বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মদিন আগামীকাল বৃহস্পতিবার। এবার জন্মদিনের কেক না কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। তবে বুধবার (১৪ আগস্ট) রাত ১২টা থেকে চেয়ারপারসনকে দলীয় নেতা-কর্মী, আত্মীয়স্বজনরা জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাবেন।
জানা গেছে, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের কারণে ২০১৬ সাল থেকেই বড় পরিসরে খালেদা জিয়ার জন্মদিন উদযাপন থেকে সরে এসেছে বিএনপি। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও জন্মদিন উপলক্ষে রাখা হয়নি কোনো কর্মসূচি। তবে ১৬ আগস্ট শুক্রবার খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহিদদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় সারা দেশের দলীয় কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল করবে বিএনপি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র এক সদস্য জানান, ১৫ আগস্ট শোক দিবসে খালেদা জিয়ার জন্মদিন বড় পরিসরে পালন নিয়ে বিতর্ক রয়েছে দীর্ঘদিনের। এ কারণে কয়েক বছর আগে থেকেই কেক কাটা বন্ধ করা হয়েছে। তাই সরকার পতনের পর এবারও যদি বড় আকারে জন্মদিন পালন করা হয়, তাহলে জনগণের মনে আরেক বিতর্ক তৈরি হবে।
তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে বিতর্ক মুখে ফেলতে পারি না। ফলে এবারও গত বছরের ন্যায় জন্মদিন পালিত হবে। তার রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনা করে সারা দেশে দোয়া মাহফিল কর্মসূচি পালন করা হবে।’
খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় পুলিশ এসকর্ট
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় পুলিশ এসকর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার জানিয়েছেন এ তথ্য।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় পুলিশ এসকর্ট রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ম্যাডাম ২০২০ সাল থেকে সরকারের নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্ত পেলেও তখন নিয়মিত পুলিশি নিরাপত্তা ছিল না।’
তিনি আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সাজা থেকেও পুরোপুরি মুক্তি পেয়েছেন খালেদা জিয়া। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাজা মওকুফ করেছেন বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছিল।