দল-মত, ধর্ম-বর্ণ বাছ-বিচার না করে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে দলের নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের মাধ্যমে জনজীবনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তাই এই বিজয়কে টেকসই ও অর্থবহ করতে জামায়াতের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর আব্দুল্লাহপুরে একটি কনভেশন সেন্টারে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের উত্তরা পূর্ব-পশ্চিম অঞ্চল আয়োজিত রুকন সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে আরেও বক্তব্য রাখেন উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মূসা, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. মাওলানা আবুল ইহসান এবং মজলিসে শুরা সদস্য মুহাম্মদ জামাল উদ্দীন প্রমুখ।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘জামায়াতের ঘরের খুঁটি হচ্ছে রুকন। মূলত রুকনরাই সংগঠনের মূল শক্তি। তাই তারা যেমন মর্যাদাবান, সর্বোপরি তাদের দায়িত্বও অনেক বেশি। তাই জামায়াতের শপথের কর্মীদের নিজেদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি সৃষ্টিতে আত্মনিয়োগ করতে হবে। দ্বীন প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে আগামী দিনে নিজেদের কর্মতৎপরতা বৃদ্ধি করতে হবে। দেশ ও জাতির কল্যাণে রুকনদের যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘জামায়াতের প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ বেড়েছে, সৃষ্টি হচ্ছে গণজোয়ার। তাই এই ইতিবাচক ধারাকে কাজে লাগাতে জামায়াতের সব স্তরের জনশক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে-ময়দানে কাজ করতে হবে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং অভ্যুত্থানের অর্জিত বিজয়কে কাজে লাগিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে সবাইকে ভূমিকা পালন করতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘হাজারো প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশে দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহিদরা আমাদের জাতীয় বীর। তাদের রক্তের পথ ধরেই জাতির বিজয় সোপান রচিত হয়েছে। তাই জাতীয় স্বার্থেই শহিদদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে হবে।’
শফিকুল ইসলাম/সালমান/