ঢাকা ৩০ পৌষ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

নির্বাচনি আবহ তৈরি হলেই ফিরবেন তারেক রহমান

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৩ এএম
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪০ পিএম
নির্বাচনি আবহ তৈরি হলেই ফিরবেন তারেক রহমান
খবরের কাগজ ইনফোগ্রাফ

বহুল আলোচিত ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মামলাসহ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করা মোট ৪০টি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। তবে আরও ৪২টি মামলায় তার জামিন পাওয়া এখনো বাকি রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তারেক রহমান কবে দেশে ফিরবেন, সে বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য মিলছে না। তবে তার ঘনিষ্ঠজনরা বলছেন, দেশে নির্বাচনি আবহ তৈরি হলেই তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবেন। ওই সময় দলের নির্বাচনি কার্যক্রমে অংশ নেবেন তিনি।

তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোর নিষ্পত্তি হলেই তিনি দেশে আসবেন। এ জন্য মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আইনি পদক্ষেপ নিয়ে এগোচ্ছেন তার আইনজীবীরা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস খবরের কাগজকে বলেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় তারেক রহমান খালাস পেয়েছেন। তার দেশে আসতে আর কোনো বাধা নেই। উনি (তারেক রহমান) সময়মতোই দেশে চলে আসবেন। দেশবাসী তার ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন।’

স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য বেগম সেলিমা রহমান খবরের কাগজকে বলেন, ‘তারেক রহমান আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সে জন্য তার বিরুদ্ধে যতগুলো মামলা রয়েছে সেগুলো আইনিভাবেই মোকাবিলা করতে চাইছেন। আইনিভাবেই তিনি মুক্ত হতে চান। তবে কবে দেশে ফিরবেন, সে বিষয়ে আগাম কিছুই বলা যাবে না।’

বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, আইনি সব বাধা কাটিয়ে দেশে ফিরতে মামলার বিষয়ে দ্রুতই আপিল করা হবে। কারণ একের পর পর এক মামলায় অব্যাহতি পাওয়ায় দৃশ্যত তারেকের দেশে ফেরার সময় এগিয়ে আসছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন লন্ডনে রয়েছেন। সেখানে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে। তারপর তারেকের দেশে ফেরার দিনক্ষণ জানা যেতে পারে।

বিএনপির শীর্ষ আইনজীবীদের দেওয়া তথ্যমতে, গত ১৭ বছরে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে হত্যা, দুর্নীতি, মানহানি, রাষ্ট্রদ্রোহসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৮২টি মামলা হয়েছে। তবে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ৪০টি মামলায় খালাস কিংবা অব্যাহতি পেয়েছেন তিনি। কিছু মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। সর্বশেষ গতকাল সোমবার গাজীপুরের জয়দেবপুরে যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা মামলায় তারেক রহমানসহ ৬০ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। এর আগের দিন রবিবার ২১ আগস্ট মামলায় হাইকোর্টের রায়ে খালাস পেয়েছেন তিনি। এখনো তার বিরুদ্ধে ৪২টি মামলা বহাল রয়েছে। এসব রাজনৈতিক মামলা দ্রুতই নিষ্পত্তির জন্য ইতোমধ্যে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিছু মামলার শুনানিও চলছে। আগামী তিন-চার মাসের মধ্যেই তিনি মুক্ত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

বিএনপির শীর্ষ আইনজীবীরা জানান, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এখনো চারটি মামলায় সাজা পরোয়ানা রয়েছে। সেগুলো হলো জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ১০ বছর, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলায় ৯ বছর, বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগের মামলায় ৭ বছর এবং শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে মানহানির একটি মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ড রয়েছে। প্রতিটি মামলাতেই তারেক রহমানকে পলাতক দেখিয়ে সাজা দেওয়া হয়েছে। এসব মামলা নিষ্পত্তি করতে চাইলে তাকে আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনি প্রক্রিয়ায় যেতে হবে।

এ ক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার বিষয়টি উল্লেখ করে তারা বলেন, এ ধারায় সরকারের নির্বাহী আদেশে আপিল কিংবা অন্য শর্তে সাজা মওকুফের বিধান রয়েছে। আপাতত এই আইনি প্রক্রিয়াটি তাদের চিন্তাভাবনায় রয়েছে। যেসব মামলায় তিনি সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন, সেগুলোতে আপিল করে আইনি মোকাবিলা করবেন। 

বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল খবরের কাগজকে বলেন, ‘তারেক রহমানের বাকি মামলাগুলো আইনি মোকাবিলার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এখনো ৪২টি মামলা নিষ্পত্তির বাকি রয়েছে। যথাসময়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বীরের বেশে দেশে ফিরে আসবেন।’

তারেক রহমান সাজাপ্রাপ্ত চার মামলায় আপিলের জন্য কোনো আবেদন জমা দেননি বলে জানিয়েছেন আরেক আইনজীবী বিএনপির সহ-আইন সম্পাদক সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। তিনি বলেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খালাস পেয়েছেন। এই চারটি রাজনৈতিক মামলা সেই তুলনায় হালকা। তিনি নিয়ম অনুযায়ী মামলার আইনি মোকাবিলা করবেন। ৪০১ ধারায় যেকোনো জায়গা থেকেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। সেই বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি তিনি দেশে ফিরে আসবেন।’

দলীয় সূত্রমতে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার পালাবদলের পর রাজনীতিতে বিএনপির জোয়ার বইছে। তারেক রহমানের জোয়ার বইছে। তবে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কবে দেশে ফিরবেন সেই সিদ্ধান্ত একমাত্র তিনিই নেবেন। আবার তারেক রহমান যেকোনো সময় দেশে ফিরতে পারেন। তাই সুনির্দিষ্ট কোনো মাস বা দিনক্ষণ বলা খুবই মুশকিল। 

দীর্ঘ ১৭ বছর পর দলের শীর্ষ নেতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিনটি স্মরণীয় করে রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছেন কেন্দ্র থেকে তৃণমূল ও মাঠপর্যায়ের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী ও সমর্থক। আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলে দেশে আসতে পারেন- এমনটা ধরে নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। দেশে ফেরা উপলক্ষে রাজধানীতে শোডাউন ও মহাসমাবেশ করার আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন তারেক রহমান। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে বিমানবন্দর থেকে শুরু করে বাসভবন পর্যন্ত লাখো নেতা-কর্মী ও সমর্থক স্বাগত জানাবেন। সারা দেশ থেকে আসা লাখো জনতার ঢল নামবে ঢাকা মহানগরে। 

জানা যায়, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশে ফেরার পথ উন্মুক্ত থাকলেও ফেরেননি দলের এ কাণ্ডারী। এরই মধ্যে মুক্ত হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও একের পর এক রাজনৈতিক মামলা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন।

খালেদা জিয়ার সঙ্গে ফিরছেন না তারেক রহমান

নির্ভরযোগ্য সূত্রমতে, চলতি মাসের মাঝামাঝি বিদেশ যেতে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ১২ থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে তার লন্ডনে যাওয়ার কথা রয়েছে। প্রথমে লন্ডনে এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা রয়েছে তার। এ ছাড়া সৌদি আরবে ওমরাহ পালন করবেন খালেদা জিয়া। সব মিলিয়ে প্রায় এক মাস বিদেশে অবস্থান করবেন বেগম জিয়া। তবে খালেদা জিয়ার এবারের বিদেশযাত্রা শেষে তার সঙ্গে তারেক রহমানের দেশে ফেরার সম্ভাবনা নেই।

বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য জানান, উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে দুই-তিনটি দেশে নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে যেতে হতে পারে। সে জন্য দেশ ছাড়ার আগে সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

মানুষ চায় জনগণের সরকার: আমিনুল হক

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৬ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫০ পিএম
মানুষ চায় জনগণের সরকার: আমিনুল হক
পল্লবীতে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন বিএনপি নেতা আমিনুল হক। ছবি: খবরের কাগজ

বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, মানুষ চায় জনগণের সরকার এবং সেই সঙ্গে জনগণের সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়েই দেশের ধ্বংসস্তুপে পরিণত  হওয়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার ও পুনর্গঠন হবে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর পল্লবীর ধ-ব্লকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আয়োজিত শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিতে চায়, গত ১৫ বছর ধরে তারা ভোট দিতে পারে নাই। আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের এদেশের জনগণের ভোটের প্রয়োজন ছিল না। তাদের প্রয়োজন ছিল শুধু আজ্ঞাবহ কিছু লীগ, কিছু সন্ত্রাসী, কিছু দুষ্কৃতকারী, কিছু ষড়যন্ত্রকারী।

স্বৈরাচারের দোসররা এখনও রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বসে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে উল্লেখ করে  আমিনুল হক বলেন, আমরা বার বার এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহ্বান করছি, আপনারা দ্রুত সময়ের ভিতরে স্বৈরাচারের দোসরদেরকে অপসারণ করে নির্মূল করুন। আইনের আওতায় এনে জাতির সামনে বিচার করুন। কারণ তারা ষড়যন্ত্রকারী, তারা স্বৈরাচার- তাদের স্থান বাংলাদেশে হওয়ার কথা নয়।

তিনি আরও বলেন, কিন্তু এই ষড়যন্ত্রকারীরা কিছু লোকের সহযোগিতা নিয়ে তারা এখনও স্ব-স্থানে বসে আছে, এর দায়ভার এই অন্তবর্তীকালীন সরকারকেই নিতে হবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, গত ১৭ বছরে ধরে আমরা যখন জনমুখী বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি নিয়ে জনগণের পাশে এসে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি, ঠিক তখনও আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসররা আমাদেরকে বাধা দিয়েছে। আমাদের ওপরে মামলা-হামলা, নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়েছে।

তিনি বলেন, গত ১৭ বছরে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা বিরোধী আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে আমাদের বহু ভাইয়েরা গুম খুন ও হত্যার স্বীকার হয়েছে, অনেকে পঙ্গুত্ববরণ করে অসহায় জীবন যাপন করছেন।

পল্লবী থানা ৯১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মফিজুর রহমান মামুনের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহাবুব আলম মন্টু, মহানগর সদস্য সাজ্জাদ হোসেন মোল্লা, ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা দল যুগ্ম আহ্বায়ক লাইলী বেগম, পল্লবী থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক কামাল হুসাইন খান, যুগ্ম আহ্বায়ক আনিছুর রহমান, মোকছেদুর রহমান আবির, ৯১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ বাবুল, পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়া, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল হোসেন বাপ্পি, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মাসুদুর রহমান খান মাসুদ, ওয়ার্ড বিএনপি সহসভাপতি শাহাবুদ্দিন সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক নাঈম শেখ, বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম, মো. রুবেল, মো. মমিন, পল্লবী থানা মহিলাদল নেত্রী রুমা ইসলাম প্রমুখ।

নাবিল/এমএ/

৯ বছর পর দেশে ফিরছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ইমরানুল হক চাকলাদার

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩৭ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৪ পিএম
৯ বছর পর দেশে ফিরছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ইমরানুল হক চাকলাদার
বীর মুক্তিযোদ্ধা ইমরানুল হক চাকলাদার। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ নয় বছর পরে দেশে ফিরছেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও ফ্লোরিডা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইমরানুল হক চাকলাদার। সঙ্গে তার স্ত্রীও দেশে ফিরবেন।

আগামী শুক্রবার টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন তিনি।

বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তিনি শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে যাবেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানের নেতৃত্বে ইমরানুল হক চাকলাদারসহ নেতারা ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করবেন।

যুক্তরাষ্ট্রসহ বহির্বিশ্বের ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম বলিষ্ঠ কন্ঠ বীর মুক্তিযোদ্ধা ইমরানুল হক চাকলাদার প্রায় এক দশক স্বৈরাচার হাসিনার শাসনামলে দেশে ফিরতে পারেননি।

এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পরিসরে শেখ হাসিনার কবল থেকে বাংলাদেশের জনগণকে মুক্ত ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য  বড় ভূমিকা পালন করেছেন।

হাসিনামুক্ত বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের মুহূর্তে ইমরানুল হক চাকলাদারকে তার জন্মস্থান মুন্সীগঞ্জ-২ (লৌহজং-টঙ্গীবাড়ী) এলাকার সর্বস্তরের জনগণের পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেছেন বিএনপির নেতারা।

প্রত্যাবর্তনের আগমুহূর্তে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন বিএনপির এ নেতা।

শফিকুল ইসলাম/নাবিল/

সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ না করে দ্রুত নির্বাচনের আহ্বান রিজভীর

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩০ পিএম
সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ না করে দ্রুত নির্বাচনের আহ্বান রিজভীর
রাজশাহীতে যুবদলের শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: খবরের কাগজ

সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ না করে দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবের সরকারকে সমস্ত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল সমর্থন করেছে। তিনি নিঃসন্দেহে একজন গুণী মানুষ। তাই আপনি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দ্রুত তারিখ ঘোষণা করুন। আপনি বলুন যে এত সময়ের মধ্যে নির্বাচন হবে। প্রশাসনসহ সবকিছুতে সংস্কার দরকার। কিন্তু এ সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ, বাদানুবাদ, তর্ক-বিতর্ক চললে হবে না।’

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে রাজশাহীর শহিদ জিয়া শিশুপার্ক এলাকায় যুবদলের শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, সব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার দরকার। কিন্তু সেটা নিয়ে বেশি দেরি করা উচিত হবে না। ১৭ বছর দেশের মানুষ ভোট দেওয়া থেকে বিরত রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে উদগ্রীব দেশের মানুষ। বাংলাদেশকে পাশের দেশের কাছে ইজারা দিয়ে রেখেছিলেন শেখ হাসিনা। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল হাসিনার, বাংলাদেশের সঙ্গে নয়।

তিনি আরও বলেন, দিনের ভোট রাতে হবে, এটা হচ্ছে শেখ হাসিনার গণতন্ত্র। শেখ হাসিনার গণতন্ত্র হচ্ছে- নির্বাচনের সময় বিরোধীদলের সবাইকে জেলের মধ্যে ঢুকিয়ে রাখা। বিএনপির চেয়ারপার্সনসহ সিনিয়র সব নেতা-কর্মীদের জেলে রেখে তিনি ৭ জানুয়ারির নির্বাচন করেছেন।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা রিজভী বলেন, উনি যে গণতন্ত্র দিয়েছিলেন তার নমুনা আমরা দেখেছি। ভোটকেন্দ্রে চতুষ্পদজন্তু বিচরণ করতে দেখিছি। মানুষ বা ভোটাররা সেখানে যাননি। এগুলো তিনি কেন করেছেন? এ বাংলাদেশটা তার কাছে ছিল টাকার খনি। এখান থেকে টাকা উত্তোলন করবেন। সেটা বিদেশে পাচার করে সুখে শান্তিতে থাকবেন। আর তার যে ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী আওয়ামী লীগের নেতারা সেই টাকা দিয়ে দুবাই, কাতার, কানাডা, মালয়েশিয়া, আমেরিকাসহ বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি কিনবে, সেখানে পরিবার নিয়ে থাকবেন- এটা ছিল শেখ হাসিনার নীতি। তার প্রমাণ আমরা দেখতে পাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা সোনার হরিণ ক্ষমতা ধরে রাখতে কত শিশু বাচ্চাকে হত্যা করেছে। আবু সাঈদের মতো টাটকা তরুণ প্রাণকে হত্যা করেছে। মুগ্ধ যে চিৎকার করে বলেছে ‘পানি লাগবে পানি’,  তাকে হত্যা করেছে। এত শিশু, এত মাসুম বাচ্চাকে হত্যা করে তিনি তার রাজ সিংহাসনে থাকার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। তিনি তার ক্ষমতার রক্ষা করতে শুধু একটি দেশকে সমীহ করতেন। এইজন্য বলেছিলেন ‘আমি ভারতকে যা দিয়েছি, তা কোনো দিন ভুলতে পারবে না।’ উনি কত শক্তিশালী দেশকে গালাগালি করেছেন। ভারত চেয়েছে তাদের স্বার্থ রক্ষায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে। সেটি হয়নি। তবে এখন এ দেশ কীভাবে চলবে তা নির্ধারণ করবে এদেশের জনগণ।’

অনুষ্ঠানে রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশা, সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গোলাম মোস্তফা মামুন, রাজশাহী মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন, সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম রবি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এনায়েত করিম/মাহফুজ

ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে জামায়াতের আমিরের সাক্ষাৎ

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:১০ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:১০ পিএম
ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে জামায়াতের আমিরের সাক্ষাৎ
জামায়াতের আমীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় রাজধানীর মগবাজারে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়।

সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে অর্থবহ করার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। ভবিষ্যতে উভয়ের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক, উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন।

শফিকুল ইসলাম/নাবিল/এমএ/

জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের এবি পার্টির নব নির্বাচিত নেতাদের শ্রদ্ধা

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪৯ পিএম
জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের এবি পার্টির নব নির্বাচিত নেতাদের শ্রদ্ধা
জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) নবনির্বাচিত নেতারা। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) নবনির্বাচিত নেতারা। এরপর রায়ের বাজারে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শাহাদাতবরণকারী বীর শহিদদের গণকবরে গিয়ে সেখানে ফাতেহা পাঠ ও দোয়া মোনাজাত করেন তারা। 

দলের সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের নেতৃত্বে নির্বাচিত জাতীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্যরা নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এসময় এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু দলের নেতাকর্মীদের দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, মুক্তিযুদ্ধ ও ২৪ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানোর শপথ করান।

উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশে মঞ্জু বলেন, আমার বাংলাদেশ পার্টি ১১ জানুয়ারি কাউন্সিলের মাধ্যমে চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্যদের নির্বাচিত করেছে। আমরা নির্বাচিত নেতৃবৃন্দ নেতাকর্মীসহ মুক্তিযুদ্ধে যারা জীবন দিয়েছেন, যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা একটি স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছি। 

তিনি বলেন, আজকে আমরা শপথ নিয়েছি মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্রের আলোকে ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে বাংলাদেশকে একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্রে পরিণত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। তিনি আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) নতুন কমিটির সফলতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চান।

মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শাহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, আমরা সেবা সমস্যা সমাধানের রাজনীতি নিয়ে দেশবাসীর কাছে যাচ্ছি। আশাকারি দেশের মানুষ প্রচলিত ধারার রাজনৈতিক ধারণার বাইরে গিয়ে রাষ্ট্র মেরামতের এই নতুন রাজনীতির পাশে দাঁড়াবেন। তিনি দেশবাসীর কাছে নির্বাচিত নেতারাসহ এবি পার্টির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রতি দোয়া ও সহোযোগিতা কামনা করেন।

জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে এর পর পরই এবি পার্টির নেতারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের গণকবর জিয়ারত করতে রায়ের বাজার যান। সেখানে শহিদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ, দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

এসময় জাতীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্যবৃন্দ, ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ, যুবপার্টি ও নারী নেত্রীরাসহ এবি পার্টির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এমএ/