ঢাকা ১৯ আশ্বিন ১৪৩১, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪

পোশাক শিল্পে অস্থিরতায় উদ্বেগ জামায়াতে ইসলামীর

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৩০ পিএম
পোশাক শিল্পে অস্থিরতায় উদ্বেগ জামায়াতে ইসলামীর
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী

গাজীপুর ও ঢাকার আশুলিয়ায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের মুখে পোশাক শিল্পে চরম অস্থিরতা বিরাজ করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এক বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। 

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘গাজীপুর ও ঢাকার আশুলিয়ায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের মুখে পোশাক শিল্পে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। এসব এলাকার পোশাক শিল্পের শ্রমিকরা তাদের বেতন-ভাতা পরিশোধ ও বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ করছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। প্রায় অর্ধশত কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও অর্ধশত কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, দেশের পোশাক শিল্পে চলমান অস্থিরতা ও শ্রমিক অসন্তোষ আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। পোশাক শিল্প দেশের রপ্তানি আয়ের সবচেয়ে বড় ও একক খাত। এই খাতে অস্থিরতা কোনোভাবেই দেশের অর্থনীতি ও সংশ্লিষ্ট কারও জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না। উপরন্তু আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশসহ আমাদের প্রতিযোগী সব দেশ এই সুযোগে আমাদের পোশাকখাত ধ্বংস করার সুযোগ পাবে এবং পাঁয়তারা চালাবে। ফলশ্রুতিতে আমাদের বাজার দখল করা তাদের জন্য খুবই সহজ হবে এবং এ থেকে তারাই লাভবান হবে।

তিনি বলেন, ‘অতীব দুঃখের বিষয় দেশের অন্যান্য সব প্রতিষ্ঠানের মতো বেসরকারি এই বৃহৎ শিল্পখাতকেও দলীয় থাবা থেকে বাঁচতে দেয়নি আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার। ফলে গত ১৬ বছর বিজিএমইএতে ভোটবিহীন আওয়ামী নেতাদের পুনর্বাসন ও লুটপাটের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করা হয়েছে। বিজিএমইএ দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন ও মালিক শ্রমিকের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়কে গুরুত্ব না দিয়ে আওয়ামী মন্ত্রী, এমপি ও নিজেদের ঠিকাদারী সুবিধা প্রাপ্তিতে ব্যস্ত ছিল। সর্বশেষ বিজিএমইএর সভাপতির পদ দখল করে নিয়েছে ঢাকা মহানগরী উত্তর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি এস এম মান্নান কচি। শোনা যায়, তার নিজের কোনো গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত নেই। সম্প্রতি ছাত্র-জনতার বিপ্লবী আন্দোলনে মিরপুর ও উত্তরায় ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যা ও দমনে তার সরাসরি সম্পৃক্ততা ছিল।’

তিনি বলেন, এমতাবস্থায় চলমান শ্রমিক আন্দোলনে কচি ও তার নিয়োগকৃত বর্তমান বোর্ড এই আন্দোলনের পিছনে কলকাঠি কিংবা ইন্ধনকারী হিসেবে কাজ করছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতি আমি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে পোশাকখাতে কর্মরত সব শ্রমিক সংগঠনের প্রতি অনুরোধ জানাই- যে সব দুষ্কৃতকারী গোষ্ঠী বা মহল শ্রমিক ও শ্রমিক সংগঠনের নাম ব্যবহার করে দেশ ও শিল্পখাতকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে আপনারা তাদের চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সোপর্দ করুন এবং সম্ভব সব প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা করুন। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে- দেশের শিল্প বাঁচলে আমরা বাঁচব এবং দেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকবে। তাই আসুন আমরা সবাই মিলে যার যার অবস্থান থেকে দেশের বৃহৎ রপ্তানিখাত হিসেবে পোশাকখাত এবং এইখাতে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের কর্মসংস্থান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাই।

অমিয়/

জামায়াতকে যারা নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিল তারাই জনগণের ভয়ে পালিয়েছে: আব্দুল হালিম

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৫ পিএম
জামায়াতকে যারা নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিল তারাই জনগণের ভয়ে পালিয়েছে: আব্দুল হালিম
ছবি: সংগৃহীত

জামায়াতকে যারা নিষিদ্ধ করেছিল, তারা গত ৫ আগস্ট জনগণের ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম। 

তিনি বলেন, আল্লাহর মেহেরবানীতে জামায়াত স্বমহিমায় জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা নিয়ে ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।  

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সকালে নেত্রকোনার পাবলিক হলে জেলা জামায়াতের আমীর নির্বাচনের লক্ষ্যে আয়োজিত এক রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

কেন্দ্রীয় সংগঠনের নির্দেশনার আলোকে ২০২৫-২০২৬ কার্যকালের জন্য রুকনগণ (পুরুষ ও মহিলা) জেলা জামায়াতের আমীর নির্বাচনের লক্ষ্যে গোপন ব্যালটে প্রত্যক্ষভাবে ভোট প্রদান করেছেন।  

আব্দুল হালিম বলেন, আওয়ামী লীগ দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর দেশে অপরাজনীতি করেছে এবং এখনও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সকল চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। জামায়াতে ইসলামী সবসময়ই ঐক্যের পক্ষে ভূমিকা পালন করে আসছে।  

রুকনদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মুয়াজ্জিনের ভূমিকা পালন করতে হবে। সকল মানুষকে কল্যাণের দিকে আহ্বান করতে হবে। আত্মগঠন, জনশক্তির মানোন্নয়ন, পরিবার গঠন এবং মানবসেবা ও সমাজকল্যাণমূলক তৎপরতায় রুকনগণকে সক্রিয় ও একনিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে।  

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের ওপর সীমাহীন জুলুম করেছিল। এখন তারা পালাতে বাধ্য হয়েছে। ৫ আগস্টের পরে আমাদের দায়িত্ব বহুগুণে বেড়ে গেছে। আমাদের প্রতি দেশের মানুষের প্রত্যাশা বেড়েছে। মানুষের এই প্রত্যাশা পূরণে জামায়াতের রুকনদের জাগতিক ও নৈতিক যোগ্যতা বাড়াতে হবে। 

জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মাওলানা সাদেক আহমাদ হারিছের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর অধ্যাপক মাওলানা এনামুল হক, ময়মনসিংহ জেলা জামায়াতের আমীর আব্দুল করিম প্রমুখ।
শফিকুল ইসলাম/এমএ/

রাজধানীর জলাবদ্ধতা-যানজটের সমাধান কবে, জানতে চায় সিপিবি

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৪০ পিএম
আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৪১ পিএম
রাজধানীর জলাবদ্ধতা-যানজটের সমাধান কবে, জানতে চায় সিপিবি
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীতে জলাবদ্ধতা ও যানজটের সংকট নিরসনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কবে কাজ শুরু করবে জানতে চেয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি নেতারা। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে নগরজুড়ে দুর্ভোগের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দলীয় সমাবেশে তারা এ মন্তব্য করেন।

সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, সদস্য কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, জলি তালুকদার, ডা. সাজেদুল হক রুবেলসহ অনেকে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে সিপিবি নেতারা বলেন, অতীতের শাসকরা উন্নয়নের নামে জনগণকে সম্পৃক্ত না করে সংকট হলেই এক একটা প্রজেক্ট নিয়ে নিজেদের পকেট ভারী করেছে। এ সময় তারা তো ক্ষমতাই নেই। এ সরকার এসব সমস্যার পুরোপুরি সমাধান করতে পারবে-সেটি আমরা আশা করি না। তবে এসব সংকট সমাধানের কার্যক্রম শুরু হলো না কেন? আমরা এটা জানতে চাই।

সমাবেশে সিপিবি নেতারা দেশের সর্বত্র ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা বিধান এবং নির্বিঘ্নে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের নিশ্চয়তা দিতে সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। তারা বলেন, এলাকায়-এলাকায় সম্প্রীতির পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এ সময়ে কেউ যদি অপতৎপরতা করার দুঃসাহস দেখায় তাদের চিহ্নিত ও কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

শ্রমিক হত্যার বিচার, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, রেশন ব্যবস্থা চালু, আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে জনজীবনে শান্তি, সর্বত্র সম্প্রীতি রক্ষা, দুর্নীতি-লুটপাট-দখলদারিত্ব বন্ধ, পাচারের টাকা-খেলাপী ঋণ আদায়, শ্রমিকের জাতীয় ন্যূনতম মজুরি, কৃষক-ক্ষেতমজুরের স্বার্থে নীতি প্রণয়ন, সবার জন্য কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য-শিক্ষার নিশ্চয়তা, কালাকানুন আইন বাতিল, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন প্রবর্তন, নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের দাবি আসে সমাবেশ থেকে।

সিপিবি নেতারা নানা অভিযোগ এনে বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির দাবির কাছে সরকার নতজানু হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় এসব অপশক্তি দাপট দেখাচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে এরা জেঁকে বসছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে প্রকৃত অপরাধীদের এখনো গ্রেপ্তার করা হয় নাই। বরং অনেক ক্ষেত্রে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দিয়ে মূল ঘটনাকে হালকা করে ফেলা হচ্ছে।

তারা বলেন, বিতর্কিত ব্যক্তিকে বিচার ট্রাইব্যুনালে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিনের আন্দোলনকারী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল ব্যক্তি এবং সংগঠককে উপেক্ষা করে বিশেষ কতক গোষ্ঠীর স্বার্থেই সরকার তার কাজ পরিচালনা করছে।

চলমান সংকটের অবসান ঘটাতে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে অর্থবহ আলোচনা করে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য কতক প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের রূপরেখা তৈরি ও নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের আলোচনা শুরু এবং নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানান।

জয়ন্ত সাহা/এমএ/ 

শহিদদের কোনো দলীয় ভিত্তিতে ভাগ করতে চাই না : জামায়াত আমির

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪২ পিএম
আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৫৪ পিএম
শহিদদের কোনো দলীয় ভিত্তিতে ভাগ করতে চাই না : জামায়াত আমির
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি : খবরের কাগজ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা শহিদদের কোনো দলীয় ভিত্তিতে ভাগ করতে চাই না। শহিদরা জাতির সম্পদ, ইজ্জতের চূড়ান্ত সীমায় আমরা তাদের রাখতে চাই, দেখতে চাই। 

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সকালে গাজীপুরের রাজবাড়ি ময়দানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘যারা লড়াই করে, বুকের রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে এ সমাজকে মুক্তি এনে দিয়েছেন এই পরিবারগুলোর প্রতি সরকারকে অবশ্যই তার নৈতিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। জাতিকেও দায়িত্ব পালন করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাব শহিদদের সঠিক স্বীকৃতি যেন দেওয়া হয়। পাঠ্যপুস্তক কারিকুলামে আগামী দিনের নাগরিকরা যেন জানে তাদেরও আবু সাঈদরা ছিল।’ 

জামায়াত আমির আরও বলেন, ‘প্রতিটি শহিদ পরিবার থেকে কমপক্ষে একজনকে যেন সরকার সম্মানজনক চাকরি তাদের হাতে তুলে দেয়। লড়াই করে যারা আহত হয়েছে, পঙ্গু হয়েছে, তাদেরও যেন সম্মানজনক চাকরি দেওয়া হয়। তারা যেন আজীবন কারও করুণার পাত্র হয়ে না থাকে।’ 

জামায়াতে ইসলামীর গাজীপুর মহানগর শাখার সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ জামাল উদদীনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ।

এতে আরও বক্তব্য দেন দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. খলিলুর রহমান, ঢাকা উত্তর অঞ্চল টিমের সদস্য আবুল হাসেম খান, মাওলানা দেলাওয়ার হোসেন, গাজীপুর জেলা জামায়াতের আমির ড. জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির মুহাম্মদ খায়রুল হাসান, মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সালাউদ্দিন আইউবী প্রমুখ।

পলাশ প্রধান/সালমান/

১০ সদস্যের প্রশিক্ষণ কমিটি গঠন বিএনপির

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৫২ পিএম
আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৫৩ পিএম
১০ সদস্যের প্রশিক্ষণ কমিটি গঠন বিএনপির
বিএনপি (লোগো)

দলের নেতা-কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য ১০ সদস্যবিশিষ্ট একটি ‘কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক কমিটি’ গঠন করেছে বিএনপি।

কমিটিতে বিএনপির স্থায়ী সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানকে আহ্বায়ক এবং কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেনকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই প্রশিক্ষণ কমিটি গঠন করা হয়। পরে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক রাশিদা বেগম হীরা, গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সহসম্পাদক অ্যাডভোকেট নেওয়াজ হালিমা আরলী, গণশিক্ষাবিষয়ক সহ-সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তরে সংযুক্ত) মো. আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী।

শফিকুল ইসলাম/সালমান/

বিএনপিকে দিয়ে শুরু হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:১৬ পিএম
বিএনপিকে দিয়ে শুরু হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ
বিএনপি (লোগো)

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করবে আগামী শনিবার (৫ অক্টোবর)। এতে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত ছয়টি কমিশনের কাজ নিয়ে আলোচনা হবে। ওই দিন বেলা আড়াইটায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিএনপিকে দিয়ে শুরু হচ্ছে এই সংলাপ। বিএনপির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খানও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শফিকুল আলম বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদ রাজনৈতিক দলগুলোকে কমিশনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানাবে। উপদেষ্টারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তাদের (রাজনৈতিক নেতাদের) সঙ্গে মতবিনিময় করবেন এবং তাদের পরামর্শ নেবেন।’ 

তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘দু-তিন দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিশন গঠন করা হবে যাতে তারা পুরোদমে কাজ শুরু করতে পারে।’

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘কমিশনের প্রধানরা ইতোমধ্যে তাদের কাজ শুরু করেছেন এবং কমিশনগুলোর কার্যপরিধি (টিওআর) ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সংলাপ একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হবে এবং উপদেষ্টা পরিষদ রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলবে।’

প্রেস সচিব বলেন, ‘সংস্কার কমিশনগুলো ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের নিজ নিজ রিপোর্ট জমা দেবে এবং তারপর উপদেষ্টা পরিষদ আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে।’

সরকার সমালোচনাকে স্বাগত জানায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদ দেশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছে এবং কেউ সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয়।’