ঢাকা ২২ আশ্বিন ১৪৩১, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪

সবাইকে নিয়ে কল্যাণমুখী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে বিএনপি: মোনায়েম মুন্না

প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৫ পিএম
সবাইকে নিয়ে কল্যাণমুখী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে বিএনপি: মোনায়েম মুন্না
ছবি: সংগৃহীত

সব ধর্মের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কল্যাণমুখী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে বিএনপি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্টরা যেন আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। পরাজিত পতিত শক্তি শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে অপতৎপরতা শুরু করেছে। দুর্গাপূজায় কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনার চক্রান্ত যাতে কেউ করতে না পারে, সে ব্যাপারে নেতা-কর্মীরা সার্বক্ষণিক সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান।  

বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেলে বরিশাল শিল্পকলা একাডেমিতে এক যৌথ কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোনায়েম মুন্না এসব কথা বলেন। 

স্বাধীনতার মূল চেতনা-সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারভিত্তিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের নতুন পথযাত্রায় জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের দিক-নির্দেশনামূলক এই যৌথ কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। 

মোনায়েম মুন্না বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্যাতিত ও নিপীড়িত দল বিএনপি। দীর্ঘ সাড়ে ১৭ বছর ধরে সংগ্রামের পর আমরা এ দুঃশাসন থেকে ফ্যাসিবাদের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছি। হাসিনা চলে গেছে, হাসিনা পালিয়ে গেছে। 

তিনি বলেন, অবিলম্বে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানসহ দলের সব নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং তাকে দেশে ফেরানোর জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি। বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না হলে কখনো একটি গ্রহণযোগ্য নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে না।  

তিনি আরও বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে শহিদ আবু সাঈদসহ অসংখ্য ছাত্র-জনতার রক্তদানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নতুনভাবে স্বাধীন হয়েছে ।  ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে শহীদ হওয়া পরিবারদের অবদান এবং আবু সাঈদের মতো শহীদদের আত্মত্যাগ যেন কখনও বৃথা না যায়। 
জাতির মুক্তির সংগ্রামে যারাই শহীদ হয়েছেন, নতুন বাংলাদেশে জাতি তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ রাখবে বলে মন্তব্য করে যুবদল সভাপতি বলেন, খুনি হাসিনা ক্ষমতার লোভে জেদের বশবর্তী হয়ে জনগণের ওপর গুলি চালিয়ে সুস্পষ্ট গণহত্যা চালিয়েছে। স্বাধীন দেশে পরিচালিত এই গণহত্যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। 

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্য মোনায়েম মুন্না বলেন, অবিলম্বে খুনিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সুনির্দিষ্ট অপরাধ যারা করেছেন- তার বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে এবং তাদেরকে শাস্তি দিতে হবে। গণহত্যার বিচার করতে হবে এবং গত সাড়ে ১৭ বছরে যেসব অপরাধ করা হয়েছে তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে। 

বরিশাল দক্ষিণ জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন রেজা খানের সভাপতিত্বে এবং বরিশাল বিভাগীয় যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি এইচ এম তসলিম উদ্দিন ও  সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল আহসান, বরিশাল উত্তর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোর্সেদ মাসুদের যৌথ সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির, কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তারেক প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

এবি পার্টির সঙ্গে আইআরআই প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৩৬ পিএম
এবি পার্টির সঙ্গে আইআরআই প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
এবি পার্টির নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন আইআরআই প্রতিনিধিদল। ছবি : খবরের কাগজ

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) একটি প্রতিনিধিদল আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তারা সাক্ষাৎ করেন।

এ সময় আইআরআইয়ের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রোগ্রাম পরিচালক জোশুয়া রোজেনব্লাম, ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রোগ্রাম ম্যানেজার ক্রিস্টোফার ব্রেনান, সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার অমিতাভ ঘোষ, বাংলাদেশ অফিসের প্রোগ্রাম ম্যানেজার রুকসানা হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এবি পার্টির প্রতিনিধিদলে ছিলেন পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন, সহকারী সদস্যসচিব ও শ্যাডো কমিটিবিষয়ক ইনচার্জ ব্যারিস্টার সানি আবদুল হক এবং এবি মহিলা পার্টির ইনচার্জ ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি।

এবি পার্টি কীভাবে পলিসিভিত্তিক রাজনীতির মাধ্যমে রাজনৈতিক রূপকল্প পরিবর্তন করতে চায় এবং নতুন প্রজন্মের রাজনীতি সম্পর্কে তারা প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন। এ সময় দেশব্যাপী দলীয় কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণের পরিকল্পনা বিশেষ করে রাজধানীর বাইরে সংগঠন বিস্তারের বিষয়ে অবহিত করা হয়।

এবি পার্টি প্রতিনিধিদলকে বলেন, কোনো ভয়-ভীতি ছাড়াই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষায় কাজ করার জন্য এখন উপযুক্ত সময়। 

আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাম্প্রতিক বৈঠকের কথাও উঠে আসে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে এবি পার্টির সদস্যসচিব প্রধান উপদেষ্টার কাছে ৬টি পর্যবেক্ষণ এবং ১১ দফা প্রস্তাবের বিষয়ে অবহিত করেছেন। উচ্চ মূল্যস্ফীতি, নিত্যপণ্যের নজিরবিহীন মূল্যবৃদ্ধি, প্রধান শহরগুলোতে যানজটের কারণে সাধারণ মানুষ অসুবিধায় পড়েছেন। এবি পার্টি বন্যাকবলিত এলাকায় লক্ষাধিক মানুষের অসুবিধার পরিমাণ ব্যাখ্যা করে। 

এবি পার্টি বিগত স্বৈরাচারী সরকারের শাসনামলে একাধিক গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং অর্থ পাচার নিয়ে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহির বিষয়ে পার্টির চিন্তাভাবনা প্রতিনিধিদলকে অবহিত করে। 

এ সময় এবি পার্টি হাজার হাজার যুবকের ঐতিহাসিক আত্মত্যাগকে স্মরণ করে একটি নতুন প্রগতিশীল বাংলাদেশ গড়তে ও সত্যিকারের দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র এবং সবার জন্য কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করে। আইআরআই নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে এবি পার্টির কার্যক্রমকে স্বাগত জানায়।

সালমান/

জনগণ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ চায় : ফারুক

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২৪ পিএম
জনগণ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ চায় : ফারুক
আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। ছবি : খবরের কাগজ

আজকে দেশের জনগণের চাওয়া আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতেই হবে- বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। 

তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে শেখ হাসিনার একটি কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হয়েছে। এতে বোঝা যায়, তিনি আবার দেশের ক্ষমতায় আসার চেষ্টা চালাচ্ছেন।’

সোমবার (৭ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রতিবাদ সংগঠন আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ, আগামী নির্বাচন ও তারেক রহমান’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশের সাংবিধানিক বৈধ প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। দেশের মানুষের অর্থ চুরি করে বিদেশে পাচার করেছিলেন। সেই আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা বর্তমান সরকারকে অস্থিতিশীল করতে কাজ করে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘ইতিহাস বলে, শেখ মুজিবুর রহমান কখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি ভুট্টো-ইয়াহিয়ার সঙ্গে আলোচনা করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। অথচ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখার জন্য শেখ হাসিনা ২০৪১ সাল পর্যন্ত কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন।’

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, নির্বাহী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম মোল্লা প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/সালমান/

 

স্বৈরাচার পুনর্বাসন হলে দেশ হবে জল্লাদের উল্লাসভূমি : রিজভী

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৫৫ পিএম
স্বৈরাচার পুনর্বাসন হলে দেশ হবে জল্লাদের উল্লাসভূমি : রিজভী
ডেঙ্গু প্রতিরোধে গণসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি : খবরের কাগজ

পতিত স্বৈরাচার আবার পুনর্বাসন হলে বাংলাদেশ জল্লাদের উল্লাসভূমি হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। 

তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ যখন স্বৈরাচারের পুনর্বাসনের কথা বলে, তাদের নিজেদের ঘর গুছানোর কথা বলে তখন জনগণের কাছে অত্যন্ত বিপজ্জনক বার্তা দেয়। যারা এতদিন গুম-খুন আর আয়নাঘরের সংস্কৃতি তৈরি করেছিল তারা যদি পুনর্বাসন হয় তাহলে এদেশে আর মানুষ বসবাস করতে পারবে না। এই দেশ হবে জল্লাদের উল্লাসভূমি। এখানে গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চিরদিনের জন্য কবরস্থানে চলে যাবে।’

সোমবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড এলাকায় বিএনপির পক্ষ থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে গণসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন রিজভী। 

স্বৈরাচারের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের সুবিধা নিয়ে যারা বিভিন্ন পদে যাচ্ছেন, এখনো যারা গণতন্ত্রের সুফল ভোগ করছেন, তারা যখন আওয়ামী লীগকে ঘর গুছানোর বার্তা দেন তখন এটা সাংঘাতিক ধরনের মরণঘাতী বার্তা। এটা হতে পারে না। যারা আয়নাঘরে গণতন্ত্রকামী মানুষদের বছরের পর বছর আটকে রেখেছিল, অসংখ্য মানুষকে পঙ্গু করে দিয়েছিল, যারা জীবন কেড়ে নিয়েছিল সেই সমস্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের পোস্টিং দেওয়া হচ্ছে, আবার কাউকে সেখানে রাখা হয়েছে। এটাই যদি অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্য হয় তাহলে ছাত্র-জনতার এই আত্মত্যাগের কী হবে?’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব নিয়োগ প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে দেখছি, নানা কায়দায় সরকার ঘাপটি মারা স্বৈরাচারের সুবিধাভোগী দোসরদের পুনর্বাসন করছে। কাতারে একজন রাষ্ট্রদূত ছিলেন, তিনি কাতারে প্রবাসীদের ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও নবায়ন করতেন না। তিনি (রাষ্ট্রদূত) খবর নিতেন ওই সমস্ত লোক কোনো দল করে, কাদের সমর্থক? কারণ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে অধিকাংশ প্রবাসী বিএনপির সমর্থক, তাদের ওই রাষ্ট্রদূত নানাভাবে হয়রানি করেছেন, ভিসা নবায়ন করেননি। সেই লোককে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব করা হয়েছে।’ 

অন্তর্বর্তী সরকার কাদের পুনর্বাসন করছেন প্রশ্ন রেখে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘যারা জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, যারা শহিদের লাশকে আজ অপবিত্র করছে, শহিদের আত্মদান ও রক্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে তাদের? যারা শেখ হাসিনার মতো ফ্যাসিস্টকে সমর্থন করে বিরোধী দল দমনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে তাদের যদি আজ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসানো হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে নিয়োগ পায় তাহলে এই সরকার প্রশ্নবিদ্ধ হবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ওইরকম বিতর্কিত ব্যক্তিদের বসানো হলে এই দেশ, জনগণ এবং বিপ্লবে দেড় হাজারেরও বেশি শহিদের অবমাননা করা হবে।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সহ স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক পারভেজ রেজা কাকন, সহ প্রচার সম্পাদক আসাদুল করীম শাহিন প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/সালমান/

দেশে ফিরলেন বিএনপি নেতা টুকু

প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৪২ পিএম
আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৪৫ পিএম
দেশে ফিরলেন বিএনপি নেতা টুকু
চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানান টুকু। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘদিন বিদেশে থাকার পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। রবিবার (৬ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে থাই এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।  

বিমানবন্দরে নামার পর সাংবাদিকদের ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, যে উদ্দেশে দ্বিতীয়বার দেশ স্বাধীন হয়েছে তা ধরে রাখতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ৩১ দফা দিয়েছে বিএনপি। আর আমরা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন চাই।

বিমানবন্দর থেকে সরাসরি শেরেবাংলা নগরস্থ চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানান টুকু। তিনি চন্দ্রিমা উদ্যানে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, হাবিবুর রহমান হাবিবসহ সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি এবং দলটির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতা-কর্মীরা।  

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, দেশে ফেরার আগে তিনি লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। 

উল্লেখ্য, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। ব্যক্তিগত সফরে বিদেশে যাওয়ার পর গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। তখন থেকেই থাইল্যান্ডে ছিলেন ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।   

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

বাংলাদেশ হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সবার: ন্যাপ

প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩৩ পিএম
বাংলাদেশ হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সবার: ন্যাপ
বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ)

বাংলাদেশ হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিষ্টান সবার, এদেশের জনগন সব সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে ছিল, এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ)।

রবিবার (৬ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ কথা বলেন।

তারা বলেন, ‘বাংলাদেশ ন্যাপ কোনোদিন ধর্মের ভিত্তিতে বা বিভাজনের রাজনীতি করে না। সব ধর্মের, সব জাতিগোষ্ঠীর সমান অধিকার নিশ্চিতে কাজ করাই আমাদের লক্ষ্য। ন্যাপ তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জালেমের বিরুদ্ধে, মজলুমের পক্ষে। সব ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা এবং তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।’

ন্যাপের শীর্ষ এই দুই নেতা বিবৃতিতে বলেন, ‘মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম, হিন্দু মুসলমান’- জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের এই উক্তির বাস্তব চারণভূমি হলো আমাদের বাংলাদেশ। ন্যাপের প্রতিষ্ঠাতা মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী বলতেন, ধর্ম যার যার কিন্তু, রাষ্ট্রটা সবার। সবাইকে মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশ হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিষ্টান সবার দেশ।’

ন্যাপ সারাদেশে সনাতনীদের পাশে থাকার জন্য দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ‘সামনে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পতিত স্বৈরাচার, দেশবিরোধী শক্তি ও দুর্নীতিবাজ-লুটেরাগোষ্টী দেশকে অস্থিতিশীল করতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অপচেষ্টা চালিয়ে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে- যা দেশবাসী কোনোভাবে মেনে নেবে না, নিতে পারে না। তাই শঙ্কামুক্ত, ভয়হীন ও উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’ 

নেতৃদ্বয় বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় শুধুমাত্র সংখ্যাগুরুরাই রক্ত দেয়নি; সংখ্যালঘুদের অনেকেই রক্ত দিয়েছে। ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সবাই মিলে শত্রুর মোকাবেলা করেছে। এসব বৈশিষ্ট্যের কারণেই বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মডেল। এর মাঝেও ‘মতলববাজ একটি কুচক্রীমহল দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সুনাম-সুখ্যাতি বিনষ্ট করে দেশকে অস্থিতিশীল ও জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপন করে বিদেশি শক্তির আগ্রাসন সৃষ্টির গভীর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে- যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ দেশের বিরুদ্ধে এমন ষড়যন্ত্রমূলক কূটচালের সাহস করতে না পারে।’

তারা বলেন, ‘দেশবিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরাই মাজার, দরগায় হামলা করছে। তারাই আবার দেশে বিভক্তি সৃষ্টির মাধ্যমে সনাতন ধর্মের দুর্গাপূজাকে ইস্যু করে নতুন ষড়যন্ত্র করছে। তাই সনাতনী ভাই-বোনসহ সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, বহু মত ও পথের বাংলাদেশে ভাস্কর্য থাকবে। মন্দির-মসজিদ-গির্জা-প্যাগোডা থাকবে। মাজার থাকবে, বাউল-ফকিরসহ সব সংস্কৃতি থাকবে। এই দেশ সব ধর্মের, সব জাতির, সব মানুষের দেশ।’

অমিয়/