ঢাকা ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, রোববার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪

দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি বিএনপির কঠোর সতর্কবার্তা

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৪ পিএম
দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি বিএনপির কঠোর সতর্কবার্তা
ছবি : খবরের কাগজ

চট্টগ্রামে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের প্রতি মানুষকে হুমকি, ভয়ভীতি প্রদর্শন, নীতি, আদর্শ পরিপন্থী, দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী, সমাজবিচ্ছিন্ন ও বেআইনি কর্মকাণ্ড জড়িত না হতে সতর্কবার্তা দিয়েছেন মহানগর ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা।

শনিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনে এক জরুরি সভায় এই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়।

সভায় নেতারা বলেন, বিএনপির কোনো নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে যেকোনো অপরাধে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তারা বলেন, কেউ নিজের হাতে আইন তুলে নেবেন না। প্রতিহিংসা-প্রতিশোধে লিপ্ত হবেন না। কেউ বিএনপির নাম ব্যবহার করে অপকর্ম করলে তাকে আইনের হাতে তুলে দিন।

এ ছাড়া বিভেদ, হিংসা, প্রতিহিংসা ভুলে সবাই মিলে দেশ গঠনে মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারা।

মহানগর বিএনপির আহবায়ক এরশাদ উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব নাজিমুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলম, সদস্যসচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, কৃষক দলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলমগীর ও সদস্যসচিব মো. সাবের।

মেহেদী/অমিয়/

এমন সমাজ চাই যেখানে সবার অধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে: জামায়াতের আমির

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৪ পিএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৫ পিএম
এমন সমাজ চাই যেখানে সবার অধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে: জামায়াতের আমির
মিরপুরে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র উপহার প্রদানকালে জামায়াতে ইসলামর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামী এমন এক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে কাজ করছে যেখানে সমাজের সব নাগরিকের অধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, জামায়াত মানুষের কল্যাণের জন্য স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসাসহ সাধারণ মানুষের জন্য মেডিক্যাল সার্ভিসও দিয়ে যাচ্ছে। আমরা অ্যাম্বুলেন্সসহ লাশবাহী গাড়ীর সেবা দিয়ে থাকি। সুখী, সমৃদ্ধ ও শাান্তির সমাজে পরিণত করার লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

শনিবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুরের-১৩ শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র উপহার প্রদানকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। শীতবস্ত্র বিতারণ করা হয় ৪নং ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে কাফরুল উত্তর থানা জামায়াতের উদ্যোগে। থানা আমীর রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি হাফেজ আশিকুর রহমানের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান মূসা, সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দীন মানিক প্রমুখ।  

শফিকুর রহমান বলেন, আমাদের দেশের রাজনীতিতে একটি স্লোগান আছে যে, ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, আর দলের চেয়ে দেশ বড়। কিন্ত দেশের প্রচলিত রাজনীতিতে তার কোনো প্রতিফলন দেখি না। জামায়াত ইসলামী স্লোগান দিয়েই দায়িত্ব শেষ করে না বরং তা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা করে। দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানাই। 

তিনি বলেন, এখনো রাজধানীতে শীত জেঁকে বসেনি। কিন্তু আমরা সম্ভাব্য শীত মোকাবিলায় অগ্রিম প্রস্তুতির অংশ হিসাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করছি। আমরা আশা করব সবাই এই মহতি কাজে এগিয়ে আসবেন এবং বিপন্ন ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াবেন।  

সেলিম উদ্দিন বলেন, জামায়াত ক্ষুধা, দারিদ্র, অপশাসন ও দুঃশাসনমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা এমন এক সমাজ জাতিকে উপহার দিতে চাই যেখানে মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সকল মানুষ সমান নাগরিক অধিকার ভোগ করবেন। 

শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ

ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে বিএনপির ৩ সংগঠনের ‘প্রতিবাদী পদযাত্রা’

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩০ পিএম
ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে বিএনপির ৩ সংগঠনের ‘প্রতিবাদী পদযাত্রা’
ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে ঢাকায় দেশটির দূতাবাস অভিমুখে ‘প্রতিবাদী পদযাত্রা’ করবে বিএনপির ৩ সংগঠন- যুবদল, সেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদল। রবিবার (৮ ডিসেম্বর) ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এই পদযাত্রা করবে তিন সংগঠন। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় এ তথ্য।

এতে বলা হয়, রবিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে এই পদযাত্রা শুরু হবে। পদযাত্রা শেষে দুতাবাসে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। পদযাত্রায় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের যথাসময়ে এই কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে উপস্থিত থাকার জন্য যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির আহ্বান জানিয়েছে।

শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত হবে না: জি এম কাদের

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১৩ পিএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১৬ পিএম
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত হবে না: জি এম কাদের
জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে সংবিধান সংরক্ষণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরসহ অন্য নেতা-কর্মীরা। ছবি: খবরের কাগজ

জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে সংবিধান সংরক্ষণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে জি এম কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত হবে না। আওয়ামী লীগের যারা দোষ করেছেন তাদের তদন্তের মাধ্যমে বিচারের মুখোমুখি করুন। আন্দাজে মামলা দিয়ে কাউকেই শাস্তি দেওয়া ঠিক নয়। একটি সংগঠনের সবাই কি অপরাধী? যদি তাই ভাবেন তাহলে শেখ হাসিনার সঙ্গে আপনাদের তফাত কী?’

ভারত ইস্যুতে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে জি এম কাদের বলেন, ‘কোনো আগ্রাসন এলে স্বাভাবিকভাবে আমরা তা প্রতিহত করব। এটার জন্য গলাবাজির দরকার নেই। কেউ কেউ বলেন, আগ্রাসন এলে এক ইঞ্চিও ছাড় দেব না। কে আপনাকে ছাড় দিতে বলে? আমাদের দেশে আর্মি , বিজিবি আছে না?’

রাজনৈতিক ঐক্য গঠনের প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে নিয়ে আলোচনা সভায় বসলেও আওয়ামী লীগ বা জাতীয় পার্টিকে ডাকেনি। এ প্রসঙ্গে জি এম কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে বাদ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের ৫০ শতাংশ মানুষের প্রতিনিধিত্বকারী দলকে জাতীয় ঐক্যের ডাকের বাইরে রাখা হয়েছে। ৫০ শতাংশ মানুষের দলকে সংলাপের বাইরে রাখা হয়েছে। এতে দেশে অবিশ্বাস ও সংঘাতময় পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।’

আওয়ামী লীগ শাসনামলের মতো কয়েকটি দল নিয়ে একতরফা নির্বাচন আয়োজন করলে তা টেকসই হবে কি না, সেই প্রশ্ন রাখেন জাপা চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, দেশের ৫০ শতাংশ মানুষ নির্বাচন ও রাষ্ট্র সংস্কারের বাইরে রাখলে তারা কি বসে থাকবে? নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। একতরফা নির্বাচনের জন্য শেখ হাসিনাকে নিন্দা করা হয়, আপনারা কি একই জিনিস করবেন?’ 

অবাধ, নিরপেক্ষ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে জি এম কাদের বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দল যদি সন্ত্রাসী সংগঠন না হয়, তাদের উদ্দেশ্য যদি আইনবিরোধী না হয়, তা হলে সেই সব সংগঠনকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে বাইরে রাখা যাবে না। আমরা চাই, আগামী নির্বাচনে সব দল অংশ নিক। যাদের নিবন্ধন দিয়েছেন তাদের কেন নির্বাচনে আসতে দেবেন না?’ 

পুলিশ ও প্রশাসনে দলীয়করণ হয়ে গেছে বলে সভায় মন্তব্য করেন তিনি। সাংবিধানিক সংস্কারের জন্য জাপার প্রস্তাব সরকার গ্রহণ করেনি বলে সভায় জানান জি এম কাদের।

জি এম কাদের বলেন, ‘শক্তিশালী রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে অন্তর্বর্তী সরকার জিম্মি হয়ে পড়েছে। মনে হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার যা করতে চায়, তা করতে পারছে না। এভাবে কি রাষ্ট্র সংস্কার, জাতীয় ঐক্য বা নির্বাচন সম্ভব হবে?’ তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্য থেকেই রাজনৈতিক দল গঠন করার চেষ্টা চলছে।’

মাহফুজ/এমএ/

অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থাকলে ষড়যন্ত্র ও অস্থিরতা বাড়বে: খন্দকার মোশাররফ

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৩ পিএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৩ পিএম
অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থাকলে ষড়যন্ত্র ও অস্থিরতা বাড়বে: খন্দকার মোশাররফ
জাতীয় প্রেসক্লাবে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) আয়োজিত আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ছবি: খবরের কাগজ

অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের উছিলা দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্ষমতায় থাকলে ষড়যন্ত্র ও অস্থিরতা আরও বাড়বে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘কেউ যাতে আধিপত্য বিস্তার করতে না পারে, তা নিশ্চিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নির্বাচনি রোডম্যাপ দিয়ে জনগণকে নির্বাচনমুখী করতে হবে। তাহলেই পরাজিত শক্তি ও চক্রান্তকারীদের সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবে।’

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। আরও বক্তব্য রাখেন জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের কমরেড নূর ইসলামসহ অন্যরা।

খন্দকার মোশাররফ আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কমিটমেন্ট ছিল বৈষম্যবিরোধী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। তাদের প্রতি মানুষের যেমন প্রত্যাশা আছে, ঠিক তেমনি সরকারের কমিটমেন্ট আছে সংস্কার করার। অতি দ্রুত এটি করতে হবে। কোনো একক সরকারের পক্ষে দিন-তারিখ ঠিক করে সংস্কার করা সম্ভব নয়। আপনারা শুরু করেন, পরবর্তী সময়ে নির্বাচিত সরকার তা এগিয়ে নেবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সবাইকে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ দেশের মানুষ সব করতে পারে। পার্শ্ববর্তী দেশের আধিপত্য বিস্তারের যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, তা আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দিতে পারব।’

মাহফুজ/এমএ/

 

জনগণের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনাই মূল চ্যালেঞ্জ: তারেক রহমান

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৭ পিএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৬ পিএম
জনগণের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনাই মূল চ্যালেঞ্জ: তারেক রহমান
ফরিদপুরে ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ বিষয়ক অধিবেশনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: খবরের কাগজ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জনগণের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনাই মূল চ্যালেঞ্জ। আর এ জন্য তিনি দলের নেতা-কর্মীদের রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা নিয়ে জনগণের কাছে যাওয়ার কথা বলেন। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করলেই জনগণের মধ্যে আস্থা ফিরে আসবে। 

তিনি বলেন, ‘জনগণের সমর্থন আমাদের পক্ষে রাখতে হবে। কিছু মানুষ ভাবছে যে আমরা ইতোমধ্যেই ক্ষমতায় চলে গেছি। কিন্তু আমরা জানি না আমরা ক্ষমতায় যাব কি না। জনগণের সমর্থন পেলে তবেই আমরা ক্ষমতায় যেতে পারব। আর এজন্য জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে সবার আগে। 

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ বিষয়ক বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অধিবেশনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, দলের কেউ যদি ভুল করে, তাদের সতর্ক করতে হবে, সচেতন করতে হবে এবং সঠিক পথে নিয়ে আসতে হবে। জনগণের আস্থা ধরে রাখা কঠিন কিন্তু এটি আমাদের নেতা-কর্মীদের দায়িত্ব। জনগণের সঙ্গে থাকতে হবে, জনগণকে সঙ্গে রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি সবসময় দেশের উন্নতি এবং জনগণের কল্যাণ চিন্তা করে কাজ করে। এজন্যই ২ বছর আগে থেকেই বিএনপি সংস্কারের কথা বলে আসছে। এটা এমন বিষয় নয় যে গত কিছুদিন আগে থেকে আমরা এটা বলছি। বিএনপি এটা অনেক আগে থেকেই বলে আসছে রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফার কথা। 

সভায় তিনি বলেন, জনগণ যাকে ভোট দেবে সে-ই নির্বাচিত হবে। আর এজন্য দরকার সুষ্ঠু অবাধ একটি নির্বাচন। সেই নির্বাচনে জনগণ ভোট যাকে দিবে সে-ই নির্বাচিত হবে আর আমরা সেই সিদ্ধান্ত মেনে নেব। আর সেই জায়গায় যেতে হলে আমাদের সকল নেতা-কর্মীদেরকে স্ব স্ব জায়গা থেকে ভূমিকা নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, দুইবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না।

তারেক রহমান বলেন, আমরা দেশে একটি জবাবদিহিতার পরিবেশ তৈরি করতে চাচ্ছি। রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের মূল লক্ষ্য হলো জবাবদিহিতা। জবাবদিহিতা থাকতে হবে ইউনিয়নের একজন ইউপি সদস্য থেকে মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত। সকলকেই জবাবদিহিতার ভেতর নিয়ে আসতে হবে। প্রত্যেকটি জায়গায় জবাবদিহিতার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এর আগে কোনো জবাবদিহিতা ছিল না দেশে। আপনারা দেখেছেন ২০১৪ সাল, ২০১৮ সাল ও ২০২৪ সাল তথাকথিত নির্বাচন। আপনার আরও দেখেছেন এই ফরিদপুরে সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা কীভাবে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। ‌তিনি বলেন, দেশের অধিকার প্রতিষ্ঠাতা করতে হলে সকলকে নিয়েই কাজ করতে হবে। আর এজন্যই আমরা ৩১ দফার কথা বলছি। 

বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ ইসলাম রিঙ্কুর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, আরেক উপদেষ্টা আলহাজ্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাসকুর রহমান মাসুক, মো. সেলিমুজ্জামান সেলিম, তারেক জিয়ার উপদেষ্টা ড. মাহাদী আমীন, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।

দিনব্যাপী এ কর্মশালায় ফরিদপুরসহ ৫টি জেলার বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে।  

সঞ্জিব দাস/মাহফুজ/এমএ/