ঢাকা ৯ চৈত্র ১৪৩১, রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫
English

আইনজীবী সাইফুল হত্যার নিন্দা কোমল বা কঠোরতা নয়, ন্যায্য পদক্ষেপ নিন: এবি পার্টি

প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১১ পিএম
আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৮ পিএম
কোমল বা কঠোরতা নয়, ন্যায্য পদক্ষেপ নিন: এবি পার্টি
আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টির আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার (বায়ে) ও সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু।

অন্তর্বর্তী সরকারকে কোমল বা কঠোরতা নয়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ন্যায্য ও যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টি।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডসহ দেশের নানাস্থানে তুচ্ছ কারণে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা এবং দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র দপ্তরের গৃহীত ভূমিকার প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টির আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার ও সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বিবৃতিতে নেতারা বলেন, ‘রাষ্ট্রে শান্তিশৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাগণ বার বার বলছেন তারা কারও প্রতি কঠোর হতে চান না। একইসঙ্গে তারা সংঘাত ও বিশৃঙ্খল কর্মকাণ্ডের জন্য পতিত ফ্যাসিবাদের ষড়যন্ত্রের কথাও বলছেন। 

দেশের এরকম একটি নাজুক পরিস্থিতিতে স্পষ্টত: উস্কানিমূলক তৎপরতার তথ্য পাওয়া সত্ত্বেও উদাসীনতা প্রদর্শন এবং যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়াটা খুবই দু:খজনক।

সরকারের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলোর আগাম প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের অভাবে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কোনভাবেই কাম্য নয়। চট্টগ্রামে ইসকন সংশ্লিষ্ট বিক্ষোভকারীদের হামলা, আদালত ভাঙচুর ও একজন প্রতিভাবান আইনজীবীর নৃশংস হত্যাকাণ্ড দেশকে ভয়ানক দাঙ্গার দিকে ঠেলে দেওয়ার গভীর চক্রান্ত কিনা তা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করতে হবে।’

তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘কোমল বা কঠোরতা নয়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ন্যায্য ও যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়াই সরকারের দায়িত্ব।’

আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে নেতারা আরও বলেন, ‘ভারত সরকার চিম্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুরের জন্য বিবৃতি দিলেও নৃশংসভাবে আইনজীবী হত্যাকাণ্ডের ব্যপারে তারা কোন উদ্বেগ বা নিন্দা জানায়নি। 

বিষয়টি খুবই দৃষ্টিকটু উল্লেখ করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষপাতদুষ্ট ভূমিকা পরিবর্তনের উদাত্ত আহ্বান জানান তারা।’ 

এবি পার্টির নেতারা বলেন, ‘চট্টগ্রামের ঘটনায় শত উস্কানি সত্ত্বেও ছাত্র-জনতা, আলেম-ওলামা, সকল ধর্মের ধর্মপ্রাণ মানুষ ও রাজনৈতিক দলগুলো যে সহনশীলতা এবং দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে তা আমাদের জাতীয় সংহতির আরও একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।’

তারা নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের আত্মত্যাগের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তার পরিবারবর্গের পুনর্বাসনের দায়িত্ব রাষ্ট্রকে গ্রহণ করার অনুরোধ জানান।

নাবিল/এমএ/

আওয়ামী লীগ ১৬ বছরে মামলা দিয়েই অনেক পরিবারকে শেষ করে দিয়েছে: ডা. শাহাদাত

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:২১ পিএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:৪০ পিএম
আওয়ামী লীগ ১৬ বছরে মামলা দিয়েই অনেক পরিবারকে শেষ করে দিয়েছে: ডা. শাহাদাত
ছবি: খবরের কাগজ

আওয়ামী লীগ ১৬ বছরে মামলা দিয়েই অনেক পরিবারকে শেষ করে দিয়েছে। দেশে এখন অনেক ষড়যন্ত্র চলছে। আওয়ামী লীগকে আবারও পুনর্বাসন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এমন কাজ হতে দেওয়া যাবে না। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

শনিবার (২২ মার্চ) নগরীর ষোলশহরস্থ এলজিইডি মিলনায়তনে অ্যাসোসিয়েশন অব এক্স জেসিডি চুয়েটের উদ্যোগে জুলাই আন্দোলনে চট্টগ্রামে শহিদ পরিবার ও আহতদের সম্মাননা প্রদান ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি জুলাই আন্দোলনে চট্টগ্রামে নিহত ওয়াসিম আকরাম, ফজলে রাব্বি ও তানভীর সিদ্দিকীসহ ৮ জন নিহত ও ৩১ জন আহতের পরিবারকে আর্থিক সম্মাননা দেন।

আওয়ামী লীগ কি করেছে তা শুধু ভুক্তভোগীরা ভালো জানেন জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছরে কি কাজ করেছে সেটা আমরা যারা ভুক্তভোগী তারা জানি। আমাদের অনেকে জেল খেটেছে। বাচ্চার খরচ চালাতে পারেনি, পরিবারকে সময় দিতে পারেনি। অনেক পরিবার কষ্টে দিনাতিপাত করত। তাদের টাকা থাকত না। কারণ টাকা যে ইনকাম করবে, সেই সময়টা তো তারা পাইনি। পাবেই বা কোথা থেকে, জেল-জুলুম আর সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আদালতে হাজিরা দিতে দিতেই সময় শেষ। আর কোথা থেকে ব্যবসা বাণিজ্য বা চাকরি করবে।

মামলাকে টার্গেট করে অনেক পরিবারকে ধ্বংস করে দিয়েছে উল্লেখ করে শাহাদাত হোসেন বলেন, 'মামলার কারণে ওই সময় মানুষ খুব অসহায় ছিল। মামলাগুলোকে টার্গেট করে করে সমস্ত ছেলেকে শেষ করে দিয়েছে। তাদের পরিবারকে ধ্বংস করে দিয়েছে। গত ১৬ বছর আন্দোলন-সংগ্রাম করতে করতে পরিবারগুলো শেষে হয়ে গেছে। তাদের জন্য ওই দিনগুলো অনেক কষ্টের ছিল। আওয়ামী লীগ যে কাজ করেছে, তার মধ্যে শুধু মামলার হিসাব করলেই অনেক পরিবারকে তিলে তিলে শেষ করে দিয়েছে।'

অ্যাসোসিয়েশন অব এক্স জেসিডি চুয়েটের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আতিকুজ্জামান বিল্লাহ ও ইঞ্জিনিয়ার আবদুল্লাহ আল মামুনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার নুরুল করিম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, পিডিবির সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল করিম, আইইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার এটিএম তানভীরুল ইসলাম তমাল।

উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশন অব এক্স জেসিডি চুয়েটের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আফজাল হোসেন সবুজ, আইইবি চট্টগ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব সিরাজউদ্দৌলাহ, চুয়েটের সাবেক ভিপি ইঞ্জিনিয়ার মেজবাহ উদ্দিন, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার উমাশা হুমায়ুন চৌধুরী, এক্স জেসিডি নেতা ইঞ্জিনিয়ার মনছুর আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার মুনতাসীর মামুন মুন্না, ইঞ্জিনিয়ার সজল, ইঞ্জিনিয়ার রনি চৌধুরী প্রমুখ।

মেহেদী/

সিলেটে ইফতার মাহফিলে হট্টগোল, এনসিপির দুঃখ প্রকাশ

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১০:৫১ এএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১১:৩৮ এএম
সিলেটে ইফতার মাহফিলে হট্টগোল, এনসিপির দুঃখ প্রকাশ
সিলেটে ইফতার মাহফিলে হট্টগোলের ঘটনায় এনসিপির দুঃখ প্রকাশ। ছবি: খবরের কাগজ
সিলেটে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আয়োজিত ইফতার মাহফিলে হট্টগোল ও সাংবাদিকদের সঙ্গে অপমানজনক আচরণের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে দলটি।
 
শনিবার (২২ মার্চ) রাতে সিলেটের বালুচর এলাকার একটি কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত এনসিপির প্রথম ইফতার মাহফিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে কিছু দুষ্কৃতকারী হট্টগোল সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। এ সময় কিছু সাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়া ও হেনস্তা করার ঘটনাও ঘটে।
 
এ ঘটনায় এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার নুরুল হুদা জুনেদ এক বিবৃতিতে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘এনসিপি সিলেট জেলা আয়োজিত ইফতার মাহফিলে জেলার গণ্যমান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব,  বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত এনসিপির সমর্থক ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত হয়ে সফল করেছেন। তবে কিছু দুষ্কৃতকারীর কারণে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা ঘটেছে। যার কারণে আমরা দুঃখিত।’
 
এ ছাড়া এনসিপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে কাউকে চাঁদাবাজি, বিশৃঙ্খলা বা সুযোগসন্ধানী কার্যক্রমের সুযোগ দেওয়া হবে না।
 
এ ঘটনায় ইফতার না করে অনুষ্ঠানের স্থান ত্যাগ করেন সিলেটের প্রতিনিধিত্বশীল প্রেসক্লাবের সদস্যরা। তবে এনসিপির পক্ষ থেকে ইফতার শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক করে বিষয়টির মীমাংসা করা হয়েছে।
 
এই ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন- এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারী, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক এহতেশামুল হক, অর্পিতা শ্যামা দেব ও অনিক রায়, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব প্রীতম দাশ। 
 
এ ছাড়াও ইফতার মাহফিলে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও শহিদ পরিবারের সদস্য, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
 
তাওফিক/ 

যুবদল-ছাত্রদল সংঘর্ষ খুলশী থানার ওসি প্রত্যাহার

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৮:৪০ এএম
খুলশী থানার ওসি প্রত্যাহার
চট্টগ্রামে ঈদুল ফিতরের ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে যুবদল ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় খুলশী থানার ওসি মজিবুর রহমান কাওসারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ে ঈদুল ফিতরের ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে যুবদল ও ছাত্রদলের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান কাওসারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার জায়গায় কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আফতাব হোসেনকে দায়িত্ব বুঝে নিতে বলা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতেই তাকে প্রত্যাহার করা হয়। তবে সকালে ওসি হিসেবে আফতাব হোসেনের দায়িত্ব পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। 

জানা যায়, শুক্রবার রাতে নগরীর জিইসি মোড়ে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ব্যানার টানানো নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। পরে তারা খুলশী থানার কুসুমবাগ ডেবার পাড় এলাকায় মুখোমুখি হয়। এ সময় দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ চারজন আহত হয়েছেন।

আহতরা হলেন জিহাদুর রহমান জিয়াদ, কামাল হোসেন, আনোয়ার হোসেন মোনা ও রমিজ। তাদের মধ্যে জিয়াদ ও কামাল যুবদলের সদস্য। জিয়াদের শরীরে দুটি গুলি লেগেছে। এ ছাড়াও আনোয়ার হোসেনও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে। আরও দুজন ছুরিকাহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তারা নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম শাহ আলমের সমর্থক।

সিএমপি সূত্র জানিয়েছে, খুলশী থানার ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, বদলি একটি সাধারণ প্রক্রিয়া। যেকোনো সময় যে কাউকে প্রত্যাহার করা হতে পারে। খুলশী থানার ওসিকে প্রত্যাহার এবং কোতোয়ালি থানা পরিদর্শক (তদন্ত) আফতাব হোসেনকে দায়িত্ব বুঝে নিতে বলা হয়েছে।

কমিশনে এনসিপির প্রস্তাব রবিবার ভোটারের বয়স ১৬, প্রার্থীর ২৩ বছর করার প্রস্তাব

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:০৬ এএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:০৬ এএম
ভোটারের বয়স ১৬, প্রার্থীর ২৩ বছর করার প্রস্তাব
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দেওয়া নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ন্যূনতম বয়স ২১ বছরের বদলে ২৩ বছর আর ভোটারের বয়স ১৬ বছর করার প্রস্তাব আজ রবিবার (২৩ মার্চ) দিতে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ঈদের পরে হতে পারে এনসিপির সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা।

শনিবার (২২ মার্চ) বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার এসব কথা জানান।

সারোয়ার তুষার বলেন, ভোট দেওয়ার বয়স ১৬ বছর হতে পারে। কারণ হচ্ছে জুলাই আন্দোলনে প্রায় সারা বিশ্বে একে জেন-জির অভ্যুত্থান বলা হচ্ছে। অভ্যুত্থান-পরবর্তী যে বাংলাদেশ এবং আসন্ন যে নির্বাচন, এই নির্বাচনে তারা মতামত দিতে পারবে না শুধু বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ার কারণে। একে এনসিপি যৌক্তিক মনে করে না। সংবিধান সংস্কার কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ন্যূনতম বয়স ২১ বছর প্রস্তাব করেছে। এনসিপি মনে করে, এই বয়সটা প্রার্থী হওয়ার জন্য খুবই কম হয়ে যায়। এটা ২৩ বছর হতে পারে (বর্তমানে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ন্যূনতম বয়স ২৫ বছর)।

তিনি জানান, রবিবার (আজ) দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে তারা তাদের প্রস্তাব ও মতামত জমা দেবে। এ ছাড়া ঐকমত্য কমিশন জানিয়েছে, ১৬৬টি সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে ১১১টি আলোচনা ছাড়াই বাস্তবায়ন করা সম্ভব। তবে এনসিপির দাবি, এই ১১১টি সুপারিশ নিয়ে আরও আলোচনা দরকার।

এখন ১৯৭২ সালের সংবিধান গ্রহণযোগ্য নয় উল্লেখ করে সরোয়ার তুষার বলেন, দেশে নতুন সংবিধানের প্রয়োজন। আগামী নির্বাচনে গণপরিষদ নির্বাচন দেওয়া দরকার। সংবিধান সংস্কারের কাজ শেষ করে একটা নির্দিষ্ট সময়ের পরে এই গণপরিষদই আইন সভায় রূপান্তরিত হবে।

এ সময়ে আওয়ামী লীগ আন্দোলনে নামলে কী হবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সারোয়ার তুষার বলেন, তারা যদি আন্দোলনে নামে, সেটাকে আমরা আন্দোলন বলব না। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য নামবে। সে ক্ষেত্রে পুলিশের বল প্রয়োগের যে অধিকার আছে, সেটা থাকবে।

প্রসঙ্গত, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপ ও বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনার জন্য পাঁচ সদস্যের সংস্কারবিষয়ক সমন্বয় কমিটি গঠন করেছে এনসিপি। কমিটিতে সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সারোয়ার তুষারকে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন মনিরা শারমিন, জাবেদ রাসিন, সালেহ উদ্দিন ও আরমান হোসাইন।

আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার কোনো সুযোগ নেই: আমিনুল হক

প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ১০:০৮ পিএম
আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৫, ১০:১৩ পিএম
আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার কোনো সুযোগ নেই: আমিনুল হক
তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দুস্থ-অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী ও ইফতার বিতরণ করেন আমিনুল হক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আহ্বায়ক আমিনুল হক। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ এই অবৈধ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী ভয়াবহ রুপ আর দেখতে চায় না। আওয়ামী মানে হচ্ছে একটি শোষণ। আওয়ামী মানে হচ্ছে একটি অভিশাপ। সেই অভিশাপ নিয়ে বাংলাদেশের মানুষ আর কখনো বাঁচতে চায় না। কারণ বাংলাদেশের মানুষ স্বস্তি চায়, শান্তি চায়। ভবিষ্যতে আর কোনো স্বৈরাচার দেখতে চায় না। 

শনিবার (২২ মার্চ) দিনব্যাপি রমজানের ২১তম দিনে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির পল্লবী রামপুরা হাতিরঝিল কাফরুল থানার ১০টি স্পটে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দুস্থ-অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী ও ইফতার বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগকে যারা পূর্নবাসন করার চেষ্টা করছে তাদেরকে সাবধান হওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, গত দেড় দশক এই আওয়ামী স্বৈরাচারের হাত রক্তে রাঙ্গানো। এই রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। তাই রক্তের বিনিময়ে কোন ভাবেই আজকে আওয়ামী লীগকে যারা পূর্নবাসন করার অপচেষ্টা করছেন,তারা দয়া করে সাবধান হয়ে যাবেন। কারণ বাংলাদেশের মাটিতে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার আর কোনো অধিকার বা সুযোগ নাই। 

আমিনুল হক বলেন, গত দেড় দশকে স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার বাংলাদেশের মানুষের ওপরে যে পরিমান জুলুম নির্যাতন অত্যাচার ও নিপীড়ন চালিয়েছে। 

বিএনপির প্রত্যাকটি নেতা-কর্মীদের নামে যেভাবে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিয়েছে। তাদের ওপরে যে পরিমান হামলা চালানো হয়েছে। দলের নেতা-কর্মীদের প্রত্যেকের পরিবারকে যেভাবে হয়রানি করা হয়েছে। স্বৈরাচার সরকারের সময়ে বিএনপির বহু নেতা-কর্মীদের গুম, খুন ও হত্যা করা হয়েছে। দলের বহু নেতাকর্মী এখনও পঙ্গুত্ববরণ করে অসহায় জীবন যাপন করছে। 

এসময় বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসররা ষড়যন্ত্র করে বেড়াচ্ছে। এই বিষয়ে আমাদের সকলকে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে। কোনোভাবেই আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসরদেরকে সুযোগ দেওয়া যাবে না। তাদেরকে আইনের হাতে তুলে দিতে হবে। প্রয়োজনে দৃঢ় হাতে মোকাবেলা করতে হবে। 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, মাহাবুব আলম মন্টু, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ ফরিদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মহসিন সিদ্দিকী রনী, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজ, কাফরুল থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক আকরামুল হক, সাব্বির দেওয়ান জনি, রামপুরা থানা বিএনপি আহ্বায়ক হেলাল কবির হেলু, যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করিম বড় মিয়া, হাতিরঝিল থানা বিএনপি আহ্বায়ক নাজমুল হক মাসুম, রুপনগর থানা বিএনপি আহ্বায়ক জহিরুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহমেদ রাজু প্রমুখ।

মাহফুজ/