বিগত পনের বছর একটি তাবেদার সরকার বসিয়ে ভারত সরকার বাংলাদেশকে একটি করদ রাজ্যে পরিণত করার প্রয়াস চালিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ কখনো কারও দাসত্ব মেনে নেয়নি। জুলাই বিপ্লবের পর বাংলাদেশে যখন ভারতের করদরাজ্য ভেঙে পড়েছে তখন তাদের মাথা নষ্ট হয়েছে। এখন তারা আমাদের হাইকমিশনগুলোতে আক্রমণ করছে। বাংলাদেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে এই ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে বলে দাবি করেছেন আমার বাংলাদেশ পার্টি- এবি পার্টি ।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) আগরতলায় বাংলাদেশ দূতাবাসে ভারতীয় উগ্র হিন্দুত্ব বাদীদের হামলার প্রতিবাদে আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টি আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে পার্টির নেতারা এই বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক। বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন ও ছাত্রপক্ষের আহ্বায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স।
বিএম নাজমুল হক বলেন, বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলার মাধ্যমে ভারত প্রমাণ করেছে তারা বাংলাদেশের বন্ধু হতে পারেনা। তারা বাংলাদেশের দীর্ঘ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। বাংলাদেশের মানুষ তাদের এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হতে দেবে না।
আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা বলেন, আমার ঘাড় আর ভারতের তলোয়ার এভাবে বন্ধুত্ব হবে না। ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাইলে তাকে হাসিনার বন্ধুত্ব ত্যাগ করতে হবে।
আনোয়ার সাদাত টুটুল বলেন, অ্যাম্বেসিতে হামলা করে, পতাকায় আগুন দিয়ে ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা আমাদের হৃদয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আমরা ভারতীয় সরকারকে বলতে চাই, অবিলম্বে যদি আপনারা এই উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীকে না থামান তাহলে আমাদের এই আগুন থামবে না।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে থেকে শুরু হয়ে বিজয়নগর, কাকরাইল, পল্টনসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
বিক্ষোভে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী নাসির, মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সেলিম খান, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব আহমাদ বারকাজ নাসির, কেফায়েত হোসেন তানভীর, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, মহানগর উত্তরের যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুর রব জামিল, যুবপার্টির প্রচার সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন রমিজ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুমাইয়া শারমিন ফারহানা, শাহীনুর আক্তার শীলাসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।