ঢাকা ২৬ কার্তিক ১৪৩১, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

স্বৈরাচার পুনর্বাসন হলে দেশ হবে জল্লাদের উল্লাসভূমি : রিজভী

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৫৫ পিএম
স্বৈরাচার পুনর্বাসন হলে দেশ হবে জল্লাদের উল্লাসভূমি : রিজভী
ডেঙ্গু প্রতিরোধে গণসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি : খবরের কাগজ

পতিত স্বৈরাচার আবার পুনর্বাসন হলে বাংলাদেশ জল্লাদের উল্লাসভূমি হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। 

তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ যখন স্বৈরাচারের পুনর্বাসনের কথা বলে, তাদের নিজেদের ঘর গুছানোর কথা বলে তখন জনগণের কাছে অত্যন্ত বিপজ্জনক বার্তা দেয়। যারা এতদিন গুম-খুন আর আয়নাঘরের সংস্কৃতি তৈরি করেছিল তারা যদি পুনর্বাসন হয় তাহলে এদেশে আর মানুষ বসবাস করতে পারবে না। এই দেশ হবে জল্লাদের উল্লাসভূমি। এখানে গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চিরদিনের জন্য কবরস্থানে চলে যাবে।’

সোমবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড এলাকায় বিএনপির পক্ষ থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে গণসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন রিজভী। 

স্বৈরাচারের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের সুবিধা নিয়ে যারা বিভিন্ন পদে যাচ্ছেন, এখনো যারা গণতন্ত্রের সুফল ভোগ করছেন, তারা যখন আওয়ামী লীগকে ঘর গুছানোর বার্তা দেন তখন এটা সাংঘাতিক ধরনের মরণঘাতী বার্তা। এটা হতে পারে না। যারা আয়নাঘরে গণতন্ত্রকামী মানুষদের বছরের পর বছর আটকে রেখেছিল, অসংখ্য মানুষকে পঙ্গু করে দিয়েছিল, যারা জীবন কেড়ে নিয়েছিল সেই সমস্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের পোস্টিং দেওয়া হচ্ছে, আবার কাউকে সেখানে রাখা হয়েছে। এটাই যদি অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্য হয় তাহলে ছাত্র-জনতার এই আত্মত্যাগের কী হবে?’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব নিয়োগ প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে দেখছি, নানা কায়দায় সরকার ঘাপটি মারা স্বৈরাচারের সুবিধাভোগী দোসরদের পুনর্বাসন করছে। কাতারে একজন রাষ্ট্রদূত ছিলেন, তিনি কাতারে প্রবাসীদের ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও নবায়ন করতেন না। তিনি (রাষ্ট্রদূত) খবর নিতেন ওই সমস্ত লোক কোনো দল করে, কাদের সমর্থক? কারণ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে অধিকাংশ প্রবাসী বিএনপির সমর্থক, তাদের ওই রাষ্ট্রদূত নানাভাবে হয়রানি করেছেন, ভিসা নবায়ন করেননি। সেই লোককে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব করা হয়েছে।’ 

অন্তর্বর্তী সরকার কাদের পুনর্বাসন করছেন প্রশ্ন রেখে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘যারা জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, যারা শহিদের লাশকে আজ অপবিত্র করছে, শহিদের আত্মদান ও রক্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে তাদের? যারা শেখ হাসিনার মতো ফ্যাসিস্টকে সমর্থন করে বিরোধী দল দমনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে তাদের যদি আজ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসানো হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে নিয়োগ পায় তাহলে এই সরকার প্রশ্নবিদ্ধ হবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ওইরকম বিতর্কিত ব্যক্তিদের বসানো হলে এই দেশ, জনগণ এবং বিপ্লবে দেড় হাজারেরও বেশি শহিদের অবমাননা করা হবে।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সহ স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক পারভেজ রেজা কাকন, সহ প্রচার সম্পাদক আসাদুল করীম শাহিন প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/সালমান/

ট্রাম্পের ছবি আশ্রয় করে বাঁচতে চায় শেখ হাসিনা: মেজর হাফিজ

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩০ পিএম
ট্রাম্পের ছবি আশ্রয় করে বাঁচতে চায় শেখ হাসিনা: মেজর হাফিজ
ছবি: সংগৃহীত

ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা এখন আরেক দেশে বসে ট্রাম্পের ছবি আশ্রয় করে বাঁচতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম)। তিনি বলেন, হাসিনা কত নিষ্ঠুর, কত ছাত্র-জনতা হত্যা করেছে। রাষ্ট্র ক্ষমতার জন্য এরা কত নির্মম ছিল। আল্লাহর গজব এদের ওপর পড়েছে। এখন আরেক দেশে বসে ট্রাম্পের ছবি আশ্রয় করে উনি (হাসিনা) বাঁচতে চায়। এত বড় বড় কথা বলেন, আসেন না বাংলাদেশে।

রবিবার (১০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর: শহিদ রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমান ও বাংলাদেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে জিয়া পরিষদ। আয়োজক সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, জিয়া পরিষদের মহাসচিব ড. ইন্তাজ হোসেন প্রমুখ। 

মেজর হাফিজ বলেন, বিগত ১৭ বছর বিএনপির জন্য কঠিন সময়ের দিয়ে গেছে। বাংলাদেশে আমরা আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করেছি। কিন্তু এরা যে কত নিষ্ঠুর-নির্মম ছিল তার আসল রূপ প্রকাশ পেয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে। তবে বিগত ১৭ বছরে বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের কঠিন আন্দোলনে লিপ্ত ছিল। অনেকে নেতাকর্মী শহিদ হয়েছে, অনেক গুম হয়েছে।  

তিনি বলেন, জুলাই আগস্টে বিপ্লব বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। ছাত্র-জনতা প্রমাণ করেছে তারা সাহসী জাতি। একাত্তরের যুদ্ধে আমরা যোদ্ধাদের ট্রেনিং দিয়েছিলাম তারপরে তারা শত্রুর মোকাবিলা করেছিল কিন্তু এবারের ছাত্ররা অন্যরকম সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। তারা নিরস্ত্র অবস্থায় হেলিকপ্টার ও পুলিশ গুলি করলেও তারা ভয়ে কেউ পেছায়নি।   

আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানকে উপযুক্ত মর্যাদা দেয়নি মন্তব্য করে মেজর হাফিজ বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের এক বিরল ব্যক্তিত্ব, কিংবদন্তির নাম। বাঙ্গালীদের সংকটের সময় ত্রাতা হয়ে আবির্ভূত হয়েছিল ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট। আর স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা করেন অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের উপ-অধিনায়ক মেজর জিয়াউর রহমান। যিনি দুঃসময়ে সৈনিক ও ছাত্রদের আহ্বান জানিয়েছেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের সূচনা করেছেন সেই মহান নেতা জিয়াউর রহমানকে উপযুক্ত মর্যাদা কখনোই আওয়ামী লীগ দেয়নি। তারা সেই আগের বর্ণিত স্বাধিকার আন্দোলন স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলনকেই স্বাধীনতার আন্দোলন বলে চালিয়ে দিলেন। 

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

নির্বাচন আড়াল করলে ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে চিহ্নিত হবেন: শামসুজ্জামান দুদু

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪২ পিএম
নির্বাচন আড়াল করলে ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে চিহ্নিত হবেন: শামসুজ্জামান দুদু
ছবি: সংগৃহীত

দেশে গণতান্ত্রিক কাঠামো ও নির্বাচনি ব্যবস্থার প্রসঙ্গ যারা আড়াল করতে চান, তারা ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে চিহ্নিত হবেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

রবিবার (১০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জাতীয় নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের চেতনা, জুলাই গণঅভ্যুত্থান প্রেক্ষিত আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন। 

জাতীয় নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব তোফায়েল আহমেদ কায়সারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাসাসের সাবেক সভাপতি রেজাবুদ্দোলা, সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আমিন্দ দাস অপু, কৃষক দল নেতা এসকে সাদী,এস এম মিজানুর রহমান,কালাম ফরাজী।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘যারা গণতন্ত্র নির্বাচন এগুলো আড়াল করতে চায় তারা পক্ষান্তরে ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে চিহ্নিত হবে। চারিদিকে এক ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্রে পা দেওয়া যাবে না। ধৈর্যের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে তৈরি থাকতে হবে।’ 

বিএনপির নেতাককর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা এই সরকারকে সহযোগিতা করছি। এই সরকারের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর আগ পর্যন্ত আমাদেরকে তৈরি থাকতে হবে।’

সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘দীর্ঘ ১৬ বছর লড়াই-সংগ্রাম করার পরে এদেশের জনগণ এখন সফল হয়েছে। তবে যতদিন না মানুষের অধিকার, ভোটের অধিকার, গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে পারবো না ততদিন পর্যন্ত গণতান্ত্রিক আন্দোলন শেষ হয়েছে এটা বলা যাবে না।’

আয়োজনের প্রধান আলোচক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘আজ ১০ ডিসেম্বর, শহিদ নূর হোসেন দিবস। স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনের নূর হোসেন ছিল একটি জীবন্ত পোস্টার। আজ পতিত স্বৈরাচারের কেউ যদি তাণ্ডব সৃষ্টি করে তা প্রতিহত করতে হবে।’ 

জয়ন্ত সাহা/এমএ/

খুনিরা কীভাবে পালিয়ে গেল জনগণ জানতে চায় : চরমোনাই পীর

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৫ পিএম
খুনিরা কীভাবে পালিয়ে গেল জনগণ জানতে চায় : চরমোনাই পীর
সাংবাদিকদের উদ্দেশে কথা বলেন চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। ছবি : খবরের কাগজ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, যারা খুন-গুম ও দেশের টাকা বিদেশে পাচার করল, তারা কীভাবে দেশ থেকে পালিয়ে গেল, এটা দেশের জনগণ জানতে চায়। 

রবিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি চাঁদপুর জেলা শাখার আয়োজনে চরমোনাইয়ের নমুনায় তিন দিনব্যাপী ওয়াজ মাহফিলের সমাপনী দিনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।

চরমোনাই পীর বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমার প্রশ্ন, আপনারা খুনি-সন্ত্রাসী এবং দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসেন না কেন? দেশের সাধারণ মানুষ আপনাদের ভরসায় আছে, তাহলে কেন আপনারা ভয় পাচ্ছেন?’

তিনি আরও বলেন, ‘বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। সরকারকে আরও শক্ত অবস্থান ও সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে বর্তমান প্রেক্ষাপটে দ্রব্যমূল্যসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আরও সচেতন হতে হবে।’ 

এ সময় মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যসচিব ও ইসলামী আন্দোলনের জেলা সভাপতি শেখ মোহাম্মদ জয়নাল আবদিনসহ জেলা কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ফয়েজ/সালমান/

হাসিনার বিরুদ্ধে সব মামলার বাদী ভুক্তভোগীরা: মোশাররফ হোসেন

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৪ পিএম
হাসিনার বিরুদ্ধে সব মামলার বাদী ভুক্তভোগীরা: মোশাররফ হোসেন
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বিএনপি আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন। ছবি: খবরের কাগজ

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সব মামলাই ভুক্তভোগীরা বাদী হয়ে করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন।

শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে পটুয়াখালী উপজেলার রাঙ্গাবালী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মোশাররফ বলেন, ‘আমরা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একটি মামলাও করিনি। স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আন্দোলনে হাসিনার নির্দেশে দেড় হাজার ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়েছে। এই অভিযোগে শেখ হাসিনা ও তার নেতাদের বিরুদ্ধে দুই শ মামলা করেছে নিহতদের পরিবার। নিশ্চয়ই বাংলার মাটিতে শেখ হাসিনার বিচার হবে। আন্তর্জাতিক আদালতে হাজির হওয়ার জন্যও শেখ হাসিনাকে ওয়ারেন্ট দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। হাসিনা এমন অবস্থা করেছে, এমপি হতেও ভোট লাগেনি। ২০১৮ সালের নির্বাচন রাতেই করে ফেলা হয়েছে। ২০২৪ সালের নির্বাচন নিজেরা নিজেরাই করেছে।’

অন্তর্বর্তী সরকার প্রসঙ্গে মোশাররফ হোসেন বলেন, ড. ইউনূসের সরকারকে আমরা সহযোগিতা করতে চাই। কারণ আগামী দিনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দরকার।

আওয়ামী লীগের আমলে নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দলীয় সরকার ক্ষমতায় থাকলে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে চায়। এ জন্যই আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা করা হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সব নির্বাচন হবে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আমরা এককভাবে সরকার গঠন করব না। আন্দোলনরত সব দল নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করব।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি সংবাদের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং রেহানার ছেলে ববি ৫৮ হাজার কোটি টাকা হাতিয়েছে। খুন, গুম এবং টাকা চুরিসহ এমন কোনো অপরাধ নেই যা শেখ হাসিনা করেনি। তাই বোনকে নিয়ে ভারতে তাকে পালিয়ে যেতে হয়েছে।’

জনসভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান ফরাজী এবং সঞ্চালনা করেন উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হারুন হাওলাদার। 

এ ছাড়া প্রধান বক্তা হিসেবে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন বক্তব্য রাখেন।

হাসিবুর/নাইমুর/অমিয়/

ভাওতাবাজি করে জনগণকে এক করা যাবে না: ফারুক

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৭ পিএম
আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৮ পিএম
ভাওতাবাজি করে জনগণকে এক করা যাবে না: ফারুক
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নামে সব ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহারের দাবিতে এক প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখছেন জয়নুল আবদিন ফারুক

ভাওতাবাজি করে আওয়ামী লীগ জনগণকে আর একত্রিত করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক।

রবিবার (১০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টির উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নামে সব ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহারের দাবিতে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ফারুক বলেন, ‘শেখ হাসিনা বিদায় নিলেও তার প্রেতাত্মাদের দিয়ে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। আজকে নাকি আওয়ামী লীগ মিছিল নিয়ে বের হবে। কিন্ত দুঃখজনক বিদেশে বসে ভাওতাবাজি করে জনগণকে একত্রিত করতে পারবেন না। ভুয়া আওয়াজ দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে আর দ্বিধাগ্রস্ত করতে পারবেন না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ৭১ এ দেশ স্বাধীন করেছিলাম কারণ আমরা শোষিত হতে চাইনি। আমরা শোষন চাই না, আমরা চাই গণতান্ত্রিক দেশ। আমরা চাই বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনভাবে বাস করুক। গণতান্ত্রিক অবস্থায় তারা যেন গণতন্ত্রের কথা বলতে পারেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় স্বাধীনতার পর থেকে ষড়যন্ত্র চলছেই। যারা ক্ষমতায় এসেই রক্ষীবাহিনী তৈরি করেছে, বাংলাদেশের সংবিধান তছনছ করে একদল কায়েম করেছে, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চেয়েছেন কি না প্রশ্ন উঠেছে।’

ফারুক বলেন, ‘বড় বড় কথা বলে যারা ১৬ বছর দেশ শাসন করলেন তারা এখন কোথায়? আওয়ামী লীগ সংবিধান তছনছ করে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছেন। সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজদলীয় আড্ডাখানায় পরিণত করেছেন শেখ হাসিনা।’  

এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ করে দ্রুত রোডম্যাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের দাবি, তারা যেন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করে।’ 

এ সময় সংস্কারের নামে বিলম্ব না করার আহ্বানও জানান তিনি। 

জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এস এম শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, আয়োজক সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ।

শফিকুল/পপি/