প্রশাসনসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘাপটি মেরে বসে থাকা কিছু কুচক্রী বিভিন্ন ধরনের প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টি আয়োজিত ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি’তে প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
ফারুক বলেন, ‘প্রশাসনসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘাপটি মেরে বসে থাকা কিছু কুচক্রী বিভিন্ন ধরনের প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। দেশকে অস্থির করতে তারা বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে। তাদের ব্যাপারে নেতা-কর্মী ও দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘জনগণ জানতে চায়, এখনো কেন শেখ হাসিনার প্রেতাত্মারা সচিবালয়ে বসে আছে। এখনো কেন শেখ হাসিনার ছাত্রলীগ, যুবলীগ নিষিদ্ধ হলো না। বিভিন্ন জায়গায় ঘাপটি মেরে বসে থাকা শেখ হাসিনার পেতাত্মারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে কেন?’
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বলেন, ‘১৬ বছরের নির্যাতন, ১৬ বছরের আয়নাঘরে থাকা, ১৬ বছরের গুম, ১৬ বছরের খুন করা স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে আল্লাহপাক দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। বাবার দেশ হিসেবে তিনি গর্ব করতেন সেই বাবার মৃত্যুর মাসেই তাকে বিদায় দিয়েছে জনগণ।’
তিনি বলেন, ‘এই স্বৈরাচারী গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার মদদপুষ্ট মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন এই ১১ সেপ্টেম্বরেই তারেক রহমানকে বিদেশে পাঠিয়েছিলেন। আপনারা (অন্তর্বর্তী সরকার) এখনো কেন তারেক রহমানের নামের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করলেন না? আমরা যখন গ্রামে যাই গ্রামের মানুষ আমাদের জিজ্ঞেস করে তারেক রহমান আসবেন কবে, তার মামলা কবে প্রত্যাহার হবে।’
ফারুক বলেন, ‘শেখ হাসিনা যদি ’৪১ সাল পর্যন্ত থাকত, তা হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিল্লির পায়ের নিচে থাকত। যারা মায়ের বুক খালি করেছে, তারা কীভাবে ভারতে পালিয়ে গেল। তাদের নামের শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে এই সরকারকে। যৌক্তিক সময় নিয়ে অবশ্যই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে। তারেক রহমান বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী হয়ে ফিরে আসবেন।’
জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এস এম শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাওলানা শাহ মোহা. নেসারুল হক, আনোয়ার হোসেন বুলু, ন্যাশনাল পিপুলস পার্টির সভাপতি ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি কারী আবু তাহের, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টির মহাসচিব সাইফুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আমির হোসেন আমু, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, ডিএল সাধারণ সম্পাদক খোকন চন্দ্র দাস প্রমুখ।
শফিকুল/পপি/