ঢাকা ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

শেখ হাসিনাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে: মামুনুল হক

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৪, ১০:৪৮ পিএম
আপডেট: ১৫ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৫১ এএম
শেখ হাসিনাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে: মামুনুল হক
ছবি: খবরের কাগজ

হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, শেখ হাসিনাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। 

বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর মুক্তমঞ্চে হেফাজত ইসলাম আয়োজিত গণসমাবেশের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

হেফাজতের এই নেতা আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা প্রতিশোধের রাজনীতি করেছেন। প্রতিশোধ নিয়েছেন। তিনি খুনের নেশায় মাতাল।’ তিনি আরও বলেন, ‘১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের ছুটি বাতিল করে যে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, এ জন্য অন্তর্বর্তী সরকাকে ধন্যবাদ জানাই।’ 

মামুনুল হক বলেন, ‘ইতোমধ্যে আপনারা বিভিন্ন যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছেন, ‘শেখ হাসিনা ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য মানুষকে উসকানি দিচ্ছেন। মনে রাখবেন, এখন বাংলাদেশ আর ১৬ বছরের সেই ফ্যাসিবাদী বাংলাদেশ নয়। এই বাংলাদেশ স্বাধীন বাংলাদেশ। ছাত্র-জনতার এক সাগর রক্তে অর্জিত এই বাংলাদেশে যদি ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে কোনো নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করা হয়, তা হলে সারা বাংলাদেশে তাদের প্রতিরোধ করা হবে।’

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মুফতি মোবারকুল্লাহর সভাপতিত্বে গণসমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন মহাসচিব শায়খ সাজিদুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা শাখাওয়াত হোসেন রাজি, মাওলানা আজিজুল ইসলাম ইসলামাবাদী, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ূবী প্রমুখ। 

গণসমাবেশে বিভিন্ন সময়ে হত্যাকাণ্ডের বিচার ও সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ ৮ দফা প্রস্তাব দেওয়া হয়।

মো. জুয়েল রহমান/এমএ/

গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতিকে অব্যাহতি

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪৯ এএম
আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০১ এএম
গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতিকে অব্যাহতি
গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ইমরান হোসেন

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কলেজছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইমরান হোসেন শিশিরকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। 

গত রবিবার রাতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। চিঠিতে বলা হয় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইমরান হোসেন শিশিরকে সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। চিঠিতে ওই সিদ্ধান্তের অনুমোদন করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।

অভিযুক্ত ইমরান হোসেন শিশির কাপাসিয়ার তরগাঁও ইউনিয়নের সাফাইশ্রী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজের সাবেক আহ্বায়ক ও সর্বশেষ বহিষ্কারের আগ পর্যন্ত গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। 

জানা গেছে, গত সপ্তাহে শিশিরের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে দিনের পর দিন শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ করেন ফ্রান্স প্রবাসীর কন্যা কাপাসিয়া কলেজের ওই শিক্ষার্থী (২৭)।

নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে সিপিবির ক্ষোভ

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৫ পিএম
আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৮ পিএম
নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে সিপিবির ক্ষোভ
সিপিবি

নিত্যপণ্যের লাগামহীন দাম বৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ নিয়ে ৭ দফা তুলে ধরেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। 

এগুলো হলো :

১. নানা কারণে আয় কমে যাওয়া সাধারণ মানুষের জীবন চলছে না। নিত্যপণ্যের দামে মানুষ দিশেহারা। কম খেয়ে বেঁচে থাকা সাধারণ মানুষ বাজারে যাওয়ার পর মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

২. কখনো কখনো দুই-একটি পণ্য সরবরাহের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হলেও বাজারে পণ্যের অভাব নেই। অথচ বেচাকেনা কমে গেছে।

৩. গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সরকারের পতন হলেও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজির পতন হয়নি। সিন্ডিকেট বহাল আছে। চাঁদাবাজির ‘দল’, ‘বস’ বদল হয়েছে, হাত বদল হয়েছে, চাঁদাবাজি অব্যাহত আছে। ব্যবস্থা বদল ছাড়া এ অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না।

৪. ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট, অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। ব্যবসায়ীদের কাছে বাজার ছেড়ে দেওয়া যাবে না। দুর্নীতিমুক্ত, দক্ষ ব্যবস্থাপনায় সরকারি উদ্যোগ বাড়াতে হবে।

৫. সিন্ডিকেট ভাঙা, সর্বত্র চাঁদাবাজি বন্ধ, বাজারে নজরদারি বাড়ানো, রেশন ব্যবস্থা ও ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু করতে হবে। শ্রমজীবী মানুষের বসবাসের জায়গায় খোলা বাজারে পণ্য বিক্রি করতে হবে। প্রয়োজনে গণবণ্টন ব্যবস্থা চালু করতে হবে। নিত্যপণ্যের আমদানি শুল্ক কমানো, কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের খরচ কমাতে সার, কীটনাশক, পানি, বিদ্যুৎ, ডিজেলের দাম ও পরিবহন খরচ কমাতে হবে।

৬. কৃষককে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম ও ভোক্তাদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সারা দেশে ‘উৎপাদক সমবায় ও ক্রেতা সমবায়’ গড়ে তুলতে হবে।

৭. এই মুহূর্তে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কার্যক্রম নেওয়া ও সংশ্লিষ্ট সবার অংশগ্রহণ, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।

সালমান/

‘শেখ হাসিনাকে ভারতের ট্রাভেল পাস অভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থী’

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২১ পিএম
‘শেখ হাসিনাকে ভারতের ট্রাভেল পাস অভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থী’
বৈঠকে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। ছবি : খবরের কাগজ

ছাত্র-জনতা হত্যার প্রধান আসামি শেখ হাসিনাকে ভারত সরকারের ট্রাভেল পাস ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চ।

৬ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেন, ‘ইতিহাসের নিকৃষ্টতম স্বৈরাচার ও গণহত্যার নির্দেশদাতা শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত বিশ্বের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে আঘাত করেছে। তারা শুধু আশ্রয় দিয়ে ক্ষান্ত থাকেনি, সম্প্রতি শেখ হাসিনার নামে ট্রাভেল ডকুমেন্ট ইস্যু করেছে। শতাধিক হত্যা মামলার আসামিকে এ বিশেষ সুবিধা দেওয়া জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের চেতনা পরিপন্থী।’

সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর তোপখানায় নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পর্ষদের বৈঠক এসব কথা বলেন নেতারা।

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, ‘শেখ হাসিনা ট্রাভেল ডকুমেন্ট ইস্যু ব্যবহার করে বিশ্বের যেকোনো দেশে ভিসা আবেদন করতে পারবেন, ভ্রমণ করতে পারবেন। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারবেন। শেখ হাসিনার ট্রাভেল ডকুমেন্ট ইস্যু নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য দেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষায় আঘাত করেছে।’ 

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তারা বলেন, ‘সরকারকে অবিলম্বে গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় এবং ট্রাভেল ডকুমেন্ট ইস্যুর ব্যাপারে ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিক জবাব চাইতে হবে। একই সঙ্গে শেখ হাসিনাসহ  ভারত ও বিভিন্ন দেশে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার সরকারের মন্ত্রী, এমপি, দোসরদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’ 

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ মিয়া প্রমুখ।

শফিকুল/সালমান/

উদ্দেশ্যপ্রণোদিত খবর প্রকাশ করে বিএনপির সুনাম ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে : মুন্না

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৫১ পিএম
উদ্দেশ্যপ্রণোদিত খবর প্রকাশ করে বিএনপির সুনাম ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে : মুন্না
যৌথ কর্মীসভায় বক্তব্য দেন যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না। ছবি : খবরের কাগজ

উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিভ্রান্তিকর খবর প্রকাশ করে বিএনপির সুনাম ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না। 

তিনি বলেন, ‘একটি মহল বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করছে। আদতে এর কোনো ভিত্তি নেই।’ 

সোমবার (১৪ অক্টোবর) খুলনা মহানগরে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের দিকনির্দেশনামূলক কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

মোনায়েম মুন্না বলেন, ‘স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ গত ১৭ বছরে যত জুলুম-নির্যাতন করেছে তা বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। গত ১৭ বছরে জিয়াউর রহমানের পরিবারের চেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার আর কেউ হয়নি। তারেক রহমান দীর্ঘ ১৭ বছর নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হলেও তাদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়নি এবং যায়নি।’ 

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে যুবদল সভাপতি বলেন, ‘সব রাজনৈতিক, মিথ্যা, সাজানো মামলা প্রত্যাহারের কথা, করতে হবে। গুম ও খুনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’ 

জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসানের সভাপতিত্বে এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ আমানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তারেক, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরসহ খুলনা জেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা।

শফিকুল/সালমান/

অন্তর্বর্তী সরকার মুখ থুবড়ে পড়লে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার বিলম্ব হবে : আমান

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:০৯ পিএম
আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:১২ পিএম
অন্তর্বর্তী সরকার মুখ থুবড়ে পড়লে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার বিলম্ব হবে : আমান
সাইফুদ্দিন আহমেদ মনির প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম। ছবি : খবরের কাগজ

অন্তর্বর্তী সরকার আজকে কোনো কারণে মুখ থুবড়ে পড়লে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিলম্ব ঘটতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান।

তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা সহযোগিতা করতে চাই। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমরা এই সরকারকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছি এবং করব, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য। আর এই নির্বাচনটি যত দ্রুত সম্ভব হতে হবে।’ 

সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ৯০’র ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম রূপকার সাইফুদ্দিন আহমেদ মনির প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘আমরা আশা করব অন্তর্বর্তী সরকার যে কমিশন করেছেন তার রিপোর্ট পাবার সঙ্গে সঙ্গে পরবর্তী করণীয় হিসেবে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে দেশের ১৮ কোটি মানুষ যাদের রায় দেবে তাদের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে এবং দেশ শান্তিপূর্ণভাবে চলবে। পাশাপাশি দেশের যেসব সমস্যা জট বেঁধে আছে তা সমাধান করবে। একই সঙ্গে ছাত্র-জনতা এবং দেশের মানুষের যে দাবি তা পূরণ হতে হবে এবং সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনী হত্যার বিচার এখনো পাইনি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অবিলম্বে সাগর-রুনী হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে এবং এই বিচার দ্রুত করতে হবে। এতদিন সাগর- রুনী হত্যাকাণ্ডের বিচার বিলম্ব হওয়ার কারণ একটাই, আওয়ামী লীগ সরকার এখানে জড়িত ছিল। তখন প্রতিবেদন জমা হয়নি, বিলম্ব হয়েছে। কিন্তু আজকে এই বিচার বিলম্ব হবার কথা নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘ অনেক বছর আমরা আন্দোলন করেছি, সংগ্রাম করেছি। যে গণতন্ত্র একবার এনেছেন জিয়াউর রহমান, আরেকবার এনেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আর দীর্ঘ ১৬ বছর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলন করে সর্বশেষ ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা পেয়েছি গণতন্ত্র। গণতন্ত্র যেভাবে অর্জিত হয়েছে, তা আমাদের ধরে রাখতে হবে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

সাইফুদ্দিন মনিকে স্মরণ করে আমান বলেন, ‘সাইফুদ্দিন মনির স্বপ্ন তখনই পূরণ হবে যখন জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিতের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। সবার ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায় আমরা দ্রুত গণতন্ত্র ফিরে পাব, দ্রুত ভোটাধিকার ফিরে পাব এবং দ্রুত একটি জনগণের সরকার পাব। যেখানে এই দেশের সরকার পরিচালিত হবে জনগণের মাধ্যমে।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে রাস্তায় মিশিয়ে ফেলেছে। তারা দেশটাকে জেলখানা বানিয়েছে। যেকোনো আন্দোলনে ৯০’র গণঅভ্যুত্থান একটা অনুপ্রেরণা হিসেবে রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার জুলাই-আগস্টে দেড় হাজার ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে। তাদের সঙ্গে কোনো আপস হবে না। আমরা প্রয়োজন হলে আবার রাস্তায় নামব।’

জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, ‘দেশের মানুষ ভালো নেই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোটেও ভালো না। আওয়ামী প্রেতাত্মারা এখনো বিভিন্ন দপ্তরে বসে আছে। অবিলম্বে তাদের সরিয়ে ভালো মানুষ বসাতে হবে। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে যত দ্রুত একটা অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়, ততই দেশ ও জনগণের জন্য মঙ্গল। কারণ, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসররা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। কিন্তু আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেব না।’ 

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, ‘অবিলম্বে বিএনপি নেতা-কর্মীদের নামে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। সব রাজবন্দিকে মুক্তি দিতে হবে।’ 

আলোচনা সভার শুরুতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আশু সুস্থতা এবং প্রয়াত সাইফুদ্দিন মনির রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়।

বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের তোফায়েল আহমেদ কায়ছারের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দিন আলম, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, প্রয়াত সাইফুদ্দিন মনির ছোট ভাই মইনুদ্দিন খালেদ প্রমুখ।

শফিকুল/সালমান/