ঢাকা ৩০ ভাদ্র ১৪৩১, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শেখ হাসিনা ভারতে বসে নতুন ষড়যন্ত্র করছেন: জাগপা

প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৪, ০৬:৩১ পিএম
শেখ হাসিনা ভারতে বসে নতুন ষড়যন্ত্র করছেন: জাগপা
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্র করছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ও যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি এ এস এম রহমত উল্লাহ ভূঁইয়া।

তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতে বসে পরিকল্পনা অনুযায়ী ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী, চোর-ডাকাতদের দিয়ে বাংলাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার ষড়যন্ত্র করছেন।’ 

শনিবার (১০ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৩টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে একটি হোটেলে জাগপা যুক্তরাষ্ট্র শাখা আয়োজিত ‘বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট ও ভারতীয় আগ্রাসন শীর্ষক’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রহমত উল্লাহ ভূঁইয়া।

সীমান্তে ফেলানীসহ নিহতদের পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ এবং তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি আগ্রাসনের কারণে কৃষিখাতে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ ভারত সরকারের কাছ থেকে আদায়ের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য ভারত একটি বড় হুমকি। সুতরাং বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের রেল-যোগাযোগ বন্ধ করে দিতে হবে। পিলখানায় বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) গণহত্যার বিচার এবং এর সঙ্গে জড়িত গুপ্তচরদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় বাংলাদেশ কখনো নিরাপদ হবে না।’ 

নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে জাগপার এই নেতা বলেন, ‘প্রবাসীরা দেশের অর্থনৈতিক যোদ্ধা। আমরা দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বাত্মক সহায়তা করব।’

শফিকুল ইসলাম/সালমান/

হাজার বছরেও শেখ হাসিনার মতো নির্মম কারও জন্ম হয়নি: মামুনুল হক

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৪১ পিএম
আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৫৭ পিএম
হাজার বছরেও শেখ হাসিনার মতো নির্মম কারও জন্ম হয়নি: মামুনুল হক
টাঙ্গাইলে নৈরাজ্য বিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মুফতি মামুনুল হক। ছবি: খবরের কাগজ

হাজার বছরেও শেখ হাসিনার মতো নির্মম কারও জন্ম হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মুফতি মামুনুল হক।

তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল শান্ত স্বাভাবিক পরিবেশে এমনভাবে একটি সাধারণ ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে হত্যাযজ্ঞ চালানো যায়, যা আজ একবিংশ শতাব্দীতে এসে কল্পনা করা কঠিন। এ জন্য আমি বলে থাকি বাংলাদেশে হাজার বছরের মধ্যে শেখ হাসিনার মতো এতো নির্মম, এতো বর্বর কোনো মানুষের জন্ম হয়েছে কি না আমার সন্দেহ হয়। এ নির্মমতার শিকার হয়েছে আমাদের কোমলমতি ছাত্ররা। শিকার হয়েছে সাধারণ জনতা ও মাদরাসার ছাত্ররা। 

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় টাঙ্গাইল জেলা খেলাফত মজলিসের আয়োজনে শহরের পৌর উদ্যানে  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে দোয়া এবং নৈরাজ্যবিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

মামুনুল হক বলেন, মানুষকে গুমের পর গুম করেছে হাসিনা। মানুষ এখন তাদের স্বজনদের জন্য হাসপাতাল থেকে হাসপাতাল ঘুরে। তাদের ফিরে আসার অপেক্ষায় থাকে। এই ছিল শেখ হাসিনার বাংলাদেশের চিত্র। এই বাংলাদেশ গড়ার জন্য এই দেশের হাজারো মানুষ রক্ত দেয়নি, এই বাংলাদেশ থেকে শেখ হাসিনাকে আল্লাহ বিতারিত করে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ করে দিয়েছে।’ 

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার ৫০ বছরের রাজনীতির কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। তার মধ্যে এক নম্বর বৈশিষ্ট্য হলো- শেখ হাসিনার রাজনীতি ছিল প্রতিশোধের রাজনীতি। ১৯৭৫ সালে তার বাবাকে কেন হত্যা করা হয়েছিল, সে কথা তিনি ভুলে গেছেন। একাত্তরে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে তাদের প্রতি মায়া নেই, মায়া শুধু শেখ পরিবারের জন্য। বঙ্গবন্ধুর রক্তের যেমন দাম আছে তেমনি সাধারণ মানুষের রক্তেরও দাম ছিল।’ 

খেলাফত মজলিসের এই নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনা এই দেশকে স্বাধীন রাখতে চাননি, মানুষকে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিতে চেয়েছিলে, পদ্মা সেতু মনে হয় শেখ হাসিনার বাবার টাকায় করেছে। শেখ হাসিনা মনে মনে ভেবেছিল, তোমরা বেশি বুঝবা বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গ রাজ্য বানিয়ে দেব।’

‘সীমান্তের ওপার থেকে আপা সংবাদ পাঠায় চট করে দেশে ঢুকে পড়ার পায়তারা করা হচ্ছে। আপা যেখানে আছেন ভালো আছেন সময় মতো আমরা ধরে নিয়ে আসবো। এর আগে দেশে ঢুকার চেষ্টা করবেন না। এদেশের মানুষের কবলে আর বাঁচবেন না’, বলেন এই নেতা।

সমাবেশে টাঙ্গাইল জেলা কওমি ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিসের জেলার সভাপতি হাফেজ এনামুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা কামরুল হাসান প্রমুখ।

জুয়েল রানা/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

ঐক্য বিনষ্টের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে : মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৭ পিএম
আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৪ পিএম
ঐক্য বিনষ্টের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে : মির্জা ফখরুল
জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : খবরের কাগজ

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে আমাদের যে ঐক্য সৃষ্টি হয়েছিল, তা যেন আমরা অটুট রাখতে পারি। আজকে সুপরিকল্পিতভাবে সেই ঐক্যকে বিনষ্ট করার একটি চক্রান্ত চলছে। সে বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’ 

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

জাস্ট নিউজের সম্পাদক ও মানবাধিকার সংস্থা রাইট টু ফ্রিডমের নির্বাহী পরিচালক মুশফিকুল ফজল আনসারী প্রায় এক দশক যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসনে ছিলেন। বাংলাদেশে তার প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এটি আয়োজন করেন জাতীয় প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ও সাংবাদিক সমবায় সমিতি লিমিটেড। এ সময় সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীকে ফুলেল সংবর্ধনা দেন জাতীয় প্রেসক্লাবের নেতারা।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আমাদের ছাত্র-জনতার একটা অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বিজয় অর্জন করেছি। কিন্তু এই বিজয় তখনই সুসংহত হবে, যদি আমরা এটাকে ধরে রাখতে পারি। এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী গণতন্ত্রের সত্যিকারের নায়ক। আমরা যখন কথা বলতে পারিনি, তখন মুশফিক আমেরিকা এবং ইউরোপে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এমন সন্তান বাংলার ঘরে ঘরে জন্ম নেওয়া দরকার। মুশফিক আমাদের ও দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের কাছে হিরো হিসেবে থাকবেন।’ 

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সরকারি কর্মকর্তা সমিতির নেতা ড. নেয়ামত উল্যাহ, বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব অ্যাডভোকেট গোবিন্দচন্দ্র প্রামাণিক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাবেক সভাপতি এলাহী নেওয়াজ খান সাজু, কবি আব্দুল হাই শিকদার। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম প্রমুখ।

দেশ পুনর্গঠনে নতুন বার্তা দেবেন তারেক রহমান : ডা. জাহিদ

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০১ পিএম
আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০১ পিএম
দেশ পুনর্গঠনে নতুন বার্তা দেবেন তারেক রহমান : ডা. জাহিদ
যৌথ সভায় কথা বলছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। ছবি : খবরের কাগজ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ১৫ সেপ্টেম্বর বিএনপির সমাবেশ থেকে আগামী দিনের বাংলাদেশ পুনর্গঠনে নতুন বার্তা দেবেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ হবে। সেই সমাবেশ হবে অন্যতম বৃহৎ সমাবেশ।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর সমাবেশের প্রস্ততি নিয়ে যৌথ সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, হাবিব-উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কাজী সাইদুল আলম বাবুল প্রমুখ। 

জাহিদ হোসেন বলেন, ‘স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণের পর নেতা-কর্মীরা নিজেদের ভবিষ্যতের আখের গোছানোর জন্য দেশের সম্পত্তিকে পৈতৃক সম্পত্তির মতো করে লুটপাট করেছে। শেখ হাসিনার সরকার ২০১৪ সালে বিনাভোটে নির্বাচন করেছে, ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে করেছে, ২০২৪ সালে ডামি নির্বাচন করে দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। সেই সঙ্গে নিজের ক্ষমতাকে বাঁচিয়ে রাখতে সব প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধানকে কাটাছেঁড়া করতে করতে একটি দলীয় সংবিধানে পরিণত করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছে। আইন-আদালতকে যেমন ইচ্ছা তেমনভাবে ব্যবহার করেছে।’

গুম-খুন প্রসঙ্গ টেনে ডা. জাহিদ বলেন, ‘বিরোধীদলের নেতা-কর্মী, সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে লাখ লাখ মামলা দেওয়া হয়েছে। যে তার অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা তাকে হত্যা বা গুম করা হয়েছে।’

ভোটের অধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশে হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে খালেদা জিয়া দীর্ঘ সময় আন্দোলন করেছেন। এখন তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা আন্দোলন করছি। বিএনপি আন্দোলনে ছিল, থাকবে। যতদিন পর্যন্ত ভোটের অধিকার আর গণতন্ত্র ফিরে না আসবে।’

এবারের আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস বিশেষ গুরুত্ব বহন করে মন্তব্য করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে শহিদদের স্মরণে ১৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের স্মরণ করতেই ১৪ সেপ্টেম্বরের সমাবেশ। সেখানে কথা বলবেন শহিদ পরিবারের সদস্যরা।’ এ উপলক্ষে বিএনপি দুদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বলেও জানান তিনি।

ডা. জাহিদ আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মানেই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ। আওয়ামী লীগ আসলেই একের পর গণমাধ্যম বন্ধ হয়। ইলিয়াস আলীর কবর কোথায়? বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা কোথায়? এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।’

শফিকুল ইসলাম/সালমান/

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ নিরপেক্ষ নির্বাচন : এবি পার্টি

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০৫ পিএম
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ নিরপেক্ষ নির্বাচন : এবি পার্টি
প্রতিনিধি সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু। ছবি : খবরের কাগজ

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেওয়া বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির শীর্ষ নেতারা।

তারা বলেন, ‘দেশ এখনো পুরো স্থিতিশীল নয়। পুরো পরিবেশের দিকে নজর রাখতে হবে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী সবাইকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।’

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের মেজর হায়দার মিলনায়তনে দিনব্যাপী এবি পার্টির জেলা ও মহানগর প্রতিনিধি সম্মেলনে নেতারা এসব কথা বলেন।

পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুইয়ার সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ প্রমুখ।  

সভাপতির বক্তব্যে সোলায়মান চৌধুরী বলেন, ‘হাজারো ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায়ের পর আমরা নতুন বাংলাদেশের রাজনীতি শুরু করেছি। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পরও বিগত স্বৈরাচারের পদলেহনকারী নির্বাচন কমিশন নিবন্ধন দেয়নি। আদালতের মাধ্যমে এবি পার্টি নিবন্ধন পেয়েছে। এখন আমাদের জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে।’

আব্দুল ওহাব মিনার বলেন, ‘জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য হাজারো শহিদের রক্ত ঝরেছে। অতীতের মতো জনগণের অধিকার লুণ্ঠিত হওয়ার আর কোনো সুযোগ দেব না। এখন থেকে এবি পার্টির নেতাদের মাঠে-ময়দানে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।’ 

মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘জেলা ও মহানগর নেতারাই পার্টির মূল খুঁটি। আপনারা আমাদের ঘোষণা বা নির্দেশনার দিকে তাকিয়ে না থেকে নিজ নিজ জেলা ও মহানগরে জনসম্পৃক্ত সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে গণমুখী কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামুন।’

তিনি বলেন, ‘এবি পার্টিকে আগামী দিনে গণমানুষের দলে পরিণত করতে হবে। ইউনিয়ন, উপজেলা, থানা ও মহানগরীর সব ইউনিট শক্তিশালী হয়ে আসছে।’ জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান মঞ্জু। 

সম্মেলনে ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, ‘রাষ্ট্র মেরামত এবং নতুন বাংলাদেশ তৈরিতে আমরা ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছি। আমরা এমন দেশ আর চাই না যেখানে ক্ষমতায় থাকার পর শেখ হাসিনার মতো পালিয়ে যেতে হয়, অবৈধভাবে বর্ডার পার হতে গিয়ে জনরোষের শিকার হতে হয়। এমন রাষ্ট্র চাই, যেখানে ন্যায়বিচার থাকবে, সব নাগরিক তার অধিকার পাবে।’ 

সম্মেলনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক, লে. কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন, সহকারী সদস্যসচিব ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানা মিলি, গাজীপুর জেলা সদস্যসচিব এম আমজাদ খান, দিনাজপুর জেলা সদস্যসচিব মেহেদী হাসান চৌধুরী পলাশ, কুমিল্লা জেলা সমন্বয়ক মিয়া মোহাম্মদ তৌফিক, কক্সবাজার জেলা আহ্বায়ক এনামুল হক শিকদার প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/সালমান/

শেখ পরিবার দেশটাকে জমিদারি মনে করত : রিজভী

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৫ পিএম
শেখ পরিবার দেশটাকে জমিদারি মনে করত : রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

শেখ পরিবার বাংলাদেশটাকে জমিদারি মনে করত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দিনাজপুরে গুলিতে আহত দিনমজুর রশিদুল ও তার সন্তানকে দেখতে যান রিজভী। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ‘আমরা বিএনপির পরিবার’-এর মাধ্যমে নগদ টাকা, খাদ্য ও উপহারসামগ্রী বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ মন্তব্য করেন।

গণমাধ্যমে প্রচারিত শেখ হাসিনার নিজেকে প্রধানমন্ত্রী দাবি করে ফোন রেকর্ডের বিষয়ে রিজভী বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচার পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে নিজেকে প্রধানমন্ত্রী বলছেন হারানোর বেদনা থেকে। কারণ শেখ পরিবার বাংলাদেশটাকে জমিদারি মনে করত। এভাবে ১৫-১৬ বছর দেশ পরিচালনা করেছেন। যেই বিরুদ্ধে কথা বলতে গেছেন, তাকে অদৃশ্য করে দিয়েছেন। বিরোধী কোনো কণ্ঠস্বর তিনি রাখতে চাননি। দমনের জন্য একদিকে যেমন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো কালাকানুন করেছেন, তেমনি প্রত্যক্ষভাবে দমনের জন্য এমনভাবে র‌্যাব-পুলিশকে গঠন করেছিলেন, যাদের অধিকাংশ কর্মকর্তা ছিলেন আওয়ামী লীগ ঘরানার অথবা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের।’

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার দানবীয় সরকারের পতন ঘটাতে দীর্ঘ ১৫ বছরের আন্দোলনে বিএনপির ৮০০-এর বেশি নেতা-কর্মী গুম হয়েছেন। বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন অসংখ্য নেতা-কর্মী। দীর্ঘ ১৫ বছরের আন্দোলনের পটভূমিতে গত জুলাইয়ে গণ-অভ্যুত্থানের অগ্নিমশাল জ্বলে ওঠায় এর চূড়ান্ত পরিণতি হয়েছে শেখ হাসিনার দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া।’

রিজভী আরও বলেন, ‘বিএনপির কেউ যদি চাঁদাবাজি, দখলবাজির সঙ্গে জড়িত থাকার খবর পেলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এ পর্যন্ত ৫ শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’ 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রশিদুল গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তার স্ত্রী এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। রশিদুলের চিকিৎসার খরচ জোগাতে গিয়ে সন্তানকে দত্তক রেখে ২৫ হাজার টাকা আনার খবর প্রকাশিত হয়েছিল গণমাধ্যমে। এই খবর দেখে তাদের সহায়তার নির্দেশ দেন তারেক রহমান। এ সময় দিনাজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোফাজ্জল হোসেন, সহসভাপতি মোকারম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা উপস্থিত ছিলেন।