বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামানো উচিত হয়নি মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তার সংশোধনী পাঠিয়েছে দলটি।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মু. মুনির হোসেন সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সংশোধনী পাঠানো হয়।
সংশোধনীতে বলা হয়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নীচতলায় বিএনপি আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ‘বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি সরানো উচিত হয়নি’ মর্মে একটি সংবাদ অনলাইনে প্রকাশিত হচ্ছে।
আজ গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো হয়েছে’ মর্মে একটি সংবাদের প্রতি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ হয়। আমি মনে করেছিলাম, বঙ্গভবনের দরবার কক্ষে যেখানে সব রাষ্ট্রপতির ছবি থাকে সেখান থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো হয়েছে। মূলতঃ ছবিটি সরানো হয়েছিল বঙ্গভবনের অন্য একটি অফিস কক্ষ থেকে।
শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনে শেখ মুজিবের ছবি রাখার বাধ্যতামূলক আইন করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদী আইনের কোনো কার্যকারিতা থাকতে পারে না। অফিস-আদালত সর্বত্রই দুঃশাসনের চিহ্ন রাখা উচিত নয়। অনাকাঙ্খিত বক্তব্যের জন্য আমি দুঃখিত।
বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামানো প্রসঙ্গে রুহুল কবীর রিজভী বলেছিলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের একজন উপদেষ্টা মাহফুজ সাহেব বলেছেন ‘বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো হয়েছে’। ‘দেখুন- এটা করেছেন ঠিক আছে। ৭২ পরবর্তী সময়ে শেখ মুজিবুর রহমানের সময়ের হত্যা, খুন, লুণ্ঠন ধর্ষণ সবই হয়েছে, এটা সবার জানা। তবে খন্দকার মোশতাক শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে ফেললে সেটি কিন্তু জিয়াউর রহমান প্রতিস্থাপন করেছেন। জাতীয় স্বাধীকার আন্দোলনে তো তার অবদান আছে। আমি মনে করি, শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামানো উচিত হয়নি। ইতিহাস বিচার করবে, জনগণ বিচার করবে। আমাদের জাতীয় ইতিহাসের আন্দোলনের তার যে অবদান সেটা তো অস্বীকার করা যায় না। আমরা তো আওয়ামী লীগের মতো সংকীর্ণ মনের নই। এজন্য বলছি, শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামানো উচিত হয়নি।’
অমিয়/