ঢাকা ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

রাষ্ট্রীয়ভাবে ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালনের আহ্বান ন্যাপের

প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৪ পিএম
রাষ্ট্রীয়ভাবে ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালনের আহ্বান ন্যাপের
বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের উদ্যোগ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)।

আগামী ১৭ নভেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ও মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী।

রবিবার (৩ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

তারা বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধীনতা আন্দোলনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে দেখা যাবে, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমেই স্বায়ত্তশাসন থেকে স্বাধীনতার স্বপ্নের বীজ বপন করেছিলেন মনের গহনে। ভাসানী আর স্বাধীন বাংলাদেশ বাঙালি চেতনার এক অভিন্ন নাম। রাষ্ট্রের সব অর্জনের কৃতিত্ব কোনো এক ব্যক্তি বা দলের নয়। বৃহৎ রাজনৈতিক দলের সুবিধাভোগী তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য ক্ষমতাসীনদের সব কৃতিত্ব দেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয় সব সময়েই। ফলে বার বার ইতিহাস বিকৃতি হচ্ছে। স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান মজলুম জননেতা ভাসানীকে বাদ দিয়ে দেশের ইতিহাস নির্মিত হবে না।’

তারা বলেন, ‘ভাসানী জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেশ, মাটি আর মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছেন। একটি শোষণহীন, অসাম্প্রদায়িক, সাম্য আর পালনবাদী সমাজব্যবস্থার জন্য নিজের জীবনের সর্বস্ব ত্যাগ করেছেন। মানব মুক্তির আদর্শ থেকে তিনি একদিনের জন্যও বিচ্যুত হননি বা অবসর খোঁজেননি। জীবনের প্রায় প্রতিটি বছর, মাস, সপ্তাহ, দিন তিনি আন্দোলন, সংগ্রাম, কর্মসূচির মধ্যেই থেকেছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে এত দীর্ঘকাল ও ধারাবাহিকভাবে কেউ সক্রিয় আন্দোলন, সংগ্রাম, কর্মসূচির ভেতর থেকেছেন এমন ব্যক্তির সংখ্যা নেই বললেই চলে।’

ন্যাপ নেতারা বলেন, ‘বিগত দিনের সকল ক্ষমতাসীনরাই নিজেদের প্রয়োজনে মওলানা ভাসানীকে ব্যাবহার করলেও তাকে তার প্রাপ্য মর্যাদা থেকে বঞ্চিত করেছেন বার বার। ভাসানীকে তার প্রাপ্ত মর্যাদা দিতে ব্যর্থ কাউকেই ইতিহাস ক্ষমা করবে না। বর্তমান সরকারও ভাসানীকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিতে ব্যর্থ হলে ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।’

তারা বলেন, ‘আজীবন সামনের কাতারে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সমগ্র জাতিকে দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন চিরবিপ্লবী ও বিদ্রোহী মওলানা ভাসানী। ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন, পাকিস্তানের শোষন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, স্বাধীকার ও স্বাধীনতা আন্দোলন, স্বাধীনতাপরবর্তী গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ভারতীয় আধিপত্যবাদী-আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম, প্রবীণ বয়সে ১৯৭৬ সালের ফারাক্কা লংমার্চসহ ইতিহাসের প্রতিটি বাঁকে তিনি আছেন।’

নেতৃদ্বয় আরও বলেন. ‘মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীসহ দেশের জাতীয় নেতাদের স্মরণ করা, নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচয় করিয়ে দেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব নয় কি? সেই দায়িত্ব কি রাষ্ট্র বা সরকার যথাযথভাবে পালন করছে? কেন মওলানার জন্ম ও মৃত্যুদিন রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হলো না গত ৪৮ বছরেও? মওলানা ভাসানীর প্রতি রাষ্ট্রের এত দৈন্যতা, কৃপণতা, বিদ্বেষ কেন? রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে স্মরণ করার বাঁধা কোথায়? আজ সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। আমরা আশা করতেই পারি গণআন্দোলন আর গণঅভুত্থানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সব বাঁধা অতিক্রম করে মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালন করে জাতিকে দায়মুক্ত করবেন।’

তারা বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাস, সাক্ষী আমরা ভুলে যাই সব কিছু। আমাদের এই বিস্মরণই আমাদের বড় শত্রু। আমরা স্বার্থপর। তাই কি আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের পতাকাটির চেহারা বিস্মৃত? কে আমাদের রাজনীতিকে গণমানুষের বলে চিহ্নিত করেছিলেন? গণমানুষের অধিকার কায়েমের সংগ্রামে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন কে? সশস্ত্র সংগ্রাম ছাড়া যে দেশের স্বাধীনতা আনা সম্ভব নয়- এই সত্যকে আমাদের শিখিয়েছিলেন? ১৯৭১ সালে বৃদ্ধ বয়সেও তিনি মুক্তিসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন স্বাধীনতার জন্য, আজকে তিনি জাতির নতুন প্রজন্মের কাছে প্রায় অচেনা, অজানা মানুষ।’

নেতৃদ্বয় বলেন, ‘সময়ের দাবি আজ জাতির নবপ্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে। তার রাজনৈতিক অবদান স্মরণ করে তা জানাতে হবে নবাগত মানুষদের, যারা আমাদের জাতি বিনির্মাণের শক্তি। রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে স্মরণ করার আয়োজন হোক ১৭ নভেম্বর থেকেই, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বেই। তার মৃত্যু দিনটিকে জাতির রাজনীতিকদের স্মরণ দিন হিসেবে ঘোষণা করা হোক।’

অমিয়/

আ.লীগকে রাতে নয়, দিনে বিএনপিতে মিশতে হবে: শামা ওবায়েদ

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৯ এএম
আ.লীগকে রাতে নয়, দিনে বিএনপিতে মিশতে হবে: শামা ওবায়েদ
ফরিদপুরের নগরকান্দার ডাংগীতে স্থানীয় বিএনপি আয়োজিত উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে দিচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু। ছবি: সংগৃহীত

রাতের আধারে নয় বরং দিনের আলোয় আওয়ামী লীগকে বিএনপিতে মিশতে হবে বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে ফরিদপুরের নগরকান্দার ডাংগীতে স্থানীয় বিএনপি আয়োজিত উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শামা ওবায়েদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে বিএনপিতে মিশতে হলে রাতের আঁধারে আসলে হবে না বরং দিনের আলোয় অফিসিয়াল নিয়মে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নেতা মেনে, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক মেনেই দলটিতে আসতে হবে।’

দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেছে ঠিকই কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। তাই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মেলামেশা করা যাবে না।’

এ সময় উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান বাবুল তালুকদার, সাধারন সম্পাদক সাইফুর রহমান মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত আলী শরীফসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সঞ্জিব/তাওফিক/পপি/
 

বিএনপির জনসভার মঞ্চে পলকের শ্যালিকা, নেতা-কর্মীদের ক্ষোভ

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৮ এএম
বিএনপির জনসভার মঞ্চে পলকের শ্যালিকা, নেতা-কর্মীদের ক্ষোভ
ছবি : খবরের কাগজ

নাটোরের সিংড়া উপজেলা বিএনপির জনসভার মঞ্চে দেখা গেল সাবেক ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের চাচাতো শ্যালিকা ডা. ফারজানা রহমান দৃষ্টিকে। আর মঞ্চে তাকে দেখে আশ্চর্য হয়েছেন অনেকেই। প্রকাশ করেছেন ক্ষোভ।

উপজেলা বিএনপির দাবি, তারা ডা. ফারজানা রহমানকে খেয়াল করেননি। তাকে দাওয়াতও করা হয়নি। 

যদিও এটা মানতে নারাজ নেতা-কর্মীরা। কেননা, তাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে উপজেলা বিএনপির আগামীর নেত্রী হিসেবে!

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে সিংড়া কোর্ট মাঠে উপজেলা বিএনপি জনসভার আয়োজন করে। ওই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু।

ওই সভামঞ্চেই বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বসে থাকতে দেখা যায় দৃষ্টিকে। এ নিয়ে তাৎক্ষণিক কেউ মন্তব্য বা প্রতিবাদ না করলেও চলে আলোচনা-সমালোচনা।

স্থানীয় গণমাধ্যম ও বিএনপির কর্মীরা জানান, দৃষ্টি পলকের চাচা শ্বশুর প্রভাষক আনিছুর রহমানের মেয়ে। এ ছাড়া সিংড়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম আনুর ভাতিজি। 

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দৃষ্টি তার দুলাভাইয়ের প্রভাব খাটিয়ে চলতেন। সিংড়ায় তিনি একটি ক্লিনিকের পরিচালক। লাইসেন্সবিহীন ওই ক্লিনিকের বিরুদ্ধে নিউজ করতে গেলে তিনি সংবাদকর্মীদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিতেন। চাচাতো দুলাভাই পলকের প্রভাব খাটিয়ে ২০২০ সালে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে নামমাত্র ভাড়ায় দখল করে ক্লিনিক করেছেন।

সিংড়া পৌর বিএনপির সদস্যসচিব তায়েজুল ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করা এমন একজন নারী মঞ্চে ওঠার সুযোগ পায় কীভাবে? এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।’

দৃষ্টির স্টেজে উপস্থিতি নিয়ে উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও তার চাচা আনোয়ারুল ইসলাম আনু বলেন, ‘তাকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। মঞ্চে প্রায় দেড় শ লোকের মধ্যে কখন ওঠেন তা আমরা খেয়াল করিনি।’

এ বিষয়ে জনসভায় উপস্থিত কয়েকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপি নেতা জানান, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গোল ই আফরোজ কলেজের সাবেক ভিপি শামীম ওই জনসভা সঞ্চালনা করেন। তিনি দৃষ্টিকে উপজেলা বিএনপির আগামীর নেত্রী বলেও পরিচয় করিয়ে দেন। দাওয়াত না পাওয়া কাউকে এমনভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার দাবি সঠিক নয়। আবার তাকে কেউ খেয়াল করেনি এটাও সঠিক নয়। বরং দৃষ্টিকে বিএনপি নেতাদের পাশেই বসতে দেওয়া হয়েছে। পলকের চাচাশ্বশুর হওয়ায় পলক ও কনিকার যাবতীয় জমিজমা দেখভাল করছেন আনু। এ ছাড়া পলকের শ্যালক রুবেলের বালুমহালও দেখাশোনা করছেন আনু।

উপজেলা বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা দাউদার মাহমুদ জানান, উপজেলা বিএনপির গ্রুপিং চক্র মিথ্যা অভিযোগে দিয়ে তাকে বহিষ্কার করেছেন। যদিও কেন্দ্রীয় বিএনপির সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তিনি। তবে দৃষ্টির স্টেজে ওঠার বিষয়টি কেউই মেনে নিতে পারেনি বলে জানান দাউদ। 

পলকের শ্বশুর কাশেম, দৃষ্টির বাবা আনিছুর এবং উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আনোয়ারুল ইসলাম আনু আপন ভাই।

কামাল মৃধা/জোবাইদা/অমিয়/

১০ দিনের মধ্যে চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে হবে: আতাউর রহমান

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২২ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫১ পিএম
১০ দিনের মধ্যে চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে হবে: আতাউর রহমান
সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলবাজমুক্ত হাতিরঝিল থানার দাবিতে মগবাজারে হাতিরঝিল থানা জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: খবরের কাগজ

আগামী ১০ দিনের মধ্যে হাতিরঝিল এলাকার সব সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দখলবাজি বন্ধ করে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার। 

তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবের মুখে আওয়ামী-বাকশালীদের পতন হলেও তাদের প্রেতাত্মারা এখনো মগবাজারে সক্রিয় রয়েছে। তারা লাগামহীন সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, চাঁদাবাজি, দখলবাজি অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু পতিত স্বৈরাচারীদের এসব অপতৎরতা জনগণ কোনোভাবেই চলতে দেবে। অন্যথায় সচেতন জনতা ঘরে বসে তামাশা দেখবে না।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বাদ জুমা রাজধানীর মগবাজারে হাতিরঝিল থানা জামায়াত আয়োজিত ‘সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলবাজমুক্ত হাতিরঝিল থানার দাবিতে এবং আওয়ামী লীগের নানামুখী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে’ এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

হাতিরঝিল পূর্ব থানা আমীর অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং হাতিরঝিল পশ্চিম থানা আমীর ইউসুফ আলী মোল্লার পরিচালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য নুরুল ইসলাম আকন্দ, রাশেদুল ইসলাম, জামায়াত নেতা গোলাম মাওলা, আকতার হোসেন, ড.আনোয়ারুল হক, ছাত্রশিবির নেতা ফজলুর রহমান, সাজ্জাদ শিহাব, নাদিম প্রমুখ।

আতাউর রহমান বলেন, অনেক ত্যাগ ও কোরবানীর মাধ্যমে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জন করলেও আওয়ামী লীগের অপরাজনীতির কারণেই আমরা পুরোপুরি স্বাধীনতার সুফল অর্জন করতে পারিনি। তারা ২০০৮ সালে পাতানো ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে দেশ ও জাতির ঘাড়ে জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসেছে। তারা গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিয়ে দেশকে ফ্যাসীবাদী ও মাফিয়াতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। 

শুক্রবার বাদ জুমা বিক্ষোভ মিছিলটি মগবাজার টিএন্ডটি মসজিদ থেকে শুরু হয়ে নয়াটোলা হয়ে মগবাজার মোড়ে হয়ে ওয়ারলেস রেইল গেইট হয়ে মধুবাগ মাঠ গিয়ে শেষ হয়।

মাহফুজ/

২ বারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না: জোনায়েদ সাকি

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৯ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৭ পিএম
২ বারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না: জোনায়েদ সাকি
গাজীপুর চৌরাস্তায় গণ-সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জোনায়েদ সাকি। ছবি: খবরের কাগজ

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, সংবিধান সংশোধন করে রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিবর্তন করে দুইবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না এমন আইন করতে হবে। সংসদ সদস্যদের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে নিজস্ব মতামত এবং ভোটিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে গাজীপুর চৌরাস্তায় বৈষম্যহীন রাষ্ট্র নির্মাণ ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠায় গণ-সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। 

গাজীপুর জেলা গণসংহতি আন্দোলনের আহ্বান আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়ক আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মো. আশরাফুল আলম খোকন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

পলাশ প্রধান/মাহফুজ/এমএ/

 

দেশবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাধীনতাবিরোধী ষড়যন্ত্র রুখে দেবে: খেলাফত মজলিস

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩১ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৪ পিএম
দেশবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাধীনতাবিরোধী ষড়যন্ত্র রুখে দেবে: খেলাফত মজলিস
খেলাফত মজলিসের ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র‌্যালি। ছবি: সংগৃহীত

দেশবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাধীনতাবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘তাবেদার ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনে ভারতের নরেন্দ্র মোদি কষ্টে আছেন। ভারত সরকার আমাদেরকে শান্তিতে থাকতে দিতে চায় না। স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে দিতে চায় না। কিন্তু আমরা স্বাধীন জাতি। যেভাবে জীবন দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি, সেভাবে স্বাধীনতা রক্ষা করব।’

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে  খেলাফত মজলিসের ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত র‍্যালি ও সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

আহমদ আবদুল কাদের বলেন, ‘স্বাধীনতার প্রশ্নে দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাংলাদেশের সকল নাগরিক ঐক্যবদ্ধ। বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে, আমাদেরকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য দুর্নীতিমুক্ত সৎ নেতৃত্ব কায়েম করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা বিগত ১৬ বছরে বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। এখন পালিয়ে গিয়ে ভারতের হিন্দুত্ববাদী নেতা নরেন্দ্র মোদির মদদে এদেশে ধর্মীয় দাঙ্গা সৃষ্টির পায়তারা চালাচ্ছে। কিন্তু কোন ষড়যন্ত্রে কাজ হবে না। ঐতিহ্যগতভাবে বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ।’

সমাবেশে যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আবদুল জলিল বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত হানার চেষ্টা করলে ভারতই ভেঙে খান খান হয়ে যাবে। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী অখণ্ড ভারতের দিবা স্বপ্ন দেখছেন। অখণ্ড ভারতের স্বপ্ন দেখে লাভ নেই বরং ভারতের বৈষম্য ও জুলুম নির্যাতনের কারণে পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্য হাত ছাড়া হয়ে যেতে পারে।’ 

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিস কেন্দ্রীয় প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য অধ্যাপক এ কে এম গোলাম আজম, মাওলানা বিএম সিরাজ, মাওলানা এমদাদুল্লাহ খাঁন, মহানগরী দক্ষিণ সহ-সভপতি মাওলানা ফারুক আহমদ ভূঁইয়া, সহ-সাধারণ সম্পাদক এইচ এম হুমাযুন কবির আজাদ, বায়তুলমাল সম্পাদক মুহাম্মদ সেলিম হোসাইন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মনসুরুল আলম মনসুর, অফিস সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ, যুব মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি জামিরুল ইসলাম প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে একটি র‌্যালি জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় হয়ে দৈনিক বাংলা মোড়ে এসে শেষ হয়।

শফিকুল ইসলাম/নাবিল/এমএ/