ঢাকা ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, রোববার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪

অবশেষে জানা গেল ওবায়দুল কাদেরের অবস্থান

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪০ এএম
অবশেষে জানা গেল ওবায়দুল কাদেরের অবস্থান
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের আলোচিত-সমালোচিত সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ভারতে পালিয়ে গেছেন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই তিনি কোথায় আছেন তা নিয়ে নানা কৌতূহল ও গুঞ্জন ছিল। কিন্তু তার অবস্থান সম্পর্কে গতকাল মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) নিশ্চিত হওয়া গেছে। 

কলকাতায় অবস্থানকারী আওয়ামী লীগের অন্তত তিনজন কেন্দ্রীয় নেতা খবরের কাগজকে নিশ্চিত করে বলেছেন, গত শনিবার সকালে স্ত্রীসহ কলকাতায় এসেছেন ওবায়দুল কাদের। গত শুক্রবার শেষ রাতে উত্তরবঙ্গের কোনো একটি রুট দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে ঢোকেন আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ এই নেতা।  

দলটির একজন সাংগঠনিক সম্পাদক খবরের কাগজকে বলেন, ‘দেখা হয়নি, ফোনেও কথা হয়নি। তবে তিনি (কাদের) কলকাতায় এসেছেন এটুকু জানি। তবে তিনি সেখানে অবস্থান করবেন না। দুই-তিন দিন কলকাতায় থেকে আগামী সপ্তাহে দিল্লি চলে যাবেন। তিনি সাধারণ সম্পাদক থাকবেন কি না, এরপরে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’  

কলকাতায় আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগের মধ্যম সারির কয়েকজন নেতা জানান, ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর থেকে দলীয় নেতা-কর্মীরা তাকে ভালোভাবে নেননি। বিশেষ করে দ্বিতীয়বার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলে তার প্রতি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। বিভিন্ন সময় বেফাঁস কথাবার্তা বলে দলকে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল করে দেন ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের মতো একটি দল ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পেছনে কেউ কেউ তাকে দায়ী করে থাকেন। ফলে কলকাতায় অবস্থান করলে এখানে থাকা ক্ষুব্ধ নেতারা ওবায়দুল কাদেরকে দেখলে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে পারেন। আর এমন পরিস্থিতিতে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটাও অস্বাভাবিক নয়। তাই তিনি দিল্লি চলে যাবেন। দেশে থাকলেও একই ঘটনা ঘটতে পারত। তার ওপর নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ। 

গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করে  ভারতে চলে যান। ওই দিন থেকেই দলটির মন্ত্রী-এমপিসহ উচ্চপর্যায়ের নেতারা কলকাতায় পালাতে শুরু করেন। এরপর থেকে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ও এর বাইরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ভারত যাওয়ার সময় ওবায়দুল কাদেরকে সঙ্গে নিয়ে যাননি। ফলে ঢাকায় ঘুরেফিরে প্রশ্ন ওঠে তাহলে দলটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা ওবায়দুল কাদের কোথায়?

অনেকে ধারণা করেছিলেন ভারত হয়ে তিনি সিঙ্গাপুর চলে গেছেন। আবার কেউ কেউ মত দেন তিনি দেশেই আছেন। ওবায়দুল কাদের যশোরের একটি বাড়িতে অবস্থান করছেন- এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে গত আগস্টে সেখানে অভিযানও চালানো হয়। সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কারের ঘোষণাও দেয় সরকার। গত ১৯ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এমন ঘোষণা দিয়েছেন। 

সর্বশেষ গত শনিবার রাতে চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আছেন- এমন সন্দেহে একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালানো হয়। হালিশহরের শান্তিবাগের ওই ফ্ল্যাটে ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রী ইশরাতুন্নেসার বড় ভাই নুরুল হুদাকে পায় পুলিশ।

বিএনপির ৩ সংগঠনের ‘প্রতিবাদী পদযাত্রা’ সকাল ১০টায়

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৬ এএম
আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৭ এএম
বিএনপির ৩ সংগঠনের ‘প্রতিবাদী পদযাত্রা’ সকাল ১০টায়

ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে ঢাকায় দেশটির দূতাবাস অভিমুখে ‘প্রতিবাদী পদযাত্রা’ সকাল ১০টায় শুরু করবে বিএনপির তিন সংগঠন- যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদল। 

রবিবার (৮ ডিসেম্বর) ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এই পদযাত্রা করবে তিন সংগঠন। 

গতকাল শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রবিবার (আজ) সকাল ১০টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে এই পদযাত্রা শুরু হবে। 

পদযাত্রা শেষে দূতাবাসে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। 

যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীকে এই পদযাত্রায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। 

যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান।

এমন সমাজ চাই যেখানে সবার অধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে: জামায়াতের আমির

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৪ পিএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৫ পিএম
এমন সমাজ চাই যেখানে সবার অধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে: জামায়াতের আমির
মিরপুরে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র উপহার প্রদানকালে জামায়াতে ইসলামর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামী এমন এক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে কাজ করছে যেখানে সমাজের সব নাগরিকের অধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, জামায়াত মানুষের কল্যাণের জন্য স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসাসহ সাধারণ মানুষের জন্য মেডিক্যাল সার্ভিসও দিয়ে যাচ্ছে। আমরা অ্যাম্বুলেন্সসহ লাশবাহী গাড়ীর সেবা দিয়ে থাকি। সুখী, সমৃদ্ধ ও শাান্তির সমাজে পরিণত করার লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

শনিবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুরের-১৩ শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র উপহার প্রদানকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। শীতবস্ত্র বিতারণ করা হয় ৪নং ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে কাফরুল উত্তর থানা জামায়াতের উদ্যোগে। থানা আমীর রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি হাফেজ আশিকুর রহমানের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান মূসা, সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দীন মানিক প্রমুখ।  

শফিকুর রহমান বলেন, আমাদের দেশের রাজনীতিতে একটি স্লোগান আছে যে, ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, আর দলের চেয়ে দেশ বড়। কিন্ত দেশের প্রচলিত রাজনীতিতে তার কোনো প্রতিফলন দেখি না। জামায়াত ইসলামী স্লোগান দিয়েই দায়িত্ব শেষ করে না বরং তা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা করে। দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানাই। 

তিনি বলেন, এখনো রাজধানীতে শীত জেঁকে বসেনি। কিন্তু আমরা সম্ভাব্য শীত মোকাবিলায় অগ্রিম প্রস্তুতির অংশ হিসাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করছি। আমরা আশা করব সবাই এই মহতি কাজে এগিয়ে আসবেন এবং বিপন্ন ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াবেন।  

সেলিম উদ্দিন বলেন, জামায়াত ক্ষুধা, দারিদ্র, অপশাসন ও দুঃশাসনমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা এমন এক সমাজ জাতিকে উপহার দিতে চাই যেখানে মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সকল মানুষ সমান নাগরিক অধিকার ভোগ করবেন। 

শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ

ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে বিএনপির ৩ সংগঠনের ‘প্রতিবাদী পদযাত্রা’

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩০ পিএম
ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে বিএনপির ৩ সংগঠনের ‘প্রতিবাদী পদযাত্রা’
ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে ঢাকায় দেশটির দূতাবাস অভিমুখে ‘প্রতিবাদী পদযাত্রা’ করবে বিএনপির ৩ সংগঠন- যুবদল, সেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদল। রবিবার (৮ ডিসেম্বর) ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এই পদযাত্রা করবে তিন সংগঠন। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় এ তথ্য।

এতে বলা হয়, রবিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে এই পদযাত্রা শুরু হবে। পদযাত্রা শেষে দুতাবাসে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। পদযাত্রায় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের যথাসময়ে এই কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে উপস্থিত থাকার জন্য যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির আহ্বান জানিয়েছে।

শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত হবে না: জি এম কাদের

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১৩ পিএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১৬ পিএম
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত হবে না: জি এম কাদের
জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে সংবিধান সংরক্ষণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরসহ অন্য নেতা-কর্মীরা। ছবি: খবরের কাগজ

জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে সংবিধান সংরক্ষণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে জি এম কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত হবে না। আওয়ামী লীগের যারা দোষ করেছেন তাদের তদন্তের মাধ্যমে বিচারের মুখোমুখি করুন। আন্দাজে মামলা দিয়ে কাউকেই শাস্তি দেওয়া ঠিক নয়। একটি সংগঠনের সবাই কি অপরাধী? যদি তাই ভাবেন তাহলে শেখ হাসিনার সঙ্গে আপনাদের তফাত কী?’

ভারত ইস্যুতে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে জি এম কাদের বলেন, ‘কোনো আগ্রাসন এলে স্বাভাবিকভাবে আমরা তা প্রতিহত করব। এটার জন্য গলাবাজির দরকার নেই। কেউ কেউ বলেন, আগ্রাসন এলে এক ইঞ্চিও ছাড় দেব না। কে আপনাকে ছাড় দিতে বলে? আমাদের দেশে আর্মি , বিজিবি আছে না?’

রাজনৈতিক ঐক্য গঠনের প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে নিয়ে আলোচনা সভায় বসলেও আওয়ামী লীগ বা জাতীয় পার্টিকে ডাকেনি। এ প্রসঙ্গে জি এম কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে বাদ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের ৫০ শতাংশ মানুষের প্রতিনিধিত্বকারী দলকে জাতীয় ঐক্যের ডাকের বাইরে রাখা হয়েছে। ৫০ শতাংশ মানুষের দলকে সংলাপের বাইরে রাখা হয়েছে। এতে দেশে অবিশ্বাস ও সংঘাতময় পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।’

আওয়ামী লীগ শাসনামলের মতো কয়েকটি দল নিয়ে একতরফা নির্বাচন আয়োজন করলে তা টেকসই হবে কি না, সেই প্রশ্ন রাখেন জাপা চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, দেশের ৫০ শতাংশ মানুষ নির্বাচন ও রাষ্ট্র সংস্কারের বাইরে রাখলে তারা কি বসে থাকবে? নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। একতরফা নির্বাচনের জন্য শেখ হাসিনাকে নিন্দা করা হয়, আপনারা কি একই জিনিস করবেন?’ 

অবাধ, নিরপেক্ষ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে জি এম কাদের বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দল যদি সন্ত্রাসী সংগঠন না হয়, তাদের উদ্দেশ্য যদি আইনবিরোধী না হয়, তা হলে সেই সব সংগঠনকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে বাইরে রাখা যাবে না। আমরা চাই, আগামী নির্বাচনে সব দল অংশ নিক। যাদের নিবন্ধন দিয়েছেন তাদের কেন নির্বাচনে আসতে দেবেন না?’ 

পুলিশ ও প্রশাসনে দলীয়করণ হয়ে গেছে বলে সভায় মন্তব্য করেন তিনি। সাংবিধানিক সংস্কারের জন্য জাপার প্রস্তাব সরকার গ্রহণ করেনি বলে সভায় জানান জি এম কাদের।

জি এম কাদের বলেন, ‘শক্তিশালী রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে অন্তর্বর্তী সরকার জিম্মি হয়ে পড়েছে। মনে হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার যা করতে চায়, তা করতে পারছে না। এভাবে কি রাষ্ট্র সংস্কার, জাতীয় ঐক্য বা নির্বাচন সম্ভব হবে?’ তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্য থেকেই রাজনৈতিক দল গঠন করার চেষ্টা চলছে।’

মাহফুজ/এমএ/

অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থাকলে ষড়যন্ত্র ও অস্থিরতা বাড়বে: খন্দকার মোশাররফ

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৩ পিএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৩ পিএম
অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থাকলে ষড়যন্ত্র ও অস্থিরতা বাড়বে: খন্দকার মোশাররফ
জাতীয় প্রেসক্লাবে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) আয়োজিত আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ছবি: খবরের কাগজ

অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের উছিলা দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্ষমতায় থাকলে ষড়যন্ত্র ও অস্থিরতা আরও বাড়বে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘কেউ যাতে আধিপত্য বিস্তার করতে না পারে, তা নিশ্চিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নির্বাচনি রোডম্যাপ দিয়ে জনগণকে নির্বাচনমুখী করতে হবে। তাহলেই পরাজিত শক্তি ও চক্রান্তকারীদের সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবে।’

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। আরও বক্তব্য রাখেন জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের কমরেড নূর ইসলামসহ অন্যরা।

খন্দকার মোশাররফ আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কমিটমেন্ট ছিল বৈষম্যবিরোধী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। তাদের প্রতি মানুষের যেমন প্রত্যাশা আছে, ঠিক তেমনি সরকারের কমিটমেন্ট আছে সংস্কার করার। অতি দ্রুত এটি করতে হবে। কোনো একক সরকারের পক্ষে দিন-তারিখ ঠিক করে সংস্কার করা সম্ভব নয়। আপনারা শুরু করেন, পরবর্তী সময়ে নির্বাচিত সরকার তা এগিয়ে নেবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সবাইকে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ দেশের মানুষ সব করতে পারে। পার্শ্ববর্তী দেশের আধিপত্য বিস্তারের যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, তা আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দিতে পারব।’

মাহফুজ/এমএ/