ঢাকা ২৭ কার্তিক ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

ইনু গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৪, ০৪:৪০ পিএম
আপডেট: ২৬ আগস্ট ২০২৪, ০৪:৫১ পিএম
ইনু গ্রেপ্তার
হাসানুল হক ইনু

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার (২৬ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গ্রেপ্তারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক জোট কেন্দ্রীয় ১৪ দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগ ও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় তার বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা হয়েছে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর গুলশান থেকে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেননকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ।

খাজা/অমিয়/

বিএনপি ক্ষমতায় নয়, জনগণের জন্য রাজনীতি করে: শিমুল বিশ্বাস

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০২ পিএম
বিএনপি ক্ষমতায় নয়, জনগণের জন্য রাজনীতি করে: শিমুল বিশ্বাস
ছবি: সংগৃহীত

ক্ষমতার জন্য, বিএনপি জনগণের অধিকারের জন্য রাজনীতি করে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী এবং শ্রমিক দলের প্রধান সমন্বয়ক শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। তিনি বলেন, বাকস্বাধীনতা জন্য রাজপথে আন্দোলন করেছি। ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সংগ্রাম করেছি। আর জনগণ যদি বিএনপিকে নির্বাচিত করে তাহলে সবাইকে নিয়ে এবং সব রাজনৈতিক দলের পরামর্শ নিয়েই রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। 

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আমাদের মুক্তি ও অনুপ্রেরণা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আয়োজন করে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী কর্মচারী ফেডারেশন।  

শিমুল বিশ্বাস বলেন, দেশকে স্বনির্ভর জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সব ধরনের দুঃশাসন ও বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে বিএনপি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ঐক্যবদ্ধ জাতিকে কোনো পরাশক্তিও দমাতে পারে না এবং জাতীয় অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করতে পারে না। আজকে গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ হওয়াতেই দেশ ফ্যাসিস্টমুক্ত হয়েছে। যেকোন কিছুর বিনিময়ে এ ঐক্য বজায় রাখতে হবে।  

তিনি বলেন, ৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধের পর স্বাধীনতার আকাঙ্খা পদদলিত করে আধিপত্যবাদের দোসর দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত করেছিল। জুলাই ও আগস্ট ছাত্রজনতার গণ-অভ্যুত্থানের পরও সে চক্র একই ষড়যন্ত্র করছে। ছাত্র শ্রমিক জনতার গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খাকে নসাৎ করার চক্রান্ত করছে। তাই দেশের স্বার্থে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। পতিত ফ্যাসিবাদ ও তাদের দোসররা বিভিন্ন ফাঁদ পাতছে। কোনক্রমেই সে ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। 

সভায় বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ সভাপতি  অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া বলেন, বড় বড় কথা বলে যারা গত ১৬ বছর দেশ শাসন করলেন, তারা এখন কোথায়? আওয়ামী লীগ সংবিধান তছনছ করে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে। রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠানকে নিজ দলীয় আড্ডাখানায় পরিণত করেছিল ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। এসময় অন্তর্বর্তী সরকারকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ করে দ্রুত নির্বাচনি রোডম্যাপ দেওয়ার আহ্বান জানান  তিনি।  

ফিরোজুল ইসলামের সঞ্চালনায় হাসানুজ্জামানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, শ্রমিক দলের প্রচার সম্পাদক মঞ্জরুল ইসলাম মঞ্জু, শ্রমিক কর্মচারী নেতা রুহুল আমিন, আবু সাঈদ, ফিরোজুল ইসলাম, জুয়েল মোহাম্মদ বিল্লাল প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

অন্তর্বর্তী সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে হবে : মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২১ পিএম
অন্তর্বর্তী সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে হবে : মির্জা ফখরুল
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : খবরের কাগজ

অন্তর্বর্তী সরকারকে সংস্কারকাজ সম্পন্ন করতে যৌক্তিক সময় দিতে হবে বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সহনশীলতা দেখাতে হবে, সব সমস্যা রাজনীতিতে না গিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।’

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে লালমনিরহাটের বড়বাড়িতে শহিদ জিয়া স্মৃতি টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান সরকারে বিতর্কিত কাউকে যেন উপদেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত। আমাদেরও সহনশীল হতে হবে। যাতে সুন্দর ও শৃঙ্খলভাবে দেশের সব সংস্কারকাজ সম্পন্ন করতে পারে। দেশের এমন একটি বিপ্লবের পর সব স্তর ভেঙে পড়েছিল।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার প্রত্যেক সেক্টরকে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল। তাই সংস্কার দ্রুতই সম্ভব নয়। যৌক্তিক সময় দেওয়া হলে সংস্কার পরিপূর্ণ হবে।’

লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি তাবিথ আউয়াল, বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।  

বকুল/সালমান/

ইচ্ছেমতো উপদেষ্টা বানালে মানুষ মানবে না: ফয়জুল করীম

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫০ পিএম
আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫২ পিএম
ইচ্ছেমতো উপদেষ্টা বানালে মানুষ মানবে না: ফয়জুল করীম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম কাসেমী। ছবি: খবরের কাগজ

যাকে ইচ্ছা তাকে উপদেষ্টা বানালে মানুষ মানবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম কাসেমী।

তিনি বলেন, ‘যাকে ইচ্ছা তাকেই উপদেষ্টা বানাবেন, ক্ষমতা দেবেন, এটা বাংলাদেশের মানুষ মানবে না।’

সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় জয়পুরহাট শহিদ ডা. আবুল কাসেম ময়দানে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘কোনো নাস্তিককে আমরা বাংলাদেশে উপদেষ্টা দেখতে চাই না। ঠিকভাবে দেশ চালান, এতে ব্যর্থ হলে ভূমিকম্প হয়ে যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা রাজপথে নেমেছিলাম জীবনের মায়া ত্যাগ করে এবং মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেব বলে। যেখানে থাকবে না লুটপাট, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, গুম, খুন, অত্যাচার, অবিচার ও দখলদারি। ভেবেছিলাম ৫ আগস্টের পরে সাম্য রক্ষা হবে, জুলুম-অত্যাচার দূর হবে, ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করবে, চাঁদা থাকবে না। মানুষ নির্বিঘ্নে হাঁটবে, ভয় থাকবে না।’

ফয়জুল করীম কাসেমী বলেন, ‘একজন মহিলা একা একা হাঁটলে ধর্ষিত হবেন না, ইভটিজিংয়ের শিকার হবেন না। যেখানে শ্রমিকসহ সবার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু আমরা কি দেখলাম, ৫ আগস্টের পর আবারও দখলদারি, চাঁদাবাজি, খুন, মিথ্যা মামলা, জুলুম, অত্যাচার, অবিচার হচ্ছে।’

ইসলামী আন্দোলন জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, দলটির নায়েবে আমীর আল্লামা আব্দুল হক আজাদ, রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, ইসলামী যুব আন্দোলনের রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মাদ মিনহাজুল ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন জয়পুরহাট জেলার উপদেষ্টা মাওলানা শহিদুল ইসলাম।

সাগর কুমার/সুমন/অমিয়/

বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো নিয়ে যা বললেন রিজভী

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৬ পিএম
বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো নিয়ে যা বললেন রিজভী

বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামানো উচিত হয়নি মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তার সংশোধনী পাঠিয়েছে দলটি।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মু. মুনির হোসেন সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সংশোধনী পাঠানো হয়।

সংশোধনীতে বলা হয়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নীচতলায় বিএনপি আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ‘বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি সরানো উচিত হয়নি’ মর্মে একটি সংবাদ অনলাইনে প্রকাশিত হচ্ছে।

আজ গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো হয়েছে’ মর্মে একটি সংবাদের প্রতি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ হয়। আমি মনে করেছিলাম, বঙ্গভবনের দরবার কক্ষে যেখানে সব রাষ্ট্রপতির ছবি থাকে সেখান থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো হয়েছে। মূলতঃ ছবিটি সরানো হয়েছিল বঙ্গভবনের অন্য একটি অফিস কক্ষ থেকে।

শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনে শেখ মুজিবের ছবি রাখার বাধ্যতামূলক আইন করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদী আইনের কোনো কার্যকারিতা থাকতে পারে না। অফিস-আদালত সর্বত্রই দুঃশাসনের চিহ্ন রাখা উচিত নয়। অনাকাঙ্খিত বক্তব্যের জন্য আমি দুঃখিত।

বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামানো প্রসঙ্গে রুহুল কবীর রিজভী বলেছিলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের একজন উপদেষ্টা মাহফুজ সাহেব বলেছেন ‘বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো হয়েছে’। ‘দেখুন- এটা করেছেন ঠিক আছে। ৭২ পরবর্তী সময়ে শেখ মুজিবুর রহমানের সময়ের হত্যা, খুন, লুণ্ঠন ধর্ষণ সবই হয়েছে, এটা সবার জানা। তবে খন্দকার মোশতাক শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে ফেললে সেটি কিন্তু জিয়াউর রহমান প্রতিস্থাপন করেছেন। জাতীয় স্বাধীকার আন্দোলনে তো তার অবদান আছে। আমি মনে করি, শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামানো উচিত হয়নি। ইতিহাস বিচার করবে, জনগণ বিচার করবে। আমাদের জাতীয় ইতিহাসের আন্দোলনের তার যে অবদান সেটা তো অস্বীকার করা যায় না। আমরা তো আওয়ামী লীগের মতো সংকীর্ণ মনের নই। এজন্য বলছি, শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামানো উচিত হয়নি।’

অমিয়/

আ.লীগকে ভোটের মাধ্যমে বাতিল করতে হবে: আমীর খসরু

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৪ পিএম
আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৫ পিএম
আ.লীগকে ভোটের মাধ্যমে বাতিল করতে হবে: আমীর খসরু
জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ: নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: খবরের কাগজ

আওয়ামী লীগকে ক্যানসেল (বাতিল) করতে হলে জনগণের ভোটের মাধ্যমে করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। 

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ: নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। 

এ সভার আয়োজন করে ভয়েস অব ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ভোটার রাইটস।

সভায় আমীর খসরু বলেন, ‘আপনি যদি আওয়ামী লীগকে ক্যানসেল করে দিতে চান অন্য কোনোভাবে এগুলো টিকে থাকে না। ফ্যাসিস্টকে ক্যানসেল করবেন ভোটের মাধ্যমে চরমভাবে পরাজিত করে। অন্য কোনোভাবে ক্যানসেল করলে কোনো সুফল বয়ে আনবে না।’ 

তিনি বলেন, ‘বিএনপির জন্য সংস্কার নতুন কিছু নয়। খালেদা জিয়া ২০১৬ সালে ভিশন ২০৩০ সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিল। তারেক রহমানও যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সব দলের মতামতের ভিত্তিতে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছেন। শুধু সবাইকে নিয়ে নয়, বাস্তবায়নের জন্য ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে থাকা সব দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটা জাতীয় সরকার গঠন করা হবে।’ 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হবে। জনগণের আস্থা নিয়ে সংস্কার করবে হবে। সেটা একমাত্র সম্ভব নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে। অনির্বাচিত কোনো সরকার তাদের নিজস্ব চিন্তাভাবনা ও দর্শনের সেভাবে সংস্কার করতে পারে না। যেসব সংস্কারে ঐকমত্য আছে, সেগুলো বাস্তবায়নে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’

আমীর খসরু বলেন, ‘জনগণকে বাইরে রেখে যে বয়ান তৈরি করা হচ্ছে তা জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবের একটা বয়ান ছিল, স্বৈরাচারের একটা ছিল এবং ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার একটা বয়ান ছিল। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বলেছিল- উন্নয়নের উপরে গণতন্ত্র। কিন্তু উন্নয়নের সঙ্গে গণতন্ত্র হাতে হাত মিলিয়ে চলতে হয়। গণতন্ত্র বাদ দিয়ে উন্নয়ন করলে হবে লুটপাট ও বিদেশে টাকা পাচারের উন্নয়ন। গণতন্ত্র বাদ দিয়ে উন্নয়ন করলে হবে পকেটের উন্নয়ন। একমাত্র বয়ান হবে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়া। এর বাইরে নতুন বয়ান শুনতে চাই না।’

তিনি বলেন, ‘৩১ দফা সংস্কার বাস্তবায়ন করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ১৬ বছরে জ্বলে-পুড়ে বিএনপি খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছে। ত্যাগ-জুলুমের মধ্যে দিয়ে নতুন বিএনপিতে পরিণত হয়েছে। বিএনপির নেতা-কর্মীরা ত্যাগ করতে শিখেছে, রক্ত দিতে শিখেছে ও জীবন দিতে শিখেছে। গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার লড়াই থেমে থাকবে না।’ 

আমীর খসরু বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা ব্যর্থ হতে দেব না। আমরা সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি এবং যাব। সবাই মিলে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়েছি। সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ করতে হবে। হাসিনা পালানোর পর দেশের মানুষের মনোজগতের পরিবর্তন হয়েছে। যে দল ও ব্যক্তি বুঝতে পারবে না, তাদের রাজনীতি বেশিদূর এগোতে পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি শুধু বিপ্লব নয়, বিএনপি সংহতি। বিএনপি জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদের কথা বলছে। আমরা জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে যেটা প্রতিষ্ঠিত করব সেটাই থাকবে। তাই আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই। স্বাধীন মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই। দেশকে সঠিক ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনতে হবে।’

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক সহকারী অধ্যাপক ড. এম মুজিবুর রহমান।

আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক মোস্তফা কামাল মজুমদারের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের রহমতুল্লাহ। 

শফিকুল/পপি/