বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্লোবাল অ্যাগ্রোট্রেড প্রাইভেট লিমিটেড (গ্যাটকো) দুর্নীতির অভিযোগে করা মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। এই মামলার শুনানির জন্য আগামী ৮ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ আদালতের বিচারক আলী হোসেনের আদালত
রবিবার (১১ আগস্ট) এই নির্দেশ দেন।
এদিন মামলাটির অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্যই ধার্য ছিল। তবে খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। আদালত সময় চাওয়া আবেদন মঞ্জুর করে নতুন দিন ধার্য করে এই আদেশ দেন।
সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও থানায় এ মামলা করা হয়। এতে আসামি করা হয় চারদলীয় জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনকে। মামলার পর দিন খালেদা জিয়া ও কোকোকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয় জরুরি ক্ষমতা আইনে। পরের বছর ১৩ মে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোকে ঢাকার কমলাপুর অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপো (আইসিডি) ও চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাইয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার ক্ষতি করেছেন।
বর্তমানে খালেদা জিয়াসহ এ মামলার ১৫ আসামি হলেন, সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান কমডোর জুলফিকার আলী, প্রয়াত মন্ত্রী কর্নেল (অব.) আকবর হোসেনের স্ত্রী জাহানারা আনছার, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন ও এ কে এম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, সাবেক নৌসচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য এ কে রশিদ উদ্দিন আহমেদ, তৎকালীন গ্যাটকো পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, সৈয়দ তানভীর আহমেদ ও সৈয়দ গালিব আহমেদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান এ এস এম শাহাদত হোসেন ও বন্দরের সাবেক পরিচালক (পরিবহন) এ এম সানোয়ার হোসেন।
এ ছাড়া মামলার ২৪ আসামির মধ্যে সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমানসহ ৮ জন মারা গেছেন। আর জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ায় তাকেও মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।