ঢাকা ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪

ঢাবি ছাত্রশিবিরের ১৪ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি

প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:১৩ পিএম
আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:১৩ পিএম
ঢাবি ছাত্রশিবিরের ১৪ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ ওই কমিটি ১৪ সদস্য বিশিষ্ট।

বুধবার (২ অক্টোবর) ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। 

এতে দেখা যায়, সভাপতি হিসেবে মো. আবু সাদিক (কায়েম), সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন খান, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক হোসাইন আহমাদ জুবায়ের, ছাত্র আন্দোলন ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম, অফিস সম্পাদক ইমরান হোসাইন, বায়তুল মাল সম্পাদক আলাউদ্দিন আবিদ, দাওয়াহ ও ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক হামিদুর রশিদ জামিল, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক নুরুল ইসলাম নূর, বিজ্ঞান ও ক্রীড়া সম্পাদক মো. ইকবাল হায়দার, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক মো. আনিছ মাহমুদ ছাকিব, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক রিয়াজুল মিয়া, ব্যবসায় শিক্ষা ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হাসান মোহাম্মদ ইয়াসির এবং স্কিল ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন আব্দুল্লাহ আল আমিন।

প্রসঙ্গত, জানুয়ারিতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখার কমিটি গঠন হয়। গত ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দেওয়ার পর ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদিক কায়েমের পরিচয় সামনে আসে। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। সাদিক ও ফরহাদ দুজনই চট্টগ্রামের বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসা থেকে আলিম পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। অন্যদিকে একদিনের মাথায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সমন্বয়কের স্ট্যাটাসের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এস এম ফরহাদ প্রকাশ্যে আসেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখার কমিটি জনসম্মুখে আনার কথা খবরের কাগজকে জানান ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখার সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ।

আরিফ জাওয়াদ/এমএ/

বিদেশ ফেরত নেতা-কর্মীদের ব্যাপারে সর্তক থাকুন : রিজভী

প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৩২ পিএম
বিদেশ ফেরত নেতা-কর্মীদের ব্যাপারে সর্তক থাকুন : রিজভী
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি : খবরের কাগজ

গত ৫ আগস্টের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিদেশ ফেরত বিএনপির নেতা-কর্মীদের খবরদারির ব্যাপারে সবাইকে সর্তক ও সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। 

তিনি বলেন, ‘গত ১৬ বছর দলের দুঃসময়ে তাদের অনেকেরই কোনো খবর ছিল না। কিন্তু এখন কেউ কেউ জনপ্রশাসন, পুলিশ ও মিডিয়া হাউসকে টার্গেট করে দলের নাম ভাঙিয়ে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। অথচ দলের দুঃসময়ে নেতা-কর্মীদের ওপর যখন ক্রমবর্ধমানভাবে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পৈশাচিক নির্যাতন বৃদ্ধি পাচ্ছিল তখন নিজেদের নিরাপদ রাখতে তারা বিদেশে শান্তি ও স্বস্তিতে দিনযাপন করেছে।’ 

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 
 
রিজভী বলেন, ‘১৬-১৭ বছর দুর্বিষহ মহাযন্ত্রণার ফ্যাসিবাদী অপশাসন সহ্য করতে গিয়ে বিএনপির অসংখ্য প্রাণ ঝরে যায়, অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করে, চিরদিনের জন্য অন্ধ হয়ে যায় অনেক নেতা-কর্মী। চিরতরে হারিয়ে যায় গণতন্ত্রের পক্ষে জোরালো কণ্ঠস্বরের বিপ্লবী নেতা-কর্মীরা। অর্থনৈতিক, শারীরিক ও মানসিকভাবে পর্যুদস্ত হয়ে নিজ দেশেই বাস্তুহারা শরণার্থীতে পরিণত হয়েছিল তারা।’ 

তিনি বলেন, ‘গত ৫ আগস্টের বিপ্লবের গুরুত্ববহ ঘটনার পর ১৬ বছর ধরে নিপীড়িত দেশবাসীকে সোনালী ভবিষ্যতের চিন্তায় যখন উদ্বুদ্ধ করছে তখন দলের কয়েকজন স্বার্থান্বেষী ব্যক্তির সুবিধাবাদী ভূমিকা সম্পর্কে সবাইকে ওয়াকিবহাল থাকা প্রয়োজন। রাজনৈতিক দুর্যোগের ঘনঘটায় তাদের জীবন কেটেছে নিরাপদে।’

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ বিএনপির শীর্ষ নেতা ও ৬ মিলিয়ন নেতা-কর্মীকে মিথ্যা মামলা ও ফরমায়েশি সাজা দিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তির যবনিকাপাত ঘটানোর আয়োজন করা হয়েছিল। নিপীড়নের চরম অভিঘাত, অপ্রীতিকর ও মর্মপীড়াদায়ক ঘটনার ধারায় নিপীড়নের চাপে জর্জরিত নেতা-কর্মীরা যখন অসহায় এবং ধ্বংসের মুখোমুখি ঠিক সেই সময়ে নিজেদের আত্মসুখ বৃদ্ধির জন্য দেশ ও দল ছেড়ে অনেকেই বিদেশে পাড়ি জমায়। এই দুঃসময়ে অনেকেরই কোনো খবর ছিল না। সম্প্রতি ৫ আগস্টের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অনুকূল পরিবেশে নিজ স্বার্থ সংরক্ষণ ও স্বার্থ বৃদ্ধির মানসে নিজ অনুকূলে প্রশাসনকে প্রভাবিত করাসহ নানা প্রতিষ্ঠানে হানা দিচ্ছে বলে দল বিভিন্ন সূত্র থেকে জানতে পেরেছে।’

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী ভয়াবহ ফ্যাসিবাদের পতনের পরেও তাদের সৃষ্ট ক্ষতচিহ্নগুলো এখনো নিরাময় হয়নি। ৫ আগস্ট পর্যন্ত হাসিনার পেটোয়া বাহিনীগুলোর ছোড়া বুলেট ও ধারালো অস্ত্রে দীর্ঘ দুই মাসের অধিক সময় জীবন-মৃত্যুর লড়াইয়ে পরাজিত হয়ে এখনো প্রতিদিনই কেউ না কেউ মৃত্যুবরণ করছেন।’

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘এমতাবস্থায় দীর্ঘ দুঃসময়ে প্রবাসে অবস্থান করে নিজেদের খেয়াল-খুশি মতো জীবনযাপন করে এখন দেশে ফিরে এসে প্রভাব খাটিয়ে আরও বেশি স্বার্থ উদ্ধারের চেষ্টায় তৎপর থেকে প্রশাসন, ব্যবসায়ী মহল এবং মিডিয়া হাউসসহ নানা প্রতিষ্ঠানে খবরদারি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ সমস্ত ব্যক্তিরা কেউ বিএনপির প্রতিনিধিত্ব করে না।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব হাবীব উন নবী খান সোহেল, আব্দুস সালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুইঁয়া, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/সালমান/

ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার: তারেক রহমান

প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:১৪ পিএম
ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান

দল-মত-ধর্ম যার যার, কিন্তু রাষ্ট্র সবার এবং নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকারও সবার রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু নিয়ে চিন্তার কোনও অবকাশ নেই। দেশের প্রতিটি নাগরিক সমান অধিকার ও স্বাধীনতা ভোগ করবে-এটিই বিএনপির নীতি এবং রাজনীতি।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজা চলাকালে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্টের মাধ্যমে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফেসবুক পোস্টে তারেক রহমান বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার। ধর্ম-বর্ণ, কিংবা ভৌগলিক-আদর্শিক অবস্থান নির্বিশেষে, প্রত্যেক নাগরিক যেন তার ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অধিকার বিনা বাধায় উপভোগ করতে পারে-এ লক্ষ্যেই মুক্তিযোদ্ধারা লাখো প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় কে মুসলমান, কে হিন্দু, কে বৌদ্ধ, কে খ্রিস্টান এমন প্রশ্ন ছিল না।

তারেক রহমান পোস্ট শেষ করেন এভাবে, বাঙালি-অবাঙালি, বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী, কিংবা সংস্কারবাদী প্রত্যেক নাগরিকের একমাত্র পরিচয় আমরা বাংলাদেশি। এই বাংলাদেশ আপনার, আমার, আমাদের সবার।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

২৪ ঘণ্টায় সাবের চৌধুরী জামিনে মুক্তি পেলেন কীভাবে : রিজভী

প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:১৪ পিএম
আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪৫ পিএম
২৪ ঘণ্টায় সাবের চৌধুরী জামিনে মুক্তি পেলেন কীভাবে : রিজভী
সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি : খবরের কাগজ

২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাবের হোসেন চৌধুরী কীভাবে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন- অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এমন প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘তা হলে এই সরকার কাকে প্রটেকশন দিচ্ছে? শেখ হাসিনা গণহত্যা চালিয়েছে আর তার সহযোগী ছিলেন সাবের হোসেন চৌধুরী। তার নির্দেশে খিলগাঁও এলাকায় ১১টি গুম-খুন হয়েছে। এর দায় তিনি এড়াতে পারেন না।’

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর খিলগাঁওয়ে গুম-খুন হওয়া শহিদ পরিবারের সদস্যদের উদ্যোগে খুনি সাবের হোসেনের বিচারের দাবিতে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের উদ্দেশে রিজভী বলেন, ‘একজন খুনি (সাবের চৌধুরী) কীভাবে জামিন পায়। এই এলাকায় তিনি জুলুম, নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়েছেন। কতজন হাত-পা হারিয়েছে। ছাত্রদল নেতা জনির মতো তরুণ ছেলেকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এসে এই জায়গায় ১৬টি গুলি করে হত্যা করেছে। এর জন্য দায়ী সাবের হোসেন চৌধুরী।’

তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে এই এলাকার পাঁচজন শহিদ হয়েছেন। সাবের হোসেন চৌধুরী তো শেখ হাসিনার চেতনায় লালিত-পালিত। তাদের আমলে কেউ গণতন্ত্রের পক্ষে টু শব্দ করতে পারেনি। এ জন্যই তিনি (সাবের চৌধুরী) গুম-খুনের কর্মসূচি সফল করেছেন।’

রিজভী আরও বলেন, ‘সাবের হোসেন চৌধুরী বিনা ভোটে বছরের পর বছর এমপি থেকেছেন। তার নির্দেশেই এতগুলো খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা হয়েছে। সে যদি জামিনে মুক্তি পায়, তা হলে যারা অর্থ কেলেঙ্কারি, যেসব পুলিশ ক্রসফায়ার দিয়েছে, বাসা থেকে তুলে নিয়ে মাথায় বন্দুক রেখে গুলি করে হত্যা করেছে- তারা তো কয়েক দিনের মধ্যে ছাড়া পেয়ে যাবেন।’

পরে সাবের হোসেন চৌধুরীর গ্রেপ্তার দাবিতে রিজভীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ করেন নেতা-কর্মীরা। মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশিদ হাবিব, মহানগর বিএনপি নেতা ইউনূস মৃধা, সাবেক কাউন্সিলর লিটন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি  ডা. জাহিদুল কবির, যুবদলের মেহেবুব মাসুম শান্ত, আরিফুর রহমান তুষার, ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, মাসুদুর রহমান, রাজু আহমেদ প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/সালমান/

‘বৈষম্যমুক্তির সংগ্রামে কমরেড ফরহাদ গোটা জীবন ব্যয় করেছেন’

প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৫২ পিএম
আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৫৯ পিএম
‘বৈষম্যমুক্তির সংগ্রামে কমরেড ফরহাদ গোটা জীবন ব্যয় করেছেন’
সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স

একটি বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়ার সংগ্রামে কমরেড মোহাম্মদ ফরহাদ তার গোটা জীবন ব্যয় করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতারা।

দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফরহাদের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মৈত্রী মিলনায়তনে আয়োজিত স্মরণসভায় একথা বলেন নেতারা।

তারা বলেন, ‘আকণ্ঠ বিপ্লব পিয়াসী কমরেড ফরহাদ ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানি আমলের স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রাম, মহান ভাষা আন্দোলন, ৫৮’র সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯’র গণ-অভ্যুত্থান, সর্বোপরি মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি এবং তার প্রিয় পার্টি সিপিবির অবদান সেই বৈষম্যমুক্তির সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়েছে।’

সিপিবি নেতারা বলেন, ‘নিষিদ্ধ থাকা কমিউনিস্ট পার্টিকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে তুলে ধরতে পার্টি সিদ্ধান্তকে শিরোধার্য করে তিনি নিরলস কাজ করে গেছেন। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বিজয়ী বাংলাদেশে আমৃত্যু তিনি গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা, স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রাম এবং বৈষম্যমুক্ত সমাজ তথা সমাজতন্ত্রের সংগ্রামকে অগ্রসর করে নিয়ে গেছেন।’ 

তারা বলেন, ‘কমিউনিস্ট পার্টি ও তার কর্মকাণ্ড এদেশের তরুণ প্রজন্মসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে উদ্দীপ্ত করেছে। দেশের বিভিন্ন সংকটে স্বৈরাচারবিরোধী গণতন্ত্রের সংগ্রামে তার অবদান জাতি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে।’ 

নেতারা আরও বলেন, ‘এবছর আমরা এমন একটি পরিবেশে তার মৃত্যুবার্ষিকীতে মিলিত হয়েছি যে, অসংখ্য মানুষের রক্তদানের মধ্য দিয়ে অভ্যুত্থান সংগঠিত করতে হয়েছে। এই অভ্যুত্থানে সাধারণ মানুষের অন্যতম আকাঙ্ক্ষা হলো, সব মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি-লুটপাট বন্ধ, সবার কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠা, সব কালাকানুন বাতিল ও বৈষম্যমুক্ত সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা। এই অভ্যুত্থানের বিজয়ের ওপর দাঁড়িয়ে বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার সংগ্রামকে আমাদের এগিয়ে নিতে হবে।’ 

নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যথাযথ অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সিপিবি নেতারা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের দুই মাস পেরিয়ে গেলেও এসব বিষয়ে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। জনজীবনে শান্তি ফিরিয়ে আনা ছাড়া সংস্কারের কার্যক্রম এখনো যাবে না।’

তারা রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় নিয়ে চলমান সংস্কার কার্যক্রম ও নির্বাচনব্যবস্থার আমূল সংস্কারের কাজ এবং নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানান। 

দলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, মিহির ঘোষ, মাহবুবুর আলম, সাজ্জাদ জহির চন্দন, ডা. সাজেদুল হক রুবেল, হাসান তারিক চৌধুরী, বিমল মজুমদার, মোতালেব হোসেন, খান আসাদুজ্জামান মাসুম, ছাত্রনেতা মাহির শাহরিয়ার রেজা।

এর আগে সকালে বনানী কবরস্থানে মোহাম্মদ ফরহাদের কবরস্থানে সিপিবিসহ বিভিন্ন সংগঠন ও পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া মোহাম্মদ ফরহাদের জন্মস্থান পঞ্চগড়ের বোদাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সালমান/

বিএনপির ত্রাণ তহবিলে অনুদান দিলেন খালেদা জিয়া

প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৫৪ পিএম
বিএনপির ত্রাণ তহবিলে অনুদান দিলেন খালেদা জিয়া
ছবি: সংগৃহীত

বন্যার্তদের সহায়তায় বিএনপির কেন্দ্রীয় ত্রাণ তহবিলে অনুদান দিয়েছেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ত্রাণ কমিটির কাছে বেগম জিয়ার পক্ষ থেকে ২ লাখ টাকা হস্তান্তর করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  

তিনি জানান, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত ফান্ড থেকে এ অনুদান দেওয়া হয়েছে। দেশের যে কোনো সংকটময় পরিস্থিতিতে তিনি সবার পাশে দাঁড়িয়েছেন। যে কোনো সংকটে খালেদা জিয়াই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, অথচ বিনা কারণে গত ছয় বছর তাকে জনগণ থেকে দূরে রাখা হয়েছে। খালেদা জিয়া তার সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব। 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহদপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন প্রমুখ।  

জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপি বন্যাকবলিত এলাকায় পানিবন্দিদের উদ্ধার, শুকনো খাবার সরবরাহ এবং বন্যা পরবর্তীতে পুনর্বাসন কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। নীলফামারী, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম এবং গাইবান্ধায় বন্যা হয়েছে। বগুড়া ও সিরাজগঞ্জও প্লাবিত হয়েছে। এ মানুষগুলোকে জরুরিভাবে কেন্দ্রীয়ভাবে বন্যাদূর্গতের পুনর্বাসন, শুকনো খাবার সরবরাহ এবং বন্যা পরবর্তীতে পুনর্বাসন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। 

শফিকুল ইসলাম/এমএ/