অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘অবিলম্বে শেখ হাসিনা যেভাবে পুলিশ বাহিনী তৈরি করেছিলেন, সেই পুলিশ বাহিনীর মধ্যে যারা অপরাধী, তাদের অতিদ্রুত চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। যারা সরকারের মধ্যে থেকে এই পুলিশ বাহিনীকে মদদ দিয়েছেন তাদেরও চিহ্নিত করে অতিদ্রুত বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।’
বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ‘আমরা বিএনপির পরিবার’ উদ্যোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ছাত্রদের দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘পুলিশকে যেকোনো আন্দোলন ও বিক্ষোভে শটগানের মতো মারণাস্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে। এটি এই সরকারের দায়িত্ব। কারণ শিশু ও কিশোরদের রক্তে রঞ্জিত পথে আজকের এই অন্তর্বর্তী সরকার। জনগণের আকাঙ্ক্ষার পরিপূরক হিসেবে সরকারকে কাজ করতে হবে। শেখ হাসিনা সারা দেশকে স্তব্ধ করার জন্য জনগণের কণ্ঠ রোধ করতে পুলিশকে অস্ত্রে সজ্জিত করেছে।’
তিনি বলেন, ‘এবারের আন্দোলন অভূতপূর্ব আন্দোলন। পায়ে গুলি খাচ্ছে, কিন্তু হাত প্রসারিত করে তারা সেই গুলিকে আমন্ত্রণ করেছে। এই অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত আমরা সাঈদকে দেখেছি। রংপুরের পাশাপাশি ঢাকার রাজপথের অলিগলিতে পুলিশ গুলি করে কতজনকে যে হত্যা করেছে, তার কোনো শেষ নেই!’
রিজভী আরও বলেন, ‘যাদের অবদানের মধ্য দিয়ে এবং রক্ত স্রোতধারা বইয়ে দিয়ে দেশের মানুষকে মুক্ত বাতাসে নিশ্বাস নেওয়ার জন্য যারা সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন, সেই সব নিহত ছাত্র-জনতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। যারা গুরুতর আহত অবস্থায় রয়েছেন, ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশের হাসপাতালে যারা কাতরাচ্ছেন, আমি তাদের আশু সুস্থতা কামনা করছি।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহ-অর্থনৈতিকবিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, সহ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান প্রমুখ।