ঢাকা ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
English
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি: মঈন খান

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৪ পিএম
আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০৩ পিএম
আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি: মঈন খান
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে পুনর্বাসন কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে বক্তব্য রাখছেন ড. মঈন খান। ছবি: খবরের কাগজ

আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান।

সোমবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতাকে আর্থিক সহযোগিতা এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম উদ্বোধন করে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। 

এ আয়োজন করেছে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।

মঈন খান বলেন, ‘এ আন্দোলনের প্রথম ধাপ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ। আর দ্বিতীয় ধাপ একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। যা এখনও আমরা অর্জন করতে পারিনি। বিএনপি বিশ্বাস করে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। সেটি সম্পন্ন হলে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি দল যখন দেশের দায়িত্ব নেবে তখন আমাদের আন্দোলনের সফলতা পাব।’ 

তিনি বলেন, ‘গত ৫ আগষ্টের পর জনগণ বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারছে। স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছে। এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।’ 

দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে মঈন খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে কিন্তু তাদের মধ্যে গণতন্ত্রের ছিটেফোঁটাও নেই। তাদের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে। ভবিষ্যতেও যেন তাদের মুখোশ উন্মোচন থাকে তা খেয়াল রাখতে হবে। আওয়ামী লীগের দোসররা যেন এ সরকারকে কবজা করতে না পারে। তারা যেন মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে এজন্য মুক্তিকামী ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তা প্রতিরোধ করতে হবে।’

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আগুনে শুধু স্বৈরাচাররা পরাজিত হয়নি। তারা কাপুরুষের মতো দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলেনে হাজার-হাজার মানুষ জীবন দিয়েছে, বহু মানুষ পঙ্গু হয়েছে। ৭১ সালেও স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ও আওয়ামী লীগ কাপুরুষের মতো পালিয়ে গিয়েছিল। ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর দেশে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।’

মঈন খান বলেন, ‘গত ১৫ বছর স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার বন্দুকের জোরে ১৮ কোটি মানুষকে বন্দি করে রেখছিল। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো লড়াই সংগ্রাম করেছে। অনেক নেতা-কর্মী প্রাণ দিয়েছেন। এক লাখের বেশি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। ইতিহাস সাক্ষী, কোনো জুলুমবাজ-অন্যায়কারী ক্ষমতায় বেশিদিন টিকতে পারে না। সবশেষ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকার পতনের মধ্যে দিয়ে আবারও প্রমাণিত হয়েছে।’ 

এ সময় আহত রোগীদের খবর নেওয়াসহ ৫১ জন আহত রোগীকে আর্থিক সহায়তা দেন তিনি। 

বাংলাদেশের চিকিৎসকদের চিকিৎসা সেবার এ সময় আরও বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ড্যাব সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদ ও মহাসচিব ডা. মো. আব্দুস সালাম প্রমুখ। 

শফিকুল/পপি/

মোমেন খানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৪ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪১ পিএম
মোমেন খানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার
মরহুম আব্দুল মোমেন খান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রীসভার সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও কেবিনেট সচিব মরহুম আব্দুল মোমেন খানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর)। 

১৯৮৪ সালের ১২ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নরসিংদীর পলাশ ও ঘোড়াশাল উপজেলা এবং পৌর বিএনপির উদ্যোগে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। 

এ উপলক্ষে পলাশ উপজেলার মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মরহুমের ছেলে ও সাবেক মন্ত্রী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

মরহুম আব্দুল মোমেন খানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বাণী দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

বাণীতে তিনি মরহুমের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, 'জনগণের নাগরিক অধিকার তথা বাক, ব্যক্তি, চিন্তার স্বাধীনতা নিশ্চিত করার সংগ্রামে আব্দুল মোমেন খানের ভূমিকা ছিল ঐতিহাসিক। তিনি এদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একজন মার্জিত ও প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদ হিসেবে সমাদৃত ছিলেন। বিএনপি ও পূর্বসূরি জাগদলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে আব্দুল মোমেন খান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে নিবেদিত প্রাণ ছিলেন।

মন্ত্রী হিসেবেও তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তথা দেশ ও এলাকাবাসীর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জাতীয়তাবাদী দর্শনকে প্রতিষ্ঠিত করতে তার অবদান দল ও দেশবাসী চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। আমি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং তার শুভানুধ্যায়ী ও পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।'

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময় আবদুল মোমেন খান ফজলুল হক হল প্রতিষ্ঠার পর ছাত্র সংসদের প্রথম ‘স্পিকার’ (বর্তমান ভিপি) নির্বাচিত হন। তিনি উপস্থিত বক্তৃতা, বিতর্ক ও অন্যান্য সহশিক্ষা কার্যক্রমে খুবই পারদর্শী ছিলেন, যা তার পরবর্তী পেশা জীবনকেও সমৃদ্ধ করে। একজন সরকারী চাকরিজীবী হিসেবে আবদুল মোমেন খান যথাযোগ্য সুনাম অর্জন করেন এবং লাহোরে সিনিয়র সিভিল সার্ভিস একাডেমিতে প্রশিক্ষণ কোর্সে প্রথম স্থান অধিকার করে তৎকালীন রেক্টর ডি কে পাওয়ার (আই.সি.এস) প্রদত্ত প্রশংসাসূচক ভ্যালেডিকটরিয়ান সম্মান অর্জন করেন।

তিনি বলেন, যোগ্যতার নিরিখে আবদুল মোমেন খান বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ চাকুরীর পদ কেবিনেট সচিবের আসনে আসীন হন। তার বুদ্ধিদীপ্ত চাকুরী জীবনে তিনি খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার, প্রাদেশিক সরকারের গণপূর্ত, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং সেচ বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সচিবের দায়িত্বও অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে পালন করেন ।

উল্লেখ্য, মোমেন খান ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোটে নরসিংদী-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৪১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করেন এবং ১৯৪২ সালে কলিকাতা গভর্নমেন্ট কমার্শিয়াল কলেজে অনুষদের সদস্য হিসাবে যোগদান করেন। ১৯৫৪ সালে তিনি পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। মোমেন খান লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং পরে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৭৮-৭৯ সালে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

শফিকুল ইসলাম/মেহেদী/এমএ/

দেশকে অশান্ত করতে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে: জামায়াত আমির

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৬ পিএম
দেশকে অশান্ত করতে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে: জামায়াত আমির
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান

বাংলাদেশকে অশান্ত করার জন্য দেশ ও দেশের বাইরে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে একটি মহল বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। 

তিনি বলেন, ‘দেশ যখন ইতিবাচক ধারায় ফিরতে শুরু করেছে, তখন ফ্যাসিস্টরা দেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। বিদেশে বসে যারা অন্যের সহায়তায় দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তাদের মনে রাখা উচিত, দেশের মানুষ কারো চোখ রাঙানিকে পরোয়া করে না। জাতীয় স্বার্থের দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর মগবাজার আল ফালাহ মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন।

শফিকুর রহমান বলেন, ‘গত ১৫ বছরে জাতির সব মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছিল। অনেক প্রতিভাবান কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ওএসডি করা হয়েছিল। গুম, খুনের ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামী লীগের কাছে বিরোধী মতসহ কারও জীবনের কোনো নিরাপত্তা ছিল না।’ 

জামায়াতের আমির বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি জুলুম ও ফ্যাসিজমের শিকার হয়েছে জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতের নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ২০১৩ সালে শাহবাগে আসর বসিয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা করেছে পতিত আওয়ামী সরকার। সংসদের সরকারের চেয়ে শাহবাগের সরকারের কথায় পতাকা উঠেছে।’

নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, ‘বিগত সরকার আসন পুনর্বিন্যাসের নামে জুলুম করেছে। সেগুলো আবার নতুন করে করতে হবে। গত ১৫ বছরে দেশের অনেক নাগরিকই ভোট দিতে পারেননি। অনেকেই আবার ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। তাদের ভোটার তালিকায় সংযুক্ত করতে হবে।’ যৌক্তিক সময়ের মধ্যে ভোটার তালিকা করে প্রবাসীদেরও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবিও জানান তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সিনিয়র নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার প্রমুখ। 

ফেনীতে ক্যান্টনমেন্ট স্থাপনের দাবি গণঅধিকার পরিষদের

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৯ পিএম
ফেনীতে ক্যান্টনমেন্ট স্থাপনের দাবি গণঅধিকার পরিষদের
ছবি: খবরের কাগজ

ভারতকে দেওয়া অবৈধ ইকোনমিক জোনের বরাদ্দ বাতিল এবং ফেনীতে সামরিক ক্যান্টনমেন্ট স্থাপন করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। 

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণবিক্ষোভ কর্মসূচিতে দলের নেতারা এসব কথা বলেন।  

সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, 'ভারত শেখ হাসিনাকে অবৈধভাবে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে। শেখ হাসিনাকে দিল্লিতে বসিয়ে রেখে অপকর্ম করার সুযোগ করে দিয়ে যাচ্ছে। এটা কোনভাবেই বাংলাদেশের মানুষ মানবে না।'  

দলের সদস্যসচিব ফারুক হাসান বলেন, 'খুনি শেখ হাসিনা ভারতকে ইকোনমিক জোন বরাদ্দ দিয়ে দেশের সার্বভোমত্ব ভূলুণ্ঠিত করেছেন। অবৈধভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ভারতের হাতে তুলে দিয়েছেন। অবিলম্বে অবৈধ ইকোনমিক জোন বরাদ্দ বাতিল করতে হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা টিকিয়ে রাখতে ফেনীতে সামরিক ক্যান্টনমেন্ট স্থাপন করতে হবে। দেশকে সুরক্ষিত রাখতে হবে।'   

এ সময়গণঅধিকার পরিষদের দপ্তর সহ-সমন্বয়ক আরিফ বিল্লাহর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সদস্য সচিব তারেক রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার এস ফাহিম, মেজর (অব.) আব্দুর রব, ইঞ্জিনিয়ার থোয়াই চিং মং চাক, ইমামউদ্দিন, এনামুল হক সবু, ফায়সাল আহমেদ, শফিকুল ইসলাম রতন প্রমূখ। 

শফিকুল ইসলাম/মেহেদী

বঙ্গভবনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৪ পিএম
বঙ্গভবনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান

বঙ্গভবনে মহান বিজয় দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। 

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বঙ্গভবন থেকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন এটি গ্রহণ করেন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।

তিনি জানান, রাষ্ট্রপতির পক্ষে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী এই আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছেন। এতে বঙ্গভবনে মহান বিজয় দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। 

ঢাকা টু আখাউড়া লংমার্চ ভারতকে কড়া সতর্কবার্তা বিএনপির

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫০ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৫ পিএম
ভারতকে কড়া সতর্কবার্তা বিএনপির
বুধবার বিকেল ৫টায় আখাউড়া সীমান্তে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয় লংমার্চ। ছবি: খবরের কাগজ

দলের অঙ্গ ও সহযোগী তিন সংগঠন দিয়ে ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কড়া সতর্কবার্তা দিয়েছে বিএনপি। ঢাকা থেকে লংমার্চ করে ভারত-বাংলাদেশের আখাউড়া সীমান্তে লাখো তরুণের সমাবেশের মধ্য দিয়ে এ বার্তা দেয় দলটি। এ সময় ইস্পাত-কঠিন ঐক্যের মধ্য দিয়ে ভারতের আধিপত্যকে প্রতিহত করার ঘোষণা দেন তরুণ নেতারা। তারা বলেন, বাংলাদেশের জনগণ কোনো দেশের প্রভুত্ব মেনে নেয়নি, ভারতের প্রভুত্বও মেনে নেয়নি এবং আগামী দিনেও মানবে না।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ভারতের আগরতলা অভিমুখে লংমার্চ করে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর ষড়যন্ত্রসহ তথ্যসন্ত্রাসের প্রতিবাদে এ লংমার্চ কর্মসূচি পালন করে সংগঠন তিনটি। এদিন সকাল ৯টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে লংমার্চ শুরু হয়। এর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। লংমার্চ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বিকেল ৫টার দিকে আখাউড়া সীমান্তে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয় লংমার্চ।

হাজার হাজার নেতা-কর্মী কয়েক হাজার মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার নিয়ে এই লংমার্চে অংশ নেন। প্রতিটি গাড়িতে ‘লংমার্চের’ স্টিকার, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও বিএনপির দলীয় পতাকা লাগানো ছিল। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর এসে পৌঁছায়। এই লং মার্চের নেতৃত্ব দেন যুবদলের সভাপতি এম মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, ছাত্র দলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সস্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরসহ তিন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা। 

লংমার্চের গাড়িবহর ঢাকা থেকে বের হওয়ার পথে সড়কের দুই পাশে নেতা-কর্মীদের সবর উপস্থিতি ছিল। এসময় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ হাত নেড়ে ও ফুল ছিটিয়ে গাড়ি বহরকে স্বাগত জানান। খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ, সিলেট, ভৈরব, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং আখাউড়াসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে তিন সংগঠনের নেতাকর্মীরা গাড়ি ও মোটরবাইক বহর নিয়ে লংমার্চে অংশগ্রহণ করেন। এসময় ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘ভারতের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ নানা স্লোগান দিয়ে পুরো রাস্তা প্রকম্পিত করে তোলা হয়। জাতীয় পতাকা, ফেস্টুন ও দলীয় পতাকা নিয়ে নেতা-কর্মীরা কর্মসূচিতে অংশ নেন। 

কর্মসূচিকে ঘিরে সকাল ৭টা থেকে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হতে শুরু করেন তিন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে লংমার্চের কর্মসূচির উদ্বোধন করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমরা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা কিনেছি। এই স্বাধীনতা আমরা বিক্রি করে দেব? পিন্ডি থেকে স্বাধীনতা এনেছি, দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণ করার জন্য নয়। ভুটান, নেপাল, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কার লোকেরা নিজের কথায় চলুক, এটা ভারত চায় না। দিল্লির কথায় চলতে হবে কেন? বাংলাদেশের মানুষের রক্তের তেজ, আত্মশক্তি, বীরত্ব দিল্লির শাসকেরা বুঝতে পারেননি।

বেলা সাড়ে ১২টায় ভৈরব পৌঁছায় লংমার্চ। সেখানে সংক্ষিপ্ত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এসএম জিলানী বলেন, ভারত নিজেদের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র দাবি করে, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের গণআন্দোলনে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের আশ্রয় দিয়েছে। আপনাদের (ভারত) জানিয়ে দিতে চাই- এই বাংলাদেশ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ না। এই বাংলাদেশ সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়ার ও তারেক রহমানের। এদেশের এক ইঞ্চির মাটির দিকে তাকালে সেই চোখ উপরে ফেলা হবে।

পথসভা শেষে ভৈরব থেকে লংমার্চ নিয়ে বিকাল সাড়ে ৩টায় আখাউড়া সীমান্তে পৌঁছান নেতা-কর্মীরা। ভারতে বাংলাদেশি হাইকমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকার অবমাননা ও ভারতীয় মিডিয়ার অপপ্রচারের প্রচারের প্রতিবাদে এদিন আগরতলা অভিমূখে ঢাকা-আখাউড়া লংমার্চ করে বিএনপি তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। এতে লাখো নেতা-কর্মীর ঢল নামে। আখাউড়া স্থলবন্দরের ট্রাক স্ট্যান্ডে সমাবেশ করে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। বিকাল সোয়া চারটার দিকে সমাবেশ শুরু হয়ে বিকাল ৫ টায় শেষ হয়। আগরতলা সীমান্ত থেকে ১০০ মিটার দূরে স্থলবন্দর মাঠে এই সমাপনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকায় গ্রাম পুলিশ, থানা–পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের মোতায়েন করে তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। 

সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না বলেন, বাংলাদেশের জনগণ অত্যন্ত স্বাধীন চেতা জাতি। জনগণ বাংলাদেশের ভূখন্ডের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ। ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব ভারত সরকারের। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে।

শেখ হাসিনাসহ তাদের দোসরদের ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে হবে। আমাদের কোন প্রভু নেই। সরকারের কাছে শেখ হাসিনাকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, এই লংমার্চ সফল হয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে এই লংমার্চ শুরু হয়েছে। এরমাধ্যমে ভারতকে স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছি, শেখ হাসিনা আপনাদের পৃষ্ঠপোষকতায় হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গুম ও খুন করা হয়েছে। সুতরাং যতই ষড়যন্ত্র করুন না কেনো, তা সফল হবে না।

লংমার্চে কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন যুবদল সিনিয়র সহ সভাপতি রেজাউল করিম পল, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তারেক, সাংগঠনিক কামরুজ্জামান জুয়েল, ঢাকা জেলা যুবদলের সভাপতি ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শ্যামল মালুম, সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান, দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম তিন সংগঠনের লাখো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

শফিকুল ইসলাম/জুটন বনিক/এমএ/

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });