ঢাকা ২৫ কার্তিক ১৪৩১, রোববার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

লেবাননে থাকা প্রবাসীদের ফিরিয়ে আনার আহ্বান ববি হাজ্জাজের

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৫৫ পিএম
আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:১৯ পিএম
লেবাননে থাকা প্রবাসীদের ফিরিয়ে আনার আহ্বান ববি হাজ্জাজের
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এনডিএম আয়োজিত প্যালেস্টাইন এবং লেবাননে ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন এনডিএম সভাপতি ববি হাজ্জাজ। ছবি: খবরের কাগজ

লেবাননে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে বা দেশে ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। 

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এনডিএম আয়োজিত প্যালেস্টাইন এবং লেবাননে ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল এবং জায়নবাদ বিশ্ব মানবতা এবং ইসলামের শত্রু। হান্টিংটনের সভ্যতার যুদ্ধ তত্ত্বের মাধ্যমে ইসলামকে পশ্চিমা শক্তির মুখোমুখি করা হয়েছে যা সম্পূর্ণ অবান্তর এবং মুসলিম বিদ্বেষ চিন্তার অংশ। ফিলিস্তিনের গাজা, পশ্চিম তীর এবং লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েল যে বর্বর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা মানবতাবিরোধী জঘন্য যুদ্ধাপরাধ।’

এনডিএম মহাসচিব মোমিনুল আমিনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলি আকন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব তফাজ্জল হোসেন মিয়াজিসহ এনডিএম কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি, যুব আন্দোলন এবং ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা।

ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘জায়নবাদ আর বিজেপির হিন্দুত্ববাদ একসূত্রে গাঁথা। ভারতের সঙ্গে আমাদের বিশাল বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের চারপাশে ভারত। প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে আমরা সমতার ভিত্তিতে বন্ধুত্বের সম্পর্ক চাইলেও বিজেপির হিন্দুত্ববাদ বাংলাদেশের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা থাকলে সেটা সম্ভব হবে না।’

তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে ফ্যাসিবাবিরোধী আন্দোলনে থাকা সব রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজের সঙ্গে অর্থপূর্ণ আলোচনা করতে হবে যা তাদের প্রথম দফা সংলাপে সম্ভব হয়নি। মাত্র ২১ জনের উপদেষ্টা পরিষদ দেশের একটি কার্যকর সরকার ব্যবস্থা পরিচালনা করার জন্য যথেষ্ট নয়। আমাদের দায়িত্ব হলো বর্তমান সরকারকে সফল করে তোলা। পরাজিত আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসররা দেশে যে অরাজকতা শুরু করেছে এই সরকারকে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে তার মোকাবিলা করতে হবে।’

শফিকুল ইসলাম/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে আটক ৮

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৮ পিএম
আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে আটক ৮

রাজধানীর গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে আটজনকে আটক করেছে পুলিশ। 

রবিবার (১০ নভেম্বর) সকাল থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকরা সবাই আওয়ামী লীগের কর্মী বলে জানা গেছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে সকাল থেকেই ওই এলাকাসহ আশেপাশে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

পুলিশ জানায়, আটকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শহিদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে প্রথম বারের মতো জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভের ঘোষণা দেয় দলটি। আর আওয়ামী লীগের কর্মসূচি প্রতিহত করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একই স্থানে গণজমায়তের ঘোষণা দিয়ে রাত থেকেই জিরো পয়েন্টে অবস্থান নেয়।

পাল্টাপাল্টি এই কর্মসূচি ঘিরে জিরো পয়েন্টে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনীও। সার্বিক পরিস্থিতিতে অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে পুলিশের জলকামান প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এদিকে শহিদ নূর হোসেন দিবসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সারাদেশে ১৯১ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। তাছাড়া পুলিশ, র‌্যাবসহ অন্যান্য বাহিনীকেও সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে বিএনপি থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন। আওয়ামী লীগের কর্মী সন্দেহ হলেই মোবাইল চেক করা হচ্ছে। মোবাইলে আওয়ামী লীগের সমপৃক্ততার কোনো প্রমাণ থাকলেই মারধর করে প্রশাসনের হাতে তুলে দিতে দেখা গেছে।

অমিয়/

ট্রাম্পকে ঘিরে আ. লীগের রাজনীতিতে ফেরা দেউলিয়াত্বের প্রমাণ: আমীর খসরু

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫২ পিএম
আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৬ পিএম
ট্রাম্পকে ঘিরে আ. লীগের রাজনীতিতে ফেরা দেউলিয়াত্বের প্রমাণ: আমীর খসরু
রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে বক্তব্য রাখছেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফেরার চেষ্টা তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের প্রমাণ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। 

রবিবার (১০ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

আমীর খসরু বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে কেনো ট্রাম্প বেশে আসতে হবে? কেনো হিন্দুদের অত্যাচারের বেশে আসতে হবে? তারা রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে কেনো এই অবস্থায় পৌঁছালো? আমরা আবারও বলছি তারা এখন দেউলিয়া হয়ে বিভিন্ন মোড়কে ফিরে আসার চেষ্টা করছে। তার (শেখ হাসিনা) অস্তিত্ব প্রমাণ করতে হলে নিজেকে দেশে আসতে হবে। কিন্তু তার কোনো সমর্থন নাই।’ 

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকায় নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের অনাবাসিক হাইকমিশনার ডেরেক লো, চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স মিচেল লো ও সিঙ্গাপুর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেস্ক অফিসার রাহুল আব্রাহাম। 

বৈঠক শেষে আমীর খসরু বলেন, ‘বৈঠকে দুদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দিকে তারা বিশ্বাস করেন নির্বাচিত সরকার থাকলে অর্থনৈতিক বিনিয়োগ ও কর্মকাণ্ডগুলো করার ক্ষেত্রে সহজ হয়। শ্রমশক্তি নিয়ে আলোচনায় সিঙ্গাপুর মনে করে দক্ষ শ্রমশক্তি পাঠানো উচিত। বিশেষ করে শিক্ষিত নার্স পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’ 

নির্বাচিত সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সিঙ্গাপুর মনে করে নির্বাচিত সরকার ছাড়া অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা সম্ভব না। এটা শুধু সিঙ্গাপুর বলেনি, সব কূটনৈতিকরা মনে করেন নির্বাচিত সরকার ছাড়া অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা সম্ভব না। 

নূর হোসেনে দিবসকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের জমায়েতকে কিভাবে দেখছেন- এমন প্রশ্নে আমির খসরু বলেন, ‘দেশের মানুষ যখন আপনাকে বিতাড়িত করে তখন আপনি একেক সময়ে একেক মোড়কে আসতে চান। কোনো সময় হিন্দু মুসলিম হয়ে, আবার এখন ট্রাম্পের চিত্রে আসছে। এখন যাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে তারা অন্য বেশে আসতে চাচ্ছে। এটা তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব। তারা যে রাজনৈতিকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে এটাই তার প্রমাণ।’ 

বৈঠকে বিএনপির পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ড. এনামুল হক চৌধুরী ও শামা ওবায়েদ প্রমুখ। 

শফিকুল/পপি/

জাতি নির্বাচিত সরকার দেখতে চায়: আমীর খসরু

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১০ এএম
জাতি নির্বাচিত সরকার দেখতে চায়: আমীর খসরু
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল চট্টগ্রাম ওয়াসার মোড় থেকে শোভাযাত্রা বের করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। ছবি: মোহাম্মদ হানিফ

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জাতি নির্বাচিত সরকার দেখতে চায়। দ্রুত নির্বাচন দিয়ে গণতান্ত্রিক সরকারকে ক্ষমতা বুঝিয়ে দিন। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। জবাবদিহি ছাড়া কোনো সরকার বাংলাদেশের কল্যাণ সাধন করতে পারবে না। সেই জন্য তারা চায় গণতান্ত্রিক সরকার। 


গতকাল শনিবার চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের মোড়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এক বিশাল র‌্যালি পূর্ববর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

 
ভোটের মাধ্যমে দেশবাসী তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, ‘তাদের জনগণের কাছে জবাবদিহি থাকবে, দায়বদ্ধতা থাকবে। জবাবদিহিহীন কোনো সরকার বাংলাদেশের কল্যাণ করতে পারে না। গণমুখী সংস্কারগুলো শেষ করে নির্বাচনের ঘোষণা দিন। কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র এ দেশের মানুষ মেনে নেবে না। আমাদের নেতা-কর্মীদের প্রাণের বিনিময়ে আওয়ামী লীগ সরকার উৎখাত হয়েছে। আমাদের নেতা-কর্মীরা ঘরে থাকতে পারেননি। তাদের জেলে যেতে হয়েছে। হত্যার শিকার হয়েছেন। গুমের শিকার হয়েছেন। আপনারা কেউ জেলে যাননি। আমাকেও জেলে যেতে হয়েছে বারবার। সুতরাং সংস্কারের নামে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার চেষ্টা করা যাবে না।’ 


আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের মানুষ শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করেছিলেন। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে ৭ নভেম্বর ছিল স্বাধীনতার মাস। সিপাহি-জনতার বিপ্লব আন্দোলনের মাধ্যমে শহিদ জিয়াকে মুক্ত করার পর এক নতুন বাংলাদেশের সৃষ্টি হলো। সেই দেশটির নাম হলো বহুদলীয় গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বাংলাদেশ, মুক্তবাজার অর্থনীতির বাংলাদেশ, আইনের শাসনের বাংলাদেশ, নিরাপত্তার বাংলাদেশ, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। সেই ধারায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। 
ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেছেন উল্লেখ করে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, কিছু লোক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় এনেছেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা দণ্ড দিয়ে জেলে রেখেছেন। বিএনপির ৬০ লাখের অধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে নিপীড়ন, নির্যাতন, গুম, খুন, হত্যার মাধ্যমে নিরাপত্তাহীন ও পরাধীন জাতি সৃষ্টি করেছিলেন। সে দিনও আবার খালেদা জিয়া রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। এ কারণে তাকে জেলে যেতে হয়েছে। এরপর তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ জাতি আন্দোলনে নামে। ছাত্র-জনতা আবার তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলন করে শেখ হাসিনাকে পরাস্ত করেছেন। তারেক রহমানের নেতৃত্বে সব দেশ ঐক্যবদ্ধ থাকার কারণে শেখ হাসিনাকে পালাতে হয়েছে। 


১৫ বছর আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘১৫ বছর যখন আমরা রাস্তায় আন্দোলন করেছি তখন আপনারা কোথায় ছিলেন? এখন অনেক গল্প শুনছি, গল্পের কোনো শেষ নেই। ওরা নাকি এটা করেছে, ওটা করেছে। প্রত্যেক দিন নতুন নতুন গল্প শুনছি।’ 


অনির্বাচিত সরকার সম্পর্কে তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধিত্বহীন কোনো সরকার জনগণের কষ্ট বুঝবে না। এটা বুঝতে হলে জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণের সঙ্গে থাকতে হবে, জনগণের দুঃখ-দুর্দশা বুঝতে হবে। জনগণ দুই বেলা খেতে পারছে না, বুঝতে হবে।


নতুন নতুন ‘বয়ান’ শুনছেন উল্লেখ করে প্রবীণ এ নেতা বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান একটা বয়ান দিয়ে স্বৈর সরকার চালিয়েছিলেন। সেই বয়ানের নাম ছিল বাকশাল। সেখানে গণতন্ত্র থাকতে পারবে না, সংবাদপত্র থাকতে পারবে না, মুক্তিযোদ্ধাদের কথা বলে আবার মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করে তিনি কিছু দিন চালিয়েছিলেন। পরে এরশাদ এসে আরেকটি বয়ান দিয়েছেন। তাকে আমরা পরাজিত করেছি। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এরশাদও টিকতে পারেননি। 


এবার আবার একটি বয়ান শুনছি। এ বয়ানে বাংলাদেশে কবে নির্বাচন হবে, তার কথা নেই। বাংলাদেশের জনগণ কবে ভোট দিয়ে তাদের সরকার নির্বাচন করবে, সেই বয়ান নেই। বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ হবে, সেই বয়ান নেই। বলা হচ্ছে সংস্কারের বয়ান। সংস্কারের কথাও সর্বপ্রথম বলেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। এক বছর আগে তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা আবারও সংস্কারের কথা বলেছি। আমরা সবাই মিলে একটি স্বচ্ছ সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছি। এই সংস্কারে সবকিছু আছে। আপনারা যা বলছেন সেসব আছে, তার বাইরেরও আছে। সংস্কার প্রক্রিয়ায় আপনাদের চেয়ে আমরা বেশি আগ্রহী। যেসব সংস্কারে জাতীয় ঐকমত্য হবে, সেসব সংস্কার করে জাতীয় নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যান। যেসব সংস্কারের প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য হবে না, সেসব বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নেবে আগামী দিনে। নির্বাচনের মাধ্যমে যে সংসদ হবে, তারা সিদ্ধান্ত নেবে। এর বাইরে কারও কোনো অধিকার নেই। গত জুলাইয়ের আন্দোলনে এক দফা ছিল না। জুলাইয়ের ২৩ তারিখে ১ দফা ঘোষণা করেছিলেন তারেক রহমান। আমরা সবাই তখন আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছি।’ 


চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ এরশাদুল্লাহর সভাপতিত্বে এই সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা মাহবুবের রহমান শামীম, মীর হেলাল, গোলাম আকবর খন্দকার, মোহাম্মদ হালিম আবুল হাসেম বক্কর প্রমুখ। 

 

নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রশ্নে বিএনপি আপস করবে না: তারেক রহমান

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৯ পিএম
আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১০ পিএম
নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রশ্নে বিএনপি আপস করবে না: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রশ্নে বিএনপি কোনো আপস করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, আমাদের স্পষ্ট বার্তা নিরপেক্ষভাবে ভোট হতে হবে। এটার সঙ্গে কোনো কম্প্রমাইজ (আপস) নাই। যদি এটি নিশ্চিত করা যায়, তা হলে ধীরে ধীরে আমরা দেশের ও মানুষের সমস্যা কমিয়ে আনতে সক্ষম হবে। কাজেই এর সঙ্গে কোনো আপস নেই।

শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে কৃষক দলের উদ্যোগে ইউনিয়ন পর্যায়ে ‘কৃষক সমাবেশ’ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা।

দুই পর্বের এই অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে সকালে প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এতে সারা দেশ থেকে আসা কৃষক দলের প্রায় ৩ হাজার প্রতিনিধি অংশ নেন। আজ কর্মশালা থেকে আগামী তিন মাস সারা দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হবে।

তারেক রহমান বলেন, ‘জনগণকে বোঝাতে হবে আপনার বুদ্ধি-বিবেক দিয়ে যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দিন, কিন্তু ডামি নির্বাচন, নিশিরাতে ভোট হতে পারবে না। এর সঙ্গে কোনো আপস হবে না।’ 

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেমে নেই। প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রত্যেকটি মানুষের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে না পারলে ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া যাবে না। জবাবদিহি নিশ্চিত করতে না পারলে ভালো কিছু সম্ভব না। ভোট যাতে হয়, সেই অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। মানুষ যাকে খুঁশি তাকে ভোট দেবে। আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত দেশে গণতান্ত্রিকব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হব না, ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো কিছু করতে পারব না।’

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শহিদ জিয়াউর রহমানের খাল খনন কর্মসূচি শুরু করা হবে জানিয়ে তারেক রহমান আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেক জায়গা আছে যেখানে দেশের কৃষক প্রয়োজনীয় পানি পায় না। ফসল উৎপাদনে বাধাগ্রস্ত হয়। খাল খননের মাধ্যমে শহিদ জিয়া পানির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। যেখানে একটি ফসল হতো সেখানে পানির কারণে দুটি হয়েছিল, দুটি ফসলের জায়গায় তিনটি ফসল হয়েছিল। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কৃষকদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবে।’

বিএনপির শীর্ষ নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের নারীদের বড় একটা অংশ কৃষির সঙ্গে জড়িত। তাই কৃষির প্রতি নজর দিতে হবে। খালেদা জিয়ার সময় ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত কৃষিঋণ মওকুফ করে দেওয়া হয়েছিল। ফসলের মৌসুমে বিদ্যুৎ বিল সরকার বহন করত। যার মধ্য দিয়ে কৃষকদের কিছু সমস্যার সমাধান হয়েছে। কৃষকের বীজের সমস্যার সমাধান করা যায়নি। বিভিন্ন সময় ফসল নষ্ট হয় সে জন্য আমরা কৃষি বিমার কথা চিন্তা করেছি।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মতে, ২০ কোটি মানুষের জন্য খাদ্য উৎপাদন করতে হলে কৃষির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এত মানুষের জন্য খাদ্য আমদানি সম্ভব না। তাই যেগুলো মৌলিক খাদ্য সেগুলো দেশেই উৎপাদন করতে হবে। তাই কীভাবে কৃষি জমি বাড়ানো যায় সেটা আমাদের চিন্তা করতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। তাই আমাদের সতর্কতার সঙ্গে চলতে হবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে দেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলার সুযোগ এসেছে। তবে পতিত স্বৈরাচাররা এখনো নতুন করে ষড়যন্ত্রের জাল বুনছেন। তাদের সব ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াতে হবে।’

কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাসুজ্জামান দুদু, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে চায় জামায়াতে ইসলামী

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৯ পিএম
আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫০ পিএম
বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে চায় জামায়াতে ইসলামী
ভোলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জেলা শাখার নবনির্বাচিত আমিরের শপথ ও সদস্য (রুকন) সম্মেলন অনুষ্ঠিত। ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে এবং কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি ও বরিশাল অঞ্চল পরিচালক অ্যাডভোকেট মোয়াযযাম হোসাইন হেলাল।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকালে ভোলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জেলা শাখার নবনির্বাচিত আমিরের শপথ ও সদস্য (রুকন) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

ভোলার আদর্শ একাডেমি মাঠে জেলার আমির জাকির হোসাইনের সভাপতিত্বে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। 

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. হারুনুর রশিদ। 

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও বরিশাল মহানগরীর আমির অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মো. বাবর, কেন্দ্রীয় গবেষণা ইউনিটের সদস্য কেন্দ্রীয় মজলিশ উস শূরা সদস্য ও ভোলা জেলার সাবেক আমির, ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা ফজলুল করিম।

এ সময় প্রধান অতিথি বলেন, বাংলাদেশে জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে জালিম সরকারের পতনের ইতিহাস পৃথিবীর বুকে নজির হিসেবে লেখা থাকবে। এই বিজয়কে স্থায়ী করে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। 

এ সময় তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো মানুষের দল ছিল না। এটি মাস্তানি, চাঁদাবাজি আর মানুষের অধিকার হরণের দলে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশে জামায়াতের জনপ্রিয়তা দিনে দিনে বেড়েছে। আগামী দিনে জনগণের ভোটের রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সরকার গঠন করবে।

জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে জামায়াতে ইসলামীর অনেক অবদান রয়েছে বলে তিনি যোগ করেন। 

আর কোনো দিন এই স্বৈরাচার যেন দেশে আসতে না পারে, সেজন্য দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

সমাবেশে ২০২৫-২৬ সেশনের আমির হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিস উস শূরার সদস্য মাস্টার মো. জাকির হোসাইন।

জেলা আমিরের শপথের পর নবনির্বাচিত আমিরের তত্ত্বাবধানে রুকনদের প্রত্যক্ষ ভোটে জেলা শূরাহ সদস্য নির্বাচন করা হয়।

তাওফিক/অমিয়/