ঢাকা ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪
English
বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

১০ জেলা ও মহানগরে বিএনপির কমিটি ঘোষণা

প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৭ পিএম
আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৫ পিএম
১০ জেলা ও মহানগরে বিএনপির কমিটি ঘোষণা
বিএনপি

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপিসহ ১০ জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি ঘোষণা করেছে দলটি।

সোমবার (৪ নভেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কমিটি ঘোষণা করা হয়।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি এবং চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুষ্টিয়া, ময়ময়নসিংহ দক্ষিণ জেলা এবং শেরপুর জেলা বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে দলটি।

ঢাকা মহানগর উত্তর

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক করা হয়েছে আমিনুল হককে। তিনি আগের দুই কমিটির সদস্যসচিব ছিলেন। আর সদস্যসচিব করা হয়েছে মোস্তফা জামানকে।

যুগ্ম আহ্বায়করা হলেন- মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, আব্দুর রাজ্জাক। 

এর আগে দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করে দলটি। 

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ৫৩ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরশাদ উল্লাহকে আহ্বায়ক ও নাজিমুর রহমানকে সদস্যসচিব করা হয়েছে। 

১৬ জন যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন- মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এম এ আজিজ, অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দিন, এস এম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দীন, সফিকুর রহমান স্বপন, হারুন জামান, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, শাহ আলম, আর ইউ চৌধুরী শাহিন, শওকত আলম খাজা (দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত), ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহম্মেদুল আলম চৌধুরী (রাসেল), শিহাব উদ্দীন মুবিন (প্রচারের দায়িত্বপ্রাপ্ত), মনজুরুল আলম মঞ্জু। 

আর ৩৪ জন সদস্য হলেন- ডা. শাহাদাত হোসেন, আবুল হাশেম বক্কর, অ্যাডভোকেট মফিজুল হক ভূঁইয়া, ইকবাল চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন জিয়া, এম এ হান্নান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, আবুল হাসেম, ইসকান্দর মির্জা, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, মুজিবুল হক, মো. মহসিন, মো. খোরশেদ আলম, মো. সালাউদ্দিন, গাজী সিরাজ উল্লাহ, কামরুল ইসলাম, সৈয়দ শিহাব উদ্দীন আলম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মশিউল আলম স্বপন, মোশাররফ হোসেন ডিপটি, মো. জাফর আহম্মদ, এ কে খান, গাজী আইয়ুব, মাহবুব রানা, এম এ সবুর, নুরু উদ্দিন হোসেন নুরু, মোহাম্মদ আবু মুসা, হানিফ সওদাগর, সরফরাজ কাদের চৌধুরী রাসেল, মোহাম্মদ আজম, মো. ইসমাইল বালি, মো. আশ্রাফুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইউসুফ। 

বরিশাল মহানগর বিএনপি

মনিরুজ্জামান খান ফারুককে আহ্বায়ক ও মো. জিয়াউদ্দিন সিকদার জিয়াকে সদস্যসচিব করে বরিশাল মহানগর বিএনপির ৪২ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ৯ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৩১ জনকে সদস্য করা হয়েছে। মনিরুজ্জামান খান ফারুক আগের কমিটিতে আহ্বায়ক ছিলেন। আগের কমিটির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জিয়াউদ্দিন সিকদার হয়েছেন সদস্যসচিব।

কমিটির যুগ্ম আহ্বায়করা হলেন- আফরোজা খানম নাসরীন, মো. জসিম উদ্দিন খান, মো. আল আমিন, আবু মুসা কাজল, আব্দুল হালিম মৃধা, মো. সাজ্জাদ হোসেন, জহিরুল ইসলাম লিটু, মাহফুজুর রহমান মাফুজ, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ। 

সদস্যরা হলেন- ওয়ায়ের ইবনে গোলাম কাদির (স্বপন), বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম ফরিদ, আল মাসুম, মঞ্জুরুল আহসান জিসান, সাইফুল আনাম বিপু, বদিউজ্জামান টলন, রফিকুল ইসলাম মঈন, কামরুল হাসান রতন, আহম্মেদ জেকি অনুপম, জুলহাস উদ্দিন মাসুদ, জাহিদুর রহমান রিপন, খসরুল আলম তপন, আব্দুল হক মাস্টার, আরিফুর রহমান বাবু, আসাদুজ্জামান মারুফ, মো. সোহেল সিকদার, অ্যাডভোকেট কাজী বসির, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ ইমন, অ্যাডভোকেট সরোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট শেখ হুমায়ুন কবির মাসুদ, অ্যাডভোকেট মো. তসলিম, অ্যাডভোকেট সুফিয়া আক্তার, অ্যাডভোকেট সাঈদ খোকন, শামীমা আকবর, একেএম মিজানুর রহমান (ইঞ্জিনিয়ার), নওশদ আহম্মেদ নান্টু, মো. দুলাল গাজী, মাসুদ হাওলাদার, আব্দুর রহমান হাওলাদার, হাসিনা কামাল এবং নুরুল ইসলাম পনির। 

সিলেট মহানগর বিএনপি

রেজাউল হাসান কয়েছ লোদীকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ইমদাদ হোসেন চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৭০ সদস্যবিশিষ্ট সিলেট মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হয়েছে। কমিটিতে ২০ জন সহ-সভাপতি, ১৪ জন যুগ্ম আহ্বায়ক, ৫ জন করে সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ৫২ জনকে সদস্য করা হয়েছে।

সহ-সভাপতি হলেন যথাক্রমে ডা. নাজমুল ইসলাম, জিয়াউল গনি আরিফিন জিল্লুর, সৈয়দ মিসবাহ্ উদ্দিন, সৈয়দ মইন উদ্দিন সুহেল, জিয়াউল হক জিয়া, সুদিপ রঞ্জন সেন বাপ্পু, মাহবুব কাদির শাহী, আমির হোসেন, অ্যাডভোকেট শাহ্ আশরাফুল ইসলাম, সাদিকুর রহমান সাদিক, নিগার সুলতানা ডেইজী, ডা. আশরাফ আলী, নুরুল মুমিন খোকন, আব্দুল হাকিম,  আফজাল হোসেন, ব্যারিস্টার রিয়াসত আজিম হক আদনান, রহিম মল্লিক, মুফতি নেহাল, জাহাঙ্গীর আলম, মোতাহির আলী মাখন।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকরা হলেন- নজিবুর রহমান নজিব, মুর্শেদ আহমদ মুকুল, শামীম মজুমদার, মির্জা বেলায়াত হোসেন লিটন, নেওয়াজ বক্ত চৌধুরী তারেক, মাহবুবুল হক চৌধুরী, শুয়াইব আহমদ শোয়েব, আব্দুল ওযাহিদ সুহেল, রেজাউল করিম আলো, আক্তার রশিদ চৌধুরী, আহমদ মনজুরুল হাসান মনজু, মতিউল বারী খোরশেদ, ফাতেমা জামান রোজী, নাদির খান, আবুল কালাম।

সাংগঠনিক সম্পাদকরা হলেন- সৈয়দ সাফেক মাহবুব, জাকির হোসেন মজুমদার, রফিকুল ইসলাম রফিক, দেওয়ান জাকির, খসরুজ্জামান খসরু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রহিম আলী রাসু, রেজাউর রহমান রুজন, সাব্বির আহমদ, জাহাঙ্গীর আলম জীবন, সফিক নূর। অর্থ সম্পাদক এনামুল কুদ্দুস, সহঅর্থ সম্পাদক আলমগীর হোসে, প্রচার সম্পাদক বেলায়েত হোসেন মোহন, সহপ্রচার সম্পাদক আলী হায়দান মজনু, দপ্তর সম্পাদক তারেক আহমদ খান, সহদপ্তর সম্পাদক আব্দুল মালেক প্রমুখ।

মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি

মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়কের পদ পেয়েছেন ফয়জুর রহমান ময়ুন। ৩২ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির সদস্যরা হলেন- নাসের রহমান, মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, মিজানুর রহমান, আব্দুর রহিম রিপন, মোশারফ হোসেন বাদশা, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, হাজী মুজিবুর রহমান, আব্দুল ওয়ালি সিদ্দিকি, নাছির উদ্দিন মিঠু, আশিক মোশারফ, আব্দুল মুকিত, ফখরুল ইসলাম, মুহিতুর রহমান হেলাল, আব্দুল হাফিজ, মাহামুদুর রহমান, হেলু মিয়া, মনোয়ার আহমেদ রহমান, বকশী মিছবাউর রহমান, মতিন বক্স, মাহাবুব ইজদানী ইমরান, বকশী জুবায়ের আহমেদ, আবুল কালাম বেলাল, জিতু মিয়া, স্বাগত কিশোর দাস চৌধুরী, গাজী মারুফ আহমেদ, আব্দুল হক, দুরুদ আহম্মদ, আশরাফুজ্জামান খান নাহাজ, সেলিম মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, আনিসুজ্জামান বায়েস, মহসিন মিয়া মধু। 

সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি

কলিম উদ্দিন আহমদ মিলনকে আহ্বায়ক করে ৩২ সদস্যবিশিষ্ট সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। অন্য সদস্যরা হলেন- মিজানুর রহমান চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মল্লিক মইন উদ্দিন সোহেল, অ্যাডভোকেট শেরে নূর আলী, অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুল, নাদের আহমেদ, আকবর আলী, অ্যাডভোকেট মাসুক আলম, আনিসুল হক, আব্দুল মোতালেব খাঁন, রেজাউল হক, আনছার উদ্দিন, শামসুল হক নমু, আ ত ম মিছবাহ, ব্যারিস্টার আবিদুল হক, ফারুক আহমেদ (দক্ষিণ সুনামগঞ্জ), সেলিম উদ্দিন, আবুল কালাম আজাদ, ফারুক আহমেদ (ছাতক), আব্দুর রহমান, নজরুল ইসলাম (সুনামগঞ্জ), কামরুল ইসলাম কামরুল, নাসিম উদ্দিন লালা, মো. মুনাজ্জির হোসেন সুজন, অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহমান শাহিন, নজরুল ইসলাম (ছাতক), আব্দুল মুকিত, মো. শফিকুল ইসলাম, আব্দুল বারি, সিরাজ মিয়া, নূর আলী, মো. আব্দুর রশিদ। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি

অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নানকে আহ্বায়ক ও সিরাজুল ইসলামকে সদস্যসচিব করে ৩২ সদস্য বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। অন্যরা হলেন- ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন শ্যামল, হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, জহিরুল হক খোকন, নুরে আলম সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম রুমা, বেলাল উদ্দিন সরকার তুহিন, আবু শামীম মো. আরিফ, মো. আসাদুজ্জামান শাহীন, অ্যাডভোকেট একেএম কামরুজ্জামান মামুন, কাউছার কমিশনার, আলহাজ মো. আজিম, মাসুদুল ইসলাম মাসুদ, অ্যাডভোকেট শামসুজ্জামান চৌধুরী কানন, মাইনুল হোসেন চপল, এইচ এম বাশার, শফিকুল ইসলাম, কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ, আহসান উদ্দিন খান শিপন, তরুণ দে, মো. আল আমিন লিটন, মো. সালাহ উদ্দিন, তানিম সাহেদ রিপন, আরমান উদ্দিন পলাশ, আলহাজ মো. মাহিন, আশরাফুল করিম রিপন, মজিবুর রহমান মন্টু, আবুল কালাম, নাছির আহমেদ, অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন এবং কবীর আহমেদ ভূঁইয়া।  

কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি

কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়কের পদ পেয়েছেন কুতুব উদ্দীন আহমেদ এবং সদস্যসচিব করা হয়েছে ইঞ্জিনিয়ার মো. জাকির হোসেন সরকারকে। সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লা, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৌহিদুল ইসলাম আলম, শেখ সাদী, নুরুল ইসলাম আনছার প্রামাণিক।

কমিটির ২৫ সদস্য হলেন- অ্যাডভোকেট গোলাম মোহাম্মদ, মো. আলাউদ্দিন খান, মো. বশিরুল আলম চাঁদ, মুন্সি জেড জি রশিদ রেজা বাজু, মো. আবু দাউদ, শহীদ সরকার মঙ্গল, সৈয়দ আমজাদ আলী, মো. আব্দুল আজিজ মিলন, আলহাজ শওকত হাসান বুলবুল, এ কে বিশ্বাস বাবু, খন্দকার ওমর ফারুক কুদ্দুস, জাহিদুল ইসলাম বিপ্লব, মো. আব্দুর রশীদ, ইসমাইল হোসেন মুরাদ, অ্যাডভোকেট খাদেমুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট শামীম উল হাসান অপু, আল আমিন রানা কানাই, শহীদুজ্জামান খোকন, মহিউদ্দিন চৌধুরী মিলন, আব্দুল মঈদ বাবুল, কামাল উদ্দিন, আব্দুল মাজেদ, মো. আব্দুল হাকিম মাসুদ, মো. আবু তালেব এবং মো শাজাহান আলী।

ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা 

মো. জাকির হোসেন বাবলুকে আহ্বায়ক ও মো. রোকনুজ্জামান সরকার রোকনকে সদস্যসচিব করে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির ৩ সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটির একমাত্র যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন আলমগীর মাহমুদ আলম। 

শেরপুর জেলা বিএনপি

মো. হযরত আলীকে আহ্বায়ক ও অ্যাডভোকেট মো. সিরাজুল ইসলামকে সদস্যসচিব করে শেরপুর জেলা বিএনপির তিন সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন হয়েছে। কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন আওয়াল চৌধুরী।

শফিকুল/সালমান/

খালেদা জিয়াকে বিশেষ উপহার চীনের রাষ্ট্রদূতের

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২১ পিএম
খালেদা জিয়াকে বিশেষ উপহার চীনের রাষ্ট্রদূতের
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। সাক্ষাতকালে খালেদা জিয়াকে চীনের ঐতিহ্যের চিত্র ‘দেয়ালে টাঙানো ব্যানার’ উপহার দেন রাষ্ট্রদূত। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন। 

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় রাষ্ট্রদূতের পতাকাবাহী গাড়ি প্রবেশ করে। সোয়া ঘণ্টাব্যাপী এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ও ভাইস-চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী।   

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত পাঁচ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। এরপর পাঁচ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, ২৫ নভেম্বর সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান এবং তিন ডিসেম্বর পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ ফারুক বিএনপি চেয়ারপারসনের সাথে সাক্ষাৎ করেন।  

শফিকুল ইসলাম/মেহেদী 

সাম্প্রদায়িক সংঘাত ও নৈরাজ্য সৃষ্টির চক্রান্ত নস্যাৎ করতে হবে: জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৯ পিএম
আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১২ পিএম
সাম্প্রদায়িক সংঘাত ও নৈরাজ্য সৃষ্টির চক্রান্ত নস্যাৎ করতে হবে: জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল
জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় ঐক্যের আহ্বানে রাজনৈতিক দলসমুহের যৌথ সভায় ভারতে বাংলাদেশের সহকারি হাইকমিশনে হিন্দু সংঘর্ষ সমিতির হামলার নিন্দা জানিয়েছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম ও জাতীয় পরিষদ সদস্য মুঈনুদ্দীন আহমেদ ।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলসমুহের যৌথ সভায় জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের পক্ষে অংশগ্রহণ করেন তারা।

সভায় জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সম্পাদক ফয়জুল হাকিম নিম্নলিখিত বক্তব্য থেকে মূল অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারি হাইকমিশনে হিন্দু সংঘর্ষ সমিতির হামলার ঘটনা ও তার পূর্বে কলকাতায় বাংলাদেশের সহকারি হাইকমিশনের সামনে সহিংস বিক্ষোভের আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। 

ছাত্র শ্রমিক জনতার গণঅভ্যুত্থানে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট আমরা নিম্নলিখিত বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি:

ক। ভারত সরকারকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বাস্তবতা স্বীকার করে নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে হবে। এখনো পর্যন্ত ভারত সরকার মুখে এক কথা বলছে বাস্তবে অন্য কাজ করছে। 

খ। ছাত্র, শ্রমিক, জনতার গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট বেঈমান শেখ হাসিনা জুলাই অভ্যুত্থানে উচ্ছেদ হয়ে গিয়ে ভারতে পালিয়ে গিয়েছে। বিশ্বের কোন দেশ এই পতিত ফ্যাসিস্ট বেঈমান শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দিলেও ভারত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে। ভারতে বসে বেঈমান শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্টে তৎপরতা চালাচ্ছে।

বাংলাদেশ সরকারকে দাবী করতে হবে যে, ভারত সরকারকে অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে বের করে দিতে হবে। আমরা মনে করি এই একটা ইস্যুই বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সবচেয়ে  গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু।

গ। বাংলাদেশের হিন্দুরা বাংলাদেশের নাগরিক। বাংলাদেশ যেমন মুসলমানদের হেফাজত করছে তেমনি হিন্দুসহ অপরাপর ধর্মাবলম্বীদের হেফাজত করছে। বাংলাদেশের হিন্দুরা ভারতের নাগরিক নন। সুতরাং এ নিয়ে ভারতের উদ্বিগ্ন হবার কিছু নেই। 

ঘ। বিশ্ববাসী জানে ভারতে সাম্প্রদায়িকতা কোন পর্যায়ে বিরাজ করছে। সেখানে প্রতিবছর মুসলিম, খৃষ্টান, আদিবাসী, দলিত জনগণের উপর কি বর্বরোচিত হত্যা, হামলা, নির্যাতন করা হয়। গুজরাটের গণহত্যা তার এক উদাহরণ।  ভারতের মুসলমানরা ভারতকে নিজেদের দেশ মনে করে। 

ঙ। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে আমরা বলতে চাই, ভারতের সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতির জন্য ভারতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠানো দরকার।

৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারী বেঈমান শেখ হাসিনা উচ্ছেদের পর ভারত ও পতিত ফ্যাসিস্ট বেঈমান হাসিনার দোসর আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের একশ্রেণীর মতলববাজ হিন্দু নেতাদের মাধ্যমে বাংলাদেশে হিন্দুদের সাম্প্রদায়িক শক্তি হিসেবে দাঁড় করানোর চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। ভারতের গণমাধ্যম, সামাজিক মাধ্যম অব্যাহতভাবে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনের মিথ্যা প্রপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। এর লক্ষ্য হচ্ছে সাম্প্রদায়িক সংঘাত ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করা ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ঝুঁকির মধ্যে নিক্ষেপ করা। 

কলকাতা ও আগরতলায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনে পরিকল্পিতভাবে সহিংস হামলা ও জাতীয় পতাকার অবমাননা বাংলাদেশের জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বর উপর হামলা।

আমরা তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট জোর দাবি জানাই :

১। ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত হাসিনা-মনমোহন চুক্তি ২০১০, হাসিনা-মোদী চুক্তি ২০১৫, ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত সামরিক চুক্তি ২০১৭ সহ সকল অসম ও অধীনতামূলক চুক্তি প্রকাশ করতে হবে ও বাতিল করতে হবে। 

২। ফারাক্কা বাঁধ, তিস্তা বাঁধ সহ অভিন্ন আন্তর্জাতিক ৫৪ টি নদীতে ভারত কর্তৃক একতরফা বাঁধ নির্মাণের ফলে বাংলাদেশের পরিবেশ, প্রাকৃতিক ও জীববৈচিত্র্যের যে ক্ষতি হয়ে চলেছে, যে মরুকরণ প্রক্রিয়া চলছে তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জনমত গড়ে তুলতে হবে। এর মাধ্যমে ভারতকে বাধ্য করতে হবে পানি আগ্রাসান নীতি থেকে সরে আসতে।

৩। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতের বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশী নাগরিকদের বিচারবহির্ভূত হত্যার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে অভিযোগ উত্থাপন করতে হবে। 

৪। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত রাষ্ট্রের আগ্রাসন নীতি মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রচার-প্রচারণার উদ্যোগ নিতে হবে। 

৫। সরকারকে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সংঘাত সৃষ্টি করে নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে কর্মসূচি ঘোষণা করতে হবে। 

আমরা মনে করি, বাংলাদেশে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে গণতান্ত্রিক অধিকার, সাম্য, মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা গেলে কোনো বৈদেশিক শক্তিই আমাদের জনগণের বৃহত্তর ঐক্যকে বিনষ্ট করতে সফল হবে না।

মেহেদী/এমএ/

ক্ষমতা নয়, দেশ পরিচালনার সুযোগ চাই: তারেক রহমান

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১৬ পিএম
আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১৭ পিএম
ক্ষমতা নয়, দেশ পরিচালনার সুযোগ চাই: তারেক রহমান
ছবি: খবরের কাগজ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, কিছু সহকর্মীর মধ্যে এমন একটি ভাব চলে এসেছে যে, আমরা ক্ষমতায় চলে যাচ্ছি কিংবা চলে গেছি। দৃঢ়ভাবে বলতে চাই আমরা ক্ষমতায় যাইনি। আমরা ক্ষমতায় যাব কিনা জানি না। ক্ষমতা আর দেশ পরিচালনার মধ্যে পার্থক্য আছে। জনগণ আপনাকে ক্ষমতা দেবে না। দেশ পরিচালনার সুযোগ দেবে। আমরা ক্ষমতা নয়, দেশ পরিচালনার সুযোগ চাই। 

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক কর্মশালায় যুক্তরাজ্য থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন তিনি। চট্টগ্রাম বিভাগ বিএনপি দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করে।

তারেক রহমান বলেন, ‘সামনে যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে তা বাংলাদেশের যেকোন নির্বাচনের চেয়ে কঠিন হবে। মানুষ অনেক সচেতন। বিএনপির প্রতি জনগণের যে আস্থা আছে, তা ধরে রাখতে হবে।’ দলের নেতাদের জনগণের সঙ্গে থাকার এবং জনগণকে সঙ্গে রাখার নির্দেশনা দেন তিনি।

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘গত দেড়-দুমাস ধরে যেসব সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে তার সবই আমাদের ৩১ দফায় আছে। এটি প্রথমে ২৭ দফা ছিল। পরবর্তীতে আমাদের সঙ্গে আন্দোলন করা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে ৩১ দফা করেছি। এটা শুধু বিএনপির দফা নয়। সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের চিন্তার ফসল এটি। দফাগুলো মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে। এর প্রতি সমর্থন আদায় করতে হবে। 

নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিএনপির আগামী দিনের সব কিছু এমন হতে হবে, যাতে জনগণের সমর্থন থাকে। এর দায়িত্ব আমার একার না। দায়িত্ব আমাদের স্থায়ী কমিটির সবার না। দায়িত্ব দলের সবস্তরের নেতাকর্মীর।

তারেক রহমান বলেন, ‘সামনের নির্বাচন অত সহজ হবে না। অত্যন্ত কঠিন হবে। হতে পারে আমাদের প্রধান প্রতিপক্ষ অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে। তারপরও সামনে যে নির্বাচন হচ্ছে তা বাংলাদেশের যেকোন নির্বাচনের চেয়ে কঠিন হতে চলেছে। আপনার এলাকার জন্য পরিকল্পনা তৈরি করে এখন থেকেই কাজ করেন। ষড়যন্ত্রের শিকড় উপড়ে ফেলতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে।

সার্বভৌমত্বকে হুমকিতে ফেলার চেষ্টায় ভারত: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০০ পিএম
সার্বভৌমত্বকে হুমকিতে ফেলার চেষ্টায় ভারত: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে দেশের সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

ভারতের নানা আচরণের প্রসঙ্গ টেনে তিনি প্রশ্ন করেন, এটা কোন ধরনের বন্ধুত্ব, প্রতিবেশিসুলভ আচরণ? বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে এমন একটি মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকিতে ফেলার চেষ্টা করছে ভারত।

স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় যুক্তরাজ্যের ইস্ট লন্ডনের রয়্যাল রিজেন্সি হলে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশের আয়োজন করে যুক্তরাজ্য বিএনপি। 

সংগঠনের সভাপতি এম এ মালেকের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদসহ দলের নেতা-কর্মীরা। সমাবেশে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেন।

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, পতাকা নামিয়ে আগুন দেওয়া, কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সামনে সহিংস বিক্ষোভ, সিলেট ও বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে উগ্রবাদী ভারতীয়দের বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টার প্রতিবাদ জানান যুক্তরাজ্য সফররত বিএনপি মহাসচিব। 

ভারতকে অনুরোধ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা বড় দেশ। তাই বলে বাংলাদেশকে খাটো করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন না। কারণ বাংলাদেশ যুদ্ধ করে, জীবন দিয়ে স্বাধীন হয়েছে, সংগ্রাম করে গণতন্ত্র আদায় করে নিয়েছে, বুকের রক্ত দিয়ে অধিকার আদায় করেছে।’

প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের তালিকায় নাম নেই, ফিরে গেলেন কর্নেল অলি

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০২ পিএম
প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের তালিকায় নাম নেই, ফিরে গেলেন কর্নেল অলি
এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে রাজনীতিবিদদের নামের তালিকায় নাম না থাকায় ফিরে গেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। 

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে গিয়েও তার ঢোকা হয়নি। শেষ পর্যন্ত তিনি ফিরে যান।

এলডিপির একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

সূত্রটি জানায়, গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এলিডিপি সভাপতিকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানান। তাকে জানানো হয়েছিল, আওয়ামী লীগ ও তাদের সমমনা দলগুলো ছাড়া বাকিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা। তাই দুপুরের পর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে নিজের মতামত তুলে ধরতে গিয়েছিলেন তিনি। ঢোকার মুখে রাজনীতিবিদদের যে তালিকা দেওয়া ছিল, তাতে নাম না থাকায় শেষ পর্যন্ত তিনি ঢুকতে পারেননি।

ওই সূত্র আরও জানিয়েছে, পরক্ষণেই উপদেষ্টাদের পক্ষে আবারও যোগাযোগ করা হয়েছিল কর্নেল অলির সঙ্গে। তাকে আসতেও বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি আসতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন প্রধান উপদেষ্টা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিভিন্ন ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি।

শফিকুল/সালমান/