ঢাকা ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

শেখ মুজিব সব দল নিষিদ্ধ করেছিলেন: জামায়াতের শাহজাহান

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৭ পিএম
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৮ পিএম
শেখ মুজিব সব দল নিষিদ্ধ করেছিলেন: জামায়াতের শাহজাহান
চকরিয়ায় কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান। ছবি: খবরের কাগজ

শেখ মুজিবুর রহমান উপমহাদেশের অবিসংবাদিত নেতা ছিলেন, কিন্তু তিনি সব দল নিষিদ্ধ করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকালে কক্সবাজারের চকরিয়ায় কোরক বিদ্যাপীঠ মাঠে জামায়াত ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান উপমহাদেশের অবিসংবাদিত নেতা ছিলেন, কিন্তু তিনি সব দল নিষিদ্ধ করেছিলেন। যার কারণে মৃত্যুর পর শেখ মুজিবের জানাজা পড়ার লোক পাওয়া যায়নি। তার মেয়ে হাসিনা ছিলেন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে নিকৃষ্ট স্বৈরশাসক। বিগত সাড়ে ১৫ বছর জামায়াত-শিবিরের অসংখ্য নেতা-কর্মীকে হত্যা ও গুম করা হয়েছে। নির্যাতনের পর নির্যাতন করা হয়েছে। জামায়াতের প্রথম সারির সকল নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। এ কঠিন পরিস্থিতিতেও জামায়াতে ইসলামী সগৌরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সাড়ে ১৫ বছর ফ্যাসিবাদ সরকার আমাদের প্রকাশ্যে কোনো ধরনের মিটিং-মিছিল করতে দেয়নি। বিগত বছরগুলোতে কেমন ছিল বাংলাদেশ? জামায়াত ও শিবিরসহ এ দেশের জনগণ তার সাক্ষী। হাসিনা সরকার জামায়াতে ইসলামী দলকে নিষিদ্ধ করেছিলেন। এরপর ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ অভ্যুত্থানে পালিয়ে যান।’

তিনি আরও বলেন, ছাত্ররা যে কারণে জীবন দিয়েছে, তার বাস্তবায়ন করবে জামায়াত। এটি আমাদের কর্তব্য। দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে দুর্নীতিমুক্ত মানুষ প্রয়োজন। দেশপ্রেমের চেতনায়-নৈতিকতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করলে সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গঠন সম্ভব।

এই কর্মী সম্মেলনে বক্তারা বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ করতে চায়। যেখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই সমান অধিকার ভোগ করবে। জামায়াত আল্লাহর জমিনে তাঁর দ্বীন প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তাই জালিম ও বাতিলের কাছে মাথা নত করেনি। সময়ের ব্যবধানে ফ্যাসিস্টরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু জামায়াত সগৌরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে।

রাজু দাশ/সুমন/অমিয়/

বিএনপির জনসভার মঞ্চে পলকের শ্যালিকা, নেতা-কর্মীদের ক্ষোভ

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৮ এএম
বিএনপির জনসভার মঞ্চে পলকের শ্যালিকা, নেতা-কর্মীদের ক্ষোভ
ছবি : খবরের কাগজ

নাটোরের সিংড়া উপজেলা বিএনপির জনসভার মঞ্চে দেখা গেল সাবেক ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের চাচাতো শ্যালিকা ডা. ফারজানা রহমান দৃষ্টিকে। আর মঞ্চে তাকে দেখে আশ্চর্য হয়েছেন অনেকেই। প্রকাশ করেছেন ক্ষোভ।

উপজেলা বিএনপির দাবি, তারা ডা. ফারজানা রহমানকে খেয়াল করেননি। তাকে দাওয়াতও করা হয়নি। 

যদিও এটা মানতে নারাজ নেতা-কর্মীরা। কেননা, তাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে উপজেলা বিএনপির আগামীর নেত্রী হিসেবে!

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে সিংড়া কোর্ট মাঠে উপজেলা বিএনপি জনসভার আয়োজন করে। ওই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু।

ওই সভামঞ্চেই বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বসে থাকতে দেখা যায় দৃষ্টিকে। এ নিয়ে তাৎক্ষণিক কেউ মন্তব্য বা প্রতিবাদ না করলেও চলে আলোচনা-সমালোচনা।

স্থানীয় গণমাধ্যম ও বিএনপির কর্মীরা জানান, দৃষ্টি পলকের চাচা শ্বশুর প্রভাষক আনিছুর রহমানের মেয়ে। এ ছাড়া সিংড়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম আনুর ভাতিজি। 

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দৃষ্টি তার দুলাভাইয়ের প্রভাব খাটিয়ে চলতেন। সিংড়ায় তিনি একটি ক্লিনিকের পরিচালক। লাইসেন্সবিহীন ওই ক্লিনিকের বিরুদ্ধে নিউজ করতে গেলে তিনি সংবাদকর্মীদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিতেন। চাচাতো দুলাভাই পলকের প্রভাব খাটিয়ে ২০২০ সালে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে নামমাত্র ভাড়ায় দখল করে ক্লিনিক করেছেন।

সিংড়া পৌর বিএনপির সদস্যসচিব তায়েজুল ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করা এমন একজন নারী মঞ্চে ওঠার সুযোগ পায় কীভাবে? এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।’

দৃষ্টির স্টেজে উপস্থিতি নিয়ে উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও তার চাচা আনোয়ারুল ইসলাম আনু বলেন, ‘তাকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। মঞ্চে প্রায় দেড় শ লোকের মধ্যে কখন ওঠেন তা আমরা খেয়াল করিনি।’

এ বিষয়ে জনসভায় উপস্থিত কয়েকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপি নেতা জানান, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গোল ই আফরোজ কলেজের সাবেক ভিপি শামীম ওই জনসভা সঞ্চালনা করেন। তিনি দৃষ্টিকে উপজেলা বিএনপির আগামীর নেত্রী বলেও পরিচয় করিয়ে দেন। দাওয়াত না পাওয়া কাউকে এমনভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার দাবি সঠিক নয়। আবার তাকে কেউ খেয়াল করেনি এটাও সঠিক নয়। বরং দৃষ্টিকে বিএনপি নেতাদের পাশেই বসতে দেওয়া হয়েছে। পলকের চাচাশ্বশুর হওয়ায় পলক ও কনিকার যাবতীয় জমিজমা দেখভাল করছেন আনু। এ ছাড়া পলকের শ্যালক রুবেলের বালুমহালও দেখাশোনা করছেন আনু।

উপজেলা বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা দাউদার মাহমুদ জানান, উপজেলা বিএনপির গ্রুপিং চক্র মিথ্যা অভিযোগে দিয়ে তাকে বহিষ্কার করেছেন। যদিও কেন্দ্রীয় বিএনপির সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তিনি। তবে দৃষ্টির স্টেজে ওঠার বিষয়টি কেউই মেনে নিতে পারেনি বলে জানান দাউদ। 

পলকের শ্বশুর কাশেম, দৃষ্টির বাবা আনিছুর এবং উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আনোয়ারুল ইসলাম আনু আপন ভাই।

কামাল মৃধা/জোবাইদা/অমিয়/

১০ দিনের মধ্যে চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে হবে: আতাউর রহমান

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২২ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫১ পিএম
১০ দিনের মধ্যে চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে হবে: আতাউর রহমান
সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলবাজমুক্ত হাতিরঝিল থানার দাবিতে মগবাজারে হাতিরঝিল থানা জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: খবরের কাগজ

আগামী ১০ দিনের মধ্যে হাতিরঝিল এলাকার সব সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দখলবাজি বন্ধ করে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার। 

তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবের মুখে আওয়ামী-বাকশালীদের পতন হলেও তাদের প্রেতাত্মারা এখনো মগবাজারে সক্রিয় রয়েছে। তারা লাগামহীন সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, চাঁদাবাজি, দখলবাজি অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু পতিত স্বৈরাচারীদের এসব অপতৎরতা জনগণ কোনোভাবেই চলতে দেবে। অন্যথায় সচেতন জনতা ঘরে বসে তামাশা দেখবে না।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বাদ জুমা রাজধানীর মগবাজারে হাতিরঝিল থানা জামায়াত আয়োজিত ‘সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলবাজমুক্ত হাতিরঝিল থানার দাবিতে এবং আওয়ামী লীগের নানামুখী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে’ এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

হাতিরঝিল পূর্ব থানা আমীর অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং হাতিরঝিল পশ্চিম থানা আমীর ইউসুফ আলী মোল্লার পরিচালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য নুরুল ইসলাম আকন্দ, রাশেদুল ইসলাম, জামায়াত নেতা গোলাম মাওলা, আকতার হোসেন, ড.আনোয়ারুল হক, ছাত্রশিবির নেতা ফজলুর রহমান, সাজ্জাদ শিহাব, নাদিম প্রমুখ।

আতাউর রহমান বলেন, অনেক ত্যাগ ও কোরবানীর মাধ্যমে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জন করলেও আওয়ামী লীগের অপরাজনীতির কারণেই আমরা পুরোপুরি স্বাধীনতার সুফল অর্জন করতে পারিনি। তারা ২০০৮ সালে পাতানো ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে দেশ ও জাতির ঘাড়ে জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসেছে। তারা গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিয়ে দেশকে ফ্যাসীবাদী ও মাফিয়াতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। 

শুক্রবার বাদ জুমা বিক্ষোভ মিছিলটি মগবাজার টিএন্ডটি মসজিদ থেকে শুরু হয়ে নয়াটোলা হয়ে মগবাজার মোড়ে হয়ে ওয়ারলেস রেইল গেইট হয়ে মধুবাগ মাঠ গিয়ে শেষ হয়।

মাহফুজ/

২ বারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না: জোনায়েদ সাকি

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৯ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৭ পিএম
২ বারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না: জোনায়েদ সাকি
গাজীপুর চৌরাস্তায় গণ-সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জোনায়েদ সাকি। ছবি: খবরের কাগজ

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, সংবিধান সংশোধন করে রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিবর্তন করে দুইবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না এমন আইন করতে হবে। সংসদ সদস্যদের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে নিজস্ব মতামত এবং ভোটিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে গাজীপুর চৌরাস্তায় বৈষম্যহীন রাষ্ট্র নির্মাণ ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠায় গণ-সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। 

গাজীপুর জেলা গণসংহতি আন্দোলনের আহ্বান আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়ক আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মো. আশরাফুল আলম খোকন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

পলাশ প্রধান/মাহফুজ/এমএ/

 

দেশবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাধীনতাবিরোধী ষড়যন্ত্র রুখে দেবে: খেলাফত মজলিস

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩১ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৪ পিএম
দেশবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাধীনতাবিরোধী ষড়যন্ত্র রুখে দেবে: খেলাফত মজলিস
খেলাফত মজলিসের ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র‌্যালি। ছবি: সংগৃহীত

দেশবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাধীনতাবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘তাবেদার ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনে ভারতের নরেন্দ্র মোদি কষ্টে আছেন। ভারত সরকার আমাদেরকে শান্তিতে থাকতে দিতে চায় না। স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে দিতে চায় না। কিন্তু আমরা স্বাধীন জাতি। যেভাবে জীবন দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি, সেভাবে স্বাধীনতা রক্ষা করব।’

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে  খেলাফত মজলিসের ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত র‍্যালি ও সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

আহমদ আবদুল কাদের বলেন, ‘স্বাধীনতার প্রশ্নে দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাংলাদেশের সকল নাগরিক ঐক্যবদ্ধ। বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে, আমাদেরকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য দুর্নীতিমুক্ত সৎ নেতৃত্ব কায়েম করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা বিগত ১৬ বছরে বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। এখন পালিয়ে গিয়ে ভারতের হিন্দুত্ববাদী নেতা নরেন্দ্র মোদির মদদে এদেশে ধর্মীয় দাঙ্গা সৃষ্টির পায়তারা চালাচ্ছে। কিন্তু কোন ষড়যন্ত্রে কাজ হবে না। ঐতিহ্যগতভাবে বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ।’

সমাবেশে যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আবদুল জলিল বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত হানার চেষ্টা করলে ভারতই ভেঙে খান খান হয়ে যাবে। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী অখণ্ড ভারতের দিবা স্বপ্ন দেখছেন। অখণ্ড ভারতের স্বপ্ন দেখে লাভ নেই বরং ভারতের বৈষম্য ও জুলুম নির্যাতনের কারণে পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্য হাত ছাড়া হয়ে যেতে পারে।’ 

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিস কেন্দ্রীয় প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য অধ্যাপক এ কে এম গোলাম আজম, মাওলানা বিএম সিরাজ, মাওলানা এমদাদুল্লাহ খাঁন, মহানগরী দক্ষিণ সহ-সভপতি মাওলানা ফারুক আহমদ ভূঁইয়া, সহ-সাধারণ সম্পাদক এইচ এম হুমাযুন কবির আজাদ, বায়তুলমাল সম্পাদক মুহাম্মদ সেলিম হোসাইন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মনসুরুল আলম মনসুর, অফিস সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ, যুব মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি জামিরুল ইসলাম প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে একটি র‌্যালি জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় হয়ে দৈনিক বাংলা মোড়ে এসে শেষ হয়।

শফিকুল ইসলাম/নাবিল/এমএ/

পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে: চরমোনাই পীর

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১৮ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫২ পিএম
পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে: চরমোনাই পীর
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। ছবি: খবরের কাগজ

জাতীয় নির্বাচনের পর পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম চরমোনাই পীর।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসনব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘১৬ বছর ও ৫৩ বছরের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে নির্বাচন করতে হবে। যারা নির্বাচনের কথা বলে তারা মনে হয় ষড়যন্ত্রকারীদের পাতা ফাঁদে পা দিয়েছে। আমাদের মধ্যে জাতীয় ঐক্য থাকতে হবে। দুর্নীতিবাজ, লুটেরাদের নেতৃত্বে যারা আওয়ামী লীগকে আনতে চায় তারা দেশের শত্রু।’

অতীতের নির্বাচনে ফ্যাসিস্ট তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করে রেজাউল করিম বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ইসলামি ছাত্র আন্দোলন রাজপথে ব্যানার নিয়ে আন্দোলন করেছে। এই সংগঠনের অনেক ছাত্র শাহাদাত বরণ করেছে, আহত হয়েছে, পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। ইসলামী আন্দোলন বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সামিল হয়েছিল।’

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপত্তি করার পরও ফারুকীকে সরিয়ে দেওয়া হয়নি। আশা করি সরকার এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিবেন। সন্ত্রাস চাঁদাবাজি এখনো বন্ধ হয়নি। মানুষের অধিকার পরিপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি।’

ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি নুরুল বশর আজিজীর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ মুনতাসির আহমদের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল আউয়াল, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান প্রমুখ।

সম্মেলনে ইউসুফ আহমদ মানসুরকে সভাপতি, মুহাম্মাদ মুনতাসির আহমদকে সহসভাপতি ও শেখ মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমানকে সেক্রেটারি জেনারেল করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।

সম্মেলনে ১৩ দফা উপস্থাপন করেন আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি ইউসুফ আহমদ মানসুর। 

দাবিগুলো হলো- পতিত স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ ও তার সব সহযোগী সংগঠনকে বিচারের আওতায় এনে বিগত ১৬ বছরের দুঃশাসনের বিচার করতে হবে, জুলাই আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারী, হামলার নির্দেশদাতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে, ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধে শক্তিশালী পররাষ্ট্রনীতির মাধ্যমে ভারতের নিকট থেকে নিজেদের সব হিস্যা বুঝে নিতে হবে, প্রচলিত ছাত্র রাজনীতি নয়, বরং জনকল্যাণমুখী ও শিক্ষার্থীবান্ধব ছাত্ররাজনীতি চর্চা এবং ছাত্রসংসদ নির্বাচন দিতে হবে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ পরিবারের দায়িত্ব রাষ্ট্রকে বহন করতে হবে, আহতদের পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে ইত্যাদি।

শফিকুল ইসলাম/নাবিল/এমএ/