ঢাকা ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, রোববার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪

মঙ্গলময় রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়াই এখন প্রধান উদ্দেশ্য: ড. মঈন খান

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১১ পিএম
মঙ্গলময় রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়াই এখন প্রধান উদ্দেশ্য: ড. মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর এখন একটি মঙ্গলময় রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলাই প্রধান উদ্দেশ্য বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে 'সংবিধান সংস্কার' শীর্ষক সেমিনারে তিনি একথা বলেন।

মঈন খান বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো এমন একটি সিস্টেম তৈরি করা যার মাধ্যমে আমরা একটি রাষ্ট্রব্যবস্থার সৃষ্টি করবো যা জনগণের জন্য মঙ্গলকর হবে। এর জন্য যে কাজ করা প্রয়োজন তাই আমরা করবো। আমাদের উদ্দেশ্য সৎ হলে এতে কোনো বাধা থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ আর ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান পরস্পরবিরোধী নয় বরং একটি অপরটির পরিপূরক। সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিষয়টিকে পর্যালোচনা করলে কোনো সংঘাত থাকবে না। এটা স্পষ্ট করতে হবে সংঘাতের রাজনীতিতে কোনো উন্নয়ন হবে না।

সেমিনারে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, তিন মাসের মধ্যে ঐক্যের মধ্যে ফাটল দেখা যাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী শক্তি ফিরে আসতে পারে।

আওয়ামী লীগের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের চেয়ে বড় গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল দেশে নেই। কিন্তু তারা গণতন্ত্রের কথা বলে দেশকে ধ্বংস করেছে। নিজেদের স্বৈরাচারী শাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। গণতন্ত্রের মুখোশ পরে স্বৈরশাসকে অবতীর্ণ হয়েছে। পরে আবার গণঅভ্যুত্থানে তারা হারিয়ে গেছে।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ক্ষমতার এমন ভারসাম্য তৈরি করতে হবে যাতে কেউ জনগণকে ছাপিয়ে যেতে না পারে। সেইসঙ্গে কার্যকর করতে হবে সংসদকে।

সাকি বলেন, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে হলে দুইবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না এমন বিধান চালু করা উচিত।

প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানোসহ সংবিধান সংস্কারে নাগরিক ঐক্যের ৫ প্রস্তাব

সেমিনারে সংবিধান সংস্কারের লক্ষ্যে ৫ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেছে রাজনৈতিক দল নাগরিক ঐক্য। সংবিধান সংস্কারবিষয়ক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার। 

তিনি বলেন, সংবিধানের পুনর্লিখন বা বর্তমান সংবিধান ছুড়ে ফেলে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে গেলে যে প্যানডোরার বাক্স খুলে যাবে, তা বন্ধ করা অসম্ভব হয়ে উঠবে। কেউ ইসলামিক প্রজাতন্ত্র চাইতে পারে, কেউ চাইতে পারে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধকে ভিত্তি করেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, কেউ আবার চাইতে পারে চব্বিশের আন্দোলনকে ভিত্তি ধরে নতুন করে বাংলাদেশের ইতিহাস লেখা হবে। রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজসহ অভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর মধ্যে বিভাজন এত স্পষ্ট হয়ে উঠতে পারে যে, তা সংঘাতে রূপ নিতে পারে।

নাগরিক ঐক্যের যে পাঁচটি প্রস্তাব তুলে ধরে রয়েছে, তা হলো—সাংবিধানিক স্বৈরতন্ত্রের উৎস প্রধানমন্ত্রীকেন্দ্রিক জবাবদিহিতাহীন স্বেচ্ছাচারী কেন্দ্রীভূত ক্ষমতা ব্যবস্থার বদল ঘটিয়ে সংসদ, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার পৃথককরণ ও যৌক্তিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করা, রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করা; সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের সংস্কার করে আস্থা ভোট ও বাজেট পাস ছাড়াই সব বিলে স্বাধীন মতামত প্রদান ও জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার অধিকার নিশ্চিত করা; জনগণের ওপর নিবর্তনমূলক আইন প্রয়োগের সাংবিধানিক ক্ষমতা বাতিল করা; বিচার বিভাগের পরিপূর্ণ কার্যকর স্বাধীনতা নিশ্চিত করে গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র, সরকার ও সংবিধান প্রতিষ্ঠা করা; নির্বাহী বিভাগের আর্থিক জবাবদিহি নিশ্চিত করতে মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ রহিত করা।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। 

জয়ন্ত সাহা/এমএ/

বিএনপির ৩ সংগঠনের ‘প্রতিবাদী পদযাত্রা’ সকাল ১০টায়

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৬ এএম
আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৭ এএম
বিএনপির ৩ সংগঠনের ‘প্রতিবাদী পদযাত্রা’ সকাল ১০টায়

ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে ঢাকায় দেশটির দূতাবাস অভিমুখে ‘প্রতিবাদী পদযাত্রা’ সকাল ১০টায় শুরু করবে বিএনপির তিন সংগঠন- যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদল। 

রবিবার (৮ ডিসেম্বর) ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এই পদযাত্রা করবে তিন সংগঠন। 

গতকাল শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রবিবার (আজ) সকাল ১০টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে এই পদযাত্রা শুরু হবে। 

পদযাত্রা শেষে দূতাবাসে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। 

যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীকে এই পদযাত্রায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। 

যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান।

এমন সমাজ চাই যেখানে সবার অধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে: জামায়াতের আমির

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৪ পিএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৫ পিএম
এমন সমাজ চাই যেখানে সবার অধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে: জামায়াতের আমির
মিরপুরে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র উপহার প্রদানকালে জামায়াতে ইসলামর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামী এমন এক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে কাজ করছে যেখানে সমাজের সব নাগরিকের অধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, জামায়াত মানুষের কল্যাণের জন্য স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসাসহ সাধারণ মানুষের জন্য মেডিক্যাল সার্ভিসও দিয়ে যাচ্ছে। আমরা অ্যাম্বুলেন্সসহ লাশবাহী গাড়ীর সেবা দিয়ে থাকি। সুখী, সমৃদ্ধ ও শাান্তির সমাজে পরিণত করার লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

শনিবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুরের-১৩ শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র উপহার প্রদানকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। শীতবস্ত্র বিতারণ করা হয় ৪নং ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে কাফরুল উত্তর থানা জামায়াতের উদ্যোগে। থানা আমীর রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি হাফেজ আশিকুর রহমানের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান মূসা, সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দীন মানিক প্রমুখ।  

শফিকুর রহমান বলেন, আমাদের দেশের রাজনীতিতে একটি স্লোগান আছে যে, ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, আর দলের চেয়ে দেশ বড়। কিন্ত দেশের প্রচলিত রাজনীতিতে তার কোনো প্রতিফলন দেখি না। জামায়াত ইসলামী স্লোগান দিয়েই দায়িত্ব শেষ করে না বরং তা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা করে। দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানাই। 

তিনি বলেন, এখনো রাজধানীতে শীত জেঁকে বসেনি। কিন্তু আমরা সম্ভাব্য শীত মোকাবিলায় অগ্রিম প্রস্তুতির অংশ হিসাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করছি। আমরা আশা করব সবাই এই মহতি কাজে এগিয়ে আসবেন এবং বিপন্ন ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াবেন।  

সেলিম উদ্দিন বলেন, জামায়াত ক্ষুধা, দারিদ্র, অপশাসন ও দুঃশাসনমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা এমন এক সমাজ জাতিকে উপহার দিতে চাই যেখানে মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সকল মানুষ সমান নাগরিক অধিকার ভোগ করবেন। 

শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ

ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে বিএনপির ৩ সংগঠনের ‘প্রতিবাদী পদযাত্রা’

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩০ পিএম
ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে বিএনপির ৩ সংগঠনের ‘প্রতিবাদী পদযাত্রা’
ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে ঢাকায় দেশটির দূতাবাস অভিমুখে ‘প্রতিবাদী পদযাত্রা’ করবে বিএনপির ৩ সংগঠন- যুবদল, সেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদল। রবিবার (৮ ডিসেম্বর) ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এই পদযাত্রা করবে তিন সংগঠন। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় এ তথ্য।

এতে বলা হয়, রবিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে এই পদযাত্রা শুরু হবে। পদযাত্রা শেষে দুতাবাসে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। পদযাত্রায় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের যথাসময়ে এই কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে উপস্থিত থাকার জন্য যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির আহ্বান জানিয়েছে।

শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত হবে না: জি এম কাদের

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১৩ পিএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১৬ পিএম
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত হবে না: জি এম কাদের
জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে সংবিধান সংরক্ষণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরসহ অন্য নেতা-কর্মীরা। ছবি: খবরের কাগজ

জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে সংবিধান সংরক্ষণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে জি এম কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত হবে না। আওয়ামী লীগের যারা দোষ করেছেন তাদের তদন্তের মাধ্যমে বিচারের মুখোমুখি করুন। আন্দাজে মামলা দিয়ে কাউকেই শাস্তি দেওয়া ঠিক নয়। একটি সংগঠনের সবাই কি অপরাধী? যদি তাই ভাবেন তাহলে শেখ হাসিনার সঙ্গে আপনাদের তফাত কী?’

ভারত ইস্যুতে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে জি এম কাদের বলেন, ‘কোনো আগ্রাসন এলে স্বাভাবিকভাবে আমরা তা প্রতিহত করব। এটার জন্য গলাবাজির দরকার নেই। কেউ কেউ বলেন, আগ্রাসন এলে এক ইঞ্চিও ছাড় দেব না। কে আপনাকে ছাড় দিতে বলে? আমাদের দেশে আর্মি , বিজিবি আছে না?’

রাজনৈতিক ঐক্য গঠনের প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে নিয়ে আলোচনা সভায় বসলেও আওয়ামী লীগ বা জাতীয় পার্টিকে ডাকেনি। এ প্রসঙ্গে জি এম কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে বাদ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের ৫০ শতাংশ মানুষের প্রতিনিধিত্বকারী দলকে জাতীয় ঐক্যের ডাকের বাইরে রাখা হয়েছে। ৫০ শতাংশ মানুষের দলকে সংলাপের বাইরে রাখা হয়েছে। এতে দেশে অবিশ্বাস ও সংঘাতময় পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।’

আওয়ামী লীগ শাসনামলের মতো কয়েকটি দল নিয়ে একতরফা নির্বাচন আয়োজন করলে তা টেকসই হবে কি না, সেই প্রশ্ন রাখেন জাপা চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, দেশের ৫০ শতাংশ মানুষ নির্বাচন ও রাষ্ট্র সংস্কারের বাইরে রাখলে তারা কি বসে থাকবে? নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। একতরফা নির্বাচনের জন্য শেখ হাসিনাকে নিন্দা করা হয়, আপনারা কি একই জিনিস করবেন?’ 

অবাধ, নিরপেক্ষ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে জি এম কাদের বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দল যদি সন্ত্রাসী সংগঠন না হয়, তাদের উদ্দেশ্য যদি আইনবিরোধী না হয়, তা হলে সেই সব সংগঠনকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে বাইরে রাখা যাবে না। আমরা চাই, আগামী নির্বাচনে সব দল অংশ নিক। যাদের নিবন্ধন দিয়েছেন তাদের কেন নির্বাচনে আসতে দেবেন না?’ 

পুলিশ ও প্রশাসনে দলীয়করণ হয়ে গেছে বলে সভায় মন্তব্য করেন তিনি। সাংবিধানিক সংস্কারের জন্য জাপার প্রস্তাব সরকার গ্রহণ করেনি বলে সভায় জানান জি এম কাদের।

জি এম কাদের বলেন, ‘শক্তিশালী রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে অন্তর্বর্তী সরকার জিম্মি হয়ে পড়েছে। মনে হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার যা করতে চায়, তা করতে পারছে না। এভাবে কি রাষ্ট্র সংস্কার, জাতীয় ঐক্য বা নির্বাচন সম্ভব হবে?’ তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্য থেকেই রাজনৈতিক দল গঠন করার চেষ্টা চলছে।’

মাহফুজ/এমএ/

অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থাকলে ষড়যন্ত্র ও অস্থিরতা বাড়বে: খন্দকার মোশাররফ

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৩ পিএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৩ পিএম
অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থাকলে ষড়যন্ত্র ও অস্থিরতা বাড়বে: খন্দকার মোশাররফ
জাতীয় প্রেসক্লাবে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) আয়োজিত আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ছবি: খবরের কাগজ

অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের উছিলা দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্ষমতায় থাকলে ষড়যন্ত্র ও অস্থিরতা আরও বাড়বে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘কেউ যাতে আধিপত্য বিস্তার করতে না পারে, তা নিশ্চিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নির্বাচনি রোডম্যাপ দিয়ে জনগণকে নির্বাচনমুখী করতে হবে। তাহলেই পরাজিত শক্তি ও চক্রান্তকারীদের সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবে।’

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। আরও বক্তব্য রাখেন জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের কমরেড নূর ইসলামসহ অন্যরা।

খন্দকার মোশাররফ আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কমিটমেন্ট ছিল বৈষম্যবিরোধী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। তাদের প্রতি মানুষের যেমন প্রত্যাশা আছে, ঠিক তেমনি সরকারের কমিটমেন্ট আছে সংস্কার করার। অতি দ্রুত এটি করতে হবে। কোনো একক সরকারের পক্ষে দিন-তারিখ ঠিক করে সংস্কার করা সম্ভব নয়। আপনারা শুরু করেন, পরবর্তী সময়ে নির্বাচিত সরকার তা এগিয়ে নেবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সবাইকে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ দেশের মানুষ সব করতে পারে। পার্শ্ববর্তী দেশের আধিপত্য বিস্তারের যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, তা আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দিতে পারব।’

মাহফুজ/এমএ/