ঢাকা ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

আ.লীগকে চাপে রাখতে চাইলেও নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয় বিএনপি

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪১ এএম
আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৯ পিএম
আ.লীগকে চাপে রাখতে চাইলেও নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয় বিএনপি
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

আওয়ামী লীগের ওপর নানামুখী চাপ অব্যাহত রাখতে চাইলেও দলটির রাজনীতি নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয় বিএনপি। দলটি মনে করে, রাজনীতিতে বিএনপির আজকের যে স্বস্তিকর পরিস্থিতি সেটি চিরকাল না-ও থাকতে পারে। তাই আওয়ামী লীগকে এখন নিষিদ্ধ করার পক্ষে অবস্থান নিলে বিএনপিরও ভবিষ্যতে এমন ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।

‘বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর এদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই’ এমন বক্তব্য গত সাড়ে ১৫ বছর আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড থেকে দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত বিএনপিকে নিষিদ্ধ করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি আওয়ামী লীগ। যদিও দলটির শীর্ষ দুই নেতা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে একাধিক মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। আর এতে এক ধরনের নেতৃত্বশূন্যতা তৈরি হয়েছিল বিএনপিতে। মূলত বিএনপিকে চাপে রাখার জন্যই আওয়ামী লীগ সরকার এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিল বলে দেশের রাজনীতিতে আলোচনা আছে। 

নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো বলছে, একই কৌশল গ্রহণ করতে চায় বিএনপি। দলটি চায় আওয়ামী লীগ চাপে থাকুক। বিশেষ করে শক্তিশালী হয়ে আওয়ামী লীগ যেন খুব শিগগির বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবির্ভূত হতে না পারে- এটিই বিএনপি চায়। 

সূত্রমতে, এ জন্য বিএনপির তৎপরতাও অব্যাহত আছে। দলটি গণহত্যাসহ গুম-খুন ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিচারের ব্যাপারে সোচ্চারও রয়েছে। বিএনপি মনে করে, ঘটনার বিচার হলে দলটির গুরুত্বপূর্ণ বেশির ভাগ নেতার সাজা হবে। ফলে আওয়ামী লীগ এমনিতেই দুর্বল হয়ে পড়বে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে গত ১৫ বছর বিএনপিকে একইভাবে দুর্বল করার কৌশল নিয়েছিল আওয়ামী লীগ। এখন বিএনপি এই কৌশল গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রবীণ সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ প্রসঙ্গে খবরের কাগজকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের ব্যাপারে দলগতভাবে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছি। এরপর দলীয় ফোরামে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনে আসা না আসা এটা তাদের নিজেদের ও জনগণের ওপর নির্ভর করছে।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বিষয়ে ইতোমধ্যে বলেছেন, আমরা চাই না, দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হোক। কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে আমরা নই। কারণ আমরা গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। তবে আওয়ামী লীগের যারা নানা অপরাধ করেছেন, যারা গণহত্যা করেছেন, সেই ব্যক্তিরা রাজনীতি করতে পারবেন না, জনগণ সেটা চায়। তাদের অপরাধের বিচার করতে হবে। কিন্তু গণতন্ত্রে কোনো দলের রাজনীতি করার ক্ষেত্রে বাধা দেওয়া যায় না।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা দেওয়া বা ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধ করা উচিত নয়, কারণ এ দুটি কাজ গণতান্ত্রিক চর্চাকে দুর্বল করবে। জনগণকে তাদের ভাগ্য নির্ধারণের সুযোগ দেওয়া উচিত।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু খবরের কাগজকে বলেন, ‘শহিদ জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আমরা বাকশাল নই, বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। সেই দল হিসেবে আমরা অন্য কোনো দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ হোক, এটা চাই না।’ 

যদিও বিএনপির মাঠপর্যায়ের নেতাদের মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে এক ধরনের মতামত রয়েছে। তবে দলের হাইকমান্ড এটিকে বিবেচনায় নিচ্ছে না। 

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু নেতাও সভা-সমাবেশে বহুবার বিএনপিতে নিষিদ্ধের কথা বলেছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেও আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারকদের কারও কারও মত ছিল, ‘সন্ত্রাসী’ দল আখ্যা দিয়ে বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হোক। 

২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় বিএনপির নিবন্ধন বাতিলের বিষয়টি প্রথমবার আলোচনায় এসেছিল। কারণ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী কোনো দল পর পর দুই বার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলে দলটির নিবন্ধন বাতিল হয়ে যায়। অনেকের মতে, সেটি বিবেচনায় নিয়েই বিএনপি ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নেয়। এরপর বিএনপি নির্বাচনে না যাওয়ার আরও একটি সুযোগ পায়। ফলে ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটে যায় না। অর্থাৎ দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ বা নিবন্ধন বাতিলের বিষয়টি মাথায় রেখেই বিএনপি সবসময় রাজনীতি করেছে। 

দলীয় সূত্রমতে, আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়ে বিএনপির নেতারা আনুষ্ঠানিকভাবে দলের ভেতরে কোনো আলাপ-আলোচনা করেনি। তবে ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় দলের নেতারা নিজেদের মধ্যে কথা বলেছেন। তারা মনে করেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা কোনো ফল দেবে না। এমনকি ঘোরতর আওয়ামী লীগবিরোধী দল জামায়াতকেও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করেনি। ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার মাত্র চারদিন আগে তারা জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এ ঘটনা থেকে কোনো ফল পায়নি আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশের রাজনীতিতে এমন আলোচনা এসেছে যে, রাজনীতি নিষিদ্ধ করে শেষ পর্যন্ত আসলে কোনো লাভ হয় না।

জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের ঘটনাও নির্বাহী আদেশে নয়; আদালতের নির্দেশে ঘটেছে। ২০১৩ সালে ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে দেন হাইকোর্ট। সর্বশেষ ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালীন গত ১ আগস্ট ‘সন্ত্রাস ও সহিংসতার’ অভিযোগে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন দিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। কিন্তু ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ওই মাসের ২৮ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবির ও এর সব অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে প্রজ্ঞাপন দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। 

আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন-১৯৭৩-এর একটি খসড়া সংশোধনীর অধীনে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য আওয়ামী লীগকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার সম্ভাবনার কথা অনেকে বলছেন। বিএনপির মধ্যম সারির দু-একজন নেতাও এ ব্যাপার কথা বলেছেন। তবে এই পদক্ষেপ গণতান্ত্রিক দেশে উপযুক্ত নয় বলে মনে করেন বিএনপির নীতি-নির্ধারকরা।

গত ২৪ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে, এটা খুবই দুঃসাহসিক, আমরা খুশি হয়েছি। কিন্তু যদি বিএনপিকে নিষিদ্ধ করে তখন আমরা কী করব? যারা বিভিন্ন সংগঠনের নামে মানুষকে হত্যা, গুম, নির্যাতন করেছে তাদেরকে ধরে ধরে বিচার করেন।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু খবরের কাগজকে বলেন, ‘জাতি ও জনগণ কী চায় তার ওপর নির্ভর করবে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ? ১৯৭২ থেকে ৭৫ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ভুল করেছিল, এবারও তারা ভুল করেছে। আগেও মাশুল দিতে হয়েছে এবারও মাশুল দিল। আমরা কোনো দলকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করি না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে নই। নির্বাহী আদেশে কোনো দল নিষিদ্ধ হোক এটা চাই না। কারণ কালকে তো আমাদেরকেও নিষিদ্ধ করতে পারে! যে অপরাধ করেছে তার বিচার করতে হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তাদের (আওয়ামী লীগের) বিচার করতে হবে।’ 

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল খবরের কাগজকে বলেন, আওয়ামী লীগ নিজে থেকেই নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। ছাত্র-জনতার গণহত্যা, লুটপাট চালিয়ে বিদেশে টাকা পাচার, দুর্নীতি, গুম-খুনসহ রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের দায়ে আওয়ামী লীগকে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। তাদেরকে নিষিদ্ধ করা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। নিজেরাই নিজেদের আড়াল করে রেখেছে।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসবে কি আসবে না তা জনগণ ঠিক করবে। রাষ্ট্র ও দেশবিরোধী কাজ করার পরও জনগণ তাদের ভোট দেয় কি না- এটাও দেখার প্রয়োজন।’

বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের চিহ্নিত করার সুযোগ রয়েছে: গোলাম পরওয়ার

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৮ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৫ পিএম
বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের চিহ্নিত করার সুযোগ রয়েছে: গোলাম পরওয়ার
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। ছবি: খবরের কাগজ

শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রকৃত হত্যাকারীদের এখনো চিহ্নিত করার সুযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। 

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে দলটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।  

সভায় প্রধান অতিথি গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘তাদের (বুদ্ধিজীবী) আত্মত্যাগের মধ্যে দিয়ে আমরা মুক্ত-স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। যুগ যুগ ধরে জাতি তাদের অবদানের কথা স্মরণ করবে। ১৯৭১ সালে বুদ্ধিজীবীদের কারা হত্যা করল? স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর আজও জাতির সামনে তা তুলে ধরা হয়নি। শহিদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যার প্রকৃত রূপ রহস্যঘেরা এবং এখনো প্রকৃত হত্যাকারীদের চিহ্নিত করার সুযোগ রয়েছে।’

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সাংবাদিক, চিত্র নির্মাতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জহির রায়হানের নিখোঁজের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের লড়াই সংগ্রাম ও বুদ্ধিজীবীদের হত্যার ঘটনার তিনি ডকুমেন্টারি গবেষণার কাজে হাত দিয়েছিলেন। বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে গিয়ে হত্যার কারণ, তথ্য উপাত্ত ও প্রমাণ খুঁজে বের করছিলেন। জাতি ভেবেছিল, জহির রায়হানের এই ডকুমেন্টারি প্রকাশ হলে অজানা তথ্য বেরিয়ে আসবে। তাই তাকে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে আর খুঁজে পাওয়া গেল না। তার ডকুমেন্টারি কোথায় আজও তা জানা যায়নি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের ভোটাধিকার এদেশের মানুষ নির্ধারণ করবে। ১৪, ১৮ এবং ২৪-এর ভোট আমরা দিতে পারিনি। এই তিনটা ভোটই জনগণ বর্জন করেছে। আর এই আধিপত্যবাদী শক্তি (ভারত) এদেশে তাদের একজন সেবাদাস, দল দাসদেরকে প্রলুব্ধ করে তাদের মনোনীত সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে।’

জামায়াতের সেক্রটারি জেনারেল বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধের ৫৩ বছর পরেও ভারত কখনো আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধুর পরিচয় দিতে পারেনি। আমরা ভারতের শত্রু নয় বরং ভারতে বছরে বছরে যারা শাসন ক্ষমতায় এসেছেন তারা আমাদের শত্রুতা করেছে। তারা আমাদের ক্ষতি চেয়েছে, আমরা তাদের ক্ষতি চাইনি।’   

ভারতকে উদ্দেশ্য করে অধ্যাপক গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি, ইকোনমিক, বাংলাদেশের সামরিক অবকাঠামোর স্বার্থের চেয়ে তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থ অনেক বেশি। যেসব প্রকল্পগুলো অনেক বড় সেগুলো বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে লাভ হবে ভারতের আর কাজটা করাবে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তি, পদক্ষেপ, ব্যবসা-বাণিজ্য এই ৫৩ বছরে করা হয়েছে।’  

তিনি বলেন, ‘তাদের (ভারত) পছন্দ করা শাসক না হলে বাংলাদেশ চলবে না। এটা হচ্ছে তাদের নীতি। যারা তাদের চাওয়া-পাওয়া ও স্বপ্ন পূরণ করবে তারাই এদেশ শাসন করবে।’ 

গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘রাষ্ট্র হিসেবে ভারতকে আমরা শত্রু মনে করি না। ভারতের জনগণ আমাদের শত্রু নয়। ভারতে যারা শাসক এসেছেন, চরম সাম্প্রদায়িক একটি গোষ্ঠী ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের আদর্শ এবং মূল্যবোধকে ধ্বংস করতে চেয়েছে। এদেশ যদি পদানত থাকে, একটি করদ রাজ্যে পরিণত হয়, ভারতের একটা বাজারে যদি পরিণত হয় তাহলে তো ভারতের লাভ বেশি।’

শফিকুল/পপি/

বাংলাদেশকে বহিঃশক্তির হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল আ.লীগ: জামায়াত নেতা

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২৭ পিএম
বাংলাদেশকে বহিঃশক্তির হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল আ.লীগ: জামায়াত নেতা
সীতাকুণ্ডে ছাত্রশিবিরের সাবেক সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত সম্মেলনে বক্তৃতা দিচ্ছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মো. শাহজাহান। ছবি: খবরের কাগজ

পতনের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ বহিঃশক্তির হাতে দেশকে তুলে দিতে মরিয়া ছিল বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মো. শাহজাহান। 

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকালে সীতাকুণ্ড আলিয়া মাদরাসার হলরুমে ছাত্রশিবিরের সাবেক সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এ অনুষ্ঠানে সীতাকুণ্ড উপজেলার সহস্রাধিক সাবেক সাথী ও সদস্য অংশ নেন।

এ সময় মাওলানা মো. শাহজাহান বলেন, ‘৫৩ বছরের ইতিহাসে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের কোনো নেতা বাংলাদেশবিরোধী কোনো বাক্য উচ্চারণ করেননি।

তবে বাংলাদেশের জন্মে আওয়ামী লীগকে সবচেয়ে বেশি স্বীকৃতি দেওয়া হলেও এই দলের নেতারাই দেশদ্রোহী কর্মকাণ্ডে সবচেয়ে বেশি জড়িত ছিলেন।’

আওয়ামী লীগের শাসনামলে দেশের ৭০ ভাগ ক্ষমতা ভারতের হাতে ছিল মন্তব্য করে তিনি জানান, হাসিনা এখনো ভারতে বসে বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছেন।

শাহজাহান বলেন, ‘আজকের এই নতুন বাংলাদেশ শহিদদের রক্তের ফসল, মজলুমদের চোখের পানির ফসল। এতে আপনার আমার কোনো কৃতিত্ব নেই। সব কৃতিত্ব ওইসব শহিদদের, যারা এই জমিনের জন্য রক্ত দিয়েছেন, প্রাণ বিলিয়ে দিয়েছেন।’

পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে দেশকে এগিয়ে নিতে ছাত্রশিবিরের সাবেক ও বর্তমান সদস্যদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

এটাই ‘দ্বিন প্রতিষ্ঠার’ সবচেয়ে ভালো সুযোগ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সীতাকুণ্ডে প্রায় দুই দশক পর বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা জামায়াতের আমীর আলাউদ্দিন সিকদার।

জেলা আমীর তার বক্তব্যে বলেন, ‘১১ শহিদের রক্তস্নাত এই সীতাকুণ্ডের ময়দান। অনেক রক্ত, ত্যাগ, তিতিক্ষা, শ্রম, ঘাম বিনিময়ে আজ আমি এখানে দাঁড়াতে পেরেছি।’

সংগঠনকে এগিয়ে নিতে সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি। 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জেলা উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী, উত্তর জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাজিদ চৌধুরী, উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মিজানুর রহমান, নায়েবে আমীর রাশেদুজ্জামান মজুমদার, সেক্রেটারি আবু তাহের, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণের সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি কুতুব উদ্দিন শিবলী, মিডিয়া বিভাগের সম্পাদক আবুল হোসেন, শিল্প ও বাণিজ্য এবং যুব ও ক্রীড়া বিভাগের সম্পাদক শামসুল হুদা, শূরা সদস্য ও কর্মপরিষদ সদস্য মিছবাহুল আলম রাসেল, মাওলানা নুরুল কবির, মিরসরাই জামায়াতের সাবেক আমী নুরুল করিম।

নাইমুর/অমিয়/

মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে অ্যাবের শ্রদ্ধাঞ্জলি

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৬ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২০ পিএম
মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে অ্যাবের শ্রদ্ধাঞ্জলি
মিরপুরে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন অ্যাবের সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজুরসহ অন্য প্রকৌশলীরা। ছব: খবরের কাগজ

রাজধানীর মিরপুরে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বিএনপিপন্থি প্রকৌশলীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ারস বাংলাদেশ (অ্যাব)। 

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে অ্যাবের সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজুর নেতৃত্বে এই শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

এ সময় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মোহাম্মদ রিয়াজুল ইসলাম (রিজু), সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মো. সাব্বির মোস্তফা খান, আইইবির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি প্রকৌশলী নিয়াজ উদ্দিন ভূঁইয়া, প্রকৌশলী এ টি এম তানবীর-উল হাসান (তমাল), সহকারী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাহবুব আলম, প্রকৌশলী মুহাম্মদ আহসানুল রাসেল, প্রকৌশলী সাব্বির আহমেদ ওসমানী এবং আইইবি ঢাকা সেন্টারের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. হেলাল উদ্দিন তালুকদার, ভাইস-চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. কামরুল হাসান উজ্জ্বল, ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন, অ্যাবের উপদেষ্টা প্রকৌশলী এ কে এম জহিরুল ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী আব্দুল হালিম, প্রকৌশলী আজিম উদ্দিন, প্রকৌশলী বিজু বড়ুয়া, যুগ্ম মহাসচিব প্রকৌশলী আবু হোসেন হিটলু, অ্যাব ঢাকা কেন্দ্রের সিনিয়র সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. শাহীন হাওলাদার, প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলামসহ আইইবি ও অ্যাবের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

শফিকুল/পপি/

নতুন সুযোগে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাই: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫১ এএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১১ পিএম
নতুন সুযোগে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাই: মির্জা ফখরুল
মিরপুরে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধায় পুষ্পস্তবক অর্পণ করছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীসহ দলের নেতা-কর্মীরা। ছবি: খবরের কাগজ

বিএনপি জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের নতুন সুযোগে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘৩৬ জুলাই বা ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শক্তিকে পরাজিত করে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এই সুযোগের সদ্‌ব্যবহার করে আমরা বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থেই একটি গণতান্ত্রিক, আধুনিক রাষ্ট্র ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে মিরপুরের শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজ শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বিজয়ের পূর্ব মুহূর্তে পাক-হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের প্রথিতযশা সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, অধ্যাপক, বৈজ্ঞানিক এবং সুশীল সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। ১৯৭১ সালে আমরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারিয়েছি।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছিল একটা স্বাধীন, গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য। এটি হয়েছিল শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধ ঘোষণার মধ্য দিয়ে।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আজ আমরা সবাই মিলে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি। শহিদ বুদ্ধিজীবীদের মাগফিরাত কামনা করছি। আজকের এই দিনে আমরা শপথ গ্রহণ করেছি বাংলাদেশের মানুষ ১৯৭১ সালে যে কারণে যুদ্ধ করেছিল একটা স্বাধীন, গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য।’

জনগণের ইচ্ছানুযায়ী খুব দ্রুত একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা হবে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা সব সময় আশাবাদী। ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, আমরা সহযোগিতা করছি। আশা করি, খুব দ্রুত জনগণের ইচ্ছানুযায়ী একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা হবে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পাবে।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘গণতন্ত্র হত্যা ও গণহত্যা করে আওয়ামী লীগ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এই কারণে তারা আজ উপস্থিত হতে পারেনি।’

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে রাজনীতিবিদদের উদ্দেশে গতকাল শুক্রবার একজন উপদেষ্টা যে বক্তব্য দিয়েছেন তা বিরাজনীতিকরণের একটি প্রয়াস।’

পৃথিবীতে যত সংস্কার হয়েছে তা রাজনীতিবিদরা করেছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন - বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ড. মঈন খান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, আব্দুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, খায়রুল কবির খোকন, হাবীব উন নবী খান সোহেল, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, শামীমুর রহমান শামীম, মাহবুবুল ইসলাম মাহবুব, মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব মোস্তাফা জামান, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, শহীদুল ইসলাম বাবুল, মৎস্যজীবী দলের আবদুর রহিম, ছাত্রদলের রাকিবুল ইসলাম, নাছির উদ্দিন নাছিরসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কয়েক হাজারো নেতা-কর্মী।

শফিকুল ইসলাম/অমিয়/

বন্ধুবান্ধব সার্কেল নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়েছে: দাবি নুরের

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৬ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৮ পিএম
বন্ধুবান্ধব সার্কেল নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়েছে: দাবি নুরের
জাতীয় প্রেসক্লাবের বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘ভারতীয় আগ্রাসন ও আধিপত্যবিরোধী’ জাতীয় যুব সমাবেশে প্রধান অতিথি গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। ছবি: খবরের কাগজ

নিজেদের সার্কেলের বন্ধুবান্ধব এবং লোকজনদের নিয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেছে বলে দাবি করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর সমস্ত রাজনৈতিক দল, শিল্পী, সাহিত্যিক সবার প্রত্যাশা ছিল নতুন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে আন্দোলনের অংশীজনদের নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন হবে। রাষ্ট্র সংস্কার করা হবে। কিন্তু দুঃখজনক, আমরা যাদের সরকার গঠনের দায়িত্ব দিয়েছি, তারা তাদের সার্কেলের বন্ধুবান্ধব এবং লোকজনদের নিয়ে সরকার গঠন করেছেন।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘ভারতীয় আগ্রাসন ও আধিপত্যবিরোধী’ জাতীয় যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নুরুল হক নুর বলেন, ‘জনগণের বাইরে গেলে, জনসমর্থনের বাইরে গেলে এই সরকার এক সপ্তাহ টিকে থাকতে পারবে না। অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে এই অন্তর্বর্তী সরকারের দিকে গোটা জাতি তাকিয়ে আছে। কিন্তু দুঃখজনক হলো, সরকার জাতির মনের আকাঙ্ক্ষা বুঝতে পারছে না। তারা জনগণকে হতাশা করছেন। ফলে এখন রাজনৈতিক দলগুলো দ্রুত সময়ে নির্বাচন চাচ্ছে। সরকারের কর্মকাণ্ডেও সন্দেহ সংশয় প্রকাশ করছে।’ 

তিনি বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের সংকটের জন্য ভারত দায়ী। সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো বলেছে, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে কূটনৈতিক সম্পর্ক, সেটি স্বাভাবিকভাবেই চলবে। তবে আওয়ামী লীগকে তারা (ভারত) দাস-দাসীর মতো ব্যবহার করেছে, এই অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের সরকারকে সেভাবে দাস-দাসীর মতো ব্যবহার করতে পারবে না।’

নুর বলেন, ‘১৬ বছরে শেখ হাসিনার আমলে ভারতের সঙ্গে দেশবিরোধী যত চুক্তি হয়েছে তা জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। ভারত যদি আমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক ও বন্ধুত্ব রাখতে চায়, সেই সম্পর্ক হবে দুদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে।’

মাহফুজ/

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });