ঢাকা ১৯ আশ্বিন ১৪৩১, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪

সময় দিলাম কিন্তু মৃত ব্যক্তির ভোট যেন না হয়: ফারুক

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২১ পিএম
আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৬ পিএম
সময় দিলাম কিন্তু মৃত ব্যক্তির ভোট যেন না হয়: ফারুক
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। ছবি: খবরের কাগজ

অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা সময় দিলাম কিন্তু মৃত ব্যক্তির ভোট যেন আর না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক।

প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর ইউনুসকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনার বিরুদ্ধে আমাদের কোন অভিযোগ নেই। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আমাদের নেতা তারেক রহমান রাজনীতি করেন না। আমরা সময় দিলাম কিন্তু মৃত ব্যক্তির ভোট যেন আর না হয়। ১৯৯১ সালে এই দেশে শাহাবুদ্দিনের আমলে যেভাবে রশি টানিয়ে ভোট হয়েছে, সেই নির্বাচন ব্যবস্থা করলে তারেক রহমান জনগণের ভোটে প্রধানমন্ত্রী হবেন ইনশাআল্লাহ। বাধা দেওয়ার শক্তি আল্লাহ ছাড়া কারও নেই।’ 

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরামের উদ্যোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে স্বৈরাচার হাসিনার আমলে দায়েরকৃত সব ষড়যন্ত্রমূলক মামলা অবিলম্বে নিঃশর্ত প্রত্যাহারের দাবিতে এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন,  ‘১৬ বছরে ৯২ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে আওয়ামী লীগ। কানাডায় বেগম পাড়া করেছেন তাদের নেতারা। দুবাইতে বাড়ি করেছে। ইউটিউবে শুনি আমাদের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী তারও নাকি কিছু কিছু বাড়িঘর দেশের বাইরে দেখা যায়। লজ্জা-শরম লাগে না।’

ফারুক বলেন, ‘তারেক রহমান যদি একুশে আগস্ট মামলায় বিনা কারণে আসামি হতে পারে। খালেদা জিয়া যদি দুই কোটি টাকার মামলায় পাঁচ বছর জেল খাটতে পারে। ১১৮টা মামলার জন্য শেখ হাসিনাকে হিন্দুস্থান থেকে এনে ১০০ বছর জেল হওয়া উচিত।’

সাবেক এই চিফ হুইপ বলেন, ‘গত ১৬ বছরের ওই মুজিব কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানানোর জন্য যে চেষ্টা আপনি করে গেছেন। বাংলাদেশের ছাত্র জনতা বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে আপনার সেই আশা চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিয়েছে।’

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘ইউটিউব থেকে শুনেছি তিনি বাংলাদেশের বর্ডারের কাছে আছেন। এমন কথা বলতে তার লজ্জা লাগে না। হোসেন মোহাম্মদ এরশাদও জোর করে ক্ষমতা দখল করেছিল তবুও সে কিন্তু দেশ থেকে পালিয়ে যায় নাই। আপনার যদি আপনার পিতা ও পরিবারকে নিয়ে এত অহংকার। স্বাধীনতা নিয়ে এনেছেন নাকি আপনারা তাহলে পালালেন কেন? কারণ আপনি ছিলেন চোর-ডাকাত। আপনি ছিলেন গণতন্ত্র হত্যাকারী, আপনি ইলিয়াস আলী চৌধুরী, আলমকে গুম করেছেন। আপনি ছিলেন বেগম জিয়াকে বিনা কারণে মামলার দেওয়ার হুকুমদাতা।’

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যে লোক আমার পা অচল করে দিয়েছেন। যে লোকটি সংসদ ভবনের সামনে ৩১ জন সংসদ সদস্যকে পিটিয়ে লাশ করে দিয়েছে। সেই হারুন বিএনপির অফিসকে তছনছ করেছে, বিপ্লব-মেহেদিরা বিএনপির অফিসে ঢুকে অস্ত্র রেখে আমাদেরকে মামলা দিয়েছে। জনাব স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করি, তাদেরকে আইনের আওতায় আনেন। মানুষকে একটু দেখান। এরাই অত্যাচারী এরাই ক্ষমতা লিপ্সু। এরাই শেখ হাসিনার ডান হাত।’

‘বাংলাদেশ তারেক রহমানের নেতৃত্বে এমন একটি দেশ হবে যে দেশে গণতন্ত্র থাকবে। যে দেশে মিটিং করতে কোন অনুমতি লাগবে না। যে দেশে মানুষ নিত্ প্রয়োজনীয় দ্রব্য তৈরির সিন্ডিকেট তৈরি করবে না। এমন একটি সরকার বাংলাদেশের আসবে ইনশাল্লাহ।’ 

আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘কোথায় মায়া চৌধুরী, কোথায় মতিয়া চৌধুরী? কোথায় আবদুল হামিদ? কোথায় শাহাজান খান? কোথায় শামীম ওসমান? আপনাদের চেহারা তো দেখি না। পালাইছেন নাকি বাংলাদেশে আছেন? কয়দিন পালাইয়া থাকবেন। তত্ত্ববোধক সরকার ইনশাল্লাহ সময় মতোই নির্বাচন দিবেন সে নির্বাচনে বাংলাদেশে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল একমাথা এক ভোটে নির্বাচনে জয়লাভ করে আসলে কোন দুর্নীতি কোন স্বজন প্রীতিকে প্রশ্রয় দেবে না। জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে সংবিধান অনুযায়ী কাজ করবে। আইনের আওতায় আপনারাও নিশ্চয়ই আসবেন।’

জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরাম এর সভাপতি মনজুর রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য  ইসমাইল হোসেন সিরাজী, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আমির হোসেন আমুসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা।

শফিকুল ইসলাম/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

সারা দেশে এক অকল্পনীয় দুঃশাসন চলছে: নানক

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩২ পিএম
আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৩ পিএম
সারা দেশে এক অকল্পনীয় দুঃশাসন চলছে: নানক
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, সারা দেশে এক অকল্পনীয় দুঃশাসন চলছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে চলছে চাঁদাবাজির মহোৎসব। দেশের প্রায় প্রতিটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর বিএনপি ও তাদের মিত্রদের অত্যাচার ও নির্যাতনের পাশাপাশি এখন নতুন করে যুক্ত হয়েছে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার। ১৫ বছরের কিশোর থেকে ৯০ বছরের বৃদ্ধ গ্রেপ্তার থেকে আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মী রেহাই পাচ্ছে না। 

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। 
  
বিবৃতিতে নানক বলেন, আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের গলা কেটে হত্যা করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের খুন, বাসাবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ করছে বিএনপি ও এর মিত্ররা। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক ঘটনা ঘটে যাচ্ছে, কিন্তু অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা কিংবা গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। 

আওয়ামী লীগের নেতা বলেন, আমি সব নৃশংস ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এ জঘন্য অপরাধীদের যারা মদদ দিচ্ছে, তাদের বিচার একদিন বাংলার মাটিতে হবেই।

রাজু/এমএ/

জামায়াতকে যারা নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিল তারাই জনগণের ভয়ে পালিয়েছে: আব্দুল হালিম

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৫ পিএম
জামায়াতকে যারা নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিল তারাই জনগণের ভয়ে পালিয়েছে: আব্দুল হালিম
ছবি: সংগৃহীত

জামায়াতকে যারা নিষিদ্ধ করেছিল, তারা গত ৫ আগস্ট জনগণের ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম। 

তিনি বলেন, আল্লাহর মেহেরবানীতে জামায়াত স্বমহিমায় জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা নিয়ে ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।  

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সকালে নেত্রকোনার পাবলিক হলে জেলা জামায়াতের আমীর নির্বাচনের লক্ষ্যে আয়োজিত এক রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

কেন্দ্রীয় সংগঠনের নির্দেশনার আলোকে ২০২৫-২০২৬ কার্যকালের জন্য রুকনগণ (পুরুষ ও মহিলা) জেলা জামায়াতের আমীর নির্বাচনের লক্ষ্যে গোপন ব্যালটে প্রত্যক্ষভাবে ভোট প্রদান করেছেন।  

আব্দুল হালিম বলেন, আওয়ামী লীগ দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর দেশে অপরাজনীতি করেছে এবং এখনও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সকল চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। জামায়াতে ইসলামী সবসময়ই ঐক্যের পক্ষে ভূমিকা পালন করে আসছে।  

রুকনদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মুয়াজ্জিনের ভূমিকা পালন করতে হবে। সকল মানুষকে কল্যাণের দিকে আহ্বান করতে হবে। আত্মগঠন, জনশক্তির মানোন্নয়ন, পরিবার গঠন এবং মানবসেবা ও সমাজকল্যাণমূলক তৎপরতায় রুকনগণকে সক্রিয় ও একনিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে।  

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের ওপর সীমাহীন জুলুম করেছিল। এখন তারা পালাতে বাধ্য হয়েছে। ৫ আগস্টের পরে আমাদের দায়িত্ব বহুগুণে বেড়ে গেছে। আমাদের প্রতি দেশের মানুষের প্রত্যাশা বেড়েছে। মানুষের এই প্রত্যাশা পূরণে জামায়াতের রুকনদের জাগতিক ও নৈতিক যোগ্যতা বাড়াতে হবে। 

জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মাওলানা সাদেক আহমাদ হারিছের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর অধ্যাপক মাওলানা এনামুল হক, ময়মনসিংহ জেলা জামায়াতের আমীর আব্দুল করিম প্রমুখ।
শফিকুল ইসলাম/এমএ/

রাজধানীর জলাবদ্ধতা-যানজটের সমাধান কবে, জানতে চায় সিপিবি

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৪০ পিএম
আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৪১ পিএম
রাজধানীর জলাবদ্ধতা-যানজটের সমাধান কবে, জানতে চায় সিপিবি
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীতে জলাবদ্ধতা ও যানজটের সংকট নিরসনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কবে কাজ শুরু করবে জানতে চেয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি নেতারা। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে নগরজুড়ে দুর্ভোগের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দলীয় সমাবেশে তারা এ মন্তব্য করেন।

সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, সদস্য কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, জলি তালুকদার, ডা. সাজেদুল হক রুবেলসহ অনেকে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে সিপিবি নেতারা বলেন, অতীতের শাসকরা উন্নয়নের নামে জনগণকে সম্পৃক্ত না করে সংকট হলেই এক একটা প্রজেক্ট নিয়ে নিজেদের পকেট ভারী করেছে। এ সময় তারা তো ক্ষমতাই নেই। এ সরকার এসব সমস্যার পুরোপুরি সমাধান করতে পারবে-সেটি আমরা আশা করি না। তবে এসব সংকট সমাধানের কার্যক্রম শুরু হলো না কেন? আমরা এটা জানতে চাই।

সমাবেশে সিপিবি নেতারা দেশের সর্বত্র ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা বিধান এবং নির্বিঘ্নে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের নিশ্চয়তা দিতে সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। তারা বলেন, এলাকায়-এলাকায় সম্প্রীতির পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এ সময়ে কেউ যদি অপতৎপরতা করার দুঃসাহস দেখায় তাদের চিহ্নিত ও কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

শ্রমিক হত্যার বিচার, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, রেশন ব্যবস্থা চালু, আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে জনজীবনে শান্তি, সর্বত্র সম্প্রীতি রক্ষা, দুর্নীতি-লুটপাট-দখলদারিত্ব বন্ধ, পাচারের টাকা-খেলাপী ঋণ আদায়, শ্রমিকের জাতীয় ন্যূনতম মজুরি, কৃষক-ক্ষেতমজুরের স্বার্থে নীতি প্রণয়ন, সবার জন্য কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য-শিক্ষার নিশ্চয়তা, কালাকানুন আইন বাতিল, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন প্রবর্তন, নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের দাবি আসে সমাবেশ থেকে।

সিপিবি নেতারা নানা অভিযোগ এনে বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির দাবির কাছে সরকার নতজানু হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় এসব অপশক্তি দাপট দেখাচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে এরা জেঁকে বসছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে প্রকৃত অপরাধীদের এখনো গ্রেপ্তার করা হয় নাই। বরং অনেক ক্ষেত্রে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দিয়ে মূল ঘটনাকে হালকা করে ফেলা হচ্ছে।

তারা বলেন, বিতর্কিত ব্যক্তিকে বিচার ট্রাইব্যুনালে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিনের আন্দোলনকারী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল ব্যক্তি এবং সংগঠককে উপেক্ষা করে বিশেষ কতক গোষ্ঠীর স্বার্থেই সরকার তার কাজ পরিচালনা করছে।

চলমান সংকটের অবসান ঘটাতে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে অর্থবহ আলোচনা করে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য কতক প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের রূপরেখা তৈরি ও নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের আলোচনা শুরু এবং নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানান।

জয়ন্ত সাহা/এমএ/ 

শহিদদের কোনো দলীয় ভিত্তিতে ভাগ করতে চাই না : জামায়াত আমির

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪২ পিএম
আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৫৪ পিএম
শহিদদের কোনো দলীয় ভিত্তিতে ভাগ করতে চাই না : জামায়াত আমির
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি : খবরের কাগজ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা শহিদদের কোনো দলীয় ভিত্তিতে ভাগ করতে চাই না। শহিদরা জাতির সম্পদ, ইজ্জতের চূড়ান্ত সীমায় আমরা তাদের রাখতে চাই, দেখতে চাই। 

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সকালে গাজীপুরের রাজবাড়ি ময়দানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘যারা লড়াই করে, বুকের রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে এ সমাজকে মুক্তি এনে দিয়েছেন এই পরিবারগুলোর প্রতি সরকারকে অবশ্যই তার নৈতিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। জাতিকেও দায়িত্ব পালন করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাব শহিদদের সঠিক স্বীকৃতি যেন দেওয়া হয়। পাঠ্যপুস্তক কারিকুলামে আগামী দিনের নাগরিকরা যেন জানে তাদেরও আবু সাঈদরা ছিল।’ 

জামায়াত আমির আরও বলেন, ‘প্রতিটি শহিদ পরিবার থেকে কমপক্ষে একজনকে যেন সরকার সম্মানজনক চাকরি তাদের হাতে তুলে দেয়। লড়াই করে যারা আহত হয়েছে, পঙ্গু হয়েছে, তাদেরও যেন সম্মানজনক চাকরি দেওয়া হয়। তারা যেন আজীবন কারও করুণার পাত্র হয়ে না থাকে।’ 

জামায়াতে ইসলামীর গাজীপুর মহানগর শাখার সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ জামাল উদদীনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ।

এতে আরও বক্তব্য দেন দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. খলিলুর রহমান, ঢাকা উত্তর অঞ্চল টিমের সদস্য আবুল হাসেম খান, মাওলানা দেলাওয়ার হোসেন, গাজীপুর জেলা জামায়াতের আমির ড. জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির মুহাম্মদ খায়রুল হাসান, মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সালাউদ্দিন আইউবী প্রমুখ।

পলাশ প্রধান/সালমান/

১০ সদস্যের প্রশিক্ষণ কমিটি গঠন বিএনপির

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৫২ পিএম
আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৫৩ পিএম
১০ সদস্যের প্রশিক্ষণ কমিটি গঠন বিএনপির
বিএনপি (লোগো)

দলের নেতা-কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য ১০ সদস্যবিশিষ্ট একটি ‘কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক কমিটি’ গঠন করেছে বিএনপি।

কমিটিতে বিএনপির স্থায়ী সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানকে আহ্বায়ক এবং কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেনকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই প্রশিক্ষণ কমিটি গঠন করা হয়। পরে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক রাশিদা বেগম হীরা, গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সহসম্পাদক অ্যাডভোকেট নেওয়াজ হালিমা আরলী, গণশিক্ষাবিষয়ক সহ-সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তরে সংযুক্ত) মো. আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী।

শফিকুল ইসলাম/সালমান/