ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা এখন আরেক দেশে বসে ট্রাম্পের ছবি আশ্রয় করে বাঁচতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম)। তিনি বলেন, হাসিনা কত নিষ্ঠুর, কত ছাত্র-জনতা হত্যা করেছে। রাষ্ট্র ক্ষমতার জন্য এরা কত নির্মম ছিল। আল্লাহর গজব এদের ওপর পড়েছে। এখন আরেক দেশে বসে ট্রাম্পের ছবি আশ্রয় করে উনি (হাসিনা) বাঁচতে চায়। এত বড় বড় কথা বলেন, আসেন না বাংলাদেশে।
রবিবার (১০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর: শহিদ রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমান ও বাংলাদেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে জিয়া পরিষদ। আয়োজক সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, জিয়া পরিষদের মহাসচিব ড. ইন্তাজ হোসেন প্রমুখ।
মেজর হাফিজ বলেন, বিগত ১৭ বছর বিএনপির জন্য কঠিন সময়ের দিয়ে গেছে। বাংলাদেশে আমরা আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করেছি। কিন্তু এরা যে কত নিষ্ঠুর-নির্মম ছিল তার আসল রূপ প্রকাশ পেয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে। তবে বিগত ১৭ বছরে বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের কঠিন আন্দোলনে লিপ্ত ছিল। অনেকে নেতাকর্মী শহিদ হয়েছে, অনেক গুম হয়েছে।
তিনি বলেন, জুলাই আগস্টে বিপ্লব বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। ছাত্র-জনতা প্রমাণ করেছে তারা সাহসী জাতি। একাত্তরের যুদ্ধে আমরা যোদ্ধাদের ট্রেনিং দিয়েছিলাম তারপরে তারা শত্রুর মোকাবিলা করেছিল কিন্তু এবারের ছাত্ররা অন্যরকম সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। তারা নিরস্ত্র অবস্থায় হেলিকপ্টার ও পুলিশ গুলি করলেও তারা ভয়ে কেউ পেছায়নি।
আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানকে উপযুক্ত মর্যাদা দেয়নি মন্তব্য করে মেজর হাফিজ বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের এক বিরল ব্যক্তিত্ব, কিংবদন্তির নাম। বাঙ্গালীদের সংকটের সময় ত্রাতা হয়ে আবির্ভূত হয়েছিল ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট। আর স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা করেন অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের উপ-অধিনায়ক মেজর জিয়াউর রহমান। যিনি দুঃসময়ে সৈনিক ও ছাত্রদের আহ্বান জানিয়েছেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের সূচনা করেছেন সেই মহান নেতা জিয়াউর রহমানকে উপযুক্ত মর্যাদা কখনোই আওয়ামী লীগ দেয়নি। তারা সেই আগের বর্ণিত স্বাধিকার আন্দোলন স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলনকেই স্বাধীনতার আন্দোলন বলে চালিয়ে দিলেন।
শফিকুল ইসলাম/এমএ/