যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফেরার চেষ্টা তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের প্রমাণ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
রবিবার (১০ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে কেন ট্রাম্প বেশে আসতে হবে? কেন হিন্দুদের অত্যাচারের বেশে আসতে হবে? তারা রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে কেন এই অবস্থায় পৌঁছাল? আমরা আবারও বলছি তারা এখন দেউলিয়া হয়ে বিভিন্ন মোড়কে ফিরে আসার চেষ্টা করছে। তার (শেখ হাসিনা) অস্তিত্ব প্রমাণ করতে হলে নিজেকে দেশে আসতে হবে। কিন্তু তার কোনো সমর্থন নাই।’
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকায় নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের অনাবাসিক হাইকমিশনার ডেরেক লো, চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মিচেল লো এবং সিঙ্গাপুর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেস্ক অফিসার রাহুল আব্রাহাম।
বৈঠক শেষে আমীর খসরু বলেন, ‘বৈঠকে দুদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দিকে তারা বিশ্বাস করেন নির্বাচিত সরকার থাকলে অর্থনৈতিক বিনিয়োগ ও কর্মকাণ্ডগুলো করার ক্ষেত্রে সহজ হয়। শ্রমশক্তি নিয়ে আলোচনায় সিঙ্গাপুর মনে করে দক্ষ শ্রমশক্তি পাঠানো উচিত। বিশেষ করে শিক্ষিত নার্স পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
নির্বাচিত সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সিঙ্গাপুর মনে করে নির্বাচিত সরকার ছাড়া অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা সম্ভব নয়। এটা শুধু সিঙ্গাপুর বলেনি, সব কূটনৈতিক মনে করেন নির্বাচিত সরকার ছাড়া অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা সম্ভব না।
নূর হোসেনে দিবসকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের জমায়েতকে কিভাবে দেখছেন- এমন প্রশ্নে আমীর খসরু বলেন, ‘দেশের মানুষ যখন আপনাকে বিতাড়িত করে তখন আপনি একেক সময়ে একেক মোড়কে আসতে চান। কোনো সময় হিন্দু মুসলিম হয়ে, আবার এখন ট্রাম্পের চিত্রে আসছে। এখন যাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে, তারা অন্য বেশে আসতে চাচ্ছে। এটা তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব। তারা যে রাজনৈতিকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে এটাই তার প্রমাণ।’
বৈঠকে বিএনপির পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ড. এনামুল হক চৌধুরী ও শামা ওবায়েদ প্রমুখ।
শফিকুল/পপি/