হাজার বছরেও শেখ হাসিনার মতো নির্মম কারও জন্ম হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মুফতি মামুনুল হক।
তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল শান্ত স্বাভাবিক পরিবেশে এমনভাবে একটি সাধারণ ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে হত্যাযজ্ঞ চালানো যায়, যা আজ একবিংশ শতাব্দীতে এসে কল্পনা করা কঠিন। এ জন্য আমি বলে থাকি বাংলাদেশে হাজার বছরের মধ্যে শেখ হাসিনার মতো এত নির্মম, এত বর্বর কোনো মানুষের জন্ম হয়েছে কি না আমার সন্দেহ হয়। এ নির্মমতার শিকার হয়েছে আমাদের কোমলমতি ছাত্ররা। শিকার হয়েছে সাধারণ জনতা ও মাদরাসার ছাত্ররা।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় টাঙ্গাইল জেলা খেলাফত মজলিসের আয়োজনে শহরের পৌর উদ্যানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে দোয়া এবং নৈরাজ্যবিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মামুনুল হক বলেন, মানুষকে গুমের পর গুম করেছে হাসিনা। মানুষ এখন তাদের স্বজনদের জন্য হাসপাতাল থেকে হাসপাতাল ঘুরে। তাদের ফিরে আসার অপেক্ষায় থাকে। এই ছিল শেখ হাসিনার বাংলাদেশের চিত্র। এই বাংলাদেশ গড়ার জন্য এই দেশের হাজারো মানুষ রক্ত দেয়নি, এই বাংলাদেশ থেকে শেখ হাসিনাকে আল্লাহ বিতাড়িত করে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ করে দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার ৫০ বছরের রাজনীতির কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। তার মধ্যে এক নম্বর বৈশিষ্ট্য হলো- শেখ হাসিনার রাজনীতি ছিল প্রতিশোধের রাজনীতি। ১৯৭৫ সালে তার বাবাকে কেন হত্যা করা হয়েছিল, সে কথা তিনি ভুলে গেছেন। একাত্তরে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে তাদের প্রতি মায়া নেই, মায়া শুধু শেখ পরিবারের জন্য। বঙ্গবন্ধুর রক্তের যেমন দাম আছে তেমনি সাধারণ মানুষের রক্তেরও দাম ছিল।’
খেলাফত মজলিসের এই নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনা এই দেশকে স্বাধীন রাখতে চাননি, মানুষকে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল, পদ্মা সেতু মনে হয় শেখ হাসিনার বাবার টাকায় করেছে। শেখ হাসিনা মনে মনে ভেবেছিল, তোমরা বেশি বুঝবা বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গ রাজ্য বানিয়ে দেব।’
‘সীমান্তের ওপার থেকে আপা সংবাদ পাঠায় চট করে দেশে ঢুকে পড়ার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। আপা যেখানে আছেন ভালো আছেন সময়মতো আমরা ধরে নিয়ে আসব। এর আগে দেশে ঢুকার চেষ্টা করবেন না। এ দেশের মানুষের কবলে আর বাঁচবেন না’, বলেন এই নেতা।
সমাবেশে টাঙ্গাইল জেলা কওমি ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিসের জেলার সভাপতি হাফেজ এনামুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা কামরুল হাসান প্রমুখ।
জুয়েল রানা/ইসরাত চৈতী/অমিয়/