বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে হত্যার ঘটনা নিরপেক্ষ তদন্ত করতে জাতিসংঘকে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। সেই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেও চিঠি দেবে দলটি।
শনিবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের এ সিদ্ধান্ত জানান মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে সমর্থন দেওয়ায় ৫০ জন প্রবাসী আটক হয়েছেন, তাদের মুক্তির জন্য ইইউকে ও সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আমরা চিঠি দেব। দু-এক দিনের মধ্যে চিঠিগুলো সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হবে।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনে সরকার নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। অনেকে মনে করছেন, আমরা ছাত্র আন্দোলন বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছি না। কিন্তু ছাত্র আন্দোলনে সারা দেশে যে হত্যাকাণ্ড হয়েছে, তার তদন্তের জন্য আগেও বলেছি। দেশে ও বিদেশে কিছু গণমাধ্যম বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিভ্রান্তিক খবর প্রচার করছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির হচ্ছে বলে প্রচার করা হচ্ছে। আমরা মনে করি, এটা একেবারেই সঠিক নয়। কিছু কিছু জায়গায় সমস্যা তৈরি হয়েছে, যা সাম্প্রদায়িক নয়, এগুলো রাজনৈতিক ঘটনা। এসব ঘটনার সঙ্গে বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা হচ্ছে। এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে বিএনপি জড়িত নয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘দেশের সুষ্ঠু স্বাভাবিক কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তি জড়িত নয়। এটা সম্পূর্ণভাবে একটা চক্রান্ত চলছে। নতুন করে যে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে, তা নস্যাৎ করার চক্রান্ত শুরু হয়েছে। দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে দ্রুততার সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ শুরু করায় তাদের বিএনপির পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, জয়নাল আবেদীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মাসুদ আহমেদ তালুকদার, আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল ও সহ-আইনবিষয়ক সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন প্রমুখ।