ঢাকা ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

বরিশাল মহানগর বিএনপিতে বিভেদ, স্থান পাননি জ্যেষ্ঠ নেতারা

প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৫ এএম
বরিশাল মহানগর বিএনপিতে বিভেদ,  স্থান পাননি জ্যেষ্ঠ নেতারা

বরিশাল মহানগর বিএনপির ৪২ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গত সোমবার ঘোষণা করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ওই কমিটিতে বিএনপির দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ও জ্যেষ্ঠ নেতারা স্থান পাননি। এর আগে আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর থেকে ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিনকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর সেই বিতর্ক আরও বেড়েছে। বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘ পথ চলা নেতাদের অভিযোগ, নতুন কমিটিতে অনেক নিষ্ক্রিয় নেতা ঠাঁই পেয়েছেন। আন্দোলনের কঠিন সময়ে মাঠে না থাকা নেতাদের নাম থাকায় ক্ষুব্ধ অনেকে। কমিটি গঠন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়েও পদবঞ্চিত অনেক নেতা প্রশ্ন তুলেছেন।

এদিকে কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বরিশাল বিএনপির মধ্যে অনৈক্যের বিষয়টি আবারও সামনে এল। তবে বিএনপির নতুন নেতৃত্ব বলেছে, দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে থেকে যারা হামলা-মামলার শিকার হয়ে জেল খেটেছেন তাদের নিয়েই কমিটি গঠিত হয়েছে। এখানে সিনিয়র-জুনিয়র বলে কোনো কথা নেই। কমিটি গঠন নিয়ে ঐক্যবদ্ধ বিএনপির মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করে লাভ হবে না। 

সূত্র জানায়, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ারকে বাদ দিয়ে ২০২২ সালের ১১ মার্চ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এ নিয়ে সেই সময়ে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়। মহানগরের ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সরোয়ারের অনুসারীরা থাকায় ৩০টি ওয়ার্ডের পূর্ণাঙ্গ কমিটি বিলুপ্ত করে। ফলে মহানগর বিএনপির রাজনীতিতে সরোয়ার ও তার অনুসারী নেতা-কর্মীরা একেবারে কোণঠাসা হয়ে পড়েন। 

বঞ্চিত নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। এ ছাড়া নানা অভিযোগের কারণে মহানগর কমিটি বিলুপ্ত করে চলতি বছরে জুলাই মাসে তিন সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই কমিটিতে আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন এবং জিয়াউদ্দিন সিকদারকে সদস্যসচিব করা হয়। 

তিন সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর থেকে থেকেই ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক নাসরিনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন দলের কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা। অপেক্ষাকৃত জুনিয়র নাসরিনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি তারা। এদিকে ৫ আগস্টের পর কমিটি গঠন নিয়ে জোর দাবি উঠে বিএনপির মধ্য থেকে। 

অন্যদিকে বিএনপির কেন্দ্র থেকেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি দাখিলের চাপ আসে তিন সদস্যের কমিটির ওপর। তাই তারা তড়িঘড়ি করে গত ২৮ সেপ্টেম্বর ৪২ সদস্যের কমিটি অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রে জমা দেয়। জমা দেওয়া কমিটিতে বাদ পড়ে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক এমপি মজিবর রহমান সরোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক (স্থগিত) বিলিকিস জাহান শিরিনের অনুসারীরা। সেই সঙ্গে দলের হেভিওয়েট নেতাদের নামও বাদ পড়ে।

মহানগর বিএনপির সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক তারিন বলেন, ‘কমিটি হওয়া উচিত সবার সমন্বয়ে। এখানে আন্দোলনে সক্রিয়রা যেমন থাকবে তেমনি অভিজ্ঞদের বাদ দেওয়ারও সুযোগ নেই। বরিশালে যা দেখছি সব ওলটপালট। সবাই পকেটের লোক দিয়ে দল চালানোর প্রতিযোগিতায় মেতেছে। এভাবে দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করা যাবে না।’

মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কে এম শহিদুল্লাহ বলেন, ‘বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি নিয়েই তো অভিযোগ রয়েছে আমাদের। এমন একজনকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে যিনি রাজনীতিতে অনেক জুনিয়র। তার নিচে গিয়ে রাজনীতি করা আমাদের অনেকের পক্ষেই সম্ভব নয়।’

সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা নাসরিন বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা অনুযায়ী কমিটি হয়েছে। কে হেভিওয়েট, কে সিনিয়র-জুনিয়র সেটাতো জরুরি নয়। আন্দোলন-সংগ্রামে কার কী ভূমিকা সেটাই আমরা বিবেচনায় রেখেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা সিনিয়র-জুনিয়র বলে ঢেকুর তুলছেন তারা কোনো আন্দোলনে ছিলেন না। তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলাও হয়নি। এমনকি নির্যাতনও সহ্য করতে হয়নি। এখন পদ-পদবি না পেয়ে দলের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে বেড়াচ্ছেন।’

মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার বলেন, ‘হাজার সদস্যের কমিটি হলেও কিন্তু অভিযোগ থাকবে। বিএনপির মতো একটি বড় দলে অনেকেরই নেতা হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে। তাছাড়া এটা তো আহ্বায়ক কমিটি, পূর্ণাঙ্গ নয়। কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে আমরা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা অনুসরণ করছি। আন্দোলন সংগ্রামে কার কী ভূমিকা তা গুরুত্ব পেয়েছে।’

মহানগরের আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, ‘আহ্বায়ক কমিটি আকারে ছোট হয়। এখানে সবাইকে জায়গা দেওয়া সম্ভব হয় না। পূর্ণাঙ্গ কমিটি হলে আর সমস্যা থাকবে না। তবে কমিটিতে অযোগ্য কিংবা নিষ্ক্রিয় কাউকে রাখার অভিযোগ সঠিক নয়।’

১০ দিনের মধ্যে চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে হবে: আতাউর রহমান

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২২ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫১ পিএম
১০ দিনের মধ্যে চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে হবে: আতাউর রহমান
সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলবাজমুক্ত হাতিরঝিল থানার দাবিতে মগবাজারে হাতিরঝিল থানা জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: খবরের কাগজ

আগামী ১০ দিনের মধ্যে হাতিরঝিল এলাকার সব সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দখলবাজি বন্ধ করে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার। 

তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবের মুখে আওয়ামী-বাকশালীদের পতন হলেও তাদের প্রেতাত্মারা এখনো মগবাজারে সক্রিয় রয়েছে। তারা লাগামহীন সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, চাঁদাবাজি, দখলবাজি অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু পতিত স্বৈরাচারীদের এসব অপতৎরতা জনগণ কোনোভাবেই চলতে দেবে। অন্যথায় সচেতন জনতা ঘরে বসে তামাশা দেখবে না।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বাদ জুমা রাজধানীর মগবাজারে হাতিরঝিল থানা জামায়াত আয়োজিত ‘সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলবাজমুক্ত হাতিরঝিল থানার দাবিতে এবং আওয়ামী লীগের নানামুখী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে’ এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

হাতিরঝিল পূর্ব থানা আমীর অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং হাতিরঝিল পশ্চিম থানা আমীর ইউসুফ আলী মোল্লার পরিচালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য নুরুল ইসলাম আকন্দ, রাশেদুল ইসলাম, জামায়াত নেতা গোলাম মাওলা, আকতার হোসেন, ড.আনোয়ারুল হক, ছাত্রশিবির নেতা ফজলুর রহমান, সাজ্জাদ শিহাব, নাদিম প্রমুখ।

আতাউর রহমান বলেন, অনেক ত্যাগ ও কোরবানীর মাধ্যমে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জন করলেও আওয়ামী লীগের অপরাজনীতির কারণেই আমরা পুরোপুরি স্বাধীনতার সুফল অর্জন করতে পারিনি। তারা ২০০৮ সালে পাতানো ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে দেশ ও জাতির ঘাড়ে জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসেছে। তারা গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিয়ে দেশকে ফ্যাসীবাদী ও মাফিয়াতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। 

শুক্রবার বাদ জুমা বিক্ষোভ মিছিলটি মগবাজার টিএন্ডটি মসজিদ থেকে শুরু হয়ে নয়াটোলা হয়ে মগবাজার মোড়ে হয়ে ওয়ারলেস রেইল গেইট হয়ে মধুবাগ মাঠ গিয়ে শেষ হয়।

মাহফুজ/

২ বারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না: জোনায়েদ সাকি

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৯ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৭ পিএম
২ বারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না: জোনায়েদ সাকি
গাজীপুর চৌরাস্তায় গণ-সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জোনায়েদ সাকি। ছবি: খবরের কাগজ

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, সংবিধান সংশোধন করে রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিবর্তন করে দুইবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না এমন আইন করতে হবে। সংসদ সদস্যদের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে নিজস্ব মতামত এবং ভোটিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে গাজীপুর চৌরাস্তায় বৈষম্যহীন রাষ্ট্র নির্মাণ ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠায় গণ-সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। 

গাজীপুর জেলা গণসংহতি আন্দোলনের আহ্বান আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়ক আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মো. আশরাফুল আলম খোকন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

পলাশ প্রধান/মাহফুজ/এমএ/

 

দেশবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাধীনতাবিরোধী ষড়যন্ত্র রুখে দেবে: খেলাফত মজলিস

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩১ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৪ পিএম
দেশবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাধীনতাবিরোধী ষড়যন্ত্র রুখে দেবে: খেলাফত মজলিস
খেলাফত মজলিসের ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র‌্যালি। ছবি: সংগৃহীত

দেশবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাধীনতাবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘তাবেদার ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনে ভারতের নরেন্দ্র মোদি কষ্টে আছেন। ভারত সরকার আমাদেরকে শান্তিতে থাকতে দিতে চায় না। স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে দিতে চায় না। কিন্তু আমরা স্বাধীন জাতি। যেভাবে জীবন দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি, সেভাবে স্বাধীনতা রক্ষা করব।’

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে  খেলাফত মজলিসের ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত র‍্যালি ও সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

আহমদ আবদুল কাদের বলেন, ‘স্বাধীনতার প্রশ্নে দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাংলাদেশের সকল নাগরিক ঐক্যবদ্ধ। বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে, আমাদেরকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য দুর্নীতিমুক্ত সৎ নেতৃত্ব কায়েম করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা বিগত ১৬ বছরে বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। এখন পালিয়ে গিয়ে ভারতের হিন্দুত্ববাদী নেতা নরেন্দ্র মোদির মদদে এদেশে ধর্মীয় দাঙ্গা সৃষ্টির পায়তারা চালাচ্ছে। কিন্তু কোন ষড়যন্ত্রে কাজ হবে না। ঐতিহ্যগতভাবে বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ।’

সমাবেশে যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আবদুল জলিল বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত হানার চেষ্টা করলে ভারতই ভেঙে খান খান হয়ে যাবে। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী অখণ্ড ভারতের দিবা স্বপ্ন দেখছেন। অখণ্ড ভারতের স্বপ্ন দেখে লাভ নেই বরং ভারতের বৈষম্য ও জুলুম নির্যাতনের কারণে পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্য হাত ছাড়া হয়ে যেতে পারে।’ 

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিস কেন্দ্রীয় প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য অধ্যাপক এ কে এম গোলাম আজম, মাওলানা বিএম সিরাজ, মাওলানা এমদাদুল্লাহ খাঁন, মহানগরী দক্ষিণ সহ-সভপতি মাওলানা ফারুক আহমদ ভূঁইয়া, সহ-সাধারণ সম্পাদক এইচ এম হুমাযুন কবির আজাদ, বায়তুলমাল সম্পাদক মুহাম্মদ সেলিম হোসাইন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মনসুরুল আলম মনসুর, অফিস সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ, যুব মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি জামিরুল ইসলাম প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে একটি র‌্যালি জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় হয়ে দৈনিক বাংলা মোড়ে এসে শেষ হয়।

শফিকুল ইসলাম/নাবিল/এমএ/

পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে: চরমোনাই পীর

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১৮ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫২ পিএম
পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে: চরমোনাই পীর
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। ছবি: খবরের কাগজ

জাতীয় নির্বাচনের পর পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম চরমোনাই পীর।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসনব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘১৬ বছর ও ৫৩ বছরের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে নির্বাচন করতে হবে। যারা নির্বাচনের কথা বলে তারা মনে হয় ষড়যন্ত্রকারীদের পাতা ফাঁদে পা দিয়েছে। আমাদের মধ্যে জাতীয় ঐক্য থাকতে হবে। দুর্নীতিবাজ, লুটেরাদের নেতৃত্বে যারা আওয়ামী লীগকে আনতে চায় তারা দেশের শত্রু।’

অতীতের নির্বাচনে ফ্যাসিস্ট তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করে রেজাউল করিম বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ইসলামি ছাত্র আন্দোলন রাজপথে ব্যানার নিয়ে আন্দোলন করেছে। এই সংগঠনের অনেক ছাত্র শাহাদাত বরণ করেছে, আহত হয়েছে, পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। ইসলামী আন্দোলন বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সামিল হয়েছিল।’

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপত্তি করার পরও ফারুকীকে সরিয়ে দেওয়া হয়নি। আশা করি সরকার এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিবেন। সন্ত্রাস চাঁদাবাজি এখনো বন্ধ হয়নি। মানুষের অধিকার পরিপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি।’

ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি নুরুল বশর আজিজীর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ মুনতাসির আহমদের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল আউয়াল, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান প্রমুখ।

সম্মেলনে ইউসুফ আহমদ মানসুরকে সভাপতি, মুহাম্মাদ মুনতাসির আহমদকে সহসভাপতি ও শেখ মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমানকে সেক্রেটারি জেনারেল করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।

সম্মেলনে ১৩ দফা উপস্থাপন করেন আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি ইউসুফ আহমদ মানসুর। 

দাবিগুলো হলো- পতিত স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ ও তার সব সহযোগী সংগঠনকে বিচারের আওতায় এনে বিগত ১৬ বছরের দুঃশাসনের বিচার করতে হবে, জুলাই আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারী, হামলার নির্দেশদাতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে, ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধে শক্তিশালী পররাষ্ট্রনীতির মাধ্যমে ভারতের নিকট থেকে নিজেদের সব হিস্যা বুঝে নিতে হবে, প্রচলিত ছাত্র রাজনীতি নয়, বরং জনকল্যাণমুখী ও শিক্ষার্থীবান্ধব ছাত্ররাজনীতি চর্চা এবং ছাত্রসংসদ নির্বাচন দিতে হবে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ পরিবারের দায়িত্ব রাষ্ট্রকে বহন করতে হবে, আহতদের পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে ইত্যাদি।

শফিকুল ইসলাম/নাবিল/এমএ/

সরকারকে ব্যর্থ করতে ষড়যন্ত্র করছে পতিত স্বৈরাচার: খন্দকার মোশাররফ

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৬ পিএম
সরকারকে ব্যর্থ করতে ষড়যন্ত্র করছে পতিত স্বৈরাচার: খন্দকার মোশাররফ
ছবি: খবরের কাগজ গ্রাফিকস

অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করতে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে বসে ছোটখাটো বিষয় নিয়েও ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। 

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ৯০-এর ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নেতাদের উদ্যোগে আয়োজিত ‘৬ ডিসেম্বর: স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচার সরকার ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পালিয়ে গেছে। অবৈধভাবে প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিয়েছে। দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য তারা সেখান (ভারত) থেকে ষড়যন্ত্র করছে। আজকে এই সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য যত রকমের ষড়যন্ত্র আছে, সবগুলো করা হচ্ছে। দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সব ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করতে হবে। দেশকে রক্ষা করতে হবে।’

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করে আসছে। কিন্তু আজকে ভারত থেকে শুরু করে আমাদের কিছু হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু লোক কেন একটা সমস্যার সৃষ্টি করছে? কেন আমাদের সারা বিশ্বে মানহানি করছে? এটার একটাই উদ্দেশ্য, বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা।’

তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল আজকের এই অন্তর্বর্তী সরকার। এ সরকার নিরপেক্ষ সরকার। এই সরকারকে আমরা সমর্থন করি। এ সরকারকে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের হাতে ক্ষমতা দিয়ে চলে যেতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশেষ করে নির্বাচনের ক্ষেত্রে সংস্কার করা উচিত। নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ দেওয়া উচিত।’

সভাপতির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘আজকে সব পাঠ্যপুস্তকে সব আন্দোলনের পটভূমি সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন। সব নেতৃত্বকারীদের নাম সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন। হাজার হাজার ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। এই রাষ্ট্রকে আমাদের ধরে রাখতে হবে। আজকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সব ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করতে হবে।’

আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, চেয়াপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন, হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/সাদিয়া নাহার/