে এই মাহবুব স্থানীয় প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় তারা এক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। 

অবিলম্বে এই সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে এনসিপি। তা না হলে মোহাম্মদপুরবাসীদের নিয়ে চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের বিরুদ্ধে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলার হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

আরিফ সাওন/

বিএসএফের গুলিতে নিহত কৃষকের বাড়িতে নাগরিক পার্টির নেতারা

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫০ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫১ পিএম
বিএসএফের গুলিতে নিহত কৃষকের বাড়িতে নাগরিক পার্টির নেতারা
ছবি: খবরের কাগজ

নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রার নবম দিনে বুধবার (৯ জুলাই) চুয়াডাঙ্গা শহরে পথসভা শেষে দলটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে দলটির নেতারা বিকেল চারটার দিকে দর্শনা ও জীবননগরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। তবে পথিমধ্যে গাড়িবহর হঠাৎ দিক পরিবর্তন করে দামুড়হুদা উপজেলার ঝাঁঝাডাঙ্গা গ্রামের দিকে চলে যায়।

সেখানে তারা গিয়ে উপস্থিত হন গত ২ জুলাই চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত কৃষক ইব্রাহিম বাবুর বাড়িতে। ইব্রাহিম বাবুর মরদেহ মৃত্যুর ছয় দিন পর ৮ জুলাই রাতে ভারতীয় পুলিশ বাংলাদেশকে হস্তান্তর করে।

নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে নাগরিক পার্টির নেতারা কিছু সময় কাটান এবং তাদের প্রতি সমবেদনা জানান।

এ সময় দলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বিএসএফের গুলিতে নিহত ইব্রাহিম বাবু ভাইয়ের মরদেহ ৬ দিন পর তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমরা তাদের পাশে দাঁড়াতে এসেছি। তার পরিবার এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়েছে। আমরাও চাই, আর কোনো মায়ের বুক যেন খালি না হয়। আমরা গ্রামের সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। ৫ আগস্টের পর থেকে সীমান্তে হত্যা ও নির্যাতন বেড়েছে। বিএসএফ এখন আর কোনো সীমান্তরক্ষী বাহিনী নয়, বরং এটি একটি খুনি বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। সীমান্ত হত্যা নিয়ে আমাদের সবাইকে প্রতিবাদী হতে হবে।’

পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় এনসিপি দল দর্শনা ও জীবননগরের পূর্বনির্ধারিত পথসভা বাতিল করে। পরে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে তারা ঝিনাইদহের উদ্দেশ্যে রওনা হন।

মিজানুর রহমান/সুমন

নৌকার এজেন্ট লক্ষ্মীপুর ছাত্রদলের সভাপতি  প্রার্থী, কলেজ সভাপতির নেই ছাত্রত্ব

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:০৮ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:১৪ পিএম
নৌকার এজেন্ট লক্ষ্মীপুর ছাত্রদলের সভাপতি  প্রার্থী, কলেজ সভাপতির নেই ছাত্রত্ব
লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি হাসিবুর রহমান অভি (বামে) এবং জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল খালেদ। ছবি: সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুর-২ আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের এমপি প্রার্থী অ্যাডভোকেট নূর উদ্দীন চৌধুরী নয়নের পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল খালেদের বিরুদ্ধে। বর্তমানে তিনি লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি পদ পেতে লবিং-তদবির চালাচ্ছেন। তার বয়স প্রায় ৪০ বছর, নেই ছাত্রত্বও।

আর লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি হাসিবুর রহমান অভির বিরুদ্ধেও মাদক সংশ্লিষ্টসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। তারও ছাত্রত্ব নেই। অভি বর্তমানে জেলা ছাত্রদলের বড় পদ পেতে তদবির শুরু করেছেন। এনিয়ে জেলা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ-অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। 

স্থানীয় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, ‘আব্দুল্লাহ আল খালেদ জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি পদ থাকলেও বিগত ১৫ বছর আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী ছিলেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূর উদ্দীন চৌধুরী নয়ন এমপির সঙ্গে তার গভীর সখ্যতা ছিল। ২০২১ সালের উপনির্বাচনে দালাল বাজার ইউনিয়নের মহেদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নয়ন এমপির পোলিং এজেন্ট হিসেবে খালেদ দায়িত্ব পালন করেছিলেন। আওয়ামী বিরোধী কোনো আন্দোলন সংগ্রামে তার উপস্থিত ছিল না।’ 

জানা গেছে, জাতীয় পরিচয় পত্রে আব্দুল্লাহ আল খালেদের জন্ম ১৯৮৬ সালের পহেলা জানুয়ারি। ২০০৩ সালে তিনি এসএসসি পরীক্ষা দেন। ২০১৬ সালে মাস্টার্স শেষ করে শিক্ষাজীবন শেষ করেছেন। ৪০ বছর বয়সে এসে জেলা ছাত্রদলের প্রার্থী হতে তদবির-লবিং চালাচ্ছেন। 

জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল খালেদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘তার জন্ম ১৯৮৮ সালে, ভুলক্রমে এনআইডিতে ১৯৮৬ সাল চলে আসছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে আমি ‘ল’ করছি। তিনি বলেন, আমি ব্যাংকের চাকরি করতাম। তখন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। কোনো এমপির প্রার্থী হয়ে নয়।’

লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি হাসিবুর রহমান অভি এলাকায় মাদক ব্যবসার সঙ্গে  জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় নেতা-কর্মীরা জানান, অভি ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে জেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন টিপু এবং পৌর ৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি জয় রকির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তিনি দিনে বিএনপি, রাতে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর লক্ষ্মীপুর থেকে পালিয়ে যান সালাহউদ্দিন টিপু। এলাকা ছাড়ার আগের দিনও টিপু ছাত্র-জনতার উপরে গুলি চালায়। টিপু এলাকা ছাড়ার পর লক্ষ্মীপুরের ইয়াবা ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ চলে যায় ছাত্রদল নেতা অভির হাতে। বর্তমানে তার হাতেই ইয়াবা ব্যবসা সিন্ডিকেট। অভির বিরুদ্ধে এত অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও জেলা ছাত্রদল কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। 

ইতোমধ্যে অভির মাদক সেবনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, অভি প্রকাশ্য পৌর ৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি জয় রকির সঙ্গে রুমে বসে মাদক সেবন করছেন। পাশাপাশি তারা ইয়াবা ও গাজা সেবন করতে দেখা যায়। 

অভিযোগের বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি হাসিবুর রহমান অভি খবরের কাগজকে বলেন, ‘জেলা কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে সম্পূর্ণ প্রতিহিংসার কারণে একটি গ্রুপ এসব রটাচ্ছে। তিনি কখনো ইয়াবা ধরেননি। রাজনীতির প্রতিহিংসার শিকার।’

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ১৭ বছরের মধ্যে লক্ষীপুরে যুবলীগ বা ছাত্রলীগের সঙ্গে আমি সমঝোতা করেনি। প্রতিটি মামলার আসামি ছিলাম এবং কারাগারে ছিলাম।’

লক্ষ্মীপুর জেলার ছাত্রদলের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রিয়াদ সত্য স্বীকার করে বলেন, ‘অভির বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হয়ে তাকে বহিষ্কার করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘২০২১ সালের কমিটি দিয়ে চলছে কলেজ ছাত্রদল। তার ছাত্রত্ব নাও থাকতে পারে। নতুন কমিটি গঠনের কাজ চলছে।’

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির খবরের কাগজকে বলেন, ‘লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদলের কমিটি গঠন নিয়ে এখনো সেভাবে কাজ শুরু হয়নি। কমিটি গঠনের আগে যাচাই-বাছাই করা হবে। জেলার যারা অভিভাবক রয়েছেন, তাদের সঙ্গে প্রার্থীদের বয়সসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘অভির বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শফিকুল ইসলাম/সুমন/

আগামী নির্বাচনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের ঘোষণা ড্যাব নেতাদের

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫০ পিএম
আগামী নির্বাচনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের ঘোষণা ড্যাব নেতাদের
ছবি: সংগৃহীত

আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে বিজয়ী করতে রাজপথে থেকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের ঘোষণা দিয়েছেন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)-এর নেতারা। 

বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর চারটি হাসপাতালের নেতারা এক মতবিনিময় সভায় এই ঘোষণা দেন। একইসঙ্গে ড্যাবের নির্বাচনেও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তারা।

ড্যাবের আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে নিটোর (পঙ্গু হাসপাতাল), জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, জাতীয় নিউরোসাইন্স ইনস্টিটিউট এবং শিশু হাসপাতালের জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী চিকিৎসকদের উদ্যোগে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

নিটোরের আর জে গারস্থ হলে অনুষ্ঠিত সভায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রায় চার শতাধিক চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন। জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ সর্বস্তরের চিকিৎসকদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি সভাকে পরিণত করে এক মিলনমেলায়।

সভায় নেতারা বর্তমান প্রেক্ষাপটে চিকিৎসকদের অধিকার, সংগঠনের কাঠামোগত সমস্যা, ভোটার তালিকার বৈষম্য, কর্মপরিবেশ এবং আগামীর রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা নিয়ে আলোচনা করেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল শাখার সাবেক সভাপতি এবং ড্যাবের সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. খায়রুল ইসলাম। সভা যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন ড্যাবের শিশু হাসপাতাল শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. এম এ কামাল ও ডা. জাভেদ হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় শিশু হাসপাতালের ড্যাব শাখার সভাপতি ডা. মো. আজহারুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘সদ্যবিদায়ী ড্যাব কমিটি অগণতান্ত্রিকভাবে বহু যোগ্য ও পরীক্ষিত জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। অবিলম্বে বঞ্চিত চিকিৎসকদের নাম পুনঃঅন্তর্ভুক্ত করে পূর্ণাঙ্গ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে। এ বিষয়ে চিকিৎসক সমাজ কোনো ছাড় দেবে না।’ 

ডা. এম এ কামাল বলেন, ‘তারেক রহমানের প্রজ্ঞাপূর্ণ ভিশনের আলোকে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো এখন সময়ের দাবি।’ 

পাশাপাশি তিনি ভোটার তালিকা পুনর্গঠনের ওপর জোর দেন এবং বলেন, ‘ভোটার তালিকা অবশ্যই নির্ভুল ও নিরপেক্ষ হতে হবে। চিকিৎসকদের আত্মমর্যাদা ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় এটা জরুরি।’

সাওন/সালমান/