দেশে এখন আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, ‘অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের আগে গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত র্যালির আগে সিলেট রেজিস্ট্রারি মাঠে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সালাহউদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র ও আওয়ামী লীগ পরস্পর বিরোধী শব্দ। তারা দেশে রাজনীতি করার অধিকার রাখে কি-না তা জনগণই নির্ধারণ করবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তারা হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে। তাই এদেশে ফ্যাসিবাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। তারা এখন বিএনপির সঙ্গে একাত্ম হয়ে গণতন্ত্র উদ্ধার করতে চায়। এটি সম্ভব নয়। কারণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে গণতন্ত্র মানায় না। তারা অতীতেও বাকশাল কায়েম করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল।’
তিনি বলেন, ‘যারা গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল, তারা পালিয়ে গেলেও তাদের দেশে এনে বিচার করা হবে। যতদিন পর্যন্ত দেশে রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা না হবে ততদিন পর্যন্ত গণতান্ত্রিক সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।’
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান নেতৃত্ব না দিলে হয়তো আমরা এই স্বাধীনতা পেতাম না। তাই বাংলাদেশ, শহিদ জিয়া, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান একই সূত্রে গাঁথা। আমরা কারও করদ রাজ্যে পরিণত হওয়ার জন্য স্বাধীনতা লাভ করিনি। অরক্ষিত স্বাধীনতা পরাধীনতার সমান।’
জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী এবং মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কায়েস লোদী।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও আরিফুল হক চৌধুরী, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছসহ সিনিয়র নেতারা।
সমাবেশ শেষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহিদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
নাবিল/সালমান/