দেশের মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য অপেক্ষা করছে। নির্বাচিত সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। নির্বাচন দিয়ে জনগণের প্রত্যাশা পুরণ করতে হবে। সুতরাং সুন্দর একটি ভোটের মাধ্যমে জণগণের অধিকার জনগণকে বুঝিয়ে দিতে হবে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ডা. শাহদাত হোসেনকে পেশাজীবী পরিষদের সংবর্ধনা, মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যেগে আলোচনাসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, 'আগামি দিনের বাংলাদেশ কী রকম হবে সে জন্য ছয় বছর আগে সংস্কারের কথা বলেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। বিগত এক বছর আগে তারেক রহমান ৩১টি সংস্কারের কথা বলেছিলেন। তিনি প্রায় ৪০টি দলের সঙ্গে আলাপ করে সংস্কার কথা বলেছিলেন। কিন্তু তখন আপনারা কিছুই বলেননি। এখন বলছেন সংস্কারের কথা। সংস্কার হোক সেটি হবে নির্বাচনের সংস্কার। জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে সংস্কার হতে হবে। আমরা সংস্কার করব। বিএনপি দেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক দল। আমরা পারব এবং সংস্কার আমরা করব। তারেক রহমানের ৩১ পয়েন্ট সংস্কারে কিভাবে করবে তা রূপরেখা রয়েছে।'
বিএনপি জাতীয় সরকার গঠন করবে উল্লেখ করে স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, 'বিএনপি জাতীয় সরকার গঠন করবে। সেখানে সব দলের অংশগ্রহণ থাকবে। জাতীয় সরকারে প্রথম দিন থেকে সংস্কার শুরু হবে। শিক্ষা, চিকিৎসা, আইনে অধিকার, সকল পেশায় সংস্কার হবে। এ সংস্কারে কিছুই বাকি থাকবে না। অন্তর্বর্তী সরকার যা সংস্কার করবে তা জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে হতে হবে, তাতে আমাদের কোন আপত্তি নেই। সব কিছুর কথা শুনতেছি কিন্তু নির্বাচনের কথা শুনছি না। আপনারা একটি কমিশন গঠন করেছেন, তা আমরা সাধুবাদ জানাই। আমরা অপেক্ষা করছি। আপনারা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যান।'
অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, 'বিপ্লব ও সংহতি দিবস জানতে হলে একাত্তরের ইতিহাস জানতে হবে। এ ইতিহাস আসলে বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানকে বাদ দিয়ে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং পঁচাত্তরের সাতই নভেম্বর রচিত হতে পারে না। একাত্তর থেকে পঁচাত্তর পর্যন্ত একটা ইতিহাস, ৭৫ এর সাতই নভেম্বর থেকে আরেকটি ইতিহাস। ইতিহাস নিয়ে রাজনীতিবিদরা এতদিন প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে।'
তিনি বলেন, '১৫ আগস্টের পর সেদিন কারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল সেটা জানা উচিত তরুণ প্রজন্মের। ওই সময় সেনাপ্রধান ছিলেন মেজর শফিউল্লাহ, এইচটি ইমাম শপথ করিয়েছেন। শপথ অনুষ্ঠানে মেজর জিয়াউর রহমান যাননি। সাতই নভেম্বরের গুরুত্ব অপরিসীম।'
চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, 'নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য গত ১৬ বছর বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল মিলে যা তৈরি হয়েছে, তারই মাধ্যমে একটা পর্যায়ে ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে হাসিনার পতন হয়েছে। এ আন্দোলনের একক কারও কোনো অবদান নেই। সব গণতন্ত্রকামী মানুষের অবদান রয়েছে। একক দল হিসেবে বিএনপি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অবদান রয়েছে।'
বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ, চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কঁচির সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরীর সঞ্চালন বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব এরশাদুল্লাহ, সাংবাদিক নেতা শাহ নেওয়াজ, চট্টগ্রাম বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।
আবদুস সাত্তার/জোবাইদা/অমিয়/