আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দিল্লির ক্রীতদাস বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিনিয়র আইনজীবী বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান।
শনিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে জেলার ইটনা উপজেলার রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘মোদি মনে খুব কষ্ট পাইছে। এখন ইন্ডিয়া দুই ভাগ। হাসিনারে দিল্লি সাপোর্ট করে আর কলকাতার মমতা ব্যানার্জি সাপোর্ট করে আমাদের আন্দোলনকে। পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, ‘বাংলার কোনো সন্তান যদি বিপদে পড়ে, হাসিনার গুলি খেয়ে আমার দরজায় এসে টোকা দেয়- সেই দরজা আমি খুলে দেব।”
তিনি আরও বলেন, ‘১৫ বছর পর দেশের মানুষ মুক্ত বাতাসে নিশ্বাস ফেলতে পারছে। আমাদের সোনার ছেলেরা আমাদের জন্য এ স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। আমরা এখন স্বাধীন। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা অনেক কঠিন। আমাদের সবাইকে এ লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।’
ইটনা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এসএম কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে ফজলুর রহমানের সহধর্মিণী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী উম্মে কুলসুম রেখা, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুজ্জামান ঠাকুর স্বপন, সিনিয়র সহসভাপতি মো. মনির উদ্দিন, সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম সোহাগ ও হাবিবুল হান্নান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম পলাশ ও সোমেশ গোপ, ধনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ভজন কান্তি দাস, সদর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি এম এ সালেক, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার বেপারী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানায়, বিগত ১৩ বছর ধরে হাওরে বিএনপির প্রকাশ্য রাজনীতি অনেকটা নিষিদ্ধই ছিল কিশোরগঞ্জের ইটনায়। সমাবেশ করা দূরে থাক, মিছিল-স্লোগানও দিতে পারতেন না বিএনপি নেতাকর্মীরা। এক প্রকার জিম্মি অবস্থায় নিজ বাসভূমে পরাধীন জীবনযাপন করেছেন সেখানকার নেতা-কর্মীরা। গায়েবি মামলা, অত্যাচার আর নির্যাতনে জর্জরিত হন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। জেল-জুলুম আর নির্যাতনের মধ্য দিয়ে হাওরের এ উপজেলা পরিণত হয়েছিল এক পরিবারের শাসনের ক্ষেত্র।
তাসলিমা মিতু/সাদিয়া নাহার/অমিয়/