ঢাকা ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, সোমবার, ০২ জুন ২০২৫
English

শেখ হাসিনাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে: মামুনুল হক

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৪, ১০:৪৮ পিএম
আপডেট: ১৫ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৫১ এএম
শেখ হাসিনাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে: মামুনুল হক
ছবি: খবরের কাগজ

হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, শেখ হাসিনাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। 

বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর মুক্তমঞ্চে হেফাজত ইসলাম আয়োজিত গণসমাবেশের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

হেফাজতের এই নেতা আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা প্রতিশোধের রাজনীতি করেছেন। প্রতিশোধ নিয়েছেন। তিনি খুনের নেশায় মাতাল।’ তিনি আরও বলেন, ‘১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের ছুটি বাতিল করে যে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, এ জন্য অন্তর্বর্তী সরকাকে ধন্যবাদ জানাই।’ 

মামুনুল হক বলেন, ‘ইতোমধ্যে আপনারা বিভিন্ন যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছেন, ‘শেখ হাসিনা ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য মানুষকে উসকানি দিচ্ছেন। মনে রাখবেন, এখন বাংলাদেশ আর ১৬ বছরের সেই ফ্যাসিবাদী বাংলাদেশ নয়। এই বাংলাদেশ স্বাধীন বাংলাদেশ। ছাত্র-জনতার এক সাগর রক্তে অর্জিত এই বাংলাদেশে যদি ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে কোনো নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করা হয়, তা হলে সারা বাংলাদেশে তাদের প্রতিরোধ করা হবে।’

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মুফতি মোবারকুল্লাহর সভাপতিত্বে গণসমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন মহাসচিব শায়খ সাজিদুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা শাখাওয়াত হোসেন রাজি, মাওলানা আজিজুল ইসলাম ইসলামাবাদী, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ূবী প্রমুখ। 

গণসমাবেশে বিভিন্ন সময়ে হত্যাকাণ্ডের বিচার ও সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ ৮ দফা প্রস্তাব দেওয়া হয়।

মো. জুয়েল রহমান/এমএ/

ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন যাওয়ার একটি কারণও নেই: সালাহউদ্দিন আহমদ

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৮:১৫ পিএম
ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন যাওয়ার একটি কারণও নেই: সালাহউদ্দিন আহমদ
সর্বদলীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। ছবি: খবরের কাগজ

জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার একটি কারণও নেই-বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই মনে করি ডিসেম্বরে নির্বাচন সম্ভব। এর আগেই জরুরি ভিত্তিতে নির্বাচনমুখী যে সংশোধনীগুলো, তা চিহ্নিত করে ঐক্যমতের ভিত্তিতে আমরা যদি বাস্তবায়ন করি। তবে এমন কোনো সংস্কার নেই যা একমাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। শুধুমাত্র সংবিধান ব্যতীত অন্যান্য যে সংস্কার প্রস্তাব আছে তা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এক মাসের ভেতরে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। যেটা আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি। সুতরাং নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার একটি কারণও নেই।’

সোমবার (২ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর বেইলী রোডে অবস্থিত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সর্বদলীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন। ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে সভাপতিত্ব করে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। বৈঠকে ২৬টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিগণ অংশ নিয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা সংস্কার কমিশনের মতামতের ভিত্তিতে বিস্তারিত মতামত দিয়েছি। সংস্কার বিষয়ে আমরা তিন দিন সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছি। সংস্কার কমিশন অন্যান্য দলের সঙ্গেও বৈঠক করেছে। আমরা আমাদের মতামত লিখিতভাবেও দিয়েছি। আমরা আলোচনা মধ্য দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে কাছাকাছি আসতে পেরেছি- এমন মন্তব্য করে তিনি।

তিনি বলেন, যেটা জাতির জন্য বৃহত্তর স্বার্থ সংরক্ষণ করবে আমরা সেটাই গ্রহণ করব। এটা জাতীয় নীতিতে গৃহীত হলে এ জাতির মধ্যে একটা ঐক্য তৈরি হবে। আমরা সেটাই গ্রহণ করব যে প্রস্তাবগুলো সংবিধান ও শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হবে। রাষ্ট্রের সবকিছুর মধ্যে একটা ভারসাম্য সৃষ্টি হবে। এর মধ্যে দিয়ে বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর যে আকাঙ্ক্ষা তা বাস্তবায়ন করতে পারব। 

বৈঠকে অধিকাংশ দলগুলোই ডিসেম্বরের আগে নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, আমরা আশা করি প্রধান উপদেষ্টা সেটি বিবেচনা করবেন। প্রধান উপদেষ্টা নিরপেক্ষভাবে তার দায়িত্ব পালন করবেন। কারও প্রতি রাগ-বিরাগ, অভিমান প্রদর্শন করবেন না। তবে জাতি তার কাছে নিরপেক্ষতা আশা করে।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সংবিধান সংশোধনী যেসব প্রস্তাব বিভিন্ন দল দিয়েছে, আমাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। উনারা যেভাবে আন্তরিকতা দেখেছেন তাতে আগামী এক মাসের মধ্যে একটা ঐক্যমতে আসা সম্ভব বলে মনে করি। কিছু কিছু বিষয়ে অবশ্যই দ্বিমত থাকবে, সব বিষয়ে সবাই একমত হবে, এমনটা আমরা আশাও করি না। যেসব বিষয়ে আমরা একমতে আসতে পারব, সেটা অবশ্যই পরবর্তী সংসদে সংশোধনী হবে। এসব বিষয়ে এখন ঐকমতের ভিত্তিতে একটি সনদ স্বাক্ষরিত হলেই হবে। এটা আমাদের ইলেকশন মেনুফ্যাকচারেও আসবে। এটা অঙ্গীকার হিসেবে থাকবে। 

তিনি আরও বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে ওনারা যথেষ্ট আন্তরিক, তবে ইতোমধ্যে অনেক সময় ক্ষেপণ হয়েছে। আশা করি আর বেশি সময় নেবেন না। এই মাসের মধ্যে একটা কম্পাইল করা সম্ভব হবে। 

 

শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ

প্রস্তাবিত বাজেট অর্থহীন: মঈন খান

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৮:০২ পিএম
প্রস্তাবিত বাজেট অর্থহীন: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট একটি অর্থহীন বাজেট বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

তিনি বলেন, 'একটি বাক্যে বলতে হয়, এটি একটি অর্থহীন বাজেট। প্রথমত স্বভাবতই বাজেটের আকার সরকার কমিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছে, কেন না, এই অন্তর্বর্তী সরকারের রাজস্ব সংগ্রহের আসলে কোনো নৈতিক শক্তি নেই।'

সোমবার (২ জুন) তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমকে তিনি এসব কথা বলেন। 

মঈন খান বলেন, 'বাজেটে আরও মজার বিষয় হলো বাজেটের আকার সরকার ‘নমিনালী’ কমিয়ে আনলেও রাজস্ব বাজেট কিন্তু বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনার একটি দুর্বলতা প্রকাশ করে। কাজেই এটা স্পষ্ট যে, এ বাজেটে সরকার গুণগত কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি।' 

তিনি বলেন, 'তদুপরি এ দেশের নিম্ন আয়ের মানুষ তথা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্যেও সরকার এ বাজেটে কোন রকম উল্লেখযোগ্য দিকনির্দেশনা দিতে সক্ষম হয়নি। সার্বিকভাবে এক কথায় বলতে গেলে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অনুপস্থিতিতে এই রুটিন বাজেটের কতদূর বাস্তবায়ন হবে তাও সম্পূর্ণ অনিশ্চিত ।'

শফিকুল/মেহেদী/

বাজেটের আকার কমলেও পুরোনো কাঠামো অক্ষুণ্ন: বাংলাদেশ ন্যাপ

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৭:৪৬ পিএম
বাজেটের আকার কমলেও পুরোনো কাঠামো অক্ষুণ্ন: বাংলাদেশ ন্যাপ
ছবি: সংগৃহীত

বাজেটের আকার কমলেও গুণগত খুব বেশি পরিবর্তন নাই। উচ্চ আকাঙ্ক্ষা বা লুটপাটের উন্নয়নে বরাদ্দ হ্রাস করায় জনগণের উপর চাপ কিছুটা হলেও হালকা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া। 

তারা বলেন, ‘বরাবরের মতো এবারের বাজেটও বিগত সরকারগুলোর ধারাবাহিকতাকে পাশ কাটাতে পারেনি। বাজেটের আকার আরও ছোট হলে বাস্তবায়ন করা সহজ হত। প্রকৃতপক্ষে বাজেটের আকার কমলেও পুরোনো কাঠামো অক্ষুণ্ন রয়েছে।’

সোমবার (২ জুন) অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ বাজেটের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তারা এসব কথা বলেন। 

নেতৃদ্বয় বলেন, ‘গত ১৬ বছরে প্রতি অর্থবছরে বাজেটের আকার বৃদ্ধি পেলেও দেশের অর্থনীতি কয়েক বছর ধরেই মন্দা সময় পার করেছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে দিশেহারা সাধারণ জনগণ। ডলার সংকট, রিজার্ভের বড় ক্ষয়সহ বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও কঠিন সঙ্কটে ছিল বাংলাদেশ। ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত সব বাজেটই ছিল কল্পনার ফানুস মাত্র।’ 

তারা বাজেটে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি না করা, 'চিনি-সয়াবিন তেলের দাম কমানোর প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘এর ফলে মধ্যবিত্ত ও সাধারণ জনগণের ওপর চাপ অনেকটা হ্রাস পাবে। তবে, ফ্রিজ, এসির ওপর ভ্যাট বৃদ্ধি করায় অনেকটাই সমস্যা সৃষ্টি করবে। বাজেটে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের পরিবার এবং আহতদের পুনর্বাসন ও কল্যাণে বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব ও বয়স্ক, বিধবা ভাতা বৃদ্ধি করার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য। তবে দেশীয় টেক্সটাইল মিলে উৎপাদিত সুতার ভ্যাট বৃদ্ধি হলে মধ্যবিত্তসহ সাধারণ মানুষের গামছা, লুঙ্গিসহ পোশাকের দাম বৃদ্ধি পাবে যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।’

তারা বলেন, ‘ঋণনির্ভর এ বিশাল ঘাটতি বাজেটে জনগণের অর্থনৈতিক বৈষম্য খুববেশি কমছে না। প্রায় ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত এ বাজেটে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকার বিশাল অঙ্কের ঘাটতি রয়েছে যা জিডিপির ৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। এই ঘাটতি পূরণে দেশি-বিদেশিি ঋণ ও সুদের বোঝা আরও বৃদ্ধি পাবে। পরিচালনা ব্যয় ও সুদ পরিশোধের মত অনুন্নয়ন খাতেই ব্যয় হবে বাজেটের অধিকাংশ অর্থ। তবে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৫.৫০ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতির গড় হার ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ রাখতে পারলে তা হবে বাজেটের বড় চমক।’

তারা আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশের অর্থনীতি কয়েক বছর ধরে নানামুখী সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গত ফ্যাসীবাদী শাসনামলে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়া, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব, মুদ্রার বিনিময় ও সুদের হার ক্রমাগত বৃদ্ধি, সর্বক্ষেত্রে সুশাসন ও ন্যায়নীতির নির্বাসন এবং সর্বগ্রাসী লুটপাটের কারণে দেশের আর্থিক খাত ধ্বংস হয়ে গেছে। বাজেটে এ বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে টেনে তোলার আরও ব্যবস্থা থাকার দরকার ছিল। বিপর্যস্থ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে দেশী বিদেশি বিনিয়োগ, দুর্নীতির সকল পথ বন্ধ করে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও রেমিটেন্স বৃদ্ধিতে জোর দিতে হবে। পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।’

মেহেদী/

প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থনৈতিক বৈষম্য কমছে না: খেলাফত মজলিস

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৬:৫৬ পিএম
আপডেট: ০২ জুন ২০২৫, ০৬:৫৭ পিএম
প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থনৈতিক বৈষম্য কমছে না: খেলাফত মজলিস
ছবি: সংগৃহীত

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে গতানুগতিক ও গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করা হয়নি বলে আখ্যায়িত করেছে খেলাফত মজলিস।

দলটি বলছে, ঋণনির্ভর এ বিশাল ঘাটতি বাজেটে জনগণের অর্থনৈতিক বৈষম্য তেমন কমছে না। 

সোমবার (২ জুন) এক যৌথ বিবৃতিতে দলটির আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের এসব কথা বলেন। 

তারা বলেন, 'প্রায় ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত এ বাজেটে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকার বিশাল অঙ্কের ঘাটতি রয়েছে, যা জিডিপির ৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। এ ঘাটতি পূরণে দেশি-বিদেশি ঋণ ও সুদের বোঝা আরও বাড়াবে। সরকারি ব্যয় নিয়ন্ত্রণ ও বাজেট ঘাটতি কমানোর ওপর জোর দেওয়া হলেও রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা গত বছরের চেয়ে বাড়িয়ে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। এতে জনগণের উপর করের বোঝা আরও বাড়াবে।' 

তারা আরও বলেন, 'বিগত ফ্যাসিবাদীসরকার ঘুষ, দুর্নীতি, অর্থ পাচার, অপচয় ও অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে রেখে গেছে। বিশাল ঋণের বোঝার মধ্যে দেশকে ডুবিয়ে তারা পালিয়ে গেছে। বাজেটে এ বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে টেনে তোলার আরও ব্যবস্থা থাকার দরকার ছিল। বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ, দুর্নীতির সব পথ বন্ধ করে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও রেমিটেন্স বৃদ্ধিতে জোর দিতে হবে। পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

শফিকুল/মেহেদী/

প্রস্তাবিত বাজেটের মৌলিক জায়গায় গলদ রয়ে গেছে: আমির খসরু

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৫:০২ পিএম
আপডেট: ০২ জুন ২০২৫, ০৫:২৫ পিএম
প্রস্তাবিত বাজেটের মৌলিক জায়গায় গলদ রয়ে গেছে: আমির খসরু
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের মৌলিক জায়গায় গলদ রয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। 

তিনি বলেছেন, ‘আগের বাজেট যেভাবে চলে আসছে, সেখান থেকে সংখ্যার তারতম্য হয়েছে কিন্তু বাজেটের প্রিন্সিপাল একই রয়ে গেছে। এটাও গতানুগতিক বাজেট। বিগত সরকারের ধারাবাহিকতা থেকে অন্তর্বর্তী সরকার রের হতে পারেনি। রাজস্ব আয়ের ওপর ভিত্তি করে বাজেট করা উচিত। তাহলে প্রাইভেট সেক্টরে টাকার সরবরাহ থাকবে, বিনিয়োগ থাকবে, ইন্টারেস্ট কমে আসতো, বিদেশি ঋণের পরিমাণ কমে আসতো ও সুদের হারও কম পেমেন্ট করতে হতো। কিন্তু আমরা সেই জায়গা থেকে সরে আসতে পারিনি। আমি মনে করি, প্রস্তাবিত বাজেটের এসব মৌলিক জায়গায় গলদ রয়ে গেছে।’ 

সোমবার (২ জুন) বিকেলে হোটেল সারিনায় বাজেট নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া তিনি এসব কথা জানান। 

দলের পক্ষ থেকে আগামী ৪ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে বাজেট প্রতিক্রিয়া দেওয়া হবে বলেও জানান আমির খসরু। 

তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা সীমিত, কারণ তাদের একটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে তাদের ক্ষমতায় থাকার মেয়াদের ব্যবধান রয়েছে- এটা মাথায় রাখতে হবে। প্রথমত- বিগত সরকার বাজেটের আকার বাড়াতে বাড়াতে যে জায়গায় নিয়ে গেছে, সেটার সঙ্গে রাজস্ব আয়ের কোনো সম্পর্ক নেই।

দ্বিতীয়ত- রাজস্ব আয়ের পুরোটাই পরিচালনা ব্যয়ের মধ্যে ব্যয় হয়ে যাবে। উন্নয়ন বাজেট দেশের ভেতর বা বাইরে থেকে ঋণ নিয়ে চালাতে হচ্ছে। সরকার দেশের বাহির থেকে ঋণ নিলে এর বোঝা বাড়তে থাকে এবং বছরের পর বছর দেশের মানুষকে এই সুদ দিতে হয়। এই কারণেই কিন্তু দেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো ভুগতে থাকে। আর দেশের ভেতরের থেকে নিলে আবার বেশি ক্ষতি। কারণ দেশের ব্যাংক থেকে লোন নিলে ইন্টারেস্ট বেড়ে যায়। আবার ব্যক্তিখাতে লোনও কমে যায়। এর ফলে দেশে বিনিয়োগ হয় না, কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয় না, মানুষের আয় বৃদ্ধি পায় না। প্রাইভেট সেক্টর লোন না পেয়ে অনেকে বিনিয়োগও করতে পারে না। আমি মনে করি, রাজস্ব আয়ের সঙ্গে বাজেটের আকারের একটা সম্পৃক্ততা থাকা উচিত ছিল। কিন্তু এটা হয়নি। রাজস্ব আয় যেটা আছে তার পুরোটাই পরিচালনা ব্যয়ের মধ্যে চলে যাবে। দেশের বাইরে ও ভেতর থেকে লোন নিতে গেলে এসব প্রভাবের কারণে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্থ হবে।’ 

আমির খসরু বলেন, ‘বর্তমানে বৈদেশিক ঋণ ৩ দশমিক ৫ বিলিয়নের মতো। আমি মনে করি, বিদেশি ঋণ ও রাজস্ব আয়কে মাথা রাখলে এই বাজেটের আকার আরও ছোট হওয়া উচিত ছিল। গুণগত দিক থেকে এই বাজেটে কোনো পরিবর্তন হয়নি, শুধু সংখ্যায় সামন্য পরিকর্তন হয়েছে। কাঠামো কিন্তু একই রয়েছে।’

শফিকুল/পপি/