ঢাকা ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪

হাজার বছরেও শেখ হাসিনার মতো নির্মম কারও জন্ম হয়নি: মামুনুল হক

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৪১ পিএম
আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৫৯ পিএম
হাজার বছরেও শেখ হাসিনার মতো নির্মম কারও জন্ম হয়নি: মামুনুল হক
টাঙ্গাইলে নৈরাজ্য বিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মুফতি মামুনুল হক। ছবি: খবরের কাগজ

হাজার বছরেও শেখ হাসিনার মতো নির্মম কারও জন্ম হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মুফতি মামুনুল হক।

তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল শান্ত স্বাভাবিক পরিবেশে এমনভাবে একটি সাধারণ ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে হত্যাযজ্ঞ চালানো যায়, যা আজ একবিংশ শতাব্দীতে এসে কল্পনা করা কঠিন। এ জন্য আমি বলে থাকি বাংলাদেশে হাজার বছরের মধ্যে শেখ হাসিনার মতো এত নির্মম, এত বর্বর কোনো মানুষের জন্ম হয়েছে কি না আমার সন্দেহ হয়। এ নির্মমতার শিকার হয়েছে আমাদের কোমলমতি ছাত্ররা। শিকার হয়েছে সাধারণ জনতা ও মাদরাসার ছাত্ররা। 

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় টাঙ্গাইল জেলা খেলাফত মজলিসের আয়োজনে শহরের পৌর উদ্যানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে দোয়া এবং নৈরাজ্যবিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

মামুনুল হক বলেন, মানুষকে গুমের পর গুম করেছে হাসিনা। মানুষ এখন তাদের স্বজনদের জন্য হাসপাতাল থেকে হাসপাতাল ঘুরে। তাদের ফিরে আসার অপেক্ষায় থাকে। এই ছিল শেখ হাসিনার বাংলাদেশের চিত্র। এই বাংলাদেশ গড়ার জন্য এই দেশের হাজারো মানুষ রক্ত দেয়নি, এই বাংলাদেশ থেকে শেখ হাসিনাকে আল্লাহ বিতাড়িত করে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ করে দিয়েছে।’ 

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার ৫০ বছরের রাজনীতির কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। তার মধ্যে এক নম্বর বৈশিষ্ট্য হলো- শেখ হাসিনার রাজনীতি ছিল প্রতিশোধের রাজনীতি। ১৯৭৫ সালে তার বাবাকে কেন হত্যা করা হয়েছিল, সে কথা তিনি ভুলে গেছেন। একাত্তরে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে তাদের প্রতি মায়া নেই, মায়া শুধু শেখ পরিবারের জন্য। বঙ্গবন্ধুর রক্তের যেমন দাম আছে তেমনি সাধারণ মানুষের রক্তেরও দাম ছিল।’ 

খেলাফত মজলিসের এই নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনা এই দেশকে স্বাধীন রাখতে চাননি, মানুষকে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল, পদ্মা সেতু মনে হয় শেখ হাসিনার বাবার টাকায় করেছে। শেখ হাসিনা মনে মনে ভেবেছিল, তোমরা বেশি বুঝবা বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গ রাজ্য বানিয়ে দেব।’

‘সীমান্তের ওপার থেকে আপা সংবাদ পাঠায় চট করে দেশে ঢুকে পড়ার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। আপা যেখানে আছেন ভালো আছেন সময়মতো আমরা ধরে নিয়ে আসব। এর আগে দেশে ঢুকার চেষ্টা করবেন না। এ দেশের মানুষের কবলে আর বাঁচবেন না’, বলেন এই নেতা।

সমাবেশে টাঙ্গাইল জেলা কওমি ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিসের জেলার সভাপতি হাফেজ এনামুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা কামরুল হাসান প্রমুখ।

জুয়েল রানা/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

ইসলামকে বিজয়ী করার সুযোগ এসেছে : চরমোনাই পীর

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২৭ পিএম
ইসলামকে বিজয়ী করার সুযোগ এসেছে : চরমোনাই পীর
দেশব্যাপী দাওয়াতি কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর ইসলামকে বিজয়ী করার সুযোগ এসেছে।

সোমবার (৭ অক্টোবর) ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের যৌথ উদ্যোগে রাজধানীর জুরাইন রেলগেট এলাকায় দেশব্যাপী দাওয়াতি কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। 

চরমোনাই পীর আরও বলেন, ‘গত ৫৩ বছর শাসকগোষ্ঠীর ব্যর্থতা, লুটপাট, পাচার, সীমাহীন খুন-ধর্ষণ, চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে মানুষ ক্রমেই ইসলামের ছায়াতলে ঝুঁকছে। ইসলামের সৌন্দর্যগুলো তুলে ধরে মানুষকে ইসলামের পথে নিয়ে আসতে হবে।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম প্রমুখ।

বিশৃঙ্খলাকারীদের শক্ত হাতে প্রতিরোধ করা হবে : হেলাল উদ্দিন

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৫৩ পিএম
বিশৃঙ্খলাকারীদের শক্ত হাতে প্রতিরোধ করা হবে : হেলাল উদ্দিন
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন

বিশৃঙ্খলাকারীদের শক্ত হাতে প্রতিরোধ করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।

সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর দেশ থেকে স্বৈরাচারী, লুটতরাজ পালিয়ে গেছে। বিগত সময়ে হাটহাজারীকে অশান্ত করার জন্য কিছু কুচক্রী মহল মন্দির ভাঙার মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের অসংখ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিকে কারাগারে আটক রেখেছিলেন। তারা চেয়েছিলেন, শান্ত হাটহাজারীকে অশান্ত করার। কিন্তু এবার আর সফল হতে দেব না। ৫ আগস্ট যেভাবে শক্ত হাতে প্রতিরোধ করা হয়েছে ঠিক সেভাবে বিশৃঙ্খলাকারীদের প্রতিরোধ করা হবে।’ 

হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘এবারের দুর্গাপূজা হবে উৎসবমুখর। যারা বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করবে তাদের কোনোভাবে ছাড় না দেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানাই। বাংলাদেশে কোনো সংখ্যালঘু নেই। আমরা সবাই বাংলাদেশি।’ 

হাটহাজারী পূজা উৎযাপন পরিষদের আহ্বায়ক বাবু অশোক কুমারের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক সাংবাদিক বাবলু দাশের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও হাটহাজারী পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক জাকের হোসেন, উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. গিয়াসউদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডা. রফিকুল আলম চৌধুরী, হাটহাজারী পৌরসভা বিএনপির সদস্যসচিব মো. অহিদুল আলম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এমএ শুক্কুর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব মো. আকবর আলী প্রমুখ।

সালমান/

 

ছাত্রদের সাফল্য গণিমতের মাল নয় : জি এম কাদের

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:১৭ পিএম
ছাত্রদের সাফল্য গণিমতের মাল নয় : জি এম কাদের
সভায় বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। ছবি : সংগৃহীত

একটি চক্র জাতীয় পার্টিকে ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষের দল হিসেবে চিহ্নিত করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেন, ‘রক্তেভেজা এই সাফল্য গণিমতের মাল বা ভাগ-বাটোয়ারার বিষয় নয়।’ 

সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর বনানীর কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জি এম কাদের এসব কথা বলেন। 

এ সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ছাত্ররা জীবন দিয়ে দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করেছে। ছাত্রদের রক্তে দেশের রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে। জীবন দিয়ে দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করার কৃতিত্ব শুধুই ছাত্রদেরই। ছাত্রদের জীবন দেওয়া সাফল্যকে গণিমতের মাল মনে করবেন না, রক্তেভেজা এই সাফল্য ভাগ-বাটোয়ারার বিষয় নয়।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সর্বোতভাবে সমর্থন দিলেও জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগের ‘দোসর’ হিসেবে চিহ্নিত করার প্রচেষ্টা চলছে বলেও সভায় মন্তব্য করেন দলটির চেয়ারম্যান। 

জি এম কাদের বলেন, ‘দুঃখের বিষয় হচ্ছে, ছাত্র আন্দোলনের সাফল্য নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। একটি চক্র জাতীয় পার্টিকে ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষের দল হিসেবে চিহ্নিত করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ছাত্রদের আন্দোলনে আমরা সমর্থন দিয়েছি, আমাদের নেতা-কর্মীরা অংশ নিয়ে হামলা-মামলার শিকার হয়ে জেল খেটেছে। অথচ সেই আন্দোলনের হত্যা মামলায় জাতীয় পার্টি নেতা-কর্মীদের আসামি করা হচ্ছে।’

সংবিধান সংস্কার প্রসঙ্গে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত সংবিধানের পরিবর্তন চাই না। তবে দেশের মানুষের জন্য সুশাসন নিশ্চিত করতেই আমরা সংবিধানের সংশোধন চাই। সংবিধানের ক্ষমতা বলে যেন ক্ষমতাসীনরা আর দানব না হতে পারে। আমরা সংবিধানের পরিবর্তন চাই, যাতে দেশের মানুষ আজীবন গণতন্ত্রের সুফল ভোগ করতে পারে। কোনো দল ক্ষমতায় গিয়ে যেন সংবিধান পরিবর্তন করে পরবর্তী নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে না পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে।’ 

দলের মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নুর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, মোস্তফা আল মাহমুদ, আলমগীর সিকদার লোটন, মনিরুল ইসলাম মিলন, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আতাউর রহমান আতাসহ অনেকে।

এবি পার্টির সঙ্গে আইআরআই প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৩৬ পিএম
এবি পার্টির সঙ্গে আইআরআই প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
এবি পার্টির নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন আইআরআই প্রতিনিধিদল। ছবি : খবরের কাগজ

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) একটি প্রতিনিধিদল আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তারা সাক্ষাৎ করেন।

এ সময় আইআরআইয়ের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রোগ্রাম পরিচালক জোশুয়া রোজেনব্লাম, ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রোগ্রাম ম্যানেজার ক্রিস্টোফার ব্রেনান, সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার অমিতাভ ঘোষ, বাংলাদেশ অফিসের প্রোগ্রাম ম্যানেজার রুকসানা হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এবি পার্টির প্রতিনিধিদলে ছিলেন পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন, সহকারী সদস্যসচিব ও শ্যাডো কমিটিবিষয়ক ইনচার্জ ব্যারিস্টার সানি আবদুল হক এবং এবি মহিলা পার্টির ইনচার্জ ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি।

এবি পার্টি কীভাবে পলিসিভিত্তিক রাজনীতির মাধ্যমে রাজনৈতিক রূপকল্প পরিবর্তন করতে চায় এবং নতুন প্রজন্মের রাজনীতি সম্পর্কে তারা প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন। এ সময় দেশব্যাপী দলীয় কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণের পরিকল্পনা বিশেষ করে রাজধানীর বাইরে সংগঠন বিস্তারের বিষয়ে অবহিত করা হয়।

এবি পার্টি প্রতিনিধিদলকে বলেন, কোনো ভয়-ভীতি ছাড়াই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষায় কাজ করার জন্য এখন উপযুক্ত সময়। 

আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাম্প্রতিক বৈঠকের কথাও উঠে আসে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে এবি পার্টির সদস্যসচিব প্রধান উপদেষ্টার কাছে ৬টি পর্যবেক্ষণ এবং ১১ দফা প্রস্তাবের বিষয়ে অবহিত করেছেন। উচ্চ মূল্যস্ফীতি, নিত্যপণ্যের নজিরবিহীন মূল্যবৃদ্ধি, প্রধান শহরগুলোতে যানজটের কারণে সাধারণ মানুষ অসুবিধায় পড়েছেন। এবি পার্টি বন্যাকবলিত এলাকায় লক্ষাধিক মানুষের অসুবিধার পরিমাণ ব্যাখ্যা করে। 

এবি পার্টি বিগত স্বৈরাচারী সরকারের শাসনামলে একাধিক গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং অর্থ পাচার নিয়ে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহির বিষয়ে পার্টির চিন্তাভাবনা প্রতিনিধিদলকে অবহিত করে। 

এ সময় এবি পার্টি হাজার হাজার যুবকের ঐতিহাসিক আত্মত্যাগকে স্মরণ করে একটি নতুন প্রগতিশীল বাংলাদেশ গড়তে ও সত্যিকারের দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র এবং সবার জন্য কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করে। আইআরআই নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে এবি পার্টির কার্যক্রমকে স্বাগত জানায়।

সালমান/

জনগণ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ চায় : ফারুক

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২৪ পিএম
জনগণ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ চায় : ফারুক
আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। ছবি : খবরের কাগজ

আজকে দেশের জনগণের চাওয়া আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতেই হবে- বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। 

তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে শেখ হাসিনার একটি কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হয়েছে। এতে বোঝা যায়, তিনি আবার দেশের ক্ষমতায় আসার চেষ্টা চালাচ্ছেন।’

সোমবার (৭ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রতিবাদ সংগঠন আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ, আগামী নির্বাচন ও তারেক রহমান’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশের সাংবিধানিক বৈধ প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। দেশের মানুষের অর্থ চুরি করে বিদেশে পাচার করেছিলেন। সেই আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা বর্তমান সরকারকে অস্থিতিশীল করতে কাজ করে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘ইতিহাস বলে, শেখ মুজিবুর রহমান কখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি ভুট্টো-ইয়াহিয়ার সঙ্গে আলোচনা করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। অথচ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখার জন্য শেখ হাসিনা ২০৪১ সাল পর্যন্ত কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন।’

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, নির্বাহী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম মোল্লা প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/সালমান/