যুবদলে কোনো দখলবাজ বা চাঁদাবাজদের জায়গা নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না। তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে বিভিন্ন অভিযোগে সংগঠনের অনেকের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু পরক্ষণেই অভিযোগকারীরাই বলছেন, এসব ঘটনায় বিএনপির কেউ জড়িত নন। বিএনপিকে হেয়প্রতিপন্ন করতে যে চক্রটি সক্রিয় ছিল তারা এখনো সরব।’
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘বৈষম্যহীন, নিরাপদ, মানবিক বাংলাদেশ গড়ায় জাতীয়তাবাদী যুবদলের ভূমিকা’ শীর্ষক ঢাকা বিভাগীয় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল কবির পলের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়ন।
মোনায়েম মুন্না বলেন, ‘সরকারের পতন হলেও তাদের দোসররা এখনো সক্রিয়। সারা দেশে দীর্ঘ দেড়যুগ এরা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এ থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে গেলেই বিএনপিকে চাঁদাবাজ ও দখলবাজ হিসেবে অপব্যাখা দেওয়া হচ্ছে।’
‘আওয়ামী লীগের পতন হলে তাদের লক্ষাধিক লোক মারা যাবে’- দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাস্তবে তা হয়নি। কারণ তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাদের বাড়িঘর পাহাড়া দিয়েছি। তারা জনগণের ওপর অবিচার-অত্যাচার করেছে তারপরও তাদের ওপর কোনো হামলা হয়নি। বিএনপি মানুষের কোনো ক্ষতি করে না, নাশকতামূলক কাজ করে না।’
দলের নেতাদের উদ্দেশে যুবদল সভাপতি বলেন, ‘মনে রাখতে হবে বিএনপি এখনো ক্ষমতায় আসেনি। বিএনপির কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক, তাদের সেই আস্থাকে নষ্ট করা যাবে না। সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে এবং দখলবাজ-চাঁদাবাজদের প্রতিহত করতে হবে। তবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না।’
যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়ন বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা, জনগণের বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে আনা। সম্মেলিত আন্দোলনে তা সফল হয়েছে। কিন্তু এ সফলতা ধরে রাখতে হবে। আমাদের সুনাম নষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে। সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’
দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তারেক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েলের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক, উত্তরের আহ্বায়ক শরিফ উদ্দিন জুয়েল, সদস্যসচিব সাজ্জাদুল মিরাজ, ঢাকা জেলা সভাপতি ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদ, গাজীপুর জেলা আহ্বায়ক আতাউর রহমান মোল্লা, মহানগর সভাপতি সাজেদুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক কাজী মোশতাক হোসেন দিপু, নরসিংদী জেলার সভাপতি মহসিন হোসেন বিদ্যুৎ, মুন্সিগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক দেওয়ান মুজিবর রহমান, টাঙ্গাইল জেলা আহ্বায়ক রাশেদুল আলম, নারায়ণগঞ্জ জেলা সদস্যসচিব মশিউর রহমান রনি প্রমুখ।
শফিকুল ইসলাম/সালমান/