ঢাকা ১ আশ্বিন ১৪৩১, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

হিন্দুদের ঢাল বানিয়ে ষড়যন্ত্র করছে আ.লীগ: নিতাই রায়

প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৪, ১১:২৬ এএম
হিন্দুদের ঢাল বানিয়ে ষড়যন্ত্র করছে আ.লীগ: নিতাই রায়
শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখছেন নিতাই রায়

দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি অংশকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ নতুন করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী।

সোমবার (১২ আগস্ট) বিকেলে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে আওয়ামী লীগবিরোধী হিন্দু সমাজের ‘শান্তির পথে আমরা বাংলাদেশি’ শীর্ষক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন। 

নিতাই রায় চৌধুরী আরও বলেন, ‘যেমনিভাবে হিটলার, মুসোলিনি, চেঙ্গিস খান, টিক্কা খান, ইয়াহিয়া খান ফিরে আসে নাই, ঠিক তেমনি শেখ হাসিনা ফিরে আসবেন না। কিন্তু হিন্দুদের একটি অংশকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে পরাজিত শক্তি ষড়যন্ত্র করছে। আওয়ামী লীগের এই পাতানো সাম্প্রদায়িক উসকানিতে কেউ পা দেবেন না।’

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে তাদের ওপর সহিংসতার প্রতিবাদে শাহবাগে বিক্ষোভ করছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আরেকটি অংশ। তাদের উদ্দেশে নিতাই রায় বলেন, ‘এই গণ-অভ্যুত্থানে হিন্দু, মুসলিম ছাত্র-জনতা সবাই যোগ দিয়েছে। এখানে কোনো বিশেষ সম্প্রদায়ের ব্যাপার ছিল না। এখানে কোনো সাম্প্রদায়িকতা ছিল না। আজকে কোনো সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্ব হচ্ছে না। এই দ্বন্দ্ব হচ্ছে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। তারা যেটাকে সাম্প্রদায়িকতা বলতে চাচ্ছে, এটা সাম্প্রদায়িকতা নয়।’ 

বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাইবোনকে বলব, আওয়ামী লীগ থেকে খুব সাবধান। যতবার তারা ক্ষমতা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে, তারা আপনাদেরকে ব্যবহার করেছে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন তো এ রকম হয় নাই। যেটা আমরা নাসিরনগরে দেখেছি, রামুতে দেখেছি, যশোরে দেখেছি, অভয়নগরে দেখেছি। আমাদের সময় তো এ রকম হয় নাই। ইনশাআল্লাহ আপনাদের ভোটে যদি বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে, তাহলে একজন মুসলমান, একজন হিন্দু, একজন বৌদ্ধ ও একজন খ্রিষ্টানের মধ্যে কোনো রকম বৈষম্য হবে না। বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষ একই অধিকার ভোগ করবে।’

ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী বলেন, ‘আজকের অবস্থান কর্মসূচিতে হিন্দু-বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের দিদি ও দাদার এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের বোনেরা ও ভাইয়েরা সবাই ঐক্যবদ্ধ আছে। এটা হলো বাংলাদেশের প্রকৃত চিত্র। এই চিত্র ও বিজয়কে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা নস্যাৎ করতে চায়। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নস্যাৎ করতে চায়। কোনো লাভ হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘হাসিনা পালিয়ে গেছে। ছাত্র-জনতার বিজয় হয়েছে। কোনো অপচেষ্টা করে লাভ নাই। আপনারা প্রত্যেকে পাড়ায় পাড়ায়, মহল্লায়-মহল্লায় পাহারা দেবেন, যাতে দুর্বৃত্তরা, সন্ত্রাসীরা ও স্বৈরাচারীরা বাংলাদেশের মাটিতে কোনো অপকর্ম ও ষড়যন্ত্র করতে না পারে।’ 

সমাবেশে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ রায় সাহস বক্তব্য দেন।

অন্তর্বর্তী সরকারকে অনির্দিষ্টকাল ক্ষমতায় রাখার চক্রান্ত করা হচ্ছে: ফখরুল

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:১৯ পিএম
আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২০ পিএম
অন্তর্বর্তী সরকারকে অনির্দিষ্টকাল ক্ষমতায় রাখার চক্রান্ত করা হচ্ছে: ফখরুল
ছবি : খবরের কাগজ

অন্তবর্তী সরকারকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্ষমতায় রাখতে একটি বিশেষ মহল চক্রান্ত করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘অন্তবর্তী সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে ইতোমধ্যে বিশেষ মহল তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছে। তারা নাকি একবারে দেশটাকে সংস্কার করে পরিবর্তন করে ফেলবে। তাহলে তো জনগণের দরকার নেই, পার্লামেন্টের দরকার নেই। অন্তর্বর্তী সরকারের দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা জনগণ মানবে না।’

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) আয়োজিত ‘দ্বি-কক্ষ পার্লামেন্ট : উচ্চকক্ষের গঠন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

জেএসডি সভাপতি আসম আবদুর রবের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- ১২ দলীয় জোট প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহামুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একটি পত্রিকায় ব্র্যাক ইনস্টিটিউট জরিপ করে দেখিয়েছে- যতদিন খুশি এই সরকার থাকুক। আমি জানিনা তারা কীভাবে এই জরিপ করলো। কিন্তু জনগণতো এটা মেনে নেবে না। জরুরি সংস্কার শেষ অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনের দেওয়ার বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে।’

নতুন রাজনৈতিক দল তৈরির প্রস্তাবনাকে নতুন চক্রান্ত বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এই সরকারের মধ্যে যারা দায়িত্ব পেয়েছেন তারাও বলছেন নতুন দল গঠন করতে হবে। তাহলে তারা কীভাবে নিরপেক্ষ হবে? নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হচ্ছে, নতুন সরকারের দীর্ঘমেয়াদী সময় নিয়ে ক্ষমতায় থাকার কথাও বলা হচ্ছে। এ ধরনের পদক্ষেপ দেশের জনগণ মেনে নেবে না।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে সুযোগ পেয়েছি তা নস্যাৎ করার চক্রান্ত শুরু হয়েছে। এ জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার গত ১৫বছর ক্ষমতায় থেকে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। গণতান্ত্রিক সব প্রতিষ্ঠান নষ্ট করে ফেলছে।’

তিনি নূন্যতম যে সংস্কার প্রয়োজন তা করে অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করার দাবি জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করে দেন। জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হলে অবশ্যই পার্লামেন্ট প্রয়োজন। পার্লামেন্ট না হলে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে না। ফলে দ্রুত অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার পর সেই সরকার সিদ্ধান্ত নেবে কোথায় কোন জায়গায় পরিবর্তন করতে হবে। তখন সংবিধান নতুন করে লিখতে হবে নাকি সংশোধন হবে সেটা সংসদ সিদ্ধান্ত নেবে।’ 

অভ্যুত্থানের পরে দায়ের হওয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও শহিদদের ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আজকে দীর্ঘ ত্যাগ তিতিক্ষার পরে ১৫ থেকে ১৭ বছর নির্যাতিত হয়েছি। বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন কারাভোগ করেছেন। আমাদের নেতা তারেক রহমান নির্যাতিত হয়ে বিদেশে আছেন। ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারদের হয়ে যারা কাজ করেছে তাদের সে সমস্ত জায়গা থেকে অপসারণ করা হয়নি। অতি দ্রুত তাদের চিহ্নি করে ব্যবস্থা নিতে হবে।’

আলোচনাসভায় বক্তারা দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদের নানা ইতিবাচক দিক তুলে ধরে বলেন, ‘এ রকম সংসদে দেশের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন সংসদ সদস্যরা।’

শফিকুল ইসলাম/জোবাইদা/অমিয়/

বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের জরুরি যৌথসভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২৮ পিএম
বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের জরুরি যৌথসভা অনুষ্ঠিত
ছবি : খবরের কাগজ

বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের জরুরি যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তোপখানা রোডের কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল ও সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদভুক্ত ২১টি শ্রমিক সংগঠন নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রকৌশলী ফয়েজ আহম্মেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বক্তব্য রাখেন বামপন্থী নেতা কমরেড টিপু বিশ্বাস।

প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন চলমান শ্রমিক-কর্মচারী আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকট শিমুল বিশ্বাস।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসাইন, এসএসপি’র মোশারফ হোসেন, মোশারেফ হোসেন মন্টু, হারুনুর রশিদ, আব্দুর রহমান, মীর মোফাজ্জল হোসেন, সোহেল সিকদার, রফিকুল ইসলাম পথিক, বাবুল বিশ্বাস, নেক মোহাম্মদ, বাচ্চু ভূইয়া, শ্রমিক দলের রফিকুল ইসলাম, মন্জুরুল ইসলাম মন্জু , এসএসপি’র সোহেল সিকদার, সোহেল রানা সম্পদ, সাইফুল ইসলাম, মওলানা ওমর ফারুক, কাইয়ুম হোসেন, দেবাশীষ বিশ্বাস, ফিরোজ মিয়া, জামিল হোসাইন, একেএম আওয়াল প্রমূখ।

সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। 

সভায় বিবিএস’এর সরকারি হিসাবে বাংলাদেশে সাত কোটি ৩৫ লাখ শ্রমিক কর্মচারী রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

সভা বিবিএসের হিসাব মতো সব শ্রমিক-কর্মচারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য, অসংগঠিত শ্রমিক-কর্মচারীদের সংগঠিত করে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা এবং শিল্পকারখানায় উৎপাদন স্বাভাবিক রাখা ও শ্রমিক-কর্মচারীদের নায্য মজুরি প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল ও সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদভুক্ত ২১টি শ্রমিক সংগঠন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার দৃঢ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

সভায় ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে নিহত শ্রমিক-কর্মচারীদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও আহতদের সুচিকিৎসার জন্য রাষ্ট্র ও সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

সভায় ফ্যাসিবাদের সব চিহৃ উচ্ছেদের জন্য সরকারকে সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ করে গণতন্ত্র সুসংহত করার জন্য নির্বাচিত সরকার গঠনের আহ্বান জানানো হয়।

সভায় শিল্পকারখানায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রক্ষা ও শ্রমিক-কর্মচারীদের নায্য মজুরি আদায়ের জন্য শিল্পাঞ্চল, কল-কারখানা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিক-কর্মচারীদের সভা করার সিদ্ধান্ত হয়।

অমিয়/

কাদের গনি চৌধুরী আল্লাহর ভালোবাসা পেতে রাসুলের (সা.) পথ অনুসরণ করতে হবে

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:০৪ পিএম
আল্লাহর ভালোবাসা পেতে রাসুলের (সা.) পথ অনুসরণ করতে হবে
ছবি : খবরের কাগজ

‘আল্লাহর বিধান প্রতিপালন ও প্রিয় নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাতের অনুসরণই দুনিয়ার শান্তি ও পরকালে মুক্তির একমাত্র পথ। পবিত্র কুরআনের বর্ণনায়- প্রিয় নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ভালোবাসা মুমিনের ইমান; আর তাঁর রেখে যাওয়া আদর্শ তথা, সুন্নাতের অনুসরণই হচ্ছে তাকে ভালোবাসার প্রমাণ।’

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্যসচিব ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী।

আহলা দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন আলহাজ হয়রত মওলানা শাহসূফি সৈয়দ মুহাম্মদ এমদাদুল ইসলামের (ম.জি.আ.) সভাপতি আলোচনায় অংশ নেন- মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ মাইনুল ইসলাম জুনায়েদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল, আলহাজ শহিদুল ইসলাম বাবুল, হাজী সেলিম আহমেদ সালেম প্রমুখ।

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ‘‘বিশ্ব জাহানের স্রষ্টা এবং প্রতিপালক মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বিশ্ববাসী সব সৃষ্টির ইহকালীন শান্তি ও পারলৌকিক মুক্তির জন্য মহানবী হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পাঠিয়েছিলেন এই ধরাধামে। প্রথম নবী হযরত আদম আলাইহিস সালাম থেকে শুরু করে নবুয়তের ধারাবাহিকতায় তিনি এ পৃথিবীতে আগত সর্বশেষ নবী এবং রাসূল। তাঁর আগমনে গোটা বিশ্বজাহান আনন্দে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠেছিল। আকাশে বাতাসে ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হয়ে উঠেছিল মুক্তির বারতা। তাঁর আগমনে স্রষ্টাকে ভুলে যাওয়া মানবজাতি নতুন করে সন্ধান পেয়েছিল মুক্তিপথের। তাওহিদের অমিয় বাণী কালিমা ‘লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ তথা এক আল্লাহ ব্যতিত আর কোনো উপাস্য নেই- এই মহাসত্যের বুলন্দ আওয়াজ ছড়িয়ে পড়েছিল জগতময়। সত্যের পথে, শান্তির পথে, মুক্তির পথে ফিরে আসার সুযোগ লাভ করেছিল জগৎবাসী। লাত, মানাত, উযযা, হুবলদের মতো মিথ্যে এবং অসার উপাস্যদের বিদায়ের বারতা ঘোষিত হয় বিশ্বময়। মানব সৃজিত অন্ধকার এবং পঙ্কিলতার পথ ছেড়ে বনি আদম পুনরায় মাথা নত করার শিক্ষা লাভ করে এক আল্লাহর সামনে। আজকের বিশ্ববাসীর কল্যাণ ও মুক্তিও তাঁর রেখে যাওয়া সুমহান আদর্শ ধারণ করার মধ্যেই। সেই মহান আদর্শের ছায়াতলেই হোক আমাদের পথচলা।’

সাংবাদিকদের এ নেতা বলেন, ‘‘হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন ইনসানে কামিল বা পরিপূর্ণ মানব। মানবীয় অবয়বে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ’লার গুণাবলী যতটুকু ধারণ করা সম্ভব, তার সর্বোচ্চ সমাহার ঘটেছিল মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মধ্যে। আয়শা রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহার বাচনিকে, ‘প্রিয় নবীজীর জীবন ছিল জীবন্ত কুরআন’। তাঁর শুভাগমনে ইসলামের পরিপূর্ণতা ঘটেছে।’’

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ‘হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুমহান আদর্শ ও সর্বোত্তম চরিত্র অনুসরণ করার মধ্যেই সফলতা, স্বার্থকতা, মুক্তি এবং চূড়ান্ত কামিয়াবি। ইহকাল পরকালে সফলতা ও নাজাতের জন্য বিশ্ববাসী প্রত্যেকের জন্য তাঁর অনুসরণই একমাত্র কর্তব্য।’

তিনি নবী মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইতিহাসের অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব উল্লেখ করে বলেন, ‘‘অন্য ধর্মাবলম্বীরাও তাঁকে মানবজাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সংস্কারক ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী বিখ্যাত পণ্ডিত মাইকেল এইচ হার্ট তার বহুল আলোচিত ‘দ্য হান্ড্রেড’ গ্রন্থে হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ’ হিসেবে স্থান দিয়েছেন। ব্রিটিশ মনীষী সাহিত্যিক জর্জ বার্নার্ড শ বলেছেন, এই অশান্ত পৃথিবীতে তার মতো একজন মানুষের প্রয়োজন। তিনি বেঁচে থাকলে পৃথিবী জুড়ে সুখের সুবাতাস বইতো। তার আগমনে যে বিপ্লবের সূচনা হয়েছিল, দুনিয়া জুড়ে তা বিস্তৃত হয়েছে।’’

ইসলাম প্রতিশোধে বিশ্বাস করে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর তাবত আদর্শ এবং মতবাদ খুঁজেও এর দ্বিতীয় একটি নজির পাওয়া যাবে না। ইসলামের শিক্ষা, ‘প্রতিবাদের শ্রেষ্ঠ পন্থা উত্তম আচরণ’। প্রিয় নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সারা জীবনের আদর্শ ছিল এটাই। মন্দের প্রতিবাদ তিনি কোনদিন মন্দ কাজ দিয়ে করেননি। প্রতিশোধ নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর সারা জীবনের চরিত্র ছিল উত্তম এবং শ্রেষ্ঠতম আচরণ প্রদর্শন করতেন। ঘোরতর শত্রুদের সঙ্গেও সর্বাবস্থায় তিনি ছিলেন কোমল এবং সর্বোত্তম আচরণের মূর্ত প্রতীক।’

অমিয়/

ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে মুসলিম উম্মাহকে তারেক রহমানের শুভেচ্ছা

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৯ এএম
ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে মুসলিম উম্মাহকে তারেক রহমানের শুভেচ্ছা
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বাণীতে এ শুভেচ্ছা জানান তিনি।

বাণীতে তারেক রহমান বলেন, ‘আমি আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিনের কাছে প্রার্থনা করি, হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগের মহিমা আমরা সবাই যেন নিজেদের জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে পারি। আমি শেষ নবী সাইয়েদুল মুরছালিন হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্য অসংখ্য দরুদ ও তার প্রতি সালাম জানাই।’

তিনি বলেন, ‘মহানবী (সা.)-এর আবির্ভাব ছিল একটি বিস্ময়কর ব্যাপার। মানবজাতি তার আগমনে নিজেদের কল্যাণ ও শান্তির নিশ্চয়তা লাভসহ জগতের সব অত্যাচার-অনাচার, কুসংস্কার, নিষ্ঠুরতা, সামাজিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত, মানবিক অসাম্য ও মানবাধিকার বৈষম্যের ঘোর অন্ধকার যুগ থেকে নিষ্কৃতি লাভের আলোকিত পথের সন্ধান পায়। তিনি মানবতার মুক্তির দিশারী।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘ঈদে মিলাদুন্নবীর দিনে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মহিমান্বিত সত্তার আবির্ভাব ঘটে এই পৃথিবীতে। এই দিনটি শেষ নবীর জন্মদিন হিসেবে মুসলমানের মধ্যে পালিত একটি উৎসব। সৃষ্টির সেরা মানব বিশ্বনবীর মতো এ মহান নেয়ামতের আগমন দিবস কতই না মর্যাদাবান, গুরুত্ববহ, কতই না আনন্দের তা সহজেই অনুমেয়।’ 

আজ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও মানবতার পথপ্রদর্শনকারী মহানবীর ধরাপৃষ্ঠে আবির্ভাবের দিন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালা তার মর্যাদা সুউচ্চ আসনে অভিষিক্ত করেছেন। পৃথিবীতে মানুষ ইহজগত ও পরজগতের মুক্তির সন্ধান পায় এই দিনে।’

তারেক রহমান আরও বলেন, ‘মহানবী (সা.) মানব জাতির জন্য এক অত্যুজ্জ্বল অনুকরণীয় আদর্শ। নিজ যোগ্যতা, সততা, মহানুভবতা, সহনশীলতা, কঠোর পরিশ্রম, আত্মপ্রত্যয়, অসীম সাহস, ধৈর্য, সৃষ্টিকর্তার প্রতি অগাধ বিশ্বাস, নিষ্ঠা ও অপরিসীম দুঃখ-যন্ত্রণা ভোগ করে তিনি তার ওপর অবতীর্ণ সর্বশ্রেষ্ঠ মহাগ্রন্থ আল কোরআনের বাণী তথা তাওহিদ প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালন করেন।’

শেখ হাসিনা মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি করেছেন : মামুনুল হক

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৩ পিএম
শেখ হাসিনা মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি করেছেন : মামুনুল হক
গণসমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। ছবি : খবরের কাগজ

শেখ হাসিনা মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। 

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) পঞ্চগড় স্টেডিয়ামে নৈরাজ্য প্রতিরোধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আয়োজিত গণসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ছিল শেখ হাসিনার প্রতিশোধের রাজনীতি। তিনি শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না। তিনি আরেকটি দেশের মুখ্যমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। তিনি একবারও ঐতিহ্যবাহী সংগঠন আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মীর কথা না ভেবে পালিয়ে গেছেন।’ 

মামুনুল হক আরও বলেন, ‘একাত্তরের স্বাধীনতা হয়েছিল কোরআন ও সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন তৈরি হবে না তার ভিত্তিতে। কিন্তু আমরা দেখলাম বিজয়ের পরে সাত কোটি মানুষের ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ’৭২-এ বাংলাদেশের মানুষের ওপর একটি সংবিধান চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বাহাত্তরের এই চেতনার মাধ্যমে একাত্তরের চেতনাকে হাইজ্যাক করা হয়েছিল। ’৭১ থেকে ’৭৫ পর্যন্ত ৩০ হাজার যুবককে হত্যা করেছে বাকশালীরা। আপনার কাছে যদি ৩০ হাজার মানুষের প্রাণের কোনো দাম না থাকে তাহলে এ দেশের মানুষের কাছে আপনার বাপ-ভাইয়ের রক্তের কোনো দাম থাকবে না।’ 

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কখনোই সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা হতো না। এটি ছিল নাটক। এই নাটকের কুশীলব ছিলেন শেখ হাসিনা ও তার দোসররা। এরা রাতের অন্ধকারে কাল নাগিনী হয়ে সংখ্যালঘুদের ছোবল মারত, আবার সকালে ওঝা হয়ে ঝাড়ত। এখন তারা নেই, নাটকও নেই। এখন বাংলাদেশ সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ 

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সংগঠনটির পঞ্চগড়ের সভাপতি মীর মোর্শেদ তুহিন, জেলা জামায়াতের আমির ইকবাল হোসাইনসহ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতা-কর্মী এবং হাজারও মানুষ উপস্থিত ছিলেন।