কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনে হামলা এবং পতাকা ছেঁড়ার প্রতিবাদে ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবার কার্যালয়ের নিচে গিয়ে শেষ হয়।
এ মিছিলে নেতা-কর্মীরা ‘দিল্লি না ঢাকা? ঢাকা, ঢাকা’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন ভেঙ্গে দাও, ভেঙ্গে দাও’, ‘রুশ-ভারতের দালালেরা, হুশিয়ার সাবধান’, ‘দিল্লির আগ্রাসন, রুখে দাও জনগণ’, ‘বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনে হামলা কেন? নরেন্দ্র মোদি জবাব চাই’, ‘ইসকনের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশে রিজভী বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচার হাসিনাকে প্রত্যাবাসনের জন্য ভারতের নরেন্দ্র মোদি সব ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। দিল্লিতে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আমাদের ভালো কিছু দিল্লি কখনো ভালো চোখে দেখেনি। কলকাতায় আমাদের ডেপুটি হাইকমিশনে আক্রমণ, পতাকা ছিঁড়েছে তারা। নিজ বাড়িতে মেহমানকে আক্রমণ করাকে কাপুরুষতা বলে।’
ভারত মিডিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘ভারতের গণমাধ্যমগুলো রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। শেখ হাসিনা গুম-খুন করেছে, এর জন্য তো কোনদিন কথা বলেননি। শেখ হাসিনা বিতাড়িত হওয়ায় পর এ দেশের মানুষ আনন্দে আছে, স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পাচ্ছে।’
আক্রমণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও হুঁশিয়ারি দিয়ে রিজভী বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, পতাকা কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না। আমাদের ১৮ কোটি মানুষের দেশ। আমরা জানি, কি করে দেশের পতাকা সমুন্নত রাখতে হয়।’
এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন, যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির, সহসভাপতি রেহেনা আক্তার শিরীন, ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের হাজার হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেন।
শফিকুল/পপি/